|
|
|
|
|
২ জানুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার, একটি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং চলমান ছিল। গত দুই সপ্তাহ ধরে, মূল্য 1.0359 এবং 1.0451 এর মধ্যে ওঠানামা করছে, যা 100 পিপসের চেয়েও কম প্রস্থের একটি চ্যানেল গঠন করেছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী, মার্কেটে বর্তমানে নতুন বছরের ছুটির প্রভাবে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই হরাইজন্টাল চ্যানেলের সীমাগুলো অত্যন্ত সঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে, যা নতুন ট্রেডারদের শুধুমাত্র টেকনিক্যাল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার সুযোগ প্রদান করছে। গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংবাদগুলোর নেই, এবং এই সপ্তাহে প্রথম অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কেটে ধীরে ধীরে "ছুটির পর" থেকে ট্রেডিং কার্যক্রম করা হচ্ছে, তবে এর অর্থ এই নয় যে প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হবে বা ফ্ল্যাট মুভমেন্ট আজই শেষ হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1182195571.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার শুধুমাত্র একটি ট্রেড সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। তবে, এই সিগন্যালটি নববর্ষের ছুটির কারণে মার্কেট বন্ধ হওয়ার ঠিক আগে ঘটেছিল। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, এই সিগন্যালটি আজ তৈরি হয়েছিল যখন মূল্য 1.0334–1.0359 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছিল। যেহেতু এই এরিয়া হরাইজন্টাল চ্যানেলের নিম্ন সীমা উপস্থাপন করছে, তাই 1.0433–1.0451 দিকে উপরের দিকে একটি বাউন্সের সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ার ফ্ল্যাট এবং স্থবিরভাবে ট্রেডিং চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি যে, মধ্যমেয়াদে ইউরোর দরপতন পুনরায় শুরু হতে পারে; তবে বর্তমানে মার্কেটের বেশিরভাগ ট্রেডার নতুন ট্রেড ওপেন করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, যার ফলে মূল্যের গতিশীলতায় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো যে, মূল্য অবশেষে 1.0334–1.0359 এর রেঞ্জ ভেদ করবে। বৃহস্পতিবার, এই পেয়ারের মূল্য পুনরায় 1.0334–1.0359 এরিয়া থেকে বাউন্স করতে পারে, যা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল। তবে, মূল্য এই রেঞ্জ ভেদ করলে সেটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেবে। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896 লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর মাসের ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম সংক্রান্ত (চূড়ান্ত অনুমান) প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আমরা এই সকল প্রতিবেদনকে গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করছি এবং এগুলোর প্রভাবে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট সৃষ্টি হবে বলে আশা করি না।[/URL]
Read more: https://ifxpr.com/3W0x5P2
|
|
|
|
|
|
|
|
|
৩ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে তুলনামূলকভাবে কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, কারণ ছুটির মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। তবে একটি প্রতিবেদন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এবং সেটি হচ্ছে মার্কিন ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স। আশা করা হচ্ছে যে ডিসেম্বরে এই সূচকে বড় কোনো পরিবর্তন হবে না এবং এটির ফলাফল 48.3 থেকে 48.5 এর মধ্যে থাকবে। তবুও, ট্রেডাররা এই পরিস্থিতি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। নিরপেক্ষ পূর্বাভাসের কারণে প্রকৃত ফলাফল অনুমানের তুলনায় ভিন্ন হতে পারে। এর ফলে, মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেতে পারে। এছাড়াও, জার্মানিতে বেকারত্ব এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যদিও এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। তবে, বৃহস্পতিবারের ট্রেডিং কার্যকলাপ এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন কোনো বক্তব্য বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের থেকে মুদ্রানীতি সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রয়োজন বোধ করছে না। সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক শেষ হয়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এবং এই ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরেছে। আমরা মনে করি যে এই বৈঠকগুলোর ফলাফল ট্রেডারদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা প্রেরণ করেছে: মার্কিন ডলার আরও শক্তিশালী হতে পারে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, যুক্তিসঙ্গতভাবে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের প্রত্যাশা করা যেতে পারে, অন্তত মার্কিন ট্রেডিং সেশন শুরু হওয়া পর্যন্ত। এরপর, পরিস্থিতি অনেকাংশে নির্ভর করবে মার্কিন ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স প্রতিবেদনের উপর, যা মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি বা দরপতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/40hxqzo
|
|
|
ননফার্ম পেরোল, ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচক, মার্কিন তুষার ঝড় এবং HMPV সংক্রমণের বৃদ্ধি
এই সপ্তাহের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে EUR/USD পেয়ারের জন্য কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে জার্মানি ও ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচক, ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI, ফেডের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী এবং মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এছাড়াও, মার্কেটকে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে এমন কিছু মৌলিক বিষয় রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন তুষার ঝড় এবং চীনে HMPV সংক্রমণের বৃদ্ধি। অন্য কথায়, আসন্ন সপ্তাহে বেশ গুরুত্বসম্পন্ন ইভেন্ট রয়েছে, সেইসাথে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রইয়েছে। EUR/USD পেয়ারের মূল্য বর্তমানে প্যারিটি লেভেল থেকে মাত্র 300 পিপস দূরে রয়েছে। যদি "রাতের আকাশের তারাগুলো সঠিকভাবে অবস্থান করে," অর্থাৎ মার্কেটে ঝুঁকি না গ্রহণ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল শক্তিশালী হয়, তাহলে এই পেয়ারের বিক্রেতারা নভেম্বর 2022 এর পর প্রথমবারের মতো মূল্যকে 1.0000 এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে।
অন্য কথায়, আসন্ন সপ্তাহে বেশ গুরুত্বসম্পন্ন ইভেন্ট রয়েছে, সেইসাথে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রইয়েছে। EUR/USD পেয়ারের মূল্য বর্তমানে প্যারিটি লেভেল থেকে মাত্র 300 পিপস দূরে রয়েছে। যদি "রাতের আকাশের তারাগুলো সঠিকভাবে অবস্থান করে," অর্থাৎ মার্কেটে ঝুঁকি না গ্রহণ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল শক্তিশালী হয়, তাহলে এই পেয়ারের বিক্রেতারা নভেম্বর 2022 এর পর প্রথমবারের মতো মূল্যকে 1.0000 এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে। ইউরোর ভাগ্য ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচকের ফলাফল উপর নির্ভর করছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড তার সর্বশেষ জনসাধারণের সামনে দেয়া বক্তব্যে বলেছেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 2025 সালে সুদের হার কমিয়ে যাবে। তবে, মুদ্রানীতির নমনীয়করণের গতি আগত প্রতিবেদনের ফলাফল উপর নির্ভর করবে। রয়টার্স এবং ব্লুমবার্গ দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ এই বছর ইসিবি থেকে 25-বেসিস পয়েন্ট করে চারবার সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছেন। তবে এখানে একটি শর্ত রয়েছে: ইউরোজোনের সামগ্রিক কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) গত দুই মাস ধরে বাড়ছে, যা লাগার্ডের এই বক্তব্যের বিপরীত যে ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রয়েছে। যদি ডিসেম্বরেও এই অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তাহলে স্থায়ী ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ইউরোজোনের CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন ৭ জানুয়ারি, মঙ্গলবার প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী মূল মুদ্রাস্ফীতি 2.4%-এ পৌঁছাবে— যা জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। অন্যদিকে, ভোক্তা মূল্য সূচক, যা গত তিন মাস ধরে 2.7%-এ স্থির রয়েছে, অপরিবর্তিত থাকার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির এবং মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল থাকলে, EUR/USD ক্রেতারা একটি কারেকটিভ রিবাউন্ড ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে, যা শর্ট পজিশন ওপেন করার জন্য একটি সম্ভাব্য সুযোগ প্রদান করতে পারে। ইউরোজোন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন আগে জার্মানিতে CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সাধারণত, জার্মানি এবং ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচকের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে, তাই জার্মানির প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর ফলে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারিত হতে পারে।
মার্কিন ডলারের পরিস্থিতি: ননফার্ম পেরোল, তুষার ঝড়, এবং চীন থেকে আসা খবরে কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ এই সপ্তাহে মার্কিন ডলারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হবে শুক্রবারের ননফার্ম পেরোলস (NFP)। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে বেকারত্বের হার 4.2%-এ অপরিবর্তিত থাকতে পারে, যখন ননফার্ম খাতে কর্মসংস্থান 155,000 বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গড় ঘণ্টাভিত্তিক আয়ের হার বৃদ্ধি পেয়ে 4.0%-এ পৌঁছাতে পারে, যা আগের মাসের তুলনায় অপরিবর্তিত থাকবে। তবে, যদি কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সংখ্যা 200,000 ছাড়িয়ে যায়, মজুরি বৃদ্ধির হার 4% বা তার বেশি থাকে, এবং বেকারত্বের হার 4.1% বা তার কমে নেমে আসে, তাহলে ডলার উল্লেখযোগ্য সমর্থন পেতে পারে। শুক্রবার ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশের আগে অন্যান্য মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো সার্বিক পরিস্থিতির ব্যাপারে প্রাথমিক ইঙ্গিত প্রদান করবে। মঙ্গলবার (7 জানুয়ারি) JOLTS রিপোর্টে চাকরির শূন্যপদের সংখ্যা প্রকাশিত হবে, এবং বুধবার (8 জানুয়ারি) ADP থেকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এছাড়াও, ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI, যা ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে, এই পেয়ারের মূল্যের ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সূচকটি 53.2 পয়েন্টে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে, যা গত সপ্তাহের ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত ISM রিপোর্টের ইতিবাচক গতিধারাকে অব্যাহত রাখতে পারে। যদিও ম্যানুফ্যাকচারিং সূচকটি 50-এর নিচে ছিল, এটি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলাফল দেখিয়েছিল। ট্রেডারদের বুধবার, 8 জানুয়ারি প্রকাশিতব্য ফেডের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণীর দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। এই বৈঠকের আপডেটেড ডট প্লটে দেখা গেছে যে FOMC-এর বেশিরভাগ সদস্য 2025 সালে মাত্র দুইবার 25-বেসিস পয়েন্ট করে সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা করছেন, যেখানে সেপ্টেম্বরে 100-বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা করা হয়েছিল। ফেডে মিনিটে সম্ভবত হকিশ বা কঠোর অবস্থান প্রতিফলিত হবে, যা ডলারকে সমর্থন করবে।
আবহাওয়া + HMPV অন্যান্য মৌলিক কারণগুলোও ডলার পেয়ারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আগামী সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৬টি অঙ্গরাজ্যে মারাত্নক তুষারঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে, যা প্রায় ৬০ মিলিয়ন মানুষের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। NOAA-এর আবহাওয়া পূর্বাভাস অধিদপ্তর সতর্ক করেছে যে কানসাস, মিসৌরি, ইলিনয় এবং ইন্ডিয়ানার মতো অঞ্চলে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র তুষারপাত হতে পারে। ঝড়টি ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণ হতে পারে। উল্লেখযোগ্য যে গত অক্টোবরে ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনে হারিকেন মিলটন এবং হেলেন শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। মার্কিন ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকস আবহাওয়ার কারণে কাজ করতে না পারা শ্রমিকদের "বহিরাগত কারণের কারণে অস্থায়ীভাবে বেকার" হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করে। এছাড়াও, চীনে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV) সংক্রমণের বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগজনক খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা ন্যাশনাল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে HMPV কোনো নতুন ধরনের COVID-19 নয় বা কোনো নতুন ভাইরাসও নয়; এটি প্রথম ২০০১ সালে একদল ডাচ গবেষকের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল। এই মৌসুমে চীনে HMPV সংক্রমণের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির খবর গণমাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, বিশেষত যখন হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলো আক্রান্ত রোগীতে ভরে যাচ্ছে। এছাড়াও, তাইওয়ানের মানি ইউডিএন প্রকাশনার একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে HMPV-এর সাথে সংশ্লিষ্ট মৃত্যুর হার প্রায় ৪০%। বর্তমানে, শুধুমাত্র সহায়ক থেরাপি প্রদান করা সম্ভব, কারণ এই ভাইরাসের জন্য কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ উপলব্ধ নেই। আমার মতে, চীনে মেটাপনিউমোভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বা অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। বর্তমানে, এই প্রাদুর্ভাব নতুন মহামারিতে রূপ নেবে বলে এমন কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। তবে, "নতুন বিপর্যয়" নিয়ে সংবাদের শিরোনাম সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, ডলার নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
উপসংহার সপ্তাহের শেষের দিকে, যদি ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি কমে যায় এবং মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল শক্তিশালী হয়, তাহলে EUR/USD পেয়ারের মূল্য প্যারিটির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। ঝুঁকি গ্রহণ না করার প্রবণতা বৃদ্ধিও এই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখতে পারে। সামগ্রিকভাবে, মৌলিক প্রেক্ষাপট আরও দরপতনের সম্ভাবনা নির্দেশ করে। তাই কারেকশনের অংশ হিসেবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত, যার লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0270 (D1-এ বলিঙ্গার ব্যান্ডসের নিম্ন লাইন) এবং 1.0220 (W1-এ বলিঙ্গার ব্যান্ডসের নিম্ন লাইন) লেভেল।
Read more: https://ifxpr.com/423oSOe
|
|
|
৭ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেগুলোর প্রায় সবগুলোই তাৎপর্যপূর্ণ। মূল্য মনোযোগ থাকবে ইউরোজোনের ডিসেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের দিকে। গতকালের জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের মতো, এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি প্রদর্শন করতে পারে। যদি তাই ঘটে, তাহলে ইউরো আরও সমর্থন পেতে পারে, কারণ মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি ইঙ্গিত দেয় যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) মুদ্রানীতির নমনীয়করণের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক পদক্ষেপ নিতে পারে। যদিও ইউরোজোনের বেকারত্ব হার গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি অন্যান্য প্রতিবেদনের তুলনায় গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI এবং JOLTs জব ওপেনিং সংক্রান্ত প্রতিবেদন। উল্লেখযোগ্য যে JOLTs-এর প্রতিবেদন দুই মাস বিলম্বে প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি বর্তমান প্রবণতাগুলোর প্রতিফলন নয় বরং দুই মাস আগের পরিস্থিতি নির্দেশ করে। এর ফলে, ISM সূচক বেশি গুরুত্ব বহন করে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের জন্য কোন উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। বর্তমানে, মার্কেটের ট্রেডারদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মুদ্রানীতির বিষয়ে কোন বক্তৃতা বা মন্তব্যের প্রয়োজন নেই, কারণ তাদের কাছে ইতোমধ্যেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক বৈঠকগুলো অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভবিষ্যৎ নীতিগত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে। তবে, ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি আরও বৃদ্ধি পেলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রতিনিধিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মন্তব্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ট্রেডাররা উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করতে পারেন। ইউরো এবং পাউন্ডের দর বৃদ্ধিকে সমর্থন করার মতো যথেষ্ট সম্ভাব্য প্রভাবক থাকবে। যদিও আমরা স্বল্পমেয়াদে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি না, তবে আজ কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3Pq3zi4
|
|
|
৮ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যদিও সেগুলোর কোনোটিই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানিতে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্র জবলেস ক্লেইমস এবং ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ADP-এর প্রতিবেদন মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও, মার্কেটের ট্রেডাররা শ্রমবাজারের পরিস্থিতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সাধারণত ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করেন। ফলে, ADP থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের প্রভাবে সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে সেটি খুব বেশি হবে না। আজ যুক্তরাজ্য বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের প্রধান ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালারের ভাষণ এবং FOMC-এর সর্বশেষ বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণীর প্রকাশনা। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে ফেডের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এই সময়ে নতুন কোনো মন্তব্যের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রতিবেদনের প্রয়োজন। FOMC-এর মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রধানত আনুষ্ঠানিক নথি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বৈঠকের সময় আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির মতামত সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ডিসেম্বরে FOMC-এর বেশিরভাগ কর্মকর্তা ২০২৫ সালের জন্য তাদের সুদের হার খুব বেশি না কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই, যদি মিনিট বা কার্যবিবরণীর প্রভাবে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তবে এটি মার্কিন ডলারকে শক্তিশালী করার সম্ভাবনাই বেশি।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ড স্টার্লিং উভয়ের আরও দরপতন দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও উভয় মুদ্রার মূল্যই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের প্রচেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ISM ও JOLTs প্রতিবেদন দ্বারা ছাপিয়ে গেছে। ফলস্বরূপ, আজ নতুন করে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/406GV3k
|
|
|
৯ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এগুলোর মধ্যে কোনটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানিতে সকালে শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার পর ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গতকাল ইউরোর দরপতন সম্ভবত জার্মানির খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, যখন সোমবার এই পেয়ারের মূল্যের তীব্র বৃদ্ধি সম্ভবত জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। ফলে, আজকের দুটি প্রতিবেদন ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টকে ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী যেকোনো দিকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, আমরা মনে করি যে ইউরো এবং পাউন্ডের সাম্প্রতিক দরপতন—এবং সোমবারের দর বৃদ্ধি—বেশিরভাগই টেকনিক্যাল কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ দ্বারা নয়। আজ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে সম্পূর্ণরূপে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার, ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি—থমাস বারকিন, প্যাট্রিক হার্কার, এবং মিশেল বোম্যান—বক্তব্য দেবেন বলে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, এই সময়ে তারা কোন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, এবং ফেডের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রতিবেদনের প্রয়োজন। শুক্রবার ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর, যদি এই প্রতিবেদনগুলো উল্লেখযোগ্য বা অপ্রত্যাশিত ফলাফল প্রদান করে, তবে আমরা ফেডের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নতুন মন্তব্যের আশা করতে পারি।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ের আগের দিন, ট্রেডারদের ইউরো এবং পাউন্ডের আরও দরপতন প্রত্যাশা করা উচিত। সাম্প্রতিক সময়ে, উভয় মুদ্রার মূল্যই বৃদ্ধি পাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু এই প্রচেষ্টা ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ISM এবং JOLTS প্রতিবেদন দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে, আজকের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না থাকায়, দিনের বেলা হালকা ফ্ল্যাট প্রবণতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
Read more: https://ifxpr.com/4a7OoDV
|
|
|
মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রাস্ফীতি, এবং আরও মুদ্রাস্ফীতি
এই সপ্তাহটি EUR/USD ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এই প্রতিবেদনগুলো শুধুমাত্র ফেডারেল রিজার্ভের জানুয়ারির বৈঠকের ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলবে না—যা অনেকাংশে প্রত্যাশিত—বরং মার্চের বৈঠকেও প্রভাব ফেলবে। গত শুক্রবার প্রকাশিত নন-ফার্ম পে-রোলের প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্চ মাসে ফেড "অপেক্ষা-এবং-পর্যবেক্ষণের" অবস্থান গ্রহণ করতে পারে। তবে, মার্কেটে এখনও কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। CME FedWatch টুল অনুযায়ী, জানুয়ারিতে সুদের হার হ্রাসে বিরতির সম্ভাবনা 95%, তবে মার্চে এটি মাত্র 58%। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনগুলো যদি পূর্বাভাস অনুযায়ী আসে বা "ঊর্ধ্বমুখী" থাকে, তবে বর্তমান অবস্থান বজায় রাখার দিকেই ফেডের সিদ্ধান্ত ঝুঁকতে পারে।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি: উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রোডিউসার প্রাইস ইনডেক্স (PPI) বা উৎপাদক মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে যা সম্প্রতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী এই সূচকের ফলাফল ডলারের ক্রেতাদের পক্ষে কাজ করবে। ডিসেম্বরের প্রধান PPI বার্ষিক ভিত্তিতে 3.1%-এ পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা 2023 সালের মার্চের পর থেকে সর্বোচ্চ স্তর। মাসিক ভিত্তিতে, এই সূচক 0.5% বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা অক্টোবর এবং নভেম্বরের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতা নির্দেশ করে। মূল PPI, যা গত দুই মাস ধরে বার্ষিক ভিত্তিতে 3.4%-এ স্থিতিশীল রয়েছে, ডিসেম্বরেও একই স্তরে থাকতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি: ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) বুধবার এ সপ্তাহের প্রধান সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন, মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রধান মুদ্রাস্ফীতি মাসিক ভিত্তিতে 0.4% বৃদ্ধি পেতে পারে, যা 2024-এর মার্চের পর থেকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি, এবং বার্ষিক ভিত্তিতে 2.9%-এ পৌঁছাতে পারে, যা 2024-এর জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক টানা দুই মাস (অক্টোবর এবং নভেম্বর) ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে এবং ডিসেম্বরেও এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। মূল ভোক্তা মূল্য সূচক, যা গত তিন মাস ধরে 3.3%-এ স্থিতিশীল রয়েছে, তা বৃদ্ধি পেয়ে 3.4%-এ পৌঁছাতে পারে বা একই অবস্থানে থাকতে পারে বলে বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন। মুদ্রাস্ফীতির প্রাথমিক পূর্বাভাস ফেডারেল রিজার্ভের জন্য হতাশাজনক। যদি CPI এবং PPI পূর্বাভাস অনুযায়ী আসে—বা "ঊর্ধ্বমুখী" থাকে—তাহলে ডলার উল্লেখযোগ্য সমর্থন পাবে। এই পরিস্থিতিতে, 2025 সালে প্রথমবারের মতো সুদের হার কমানোর প্রত্যাশিত তারিখ অন্তত মে পর্যন্ত পেছাতে পারে। তবে, আসন্ন সপ্তাহের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে শুধুমাত্র এই দুটি প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত নয়। এই প্রতিবেদনগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলো EUR/USD সহ সব ডলার পেয়ারগুলোর ট্রেডিংকে প্রভাবিত করবে। আমরা ট্রেডারদের জন্য অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কারেন্সি পেয়ারগুলোর বিষয়েও আলোচনা করব।
Read more: https://ifxpr.com/4j67AWN
|
|
|
১৪ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে সীমিত সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হবে, তবে এটি ট্রেডারদের জন্য খুব বেশি গুরুত্ব বহন করবে না বলে মনে হচ্ছে। এর মূল কারণ হলো, বুধবার ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা স্বল্পমেয়াদে ডলারের মূল্যের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি হলো মার্কিন ডলারের প্রধান চালিকা শক্তি, এবং মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ফেডের নীতিগত সিদ্ধান্তগুলোর উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজকের তালিকাভুক্ত উল্লেখযোগ্য ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সারাহ ব্রিডেন, এবং ফেডের প্রতিনিধি রজার শমিড ও জন উইলিয়ামসের বক্তৃতা রয়েছে। তবে, এই বক্তৃতাগুলোর কোনোটিই বর্তমানে ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে না। সোমবার, ইসিবির বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তবে সেগুলো থেকে কোনো নতুন দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি। কিছু সদস্য চলমান আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন, অন্যদিকে কিছু সদস্য সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তা সত্ত্বেও, উল্লেখযোগ্য কোনো কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। ফেডের প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে, বুধবারের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর উল্লেখযোগ্য মন্তব্য়ের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যেখানে ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানা যাবে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ের, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট শান্ত এবং পরিমিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, সোমবারের ট্রেডিং কার্যক্রমে দেখা গিয়েছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রতিবেদনের প্রকাশনা ছাড়াই ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যেতে পারে। যেহেতু আজ বড় কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/4jha4Sg
|
|
|
১৫ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলোর প্রায় সবগুলোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্যে ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এখনও মুদ্রানীতি উল্লেখযোগ্যভাবে নমনীয় করেনি, এই প্রতিবেদনের ফলাফল তাদের অবস্থানের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে, মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রেও মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি দেশটির কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ডিসেম্বর মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটি 2025 সালে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয় করার সম্ভাবনাকে হ্রাস করবে, যা মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। এছাড়াও, জার্মানিতে বার্ষিক জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা হচ্ছে যে দেশটির জিডিপি 0.2% হ্রাস পাবে, এবং এই ধরনের ফলাফল ইউরোকে সমর্থন প্রদান করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে, শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সাধারণত প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফল প্রদর্শন করতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজকের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোর মধ্যে, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রতিনিধি ফিলিপ লেন এবং লুইস দে গুইন্ডোসের বক্তব্য বেশ উল্লেখযোগ্য। যদিও তাদের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, এতে ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অবস্থানের পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তা অস্টান গুলসবি, নিল কাশকারি, এবং থমাস বার্কিন বক্তব্য দেবেন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি মুদ্রানীতি সম্পর্কে নতুন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে, যার ফলে মার্কিন ডলার ট্রেডিংয়ের জন্য নতুন কৌশল উদ্ভাবনের কারণ হতে পারে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেতে পারে। এই মুভমেন্টগুলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং জার্মানির জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল উপর নির্ভর করবে। বর্তমানে, মনে হচ্ছে যে ইউরো এবং পাউন্ড উভয়েরই দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, উল্লিখিত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কিন ডলারের মূল্যও হ্রাস ঘটাতে পারে। পুরো দিনজুড়ে, উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের দিক বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4fXPd3p
|
|
|
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে
মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে প্রকাশিত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল অনেক প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদিও প্রধান কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচকের (CPI) ফলাফল প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল এবং সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে, মূল মুদ্রাস্ফীতি "নিম্নমুখী" ছিল, যা এই গুরুত্বপূর্ণ সূচকে পতনের ইঙ্গিত দেয়। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায়, EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.03 লেভেলের আশেপাশে স্থির ছিল এবং এমনকি 1.0350 রেজিস্ট্যান্স লেভেলও টেস্ট করেছিল, যা দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ড ইন্ডিকেটরের মিডিয়ান লাইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কিন্তু সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন কি সত্যিই ডলারের জন্য ক্ষতিকর? এবং বর্তমান মৌলিক পরিস্থিতিতে লং পজিশন কি সত্যিই নির্ভরযোগ্য? এগুলো বিবেচনা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। ল্যাটিন ভাষায় একটি উক্তি আছে, "In dubio pro reo," যার অর্থ "সন্দেহ থাকলে, আসামির পক্ষে থাকুন।" পুনর্বিবেচনা করলে এটি বোঝায় যে ট্রেডাররা বর্তমানে তাদের সংশয়পূর্ণ বিষয়গুলো এমনভাবে ব্যাখ্যা করছেন যা ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা জাগায়। উদাহরণস্বরূপ, মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন টানা তৃতীয় মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে, যা বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 3.3%-এ পৌঁছেছে, যদিও এটি 3.5%-এর পূর্বাভাস থেকে সামান্য নিচে ছিল। এটি 2023 সালের মার্চ মাস থেকে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির হার নির্দেশ করে। তবে মূল্য উৎপাদক মূল্য সূচক পূর্বাভাস অনুযায়ী 3.5% এ স্থিতিশীল ছিল। মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও, এই প্রতিবেদনের সামগ্রিক নেতিবাচক ফলাফলের প্রভাবে মার্কেটের ট্রেডাররা এটিকে ডলারের জন্য নেতিবাচক হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। একই রকম পরিস্থিতি বুধবার দেখা গিয়েছিল যখন প্রধান মুদ্রাস্ফীতি মাসিক ভিত্তিতে 0.4% বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা 2024 সালের মার্চ থেকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি এবং ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মাস বৃদ্ধি প্রদর্শন করে। বার্ষিক ভিত্তিতে, দেশটির প্রধান মুদ্রাস্ফীতি 2.9% এ পৌঁছেছে, যা 2023 সালের জুলাইয়ের পর সবচেয়ে শক্তিশালী বৃদ্ধি। সূচকটি এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বছরের শুরুর ছয় মাসের ক্রমাগত পতনের পর ইতিবাচক প্রবণতা নির্দেশ করে। মূল মুদ্রাস্ফীতি, যা খাদ্য এবং জ্বালানি মূল্যের প্রভাব বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়, "নিম্নমুখী" হয়েছে—এটি প্রধান মুদ্রাস্ফীতি থেকে আলাদা, যা পূর্বাভাস অনুযায়ী ফলাফল প্রদর্শন করছে। মাসিক ভিত্তিতে, মূল মুদ্রাস্ফীতি সূচক 0.2%-এ নেমে এসেছে, যা টানা চার মাস 0.3% ছিল। বার্ষিক ভিত্তিতে, এই সূচকটিও 3.2%-এ নেমে এসেছে। যদিও এটি মনে হতে পারে যে উভয় উপাদানই পতন দেখাচ্ছে, এটি উল্লেখযোগ্য যে মূল মুদ্রাস্ফীতি এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পতন দেখিয়েছিল এবং গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে 3.2%-এ পৌঁছেছিল। আগস্টে সূচকটি একই স্তরে স্থির ছিল। তবে, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মূল মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বেড়ে 3.3%-এ পৌঁছেছিল এবং ডিসেম্বর মাসে এটি আবার 3.2%-এ ফিরে আসে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে প্রকৃতপক্ষে এই সূচক নিম্নমুখী হচ্ছে না; বরং মূল মুদ্রাস্ফীতি অপেক্ষাকৃত উচ্চ স্তরে স্থবির রয়েছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের জন্য উদ্বেগজনক। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে যে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানির দাম বেড়েছে, যা 0.5% বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে পূর্বে এটি 3.2% কমেছিল। প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রায় পাঁচ শতাংশ (4.9%) বেড়েছে, যা নভেম্বরে 1.8% বৃদ্ধি পেয়েছিল। এছাড়াও, খাদ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে 2.5% বৃদ্ধি পেয়েছে (নভেম্বরে 2.4%-এর তুলনায়)। পরিবহন পরিষেবার খরচ 7.3% বেড়েছে, যেখানে আগের প্রতিবেদনে 7.1% বৃদ্ধি পেয়েছিল। অন্যদিকে, নতুন এবং ব্যবহৃত গাড়ির দাম সামান্য কমেছে, যা যথাক্রমে 0.4% এবং 3.3%-এ নেমে এসেছে। প্রতিবেদনে এই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও কিছু বিশ্লেষক বলছেন যে প্রত্যাশার তুলনায় এটি তেমন তীব্র নয়। একই সময়ে, মূল মুদ্রাস্ফীতি স্থবির হয়ে রয়েছে, এবং এই মুহূর্তে কোনো নিম্নমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত নেই। CPI এবং PPI প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ট্রেডাররা অত্যধিক আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছে। অনেক ট্রেডাররা মনে করছেন যে মুদ্রাস্ফীতির সামান্য চাপ ফেডারেল রিজার্ভকে এই বছর আরও আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করার সুযোগ দেবে। তবে, ডিসেম্বর মাসের হালনাগাদকৃত ডট প্লটের পূর্বাভাস অনুযায়ী, 2025 সালে ফেড 25 বেসিস পয়েন্ট করে দুইবার সুদের হার হ্রাস করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, আমার মতে এই সিদ্ধান্তগুলো সময়পযোগী নয় এবং ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এখনও শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে, এবং মুদ্রাস্ফীতির সূচকগুলো হয় বাড়ছে বা স্থিতিশীলতা দেখাচ্ছে, টেকসইভাবে হ্রাস পাচ্ছে না। ট্রেডারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফেডের পদক্ষেপগুলো প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। CME FedWatch অনুযায়ী জানুয়ারি বৈঠকে কোনো সুদের হারে পরিবর্তন না হওয়ার সম্ভাবনা 97%, এবং মার্চের জন্য এটি 72%। বর্তমানে মে মাসে 25 পয়েন্টের সুদের হার হ্রাস হওয়ার সম্ভাবনা 50/50, যা আগে 60% ছিল। তবে, মে মাসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে এখনও পাঁচ মাস বাকি রয়েছে, তাই এত আগাম সম্ভাবনার উপর আলোচনা করার সময় এখনও আসেনি। সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাবে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়নি, তবে এটির উল্লেখযোগ্য দরপতনও ঘটেনি, কারণ এই প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি প্রদর্শন করে। EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের বর্তমান মূল্য বৃদ্ধিকে শর্ট পজিশনে এন্ট্রির সুযোগ হিসাবে দেখা উচিত, বিশেষ করে যদি ক্রেতারা মূল্যকে দিয়ে 1.0350-এর মধ্যবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করাতে ব্যর্থ হয়, যা দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডের মিডিয়ান লাইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0300 এর লেভেল, যা দৈনিক চার্টে টেনকান-সেন লাইনের প্রতিনিধিত্ব করে, এবং প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0230 এর লেভেল, যা একই টাইমফ্রেমে বলিঙ্গার ব্যান্ডের লোয়ার লাইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
more: https://ifxpr.com/3PAayFr
|
|
|
১৭ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলোর কোনোটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বর্তমানে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই তুলনামূলকভাবে উচ্চ মাত্রার ভোলাটিলিটি প্রদর্শন করছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এখন মার্কেটে মুভমেন্টের মূল প্রভাবক নয়। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর কোনটাই মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। আজ যুক্তরাজ্যে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডিসেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান এবং যুক্তরাষ্ট্র শিল্প উৎপাদন, নির্মাণ অনুমোদন এবং নতুন আবাসন বিক্রয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর কোনোটির ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বিচ্যুত হয়, তবে আমরা মার্কেটে তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখতে পারি। তবে, আজকের প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বাজার পরিস্থিতির বড় কোনো পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে হয় না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো জোয়াকিম নাগেলের (বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট) ভাষণ। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোজোনে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট ছিল না বা কোন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি, এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট: তারা কোনো বিরতি বা ব্যাঘাত ছাড়াই আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের অব্যাহত রাখবে। সুতরাং, নাগেলের কাছ থেকে এমন কোনো তথ্য পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে না যা আজ মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে আমরা মার্কেটে মাঝারি মাত্রার মুভমেন্টের আশা করতে পারি, কারণ আজ কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। সবচেয়ে লক্ষণীয় প্রতিবেদন হবে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত তথ্য এবং যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন। এই সপ্তাহের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের আলোকে, সম্ভাবনা রয়েছে যে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে। তবে, আজকের ট্রেডিং সিদ্ধান্তগুলো মূলত প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করবে।
Read more: https://ifxpr.com/42kaj8S
|
|
|
২০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার GBP/USD পেয়ার একটি স্থানীয় হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং চালিয়ে গেছে। তবে, গত সপ্তাহের মার্কেট মুভমেন্টকে ফ্ল্যাট বলা যাবে না। মূল্য 1.2107 এর লেভেল টেস্ট করেছে, সেখান থেকে রিবাউন্ড করে ন্যূনতম কারেকশন করেছে এবং তারপর ধীরে ধীরে মূল্য নিম্নমুখী হয়ে দরপতন অব্যাহত রেখেছে। একটি প্রকৃত ফ্ল্যাট মার্কেট প্রতিষ্ঠার জন্য তৃতীয় রেফারেন্স পয়েন্ট প্রয়োজন। যদি পরপর দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় মূল্য 1.2107 লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে ব্যর্থ হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্য দীর্ঘ সময়ের জন্য এই হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকতে পারে। গত সপ্তাহে, পুনরায় ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন শুরু হওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ ছিল। দুটি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে), জিডিপি প্রতিবেদন, খুচরা বিক্রয়, এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল সবই যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির দুর্বলতা বা ফেডারেল রিজার্ভের হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা নির্দেশ করেছে। ফলে, পাউন্ডের মূল্য কেবলমাত্র সামান্য কারেকশন করতে পেরেছে এবং এখন আরও দরপতনের জন্য প্রস্তুত। আমরা এই মুহূর্তে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ দেখছি না।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের মতো এই পেয়ারেরও দুটি বাই সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল। মূল্য 1.2164-1.2170 রেঞ্জ থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে এবং প্রতিবারই মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলস্বরূপ, নতুন ট্রেডাররা দুটি লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ পেয়েছে, প্রতিটি ট্রেড থেকে সামান্য লাভ হতে পারে। শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারকে সমর্থন যুগিয়েছে, তবে এটি আশ্চর্যজনক যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2164-1.2170 এর জোন ব্রেক করেনি।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা সম্পূর্ণভাবে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের আশা করছি, কারণ আমাদের মতে এটি সবচেয়ে যৌক্তিক দৃশ্যপট। সুতরাং, আমরা আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি; তবে, ট্রেডারদের সর্বদা টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করা উচিত। এই সপ্তাহে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে সম্ভবত পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকবে, এবং এক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সোমবার, শান্তভাবে এই পেয়ারের ট্রেড করা হতে পারে তবে মূল্য 1.2164-1.2170 এর রেঞ্জ ব্রেক করতে পারে, যা নতুন করে নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু করবে। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2316, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে, সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যাবে না। তবে, যদি মূল্য 1.2164-1.2170 এরিয়া ব্রেক করে যায়, তবে পাউন্ডের মূল্যের তীক্ষ্ণ নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
Read more: https://ifxpr.com/4awxuz2
|
|
|
এক বছরে ১৯% প্রবৃদ্ধি: কীভাবে ট্রাম্প বৈশ্বিক বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম বদলে দিচ্ছেন
বিনিয়োগকারীদের জন্য ডেজাভু দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের প্রভাবে অর্থবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়েছে। একদিকে, শেয়ারহোল্ডাররা তার ব্যবসাবান্ধব এজেন্ডা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিল। অন্যদিকে, তিনি পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন এমন মন্তব্য করার পর মুদ্রা বাজার অপেক্ষারত অবস্থায় স্থবির হয়ে পড়ে।
শুল্ক আরোপের হুমকির শংকায় ডলারের দর বৃদ্ধি শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা ডলারের মূল্যের তীব্র ওঠানামার কারণ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, নতুন শুল্কনীতি অবিলম্বে কার্যকর হবে না এমন প্রত্যাশায় ডলারের মূল্য কমে যায়। তবে, ট্রাম্প পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানির ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর ডলারের মূল্য দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কানাডিয়ান ডলারের বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ ১.৪৫২-এ পৌঁছানোর পর ১.৪৪-এ নেমে আসে। তবে, মেক্সিকান পেসোর বিপরীতে, এটি নভেম্বরের শীর্ষ স্তরের নিচে রয়ে গেছে।
অস্থিরতাই নতুন স্বাভাবিকতা বাজারে বর্তমান ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অস্থির সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন যে স্টক মার্কেটের ট্রেডাররা এখন আরও সংযত এবং আতঙ্কিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড বেড়েছে, তবে স্টক ফিউচারগুলো সংক্ষিপ্ত বৃদ্ধির পর প্রারম্ভিক অবস্থানে ফিরে এসেছে। ফলে, নাসডাক ফিউচার ০.০৮% কমেছে, যখন S&P 500 ফিউচার মাত্র ০.০৭% বেড়েছে।
ইউরোপীয় বাজারে দরপতন ইউরোপীয় বাজারগুলোও দরপতনের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। EUROSTOXX 50 ফিউচার ০.২৫% কমেছে, এবং FTSE সূচক ০.০২% কমেছে। অঞ্চলটির মুদ্রাগুলোও চাপের মুখে পড়েছে, ইউরো এবং পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর প্রায় ০.৩% হ্রাস পেয়েছে।
জাপানি ইয়েন: স্থিতিশীলতার অনন্য উদাহরণ মার্কেটের অস্থিরতার মাঝেও, জাপানি ইয়েন শক্তিশালী হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা ব্যাংক অফ জাপানের মুদ্রানীতি কঠোর হওয়ার উপর বাজি ধরেছেন, যদিও জাপানি অটো শিল্পের ওপর মার্কিন শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের প্রভাবে পূর্ব পরিচিত গতিশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে: অস্থিরতা এবং নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি মনোযোগ রয়েছে। তবে, ট্রেডাররা নতুন পরিস্থিতির মানিয়ে নিতে প্রস্তুত, যদিও জোরালো মন্তব্যের প্রতি তারা সংযতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
নিক্কেই: সতর্ক প্রবৃদ্ধি জাপানের নিক্কেই সূচক (.N225) অনিশ্চয়তার মধ্যে দরপতন এবং মৃদু প্রবৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেছে। দিনের শেষে সূচকটি ০.১৩% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মুখে বিনিয়োগকারীদের সাধারণ সতর্কতাকে প্রতিফলিত করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি: মিমকয়েনের উত্থান এবং বিটকয়েনের রেকর্ড রাজনৈতিক সংবাদগুলোর মধ্যে ক্রিপ্টো মার্কেটে অপ্রত্যাশিতভাবে নতুন কয়েনের আবির্ভাব হয়েছে—মার্কেটে ট্রাম্পের ছবি সম্বলিত একটি মিম কয়েন ছাড়া হয়েছে। এটির বাজার মূলধন $১০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে, যা পুরো ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করে $১০৯,০০০-এ পৌঁছায়, যদিও পরে এটি $১০২,০০০-এর নিচে নেমে আসে। এই বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের ডিজিটাল সম্পদের মূল্যের ওঠানামার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকার প্রতি বাড়তি আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।
চীন এবং হংকং: ঝড়ের আগের থমথমে পরিস্থিতি? হংকংয়ের শেয়ার বাজার স্থিতিশীল ছিল, এবং ইউয়ানের মূল্য রাতারাতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর অবিলম্বে শুল্ক আরোপ না করায় চীনের বাজার কিছু সময়ের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন যে ট্রাম্পের চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার কৌশল তার প্রথম মেয়াদের অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি বলে মনে হচ্ছে।
কানাডা, মেক্সিকো এবং চীন নিয়ে বিশ্লেষকরা যা বলছেন নোমুরার ম্যাক্রো স্ট্র্যাটেজিস্ট নাকা মাতসুজাওয়া বলেন, ট্রাম্প সম্ভবত কানাডা এবং মেক্সিকোকে সরাসরি প্রতিযোগী হিসেবে দেখছেন না, বরং চীনের রপ্তানির মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করছেন। তিনি বলেন, "কানাডা এবং মেক্সিকোর ওপর শুল্ক কেবল একটি বাণিজ্য কৌশলের অংশ হতে পারে।"
নতুন এজেন্ডার চ্যালেঞ্জগুলো ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদ বাণিজ্য সংস্কার, কর ছাড়, অভিবাসন এবং ডিরেগুলেশন সংক্রান্ত উচ্চাভিলাষী এজেন্ডা দিয়ে শুরু করেছেন। এই উদ্যোগগুলো কর্পোরেট মুনাফা বাড়াতে পারে, তবে মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ সুদের হারের ঝুঁকি রয়েই গেছে।
জ্বালানি খাতের দিকে দৃষ্টি তার শপথ গ্রহণ বক্তৃতায়, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের তেল, গ্যাস এবং জ্বালানি শিল্পকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, এগুলোকে তিনি "অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি শুল্ক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন, যা রক্ষণশীল নীতিমালা প্রণয়নের জল্পনা-কল্পনা বাড়িয়েছে।
কঠোরতা ও নমনীয়তার ভারসাম্য বক্তৃতায় কঠোর অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা সত্ত্বেও, বিনিয়োগকারীরা নতুন প্রশাসনের অর্থনৈতিক বিষয়ে আরও পরিমিত দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করেছেন, যা প্রথম মেয়াদের তুলনায় ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ বিশ্ববাজারের জন্য আরও পূর্বানুমানযোগ্য হতে পারে বলে আশা বাড়িয়েছে।
ব্যাংকিং খাতের উত্থান ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নিয়ম-কানুন সহজ করার প্রতিশ্রুতি অর্থবাজারে উত্সাহ সৃষ্টি করেছে, বিশেষত ব্যাংকিং খাতে। প্রধান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে গেছে, যা ওয়াল স্ট্রিট সিইওদের মন্তব্যে সাহায্য পেয়েছে। তাদের আয়ের প্রতিবেদনে, তারা ব্যবসার জন্য নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে নতুন প্রশাসনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প এবং ক্রিপ্টো মার্কেট: উচ্চ প্রত্যাশা দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল অ্যাসেটের সমর্থক হিসেবে বিবেচিত ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ নিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি খাত সংশ্লিষ্টরা বেশ আশাবাদী। ঘোষিত উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে বিটকয়েনের জন্য একটি ফেডারেল রিজার্ভ তৈরি, ক্রিপ্টো কোম্পানিগুলোর জন্য ব্যাংকিং সহজলভ্য করা, এবং একটি বিশেষ ক্রিপ্টোকারেন্সি কাউন্সিল গঠন। এই পদক্ষেপগুলো ক্রিপ্টো খাতকে বৈধতার নতুন স্তরের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে, ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সির সূচনা, যা একদিনেই $৮ বিলিয়ন বাজার মূলধন অর্জন করেছে, মার্কেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলছেন: মার্কেটের ওপর এর প্রভাবের প্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ কতটা নৈতিক?
বিটকয়েন: রেকর্ড এবং কারেকশন ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ বক্তৃতার পর, বিটকয়েনের মূল্যের অত্যন্ত অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এটির মূল্য রাতারাতি $১০৯,০৭১ এর সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছানোর পর, কারেকশন হয়ে মূল্য $১০২,০০০-এ নেমে আসে। মার্কেটের এই ধরনের মুভমেন্ট ব্যাখ্যা করে যে বিনিয়োগকারীরা আরও সুনির্দিষ্টভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত নীতিমালার প্রত্যাশা করেছিলেন, যা তারা পাননি।
S&P 500 সূচকের অস্থিরতা: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে কি? ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে বাজারগুলো তীব্র ধাক্কা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদের প্রথম বছরে, S&P 500 সূচক ১৯.৪% বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং পুরো মেয়াদে প্রায় ৬৮% বৃদ্ধি পায়। তবে, এই বৃদ্ধি তীব্র অস্থিরতার সাথে হয়েছে, যা বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিও গতিশীল হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। ২০১৭ সালে শপথ গ্রহণের পর, S&P 500 সূচক দৈনিক ভিত্তিতে ০.৩% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছিল, এবং মার্কেটের অনেক ট্রেডাররা এইবার পরিস্থিতি কেমন মোড় নেয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। যেহেতু সোমবার ছুটির দিন ছিল, তাই মঙ্গলবার পর্যন্ত ট্রেডারদের স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে না।
একটি নতুন অধ্যায় নাকি একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি? ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ বড় প্রতিশ্রুতি এবং বিনিয়োগকারীদের উচ্চ প্রত্যাশার মাধ্যমে শুরু হয়েছে। নিয়মকানুন সহজতর করা, ব্যবসা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতকে সমর্থন করা, এবং ডিরেগুলেশন ও কর হ্রাসের মাধ্যমে অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করার আকাঙ্ক্ষা প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে, চলমান অস্থিরতা এবং বাণিজ্য বিরোধের ঝুঁকি অর্থবাজারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।
বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন: "কীভাবে?" ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো সতর্কতা প্রদর্শন করছে। বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগ হলো "কীভাবে" নতুন পরিস্থিতি মোড় নেবে: প্রশাসন কীভাবে ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার কমাবে? গুড লাইফ ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজার্স অফ নোভা-এর প্রেসিডেন্ট, জোশ স্ট্রেঞ্জ বলেন, "এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা বোঝা।"
ট্রেজারি বন্ড: ইয়েল্ডের পতন মার্কিন ট্রেজারি বন্ড মিশ্র মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। ১০ বছর মেয়াদী বন্ডের ইয়িল্ড ৬.৭ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.৫৪৪০%-এ নেমে এসেছে, এবং ২ বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ৪.৭ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.২২৫৫%-এ পৌঁছেছে। এই পতন অনিশ্চয়তার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।
ডলার এবং অন্যান্য মুদ্রা: সতর্ক পুনরুদ্ধার মুদ্রা বাজারে, ডলার সকালের দরপতন পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং দুই সপ্তাহের নিম্ন স্তর থেকে সরে এসেছে। ইউরোর দর ০.৩% কমে $১.০৩৮৫-এ নেমেছে, যখন পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর ০.৩২% হ্রাস পেয়ে $১.২২৯০-এ পৌঁছেছে।
চীন: বাণিজ্য হুমকি এবং সতর্কতা চীনের বিনিয়োগকারীরা সতর্কভাবে ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়টি মূল্যায়ন করছেন। চীনা আমদানির ওপর শুল্ক ৬০% পর্যন্ত বাড়ানোর হুমকি থাকা সত্ত্বেও, অবিলম্বে কোনো পদক্ষেপের অভাবে মার্কেট আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে।
ব্লু-চিপ CSI300 সূচক ০.১৩% হ্রাস পেয়েছে, এবং শাংহাই কম্পোজিট সূচক ০.৩৫% হ্রাস পেয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলো মার্কেটের ট্রেডারদের সতর্ক অবস্থান প্রতিফলিত করে, যারা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিতে চান না।
হংকং: এশীয় মার্কেটের উজ্জ্বল দিক আঞ্চলিক বাজারের সাধারণ অস্থিরতার মধ্যে, হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ০.৪২% বৃদ্ধি পেয়েছে। সূচকটির প্রবৃদ্ধি বৃহত্তর MSCI এশিয়া-প্যাসিফিক এক্স-জাপান সূচকের জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, যা ০.৩৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।
অস্থিরতা এখনও প্রধান আলোচ্য বিষয় কিছু পুনরুদ্ধার সত্ত্বেও, বিশ্ববাজার স্থবির অবস্থায় রয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতিমালার বাস্তব প্রভাব মূল্যায়ন করতে আরও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রত্যাশা বেশ ব্যাপক, তবে অনিশ্চয়তা এখনও সতর্কতা থাকার নির্দেশ করছে।
তেলের বাজার চাপের মুখে রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে তেল এবং গ্যাস উৎপাদন সর্বাধিক করার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে তিনি জ্বালানি খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন। ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস-এর দর কমে $৮০.১৮ প্রতি ব্যারেলে পৌঁছেছে, যা এক সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন স্তরের কাছাকাছি। আমেরিকান WTI ক্রুড-এর মূল্যও ১.৪৬% কমে $৭৬.৭৪ প্রতি ব্যারেলে পৌঁছেছে। সরবরাহ বেশি হওয়ার শংকায় এই দরপতন ঘটেছে, যা বিনিয়োগকারীদের তাদের পূর্বাভাস পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে।
মার্কিন জ্বালানি নীতি ট্রাম্পের তেল এবং গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তার অর্থনৈতিক নীতির অগ্রাধিকারগুলোকে তুলে ধরে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ জ্বালানি নির্ভরতা আহ্বান তার আলোচনার দীর্ঘদিনের অংশ, তবে বর্তমান পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি সরবরাহ চাহিদাকে ছাড়িয়ে যায়।
আবারো স্বর্ণের দিকে ট্রেডারদের দৃষ্টি তেলের দাম হ্রাস এবং অর্থবাজারের সাধারণ অনিশ্চয়তার মধ্যে, স্বর্ণ আবারো আলোচনায় এসেছে। মূল্যবান ধাতুটির স্পট মূল্য ০.৫% বৃদ্ধি পেয়ে $২,৭২২.০১ প্রতি আউন্সে পৌঁছেছে, যা অস্থিরতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে মার্কেটের ট্রেডারদের নিরাপদ বিনিয়োগের অনুসন্ধানের প্রবণতা প্রতিফলিত করে। ট্রাম্পের জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জ্বালানি নীতির পরিবর্তনের প্রতি তাদের সংবেদনশীলতাকে তুলে ধরে। যদি মার্কিন তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সঙ্গতি না থাকে, তবে তেলের দাম চাপের মুখে থাকতে পারে। একইসঙ্গে, স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি এই ইঙ্গিত দেয় যে বিনিয়োগকারীরা আরও সতর্ক হচ্ছেন এবং প্রশাসনের কাছ থেকে আরও স্পষ্ট সংকেতের অপেক্ষা করছেন। পণ্য বাজারের পরিস্থিতি এখনও অস্থির, এবং ট্রাম্পের নতুন উদ্যোগগুলোর প্রভাব সর্বদাই বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করে।
Read more: https://ifxpr.com/4jrdiCq
|
|
|
ট্রাম্পের কারণে মার্কিন স্টক সূচকসমূহ প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করতে পারছে না
4-ঘণ্টার চার্টে #SPX-এর ওয়েভ বিশ্লেষণ কিছুটা অস্পষ্ট, এবং আমি এটি 24-ঘণ্টার চার্টের ওয়েভ বিশ্লেষণের সঙ্গে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছি (নিচের ছবিটি দেখুন)। 24-ঘণ্টার চার্টে প্রথমে লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্যটি হলো বৈশ্বিক পর্যায়ে পাঁচ-ওয়েভের গঠন, যা এতটাই বিস্তৃত যে এটি সর্বনিম্ন স্কেলেও টার্মিনাল উইন্ডোর মধ্যে ফিট হয় না। সহজভাবে বলতে গেলে, মার্কিন স্টক সূচক দীর্ঘ সময় ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা জানি যে প্রবণতা পরিবর্তন হয়। বর্তমানে, আমরা এখনও ওয়েভ 5-এর মধ্যে ওয়েভ 5 নির্মাণের পর্যায়ে আছি। সম্প্রতি, এই ইনস্ট্রুমেন্ট 6093 এর লেভেল ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ফিবোনাচি স্কেলে 200.0% এর সমতুল্য, তবে এটি অর্জিত উচ্চ লেভেল থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো দরপতন ঘটায়নি। 4-ঘণ্টার চার্টে (উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে), আমরা একটি সম্পন্ন পাঁচ-ওয়েভের গঠন এবং এর পর একটি জটিল কারেকটিভ প্যাটার্ন দেখতে পারি। এটি উল্লেখযোগ্য যে ওয়েভ গঠনগুলি স্পষ্ট এবং সহজবোধ্য হওয়া উচিত যাতে অনিশ্চয়তা এড়ানো যায়। যত বেশি জটিল ওয়েভ গঠিত হয়, ততই লাভজনকভাবে ট্রেড করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। যদি সাম্প্রতিক দরপতনকে "বুলিশ ফ্ল্যাগ" হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়, তবে S&P 500 সূচকের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, এবং নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 6124 এবং 6221-এর লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। স্টক মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পকে নিয়ে শঙ্কিত হলেও তাকে উপেক্ষা করছে মঙ্গলবার S&P 500 সূচক 41 পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আমি এটিকে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি বলব না, সূচকটি গত দুই বছর ধরে ঠিক এইভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে—ধীরে ধীরে এবং প্রায় প্রতিদিনই একই পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই প্রবণতার ভিত্তিতে, আমি বিশ্বাস করি যে ট্রাম্পের পদক্ষেপ আমেরিকান কোম্পানিগুলোর ওপর প্রভাব ফেলেননি বা তাদের সমর্থন করবেন না। অন্য কথায়, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু করেছিল, এবং এর পরিস্থিতি প্রধানত ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতির উপর নির্ভরশীল। নিশ্চিতভাবেই, ট্রাম্পের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের মার্কিন কোম্পানিতে বিনিয়োগের ইচ্ছাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, এখন পর্যন্ত, তিনি কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেননি; বরং তার মনোযোগ অভিবাসন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ন্যাটো, এবং বৈশ্বিক সংঘাত শেষ করার মতো বিষয়ে কেন্দ্রীভূত রয়েছে। 78 বছর বয়সী ট্রাম্প মনে করেন, তিনি এমন একটি প্রজন্ম রেখে যেতে চান যারা তাকে পরিবর্তনকারী নেতা হিসেবে মনে রাখবে। এর ফলে, বর্তমানে মার্কিন বিনিয়োগকারী এবং কোম্পানিগুলোর জন্য বিশেষভাবে উদ্বেগজনক কিছু নেই। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, বড় স্টক সূচকগুলো দীর্ঘমেয়াদি কারেকশনের সম্মুখীন হতে পারে। এই সম্ভাব্য ফলাফলটি ওয়েভ বিশ্লেষণ এবং ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী বছরে সীমিত মাত্রার আর্থিক শিথিলতার প্রত্যাশার মাধ্যমে সমর্থিত। যখন মার্কেটে FOMC-এর আর্থিক নীতিমালার পরিবর্তনের প্রত্যাশা করা হয়েছিল তখন S&P 500-এর সর্বশেষ বৃদ্ধি ঘটেছিল। যদিও ফেড গত সেপ্টেম্বরে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করতে শুরু হয়েছিল, সূচকটি এখনও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, আমি এই সূচকের স্থায়ী প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে সন্দিহান, এমনকি যদি "বুলিশ ফ্ল্যাগ" থেকে ব্রেকআউটও ঘটে।
উপসংহার S&P 500 (#SPX)-এর উপর আমার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, আমি এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে সূচকটির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে অব্যাহত রয়েছে। এই প্রবণতা শীঘ্রই শেষ হতে যাচ্ছে এমন কোনো দৃঢ় সংকেত নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোর ওয়েভ বিশ্লেষণ বেশ জটিল এবং অস্পষ্ট ছিল। আমি "বুলিশ ফ্ল্যাগ" প্যাটার্নের দিকে মনোযোগ দেওয়ার এবং ট্রাম্পের নীতিগুলোর প্রভাব বিবেচনা করার পরামর্শ দিচ্ছি। যদি তার উদ্যোগগুলো মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য কম সুবিধাজনক হয়—যেমন বাণিজ্য যুদ্ধ, শুল্ক, আমদানি শুল্ক, এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক—তাহলে নতুন করে এই সুচকের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। হায়ার স্কেলে, ওয়েভ গঠনটি অনেক বেশি স্পষ্ট, যা একটি স্বতন্ত্র পাঁচ-ওয়েভের প্যাটার্ন দেখায়, যেখানে পঞ্চম ওয়েভের মধ্যে আরও একটি পাঁচ-ওয়েভ গঠন রয়েছে। এই পঞ্চম ওয়েভটি শেষের দিকে থাকতে পারে, যা একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং জটিল কারেকশনের সূচনা নির্দেশ করতে পারে, যা সম্ভবত ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
আমার বিশ্লেষণের মূল নীতি ওয়েভ স্ট্রাকচারগুলো সহজ এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল স্ট্রাকচার ট্রেডিংয়ে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে এবং প্রায়ই পরিবর্তিত হয়। মার্কেটের পরিস্থিতি অস্পষ্ট হলে, মার্কেট থেকে দূরে থাকা ভালো। মার্কেটের দিকনির্দেশনা সম্পর্কে কখনো ১০০% নিশ্চিত হওয়া যায় না। তাই সর্বদা স্টপ লস ব্যবহার করুন। ওয়েভ বিশ্লেষণ অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি এবং ট্রেডিংয়ের কৌশলের সঙ্গে একত্রিত করা যায় এবং করা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/4aqAnkC
|
|
|
২৩ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে—স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, মাত্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইম বা বেকার ভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল সাধারণত পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি প্রদর্শন করে না এবং বাজার পরিস্থিতির ওপর কম প্রভাব ফেলে। তাই, আমরা আজ মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি না। তবে, যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন হুমকি ও শর্ত আরোপ অব্যাহত রাখেন, তাহলে মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের দিক থেকে বিশেষ কিছু উল্লেখযোগ্য নেই। যদিও গতকাল ক্রিস্টিন লাগার্ডের একটি ভাষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তবে আজ ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই। তবে, এটি সাময়িক বিরতি। আগামী সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বৈঠক শুরু হবে, এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরো ও পাউন্ডের মূল্য যে বৃদ্ধি পেয়েছে তা ধরে রাখা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা প্রায় 90%, যখন ফেডারেল রিজার্ভের একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা কম।
উপসংহার: সাপ্তাহিক ট্রেডিংয়ের শেষভাগে, মার্কেট তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারই বর্তমানে কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যদিও এই কারেকশনগুলো খুব শক্তিশালী নয়। ফলে, আজ উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না, কারণ সপ্তাহের শুরুতে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টগুলো ন্যায়সঙ্গত বা যৌক্তিক ছিল না। তবে, আমরা আশা করছি উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশন আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত থাকতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/40HX2py
|
|
|
২৪ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জানুয়ারি মাসের পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের PMI সূচক প্রকাশিত হবে। এই সূচকগুলো অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রধান নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। সহজভাবে বলতে গেলে, এই সূচকগুলোর বৃদ্ধি পেলে সেটি অর্থনীতিতে সম্ভাব্য ইতিবাচক পরিবর্তনের সংকেত দেয়। দুর্ভাগ্যবশত, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় PMI সূচকগুলো খুব একটা ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেনি। তবুও, পূর্বাভাসের তুলনায় প্রকৃত ফলাফলের যেকোনো বিচ্যুতির ক্ষেত্রে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক প্রকাশিত হবে, যা PMI সূচকের মতোই বাজার পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা। তবে, তিনি বুধবারই বক্তব্য দিয়েছেন এবং তার কাছ থেকে কোনো নতুন মৌলিক তথ্য পাওয়া যায়নি। আগামী সপ্তাহে ইসিবির বছরের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত করবে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা আত্মবিশ্বাসী যে সুদের হার আরও 0.25% কমানো হবে। এর বিপরীতে, ফেডারেল রিজার্ভ আরও একদিন আগে তাদের বৈঠক শেষ করবে এবং সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ফলে, ডলারের তুলনায় ইউরো মৌলিকভাবে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। ইউরোর মূল্যের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম মূলত একটি টেকনিক্যাল কারেকশন।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, বাজার পরিস্থিতি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করবে। EUR/USD এবং GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যদিও এই কারেকশনগুলো তেমন শক্তিশালী নয়। সামগ্রিকভাবে, যতক্ষণ না ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য তাদের সংশ্লিষ্ট ট্রেন্ড লাইনের নিচে দৃঢ়ভাবে স্থিতিশীল হয়, চার মাসের নিম্নমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করার অর্থ নেই। উভয় পেয়ারের মূল্যের নতুন প্রবণতা শুরু হওয়ার আগে কারেকশন শেষ হতে যথেষ্ট সময় লাগতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3E8twjP
|
|
|
মার্কিন স্টক সূচকসমূহের কারেকশন এবং ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অস্থায়ী হতে পারে (স্থানীয় পর্যায়ে নাসডাক CFD-এর পতনের এবং USD/CAD পেয়ারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে)
আগামী সপ্তাহে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা নিঃসন্দেহে বিশ্ববাজার দৃশ্যমান প্রভাব ফেলবে। প্রথমেই, আমরা গত সপ্তাহের প্রধান রাজনৈতিক এবং ভূরাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন অনেক বক্তব্য দিয়েছেন এবং পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা সরাসরি বাজার পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে। এর মধ্যে একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হলো আমদানির ওপর শুল্ক এবং কর আরোপ, যা ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার সাথে মিলিত হয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। শুক্রবার, ডাভোস ফোরামে অনলাইনে বক্তব্য দেওয়ার সময়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও সুদের হার কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। এই বিবৃতিটি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের চাহিদা বাড়িয়েছে। তবে, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা এবং বেশ কয়েকটি বৃহৎ মার্কিন কোম্পানির আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকায়, বিনিয়োগকারীরা পূর্বে ওপেন করা পজিশনগুলো কমানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। শুল্ক পরিকল্পনা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে চলমান আলোচনা মার্কিন ইক্যুইটিগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, অন্যদিকে নিরাপদ বিনিয়োগের মুদ্রা হিসেবে ডলারের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। তবে, ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির আসন্ন সভা এবং সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি ট্রেডাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা এখনও অনিশ্চিত। ফেডারেল ফান্ড ফিউচার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৪.২৫%-৪.৫০% সীমার মধ্যে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকার ৯৯.৫% সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভবিষ্যৎ সুদের হার কমানোর বিষয়ে বক্তব্যের ওপর দৃষ্টি থাকবে। অনেক বিনিয়োগকারী মনে করেন যে, গ্রীষ্মের আগে সুদের হার কমার সম্ভাবনা নেই। তাই, যদি FOMC-এর বিবৃতি এবং পাওয়েলের মন্তব্যে নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি না পাওয়া যায়, তাহলে ফেডের বৈঠকের ফলাফলের প্রতি ট্রেডারদের তুলনামূলকভাবে কম প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। বিনিয়োগকারীরা চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের প্রতি ঘনিষ্ঠ নজর রাখবেন, যা 3.1% থেকে 2.7% প্রবৃদ্ধির মন্থরতার ইঙ্গিত দিতে পারে। মোটের ওপর, ফেডের আসন্ন সভা, সম্ভবত জিডিপি প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল, এবং বৃদ্ধি পাওয়া PCE-এর সাথে শুল্ক সংক্রান্ত উদ্বেগ যুক্ত হয়ে মার্কিন ইক্যুইটিতে আরও কারেকশনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই সময়ে, ডলার সম্ভবত সমর্থন পাবে। তদ্ব্যতীত, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব কানাডার প্রত্যাশিত সুদের হার হ্রাস ইউরো এবং কানাডিয়ান ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত মার্কিন ডলারের বিপরীতে।
কীভাবে মার্কিন ইক্যুইটি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ডলারের শক্তিশালী হওয়ার নেতিবাচক প্রবণতাগুলো পাল্টানো যেতে পারে? ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কিছু আশাব্যঞ্জক ঘোষণা এই অবস্থার পরিবর্তনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কর্পোরেট করের বোঝা হ্রাস করার তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য চাহিদা বৃদ্ধি করবে। তদুপরি, এই সপ্তাহে প্রত্যাশিত বৃহৎ কোম্পানির ইতিবাচক আয়ের প্রতিবেদন ইক্যুইটি মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম সৃষ্টি করতে পারে। মার্কিন অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ট্রাম্পের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনাগুলো বিবেচনায় নিয়ে, স্টক মার্কেটে যেকোনো কারেকশন স্বল্পমেয়াদী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে পতন নতুন ক্রয়ের সুযোগ এনে দিতে পারে, যার ফলে প্রধান স্টক সূচকগুলো আবার ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অর্জন করতে পারে। দৈনিক পূর্বাভাস
নাসডাক (#NDX) FOMC-এর সভার ফলাফল এবং এই সপ্তাহে প্রকাশিতব্য গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রত্যাশায় নাসডাক CFD পতনের শিকার হয়েছে। মার্কেটে ক্রমাগত নেতিবাচক অনুভূতির কারণে নাসডাক CFD 21,000.00 লেভেলে পৌঁছাতে পারে। USD/CAD এই পেয়ারটির মূল্য 1.4300–1.4465 এর সাইডওয়েহ রেঞ্জে রয়েছে। ব্যাংক অব কানাডার সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাস, ফেডের অপরিবর্তিত সুদের হার এবং মার্কেটে সামগ্রিক নেতিবাচক পরিস্থিতির সাথে যুক্ত হয়ে এই পেয়ারের মূল্য উল্লিখিত রেঞ্জের উপরের সীমা 1.4465 এর দিকে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3PR9nBr
|
|
|
২৮ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি প্রতিবেদন হল মার্কিন ডিউরেবলস গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ডিউরেবল গুডস সাধারণত উচ্চ মূল্যের পণ্য, যা আংশিকভাবে মার্কিন ভোক্তাদের আর্থিক পরিস্থিতির সূচক হিসেবে কাজ করে। যদি এই পরিসংখ্যানের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক হয়, তবে এটি মার্কিন ডলারকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করতে পারে। এছাড়াও, আগামীকাল FOMC-এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা মার্কিন ডলারের জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের প্রধান ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের আরেকটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, লাগার্ড গত সপ্তাহে বুধবার, শুক্রবার এবং গতকাল সোমবারও বক্তৃতা দিয়েছেন, যেখানে কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার ইসিবির বছরের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা সম্পূর্ণরূপে সুদের হার 0.25% হ্রাসের আশা করছে। এর বিপরীতে, বুধবার অনুষ্ঠিতব্য FOMC-এর বৈঠকে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা নেই। এর ফলে, মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইউরো মার্কিন ডলারের তুলনায় অসুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। ইউরোর মূল্যের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুধুমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন বলেই মনে হচ্ছে এবং এর বেশি কিছু নয়। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, সম্ভবত উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের 80% মুভমেন্ট টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হবে। আমরা মনে করি, মার্কিন ডলারের মূল্যের পুনরুদ্ধার অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ গত তিন সপ্তাহে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত এই কারণে যে বর্তমান মুভমেন্ট কারেকশনের ভিত্তিতে হচ্ছে। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প নিঃসন্দেহে ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীদের ডলার এবং মার্কিন শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে অনীহা বাড়িয়েছেন, তবে মার্কিন ডলার শুধুমাত্র ট্রাম্পের বৈশ্বিক নীতির প্রভাবে চাপের মধ্যে থাকতে পারে না।
Read more: https://ifxpr.com/3CuY4fd
|
|
|
এআই-ভিত্তিক স্টকের নতুন যুগ? ওয়াল স্ট্রিটে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনভিডিয়া
এনভিডিয়া এবং এআই-ভিত্তিক স্টকের পুনরুদ্ধারে মার্কিন স্টক মার্কেটে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি মঙ্গলবার মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে, যেখানে এআই-সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টদের দৃঢ়তার ফলে মূল সূচকসমূহ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। আগের দিনের দরপতনের পর, বিনিয়োগকারীরা কম দামে শেয়ার কেনার সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।
নাসডাক সূচকে প্রবৃদ্ধি, এনভিডিয়ার শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন নাসডাক প্রযুক্তি সূচক ২% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর এআই চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার স্টকের মূল্য দ্রুত পুনরুদ্ধার করে ৮.৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি এমন এক পরিস্থিতির পর ঘটলো, যেখানে আগের দিনে কোম্পানিটি ১৭% দরপতনের শিকার হয়, যার ফলে এটির বাজার মূলধন $593 বিলিয়ন হ্রাস পেয়েছিল— যা একক ট্রেডিং সেশনে কোনো পাবলিক কোম্পানির জন্য সর্বোচ্চ লোকসান।
প্রযুক্তি খাতে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি S&P 500-এর প্রযুক্তি খাত (.SPLRCT) ৩.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ দৈনিক বৃদ্ধি। অন্যদিকে, সেমিকন্ডাক্টর খাত (.SOX) ১.১% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ খাতের পুনরুদ্ধার প্রতিফলিত করছে।
বিনিয়োগকারীরা অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের আয়ের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে অ্যাপলের শেয়ারের দর ৩.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা অ্যাপল (AAPL.O) এবং মাইক্রোসফট (MSFT.O)-এর আসন্ন আয়ের প্রতিবেদনের দিকে নজর রাখছেন। এই কোম্পানিগুলো তাদের সর্বশেষ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে, যা মার্কেটের ভবিষ্যৎ মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা: এআই খাতে মার্কিন নেতৃস্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ গতকালের প্রযুক্তি খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্টকের দরপতন চীন থেকে প্রকাশিত সংবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল: দেশটির স্থানীয় স্টার্টআপ ডিপসিক একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল উন্মোচন করেছে, যা দাবি করছে যে এটির পারফরম্যান্স মার্কিন শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মডেলের সমতুল্য বা এমনকি উন্নততর, কিন্তু এটির খরচ অনেক কম। এই খবর বিনিয়োগকারীদের সতর্ক সংকেত প্রদান করে, কারণ চীনা কোম্পানির প্রতিযোগিতার কারণে এআই খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোর সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
অস্থিরতার পর শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি: বিনিয়োগকারীরা বাজারে ফিরে আসছে মঙ্গলবার, মার্কিন স্টক মার্কেটের প্রধান সূচকগুলো প্রযুক্তি খাতের অস্থিরতার কারণে সাম্প্রতিক কারেকশনের পর প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। বিনিয়োগকারীরা সক্রিয়ভাবে শেয়ার ক্রয় করছে, এবং এনভিডিয়ার স্টকের মূল্যের দ্রুত বৃদ্ধি এই প্রবণতার একটি স্পষ্ট নিশ্চিতকরণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
অস্থায়ী পতন নাকি দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা? নিউ জার্সির নিউ ভারননের চেরি লেন ইনভেস্টমেন্টস-এর পার্টনার, রিক মেকলার বলেন,"আমরা একটি স্বাভাবিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করছি, যা তখনই ঘটে যখন বাজার পরিস্থিতি অস্পষ্ট থাকে এবং নির্দিষ্ট ঘটনাগুলোর চেয়ে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ থাকে।" তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি খাত, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) খাত, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য কারেকশনের ঝুঁকিতে ছিল। মেকলার যোগ করেন, "চীনা স্টার্টআপ ডিপসিক সংক্রান্ত সংবাদ শুধুমাত্র একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, তবে আজ আমরা বাজারে সুযোগ সন্ধানী বিনিয়োগকারীদের ফিরে আসতে দেখছি। অনেকেই এই খবরকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না, কারণ ডিপসিক সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে।" প্রধান সূচকসমূহে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে বাজার পরিস্থিতি পরিবর্তনের ফলে স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ (.DJI) 136.77 পয়েন্ট বা +0.31% বৃদ্ধি পেয়ে 44,850.35-এ পৌঁছেছে। S&P 500 (.SPX) 55.42 পয়েন্ট বা 0.92% বৃদ্ধি পেয়ে 6,067.70-এ পৌঁছেছে। প্রযুক্তি খাতভিত্তিক নাসডাক কম্পোজিট সূচক (.IXIC) 391.75 পয়েন্ট বা 2.03% বৃদ্ধি পেয়ে 19,733.59-এ পৌঁছেছে। এনভিডিয়ার স্টকের দরপতনের পর পুনরুদ্ধার এনভিডিয়ার ফরওয়ার্ড প্রাইস-টু-আর্নিংস রেশিও (P/E), যা কোম্পানিটির পরিস্থিতি মূল্যায়নের একটি প্রধান সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, ডিসেম্বর ২০২৩-এর পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। তবে, এটি কোম্পানিটির স্টকের সাম্প্রতিক দরপতনের পর দ্রুত পুনরুদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করেনি, যেখানে স্টকের ব্যাপক বিক্রির কারণে দরপতন ঘটেছিল। স্বল্পমেয়াদী অস্থিরতা সত্ত্বেও, এনভিডিয়া এবং সামগ্রিক মার্কিন স্টক মার্কেট গত দুই বছর ধরে এআই উন্মাদনার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আশাবাদ এখনো উচ্চমাত্রায় রয়েছে, যা এই খাতের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়িয়ে তুলছে। কর্পোরেট রিপোর্ট বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করছে প্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, শক্তিশালী কর্পোরেট প্রতিবেদন দ্বারা বাজারের ইতিবাচক গতিশীলতা সমর্থিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ক্রুজ অপারেটর রয়্যাল ক্যারিবিয়ান (RCL.N)-এর শেয়ারের দর ১২% বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ কোম্পানিটি বাৎসরিক মুনাফার পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। প্রান্তিক-ভিত্তিক আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের মৌসুম হওয়ায়, বিনিয়োগকারীরা বাজারের বর্তমান প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা নির্ধারণের জন্য বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর আর্থিক ফলাফলের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছে। বোয়িং চমকে দিল, জিএম হতাশ করলো: বিনিয়োগকারীরা শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত ঝুঁকি পর্যালোচনা করছে মার্কিন স্টকে মার্কেটে মিশ্র মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রযুক্তি খাতের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, বিনিয়োগকারীরা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্পোরেট প্রতিবেদন ও সম্ভাব্য শুল্ক সংক্রান্ত ঝুঁকি পর্যালোচনা করছে। বোয়িং মুনাফায় প্রবেশ করলো, যদিও বার্ষিক ভিত্তিতে লোকসান হয়েছে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং (BA.N)-এর শেয়ারের দর ১.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটি ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতা সম্ভবত বিনিয়োগকারীদের এয়ার ট্রাভেলের ভবিষ্যৎ ও বিমান সংক্রান্ত চাহিদার পুনরুদ্ধার সম্পর্কে আশাবাদের কারণে হয়েছে। জেনারেল মোটরস চাপে সম্মুখীন: শেয়ারের ৮.৯% দরপতন জেনারেল মোটরস (GM.N)-এর জন্য সেশনটি ততটা ইতিবাচক ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতি এমন একটি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সাথে সংগতিপূর্ণ ছিল না। এই প্রেক্ষাপটে, কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য ৮.৯% হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিতে পারে। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক হুমকি: চিপ এবং স্টিল শিল্পের উপর চাপ সোমবার সন্ধ্যার ভাষণে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন অর্থনৈতিক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমদানি করা সেমিকন্ডাক্টর, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং স্টিলের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। যদি এই নীতিমালা কার্যকর হয়, তবে এটি মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন ঘটাতে পারে, বিশেষত যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। ফেডের ২০২৫ সালে প্রথম সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুতি ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীরা এখন আসন্ন ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের দিকে নজর রাখছে। বুধবার, ফেডের মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সম্ভাবনা রয়েছে, যা হবে নতুন বছরের প্রথম নীতিমালা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত। তবে, বিশ্লেষকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, যাতে ভবিষ্যতের মুদ্রানীতি পরিবর্তন সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। স্টক মার্কেট: নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে (NYSE) ১.১৩:১ অনুপাতে দরপতনের শিকার স্টকের সংখ্যা মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া স্টকের সংক্যার তুলনায় বেশি ছিল। তবে, ১৬৫টি স্টকের দর নতুন উচ্চতায় এবং ৪৬টি স্টকের দর নতুন সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে, যা নির্দেশ করে যে কিছু প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র এখনো বজায় রয়েছে। নাসডাকে, পরিস্থিতি আরও সংকীর্ণ ছিল: ২,১৮৮টি স্টকের দর বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ২,২১৬টি স্টক দরপতনের শিকার হয়েছে, ফলে ১.০১:১ অনুপাতে বিক্রেতাদের পক্ষে ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। ট্রেডিং ভলিউম স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল বাজারে ট্রেডিং কার্যক্রম স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। মঙ্গলবার, মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে ১৩.৮৭ বিলিয়ন লেনদেন হয়েছে, যা গত ২০ দিনের ট্রেডিংয়ের গড় ১৫.৫ বিলিয়ন শেয়ারের চেয়ে কম। বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়ার পুনরুদ্ধারের উপর বাজি ধরছে এনভিডিয়ার (NVDA.O) স্টকের রেকর্ড দরপতনের পর, দ্রুত মুনাফা অর্জনের আশায় বিনিয়োগকারীরা লিভারেজড এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETF) ক্রয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা আশা করছে যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে এনভিডিয়া দ্রুত বাজার মূলধন পুনরুদ্ধার করবে। দ্রুত বিনিয়োগ প্রবাহ: এনভিডিয়া-কেন্দ্রিক ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের নজর এনভিডিয়ার দ্রুত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তৈরি বৃহত্তম ফান্ডগুলো স্বল্পমেয়াদি ট্রেডারদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যারা চিপ নির্মাতার প্রতিষ্ঠানের স্টকের মূল্যের অস্থিরতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার, অ্যাসেট ম্যানেজাররা নিশ্চিত করেছেন যে লিভারেজড এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETF)-এ ব্যাপক বিনিয়োগ প্রবাহ ঘটেছে, যা বিনিয়োগকারীদের এনভিডিয়ার দৈনিক রিটার্নের দ্বিগুণ মুনাফা অর্জনের সুযোগ দিয়ে থাকে। চীনা প্রতিযোগিতার প্রভাব: এনভিডিয়ার বাজার মূলধনের রেকর্ড পতন সোমবার, এনভিডিয়ার বাজার মূলধন এক দিনে নজিরবিহীন দরপতনের শিকার হয়। এই পতন চীনা স্টার্টআপ ডিপসিকের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মডেল উন্মোচনের ঘোষণার পরপরই ঘটেছে, যা এনভিডিয়ার উন্নত প্রযুক্তির সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রানাইটশেয়ার্স-এ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রবাহ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ফান্ড গ্রানাইট শেয়ার্স 2x Long NVDA Daily ETF (NVDL.O), যা এনভিডিয়ার প্রবৃদ্ধির ওপর দ্বিগুণ রিটার্ন প্রদান করে। গ্রানাইট শেয়ার্স-এর সিইও, উইল রাইন্ড বলেন, "আমরা আমাদের লং ফান্ডে প্রায় $1 বিলিয়ন বিনিয়োগ প্রবাহ দেখেছি।" তবে, এই বৃহৎ বিনিয়োগ প্রবাহ সত্ত্বেও এটি এখনো বিক্রির চাপ পুরোপুরি সামলাতে পারেনি। ফান্ডটির অ্যাসেট $৬ বিলিয়ন থেকে কমে প্রায় $৪.৩ বিলিয়নে নেমে এসেছে। লিভারেজড ফান্ডের ক্ষতি বৃদ্ধি পেয়েছে LSEG-এর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার এনভিডিয়া-কেন্দ্রিক চারটি 2x লিভারেজড ETF-এর প্রতিটির মূল্য ৩৩% থেকে ৩৪% পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। তবে, ট্রেডাররা এখনো এই উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে অর্থ ঢালছে। উদাহরণস্বরূপ, Direxion Daily NVDA Bull 2x Shares ETF (NVDU.O), যেটির অ্যাসেটের মূল্য $৪৩৫ মিলিয়ন, সেটি $৬১.৪ মিলিয়ন নতুন বিনিয়োগ প্রবাহ নথিভুক্ত করেছে। অদ্ভুতভাবে, এর বিপরীতমুখী ফান্ড, যা এনভিডিয়ার দরপতনের ওপর বাজি ধরছে, সেটিও প্রায় $৩ মিলিয়ন নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে, যা মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে মতবিরোধের ইঙ্গিত দেয়। বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়ার অস্থিরতার ওপর বাজি ধরছে সাম্প্রতিক ধস সত্ত্বেও, এনভিডিয়া এখনো স্টক মার্কেটের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের আশাবাদী মনোভাব কোম্পানিটির স্টকের চাহিদা বাড়িয়ে তুলছে, এবং স্বল্পমেয়াদী ট্রেডাররা মূল্যের উচ্চ ওঠানামা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে এটি নির্ধারিত হবে যে এনভিডিয়া দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারবে কিনা, নাকি কারেকশন দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট: বাজারের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চমাত্রার প্রত্যাশা এখনো বজায় রয়েছে। এনভিডিয়া মিনি-ফান্ডে রেকর্ড লেনদেন চারটি লিভারেজড ETF-এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট ফান্ড, Leverage Shares 2x Long NVDA Daily ETF (NVDG.O), যার মোট অ্যাসেট $৩ মিলিয়ন, তাৎক্ষণিকভাবে সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগ প্রবাহের তথ্য সরবরাহ করেনি। তবে লেনদেনের পরিসংখ্যানই বাজার পরিস্থিতি প্রকাশ করছে। Themes ETFs-এর প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, পল মারিনো, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে Leverage Shares-এর কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন, জানান যে সোমবার এই ইন্সট্রুমেন্টের ট্রেডিং ভলিউম গড়ের তুলনায় ছয় গুণ বেশি ছিল। এনভিডিয়া স্পেকুলেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এনভিডিয়া লিভারেজড ফান্ডগুলোর উচ্চ ট্রেডিং কার্যক্রম দেখিয়ে দিচ্ছে যে বাজারে প্রচুর স্পেকুলেটিভ ট্রেডার সক্রিয় রয়েছে, যারা মূলত মূল্যের অস্থিরতার ওপর মুনাফা করতে চায়। মারিনো ব্যাখ্যা করেন, "লেনদেনের পরিমাণ আমাদের বলে দেয় যে বাজারে কতজন বিনিয়োগকারী এনভিডিয়ার ওপর বাজি ধরছে।" ফান্ডটি সোমবারের ট্রেডিং সেশন ইতিবাচকভাবে শেষ করেছে এবং মঙ্গলবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে অনেক বিনিয়োগকারী সাম্প্রতিক দরপতনকে বাজার থেকে বের হওয়ার সংকেত হিসেবে দেখছে না, বরং কম দামে বাজারে প্রবেশের সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করছে। এনভিডিয়া: এআই বাজারের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার লড়াই স্টক মার্কেটের বিনিয়োগাকারীরা এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনভিডিয়ার কার্যক্রম ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাজার মূলধনের রেকর্ড পতনের পর, এনভিডিয়া এখনো উচ্চমাত্রার ট্রেডিং কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, এবং লিভারেজড ফান্ডগুলো এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে। কোম্পানিটি দ্রুত তার হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে পারবে নাকি অস্থিরতা অব্যাহত থাকবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার: এনভিডিয়ার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে না, বরং স্বল্পমেয়াদী ট্রেডাররা দ্রুত প্রবণতা পরিবর্তনের আশায় ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। *এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।
Read more: https://ifxpr.com/3Epp2p0
|
|
|
৩০ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে নির্ধারিত রয়েছে। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানি, ইউরোজোন, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় ট্রেডাররা বুধবারের FOMC-এর বৈঠক এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বৈঠকের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। ফলে, এই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের কারণে কিছুটা গুরুত্ব হারাতে পারে। এছাড়াও, ইইউ-এর বেকারত্ব হার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন আজ ট্রেডারদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য মার্কেটে তেমন শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি, তবে তার মাঝারি হকিশ বা কঠোর অবস্থান ইতোমধ্যেই মার্কিন ডলারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার কারণ হিসেবে কাজ করছে। যদি আজ ইসিবি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান বজায় রাখে, তাহলে মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। লাগার্ড এবং তার সহকর্মীরা নিয়মিতভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ইসিবি মুদ্রানীতিকে আরও শিথিল করতে প্রস্তুত, তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বড় কোনো চমকের আশা করা হচ্ছে না। তবে, মার্কেটে ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করার জন্য একটি অনুঘটকের প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়াও, জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থার নিশ্চিতকরণ প্রদান করতে পারে, এদিকে ইউরোজোনের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।
উপসংহার: বৃহস্পতিবার মার্কেটে বেশ অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। যদিও FOMC-এর বৈঠকের পর মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং ইসিবির কাছ থেকেও বড় কোনো চমকের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না, তবুও এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট মার্কেটে উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি কোনো নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন ছাড়াই এই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যেঁতে পারে। ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া মূলত উপলব্ধ তথ্যের ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করবে। মাঝারি মেয়াদে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হতে পারে, তবে সামনের কয়েক দিন নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনাই বেশি।
Read more: https://ifxpr.com/3CvPfBM
|
|
|
৩১ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। মূলত জার্মানির প্রতিবেদনের ওপর ট্রেডারদের মনোযোগ থাকবে, যেখানে খুচরা বিক্রয়, বেকারত্ব, এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যেহেতু দেশটির চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন আশানুরূপ ছিল না (সেইসাথে ২০২৪ সালের সামগ্রিক জিডিপি প্রতিবেদনও হতাশাজনক ছিল), তাই আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল আশা করা কঠিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যক্তিগত ভোগব্যয় (PCE) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এই প্রতিবেদন সাধারণত পূর্বাভাসের সাথে খুব বেশি পার্থক্য প্রদর্শন করে না। ফলে, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে আমরা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির প্রত্যাশা করছি না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের উল্লেখযোগ্য ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি মিশেল বোম্যানের বক্তৃতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে, জেরোম পাওয়েল এবং ক্রিস্টিন লাগার্ড উভয়েই ইতোমধ্যে এই সপ্তাহে বক্তব্য দিয়েছেন, এবং তাদের বক্তব্যের প্রভাবে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। পাওয়েল পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে ফেড খুব ধীরে সুদের হার কমাবে এবং ফেডের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো প্রভাব নেই। ক্রিস্টিন লাগার্ড নিশ্চিত করেছেন যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ২%-এর দিকে নিয়ে যেতে থাকবে। এই তথ্যই ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার জন্য যথেষ্ট, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে কোন সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না। মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা কমছে, এবং মুভমেন্ট "ফেন্স" এবং "জিগজ্যাগ" আকৃতির মতো দেখাচ্ছে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংইয়ে মার্কেটে অত্যন্ত অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা ফেড এবং ইসিবির বৈঠকের ফলাফল কার্যত উপেক্ষা করেছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে মূল্য স্থানীয় ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে রয়ে গেছে। একদিকে, ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন চলতে পারে। অন্যদিকে, মার্কেটে কি ইউরো এবং পাউন্ড কেনার জন্য কোন মৌলিক ভিত্তি রয়েছে?
Read more: https://ifxpr.com/42ARJJF
|
|
|
বিটকয়েনের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা কি খুব শীঘ্রই শেষ হতে যাচ্ছে?
মার্কেট সেন্টিমেন্ট বিয়ারিশ হয়ে পড়েছে, যা বেশিরভাগ ক্রিপ্টোকারেন্সিকে প্রভাবিত করেছে। বিটকয়েনের মূল্য স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রায় 6% হ্রাস পেয়ে $93,890-এ নেমে আসে, যখন ছোট টোকেনগুলোর মূল্য আরও বেশি পতনের শিকার হয়েছে। মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথেরিয়াম, 3 ফেব্রুয়ারি সোমবার, 27% দরপতনের শিকার হয়ে $2,135-এ পৌঁছায়। পরে এটি কিছুটা পুনরুদ্ধার করলেও, বিশেষজ্ঞরা একে 2021 সালের মে মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ দৈনিক দরপতন হিসেবে দেখছেন। 3 ফেব্রুয়ারির সকালে, ইথেরিয়াম $2,500-এর কাছাকাছি ট্রেড করছিল, যখন বিটকয়েনের মূল্য প্রায় $93,960 লেভেলে অবস্থান করছিল। এদিকে, রিপল সংশ্লিষ্ট XRP-এর মূল্য 15% এরও বেশি হ্রাস পেয়ে $2.20-এ নেমে আসে। বিশ্লেষকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ট্রাম্পের কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর বিলিয়ন ডলারের শুল্ক শিগগির কার্যকর হবে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যকে ব্যাহত করতে পারে। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। BTC Markets-এর CEO ক্যারোলিন বোউলার বলেছেন, "ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ পুরো মার্কেটকে প্রভাবিত করছে।" তিনি আরও যোগ করেন যে বাণিজ্য সংঘাত এবং স্ট্যাগফ্লেশন নিয়ে উদ্বেগ ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ছে, যা বিটকয়েন ও অল্টকয়েনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এই পরিস্থিতিতে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মার্কেটে বিটকয়েনের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা শেষ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। যদিও এটি আগের সাইকেলের তুলনায় দুর্বল, তবে বর্তমান সাইকেল 2015-2018 সময়কালের সঙ্গে মিল রাখে, যার ফলে আরও দর বৃদ্ধির সুযোগ থাকছে। গ্লাসনোডের বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সাইকেলে বিটকয়েনের মূল্য বেশ ধীরগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি বিটকয়েনের মূল্য নতুন সর্বকালের উচ্চতায় পৌঁছায় এবং নতুন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে, তাহলে এর বুলিশ প্রবণতা শীঘ্রই শেষ হতে পারে। সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর মার্কেটের এই পরিবর্তন একটি তীব্র বিপরীতমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে, যা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার ও বিজয়ের পর তার প্রো-ক্রিপ্টো অবস্থানের ফলে সৃষ্ট হয়েছিল। 24 জানুয়ারি, প্রেসিডেন্ট মার্কিন ক্রিপ্টো সংস্থাগুলোর জন্য মূল নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা ছয় মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ কাঠামো তৈরি করবে। এই টিম একটি জাতীয় ক্রিপ্টো রিজার্ভ তৈরির সম্ভাবনাও অন্বেষণ করবে। বিটকয়েন, সোলানা এবং রিপলের তুলনায় ইথেরিয়াম আরও বেশি দরপতনের শিকার হয়েছে। শীর্ষস্থানীয় ট্রেডার জনাথন ইয়ার্কের মতে, এর কারণ হলো, বিটকয়েন, সোলানা এবং রিপল এই তিনটি অ্যাসেটেরই মার্কিন ডিজিটাল অ্যাসেট রিজার্ভের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, বিটকয়েনের তুলনায় ইথেরিয়ামের লিকুইডিটি কম স্থিতিশীল হয়েছে, যা একে আরও বেশি ভোলাটাইল করে তুলেছে। এদিকে, মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (SEC) বিটওয়াইজের স্পট বিটকয়েন ও ইথেরিয়াম ETF-এর দ্রুত অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে, সংস্থাটি হ্যাশডেক্স এবং ফ্র্যাঙ্কলিন টেম্পলটনের অনুরূপ তহবিলগুলোর জন্য অনুমোদন দিয়েছিল। ট্রাম্পের ক্রিপ্টো পরিকল্পনা নিয়ে আশাবাদী হলেও, তার শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণাগুলো সপ্তাহান্তে ব্যাপক সেল-অফের কারণ হয়েছে, কারণ ট্রেডাররা বৃহত্তর সামষ্টিক অর্থনৈতিক ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুরক্ষিত অবস্থানে রয়েছে। শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডেরিভেটিভস প্রধান শন ম্যাকনাল্টি বলেছেন, বিটকয়েন ছোট টোকেনগুলোর তুলনায় এই পতন থেকে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে এটি সফলভাবে পুনরুদ্ধার করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/40FEUvj
|
|
|
৫ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/57697468.jpg[/IMG]
[URL="https://ifxpr.com/42PuxaG"]সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা খাতের PMI সূচক প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনের ফলাফল মিশ্র হতে পারে, কারণ পূর্বাভাস থেকে সামান্য বিচ্যুতি মার্কেটে সাধারণত শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। তবে, যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তাহলে তা মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে। আজ মোট পাঁচটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে দুটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, যার মধ্যে ISM সূচক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সাধারণত, এই প্রতিবেদনটি নন-ফার্ম পেরোলস (NFP) প্রতিবেদন প্রকাশের আগে একটি নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও ট্রেডাররা মূলত NFP প্রতিবেদনের ফলাফুল ওপর বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়, ADP প্রতিবেদনের ফলাফলকেও গৌণ নির্দেশক হিসেবে ধরা হয়।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজকের মূল ইভেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইসিবি-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেনের বক্তব্য, এবং ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে থমাস জেফারসন, থমাস বারকিন, অস্টান গুলসবী এবং মিশেল বাউম্যান বক্তব্য দেবেন। সাধারণত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তৃতার প্রতি মার্কেটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে দেখা যায় না। তবে, এই মন্তব্যগুলো দীর্ঘমেয়াদী মৌলিক প্রেক্ষাপট নির্ধারণ বা সামঞ্জস্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা কারেন্সি মার্কেটে ভবিষ্যতে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, এই ইভেন্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার ব্যাপারে বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও দৃঢ় করতে পারে বা বিপরীত দিকে মার্কেট সেন্টিমেন্টের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এই মুহূর্তে, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার কোনো কারণ নেই। বর্তমান কারেকশন শেষ হলে, ইউরো এবং পাউন্ডের আরও উল্লেখযোগ্য দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় পেয়ারের মূল্যের অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। নতুন ট্রেডারদের আজ টেকনিক্যাল ফ্যাক্টরগুলোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং প্রতিটি প্রতিবেদন বিভিন্ন কারেন্সি পেয়ারের উপর আলাদা প্রভাব ফেলতে পারে। স্বল্প-মেয়াদে, EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে দীর্ঘ-মেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনো শেষ হয়নি, তবে এই পর্যায়ে একটি নিম্নমুখী রিট্রেসমেন্টও ঘটতে পারে।[/URL]
Read more: https://ifxpr.com/42PuxaG
|
|
|
৬ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এগুলো সম্পূর্ণ উপেক্ষা করবে বলে মনে হচ্ছে। দিনের একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হবে মার্কিন বেকারত্ব ভাতার দাবি সংক্রান্ত প্রতিবেদন—এছাড়া কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। তবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট আজকের ট্রেডিংয়ের পরিস্থিতি প্রভাবিত করতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের কথা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক এবং অ্যান্ড্রু বেইলির ভাষণ। ৯৯% সম্ভাবনা রয়েছে যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মূল সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেবে, যা পাউন্ডের দরপতনের কারণ হতে পারে। এছাড়া, বেইলি সম্ভবত হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন না, যা পাউন্ডের আরও দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি করবে। আরেকটি বিবেচ্য বিষয় হলো গতকাল উপেক্ষিত অর্থনৈতিক প্রতিবেদন। তদুপরি, আজ ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির ভাষণ রয়েছে, যার মধ্যে জোয়াকিম নাগেল, ফিলিপ জেফারসন, ক্রিস্টোফার ওয়ালার, এবং মেরি ডালির বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাদের পূর্ববর্তী মন্তব্য বিবেচনা করলে এটি স্পষ্ট যে ফেড এবং ইসিবির নীতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। ইসিবি এখনো তাদের সুদের হার নিরপেক্ষ স্তরে নিয়ে যেতে চায়, আর ফেড আরও সতর্কতার সঙ্গে আর্থিক নীতিমালার বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখবে। উপসংহার: সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে মার্কেটে অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। নতুন ট্রেডারদের আজ টেকনিক্যাল সূচকের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল আজ বাজারের প্রবণতা নির্ধারণ করতে পারে, এবং দিনের মাঝামাঝি সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। স্বল্পমেয়াদে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে, নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। যদিও ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনো শেষ হয়নি, তবে এই কারেকশনের মধ্যেও স্বল্পমেয়াদি দরপতনের সম্ভাবনা বিদ্যমান।
Read more: https://ifxpr.com/4hFLGsl
|
|
|
৭ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের তথ্য এবং নন-ফার্ম পেয়ারোলস (NFP) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ডলারের মূল্যের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এবং ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিগত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে ফেড এই প্রতিবেদনগুলোর ওপর ভিত্তি করেই মুদ্রানীতি সমন্বয় করে। এই প্রতিবেদনগুলোর দুর্বল ফলাফল শুধুমাত্র সাময়িকভাবে অর্থনৈতিক মন্দার সংকেতই দেবে না, বরং আসন্ন বৈঠকগুলোতে ফেডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেবে। এছাড়া, আজ জার্মানির শিল্প উৎপাদন, মার্কিন মজুরি বৃদ্ধির হার এবং ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ভোক্তা আস্থা সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার, বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তার বক্তব্য নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে হু পিল (ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ, লুইস ডে গুইন্ডোস (ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট), মিশেল বোম্যানের (ফেড) বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। তবে, তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকই ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই এই কর্মকর্তারা কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন মতামত প্রদান করবেন বলে মনে হচ্ছে না। তবে, তারপরও তাদের বক্তৃতার পর্যালোচনা করা উচিত। উপসংহার: সপ্তাহের সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে, মার্কেটে অত্যন্ত অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, বিশেষ করে দিনের দ্বিতীয়ার্ধের ট্রেডিংয়ে। মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট শক্তিশালী থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা মার্কেটে দ্রুত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদি মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় আপনার কোনো ওপেন করা পজিশন থাকে, তাহলে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা অথবা পুরো পজিশন ক্লোজ করে দেওয়া উপযুক্ত হবে।
Read more: https://ifxpr.com/3CGCPXS
|
|
|
১০ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে, আজ উভয় পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমাত্রার অস্থিরতা এবং "একঘেয়ে সোমবার" দেখা যেতে পারে—যেমনটি আমরা মার্কেটে দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করিনি। আমাদের বিশ্বাস, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। দৈনিক টাইমফ্রেমে, এই কারেকশন এখনো দুর্বল মনে হচ্ছে। ফলে, পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য মাঝারি মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে এটি শক্তিশালী বা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হলো ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ। তবে, সম্প্রতি ইসিবির সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার ফলে লাগার্দের পক্ষ থেকে ট্রেডারদের চমকে দেওয়ার মতো নতুন কোনো তথ্য আসার সম্ভাবনা নেই। ইসিবি কর্মকর্তাদের নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন করতে হলে নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রয়োজন হবে, যা সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যমান অর্থনৈতিক প্রবণতা এবং ইসিবির নীতিগত অবস্থান ইতোমধ্যে স্পষ্ট।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, মার্কেটে অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে এটি দুর্বল থাকার সম্ভাবনাই বেশি। শুক্রবার, মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন ডলার কেনার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেছিল। বৈশ্বিক পর্যায়ে এবং মাঝারি-মেয়াদেও বিয়ারিশ প্রবণতা বিরাজ করায়, মার্কেটে সম্ভবত এখনো কারেকশন হচ্ছে, যেখানে ট্রেডাররা শর্ট পজিশন জমা করছে। আমরা মার্কিন ডলারের মূল্যের আরেকটি শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি, তবে এটি শুরু হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত। চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
Read more: https://ifxpr.com/42PP4MC
|
|
|
ক্রিপ্টো মার্কেট নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন
সপ্তাহের শেষে মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল প্রাথমিকভাবে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ডিজিটাল অ্যাসেটগুলোর জন্য ইতিবাচক ছিল, তবে উইকেন্ডে এই মোমেন্টাম হারিয়ে যায়। ফলস্বরূপ, BTC এবং ETH-এর মূল্য নির্ধারিত রেঞ্জের মধ্যেই অবস্থান করেছে, এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ মুভমেন্ট দেখা যায়নি। অর্থনৈতিক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া দুর্বল প্রভাব মূল রেজিস্ট্যান্স লেভেলের ব্রেকের জন্য যথেষ্ট ছিল না। নতুন সপ্তাহের ট্রেডিং এবং সম্ভাব্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন মূল্যায়নের জন্য বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষার অবস্থান গ্রহণ করেছে। ক্রিপ্টো সেক্টরে ট্রেডাররা এখনো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, যদিও বিটকয়েনকে মুদ্রাস্ফীতি এবং ফিয়াট কারেন্সি অবমূল্যায়নের বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষিত সম্পদ হিসাবে বিবেচনার আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া, সাম্প্রতিক মূল্য বৃদ্ধির পর মুনাফা গ্রহণের কারণেও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। মার্কেটের বড় প্লেয়াররা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে একটি স্পষ্ট দিকনির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছে। নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত উন্নয়ন: মার্কিন আইনপ্রণেতারা স্টেবলকয়েনের জন্য একটি কাঠামো প্রস্তাব করেছে ইতিবাচক দিক হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্টেবলকয়েন নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী: স্ব-প্রদত্ত ডিজিটাল অ্যাসেট দ্বারা সম্পূর্ণরূপে ব্যাকড স্টেবলকয়েনের উপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা থাকবে। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগকে ডিজিটাল অ্যাসেটের ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে হবে। এই আইনগত পদক্ষেপ মার্কিন ডিজিটাল অ্যাসেট মার্কেটের জন্য একটি বিশাল অগ্রগতি। যদিও দুই বছরের সীমাবদ্ধতা কিছুটা কঠোর মনে হতে পারে, এটি বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একটি সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করছে। স্টেবলকয়েনের ব্যাপারে ফেডারেল রিজার্ভের মতামত গত সপ্তাহে, ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার স্টেবলকয়েনের প্রতি তার সমর্থনের কথা জানিয়েছেন, তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে এগুলোকে অবশ্যই মার্কিন সরকারি বন্ড দ্বারা ব্যাকড হতে হবে। ওয়ালার বলেছেন যে ফেড কৌশলগত বিটকয়েন রিজার্ভ গঠনের কোনো পরিকল্পনা করছে না। যদিও সরকারি বন্ড দ্বারা স্টেবলকয়েন সমর্থন করা হলে এগুলোর স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে, এটি ইস্যুকারীদের জন্য সম্পদ নির্বাচন করার নমনীয়তাকে সীমিত করতে পারে। বিটকয়েন রিজার্ভ আইন ও ট্রাম্পের প্রভাব বর্তমানে ২২টি মার্কিন রাজ্যে কৌশলগত BTC রিজার্ভ সংক্রান্ত আইন প্রস্তাবিত হয়েছে। এছাড়া, ফেডারেল ক্রিপ্টো রিজার্ভ বিল কংগ্রেসে ভোটের জন্য প্রস্তুত। তত্ত্বগতভাবে, ট্রাম্প আইনি কৌশলের মাধ্যমে সমস্ত নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বাধা অতিক্রম করতে পারেন।
বিটকয়েনের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ রেজিস্ট্যান্স লেভেল: মূল্য $97,400-এর লেভেলে পুনরুদ্ধার হলে $99,000 পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, এরপর লক্ষ্য হবে $100,200। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা $101,200। এই লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্য উপরের দিকে গেলে এটি মাঝারি-মেয়াদে মার্কেটে বুলিশ প্রবণতা ফিরে আসার সংকেত দেবে। সাপোর্ট লেভেল: $96,000-এ ক্রেতাদের উপস্থিতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর নিচে পতন হলে BTC-এর মূল্য $95,900 এবং পরে $94,300-এ নেমে আসতে পারে। বিয়ারিশ মুভমেন্টের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে $92,700।
ইথেরিয়ামের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ রেজিস্ট্যান্স লেভেল: মূল্য $2,665-এ স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে $2,733। এরপর গুরুত্বপূর্ণ লেভেল হবে $2,803। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে $2,878, যা ব্রেকআউট করে মূল্য উপরের দিক গেলে এটি মাঝারি-মেয়াদে মার্কেটে বুলিশ প্রবণতার সূচনা ঘটাবে। সাপোর্ট লেভেল: ETH-এর মূল্যের যদি নিম্নমুখী কারেকশন হয়, তাহলে $2,599-এর লেভেলে ক্রেতাদের উপস্থিতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর নিচে পতন হলে ETH-এর মূল্য $2,532 পর্যন্ত নামতে পারে। বিয়ারিশ মুভমেন্টের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে $2,452।
Read more: https://ifxpr.com/4aX3OuQ
|
|
|
জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে
4-ঘণ্টার চার্টে SPX-এর ওয়েভ বিশ্লেষণ এখনো অনিশ্চিত। দৈনিক চার্টে একটি বৈশ্বিক পাঁচ-ওয়েভ গঠন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, যা ট্রেডিং টার্মিনালের ক্ষুদ্রতম জুম স্কেলেরও বাইরে প্রসারিত হয়েছে। সহজ ভাষায়, মার্কিন স্টক সূচক দীর্ঘ সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে। তবে, আমরা জানি যে শেষ পর্যন্ত যেকোনো প্রবণতাই পরিবর্তিত হয়। বর্তমানে, ওয়েভ ৫-এর ভেতরে আরও একটি ওয়েভ ৫ গঠিত হচ্ছে। S&P 500 (#SPX) ইতোমধ্যে তিনবার 6,093 লেভেল ব্রেক করার চেষ্টা করেছে, যা ওয়েভ ৪-এর 200.0% ফিবোনাচ্চি এক্সটেনশনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। শীঘ্রই একটি কারেকশন বা একাধিক কারেকটিভ ওয়েভের সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন স্টক মার্কেট অতিরিক্ত উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, এবং বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য "বাবলের" শঙ্কা সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। একটি সম্পন্ন a-b-c-d-e কারেকটিভ কাঠামো দৃশ্যমান রয়েছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রবণতা একটি নতুন পাঁচ-ওয়েভ ইমপালস তৈরি করছে বলে মনে হয়েছিল, যেখানে ওয়েভ ১ এবং ২ সম্পন্ন হয়েছিল। তবে, সোমবারের মূল্য পতন এই কাঠামোকে ব্যাহত করেছে, যা এটিকে অনিশ্চিত ও অনির্ভরযোগ্য করে তুলেছে। দৈনিক চার্টের গঠন বেশি নির্ভরযোগ্য, এবং সেটিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ওয়েভ বিশ্লেষণ অবশ্যই স্পষ্ট এবং সরল হওয়া উচিত—কারণ জটিল কাঠামো থেকে লাভজনকভাবে ট্রেড করা কঠিন। #SPX এখনো রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি রয়েছে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা মার্কিন স্টক বিক্রি করতে আগ্রহী নয়। প্রায় দুই বছর আগে শুরু হওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা মার্কিন মূল্যস্ফীতির ধীরগতি এবং ফেডের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। সুদের হার কমানোর আলোচনা কয়েক মাস ধরে চলছে, এবং স্টক মার্কেট ইতোমধ্যেই ফেডের মুদ্রানীতি নমনীয় করার প্রত্যাশাকে মূল্যায়ন করেছে। ফলে, স্টক মার্কেটের আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সীমিত হতে পারে, কারণ ফেড এখনো সুদের হার দ্রুত কমানোর বিষয়ে সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেছে। ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল মার্কিন সিনেটে অর্ধ-বার্ষিক শুনানিতে বক্তব্য রেখেছেন। তার বক্তব্য গত সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তবে সোমবারের সেশনে মূলত সিনেটরদের প্রশ্নোত্তর পর্বের উপর দৃষ্টিপাত করা হয়।
পাওয়েলের মূল বক্তব্য বর্তমান মুদ্রানীতি পূর্বের তুলনায় কম কঠোর। মার্কিন অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে, যা ফেডকে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করতে সাহায্য করছে। দ্রুত বা আক্রমণাত্মক হার কমানো ডিসইনফ্লেশনের (মূল্যস্ফীতি হ্রাস) গতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ধীরগতিতে বা সীমিত মাত্রায় সুদের হার হ্রাস অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ও চাকরির বাজারকে দুর্বল করতে পারে। ফেড সুদের হার সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গ্রহণ করবে। মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চ স্তরে রয়েছে, তাই ফেড শিগগিরই আরও নমনীয় অবস্থান গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। যদি অর্থনীতি শক্তিশালী থাকে, তাহলে দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর আর্থিক নীতিমালা বজায় রাখা হবে। ফেড শুধুমাত্র তখনই সুদের হার কমানো শুরু করবে, যদি শ্রমবাজার গুরুতরভাবে দুর্বল হয় বা মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার তুলনায় দ্রুত হ্রাস পায়।
সার্বিক উপসংহার #SPX-এর বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, সূচকটির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদে 6,093 লেভেল এবং ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির ওপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা উচিত। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বাণিজ্য নীতিমালা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত (শুল্ক, আমদানি নিষেধাজ্ঞা) মার্কিন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। স্টক মার্কেটে বাবলের শঙ্কা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা একটি বড় কারেকশনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 4-ঘণ্টার চার্ট অনুযায়ী, আরও তিনটি ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভের সুযোগ রয়েছে। তবে, দৈনিক চার্টের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষের দিকে রয়েছে। আমি দৈনিক টাইমফ্রেমের ওপর বেশি নির্ভর করি, যা শীঘ্রই মার্কেটে প্রবণতার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। হায়ার টাইমফ্রেম বিশ্লেষণে একটি স্পষ্ট পাঁচ-ওয়েভ কাঠামো দৃশ্যমান। ওয়েভ ৫ শেষের দিকে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সামনে দীর্ঘমেয়াদী এবং জটিল কারেকশন দেখা যেতে পারে। আমার বিশ্লেষণের মূল নীতিমালা: ওয়েভ স্ট্রাকচার সহজ ও স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল ওয়েভ প্যাটার্ন ট্রেড করা কঠিন করে তোলে এবং প্রায়শই পরিবর্তিত হয়। যদি বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে অনিশ্চিত থাকেন, তবে ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন। মূল্যের মুভমেন্টের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া কখনোই সম্ভব নয়। সর্বদা স্টপ লস ব্যবহার করুন। ওয়েভ বিশ্লেষণকে অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি এবং ট্রেডিং কৌশলের সঙ্গে সংযুক্ত করা উচিত।
*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।
Read more: https://ifxpr.com/3CKgzfT
|
|
|
১৪ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার প্রকাশিতব্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের সংখ্যা খুব বেশিও না আবারও খুব কমও না। ইউরোজোনে চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে করবে, যা বস্তুত প্রথম বা তৃতীয় অনুমানের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; দুটিই তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, তবে এগুলোর প্রভাবে মার্কেটে বিশেষভাবে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশা করা হচ্ছে না। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, তবে ঘন ঘন পুনরুদ্ধার বা কারেকশন দেখা যাচ্ছে। আজকের দিনও এর ব্যতিক্রম না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই, কারণ কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বক্তব্য নির্ধারিত নেই। তবে, এই মুহূর্তে ট্রেডারদের এসব বক্তৃতার প্রয়োজন নাও হতে পারে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, এবং ফেডারেল রিজার্ভের অবস্থান বেশ স্পষ্ট এবং শিগগিরই তার কোন পরিবর্তন হবে বলে মনে হচ্ছে না। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে, যা মূলত টেকনিক্যাল কারণেই ঘটছে এবং এটি প্রায় ৮০% সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি এই কারেকশন আরও এক মাস চলতে পারে, তারপর নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে, যা দৈনিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে মার্কেটে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মার্কেটে এখনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই যৌক্তিক মুভমেন্ট আশা করা উচিত নয়। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য টানা তিন দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে, তবে আজ সহজেই দরপতন শুরু হতে পারে। কারেকশন সবসময়ই জটিল গঠন অনুসরণ করে, যেখানে ঘন ঘন পুনরুদ্ধার এবং অভ্যন্তরীণ মুভমেন্ট দেখা যায়।
Read more: https://ifxpr.com/3CF9eON
|
|
|
মার্কিন স্টক মার্কেট অতিরিক্ত অস্থিতিশীল হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে
মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে; তবে স্টক সূচকসমূহ এমন গুরুত্বপূর্ণ লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যেখানে টেক প্রফিটের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। অনিশ্চয়তার মধ্যে গত সপ্তাহ শেষ হয়েছে: S&P 500 সূচকে অপরিবর্তিত অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে, নাসডাক সূচক 0.4% বেড়েছে, আর ডাও জোন্স সূচক 165 পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। মার্কেটে উচ্চমাত্রার অস্থিরতার প্রধান কারণ ছিল মার্কিন খুচরা বিক্রয়ের প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল, যা জানুয়ারিতে 0.9% হ্রাস পেয়েছে, যা গত এক বছরে সবচেয়ে বড় পতন। এটি মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি ভোক্তা ব্যয়ের বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে, বিনিয়োগকারীরা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলি, যেমন ট্রাম্পের নতুন করে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা এবং ইউক্রেন সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের প্রচেষ্টার ব্যাপারে বিশ্লেষণ করতে থাকায় মার্কেট মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। ওয়াল স্ট্রিট পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে বিলম্বের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে, যা সপ্তাহব্যাপী স্টক সূচকসমূহে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে: S&P 500 সূচক 1%, ডাও জোন্স সূচক 0.3% এবং নাসডাক সূচক 1.7% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে।
প্রযুক্তি খাত মার্কেটে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে প্রযুক্তি খাত মার্কিন স্টক মার্কেটে নেতৃত্ব দিচ্ছে: শক্তিশালী আয়ের প্রতিবেদনের কারণে এয়ারবিএনবি-এর শেয়ারের দর 14.4% বেড়েছে। নতুন করে বিটকয়েন সংশ্লিষ্ট আলোচনার কারণে গেমস্টপের শেয়ারের দর 2.6% বেড়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি লোকসান সত্ত্বেও মডার্নার স্টকের মূল্য 3.3% মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশার প্রতিফলন ঘটিয়ে এলি লিলির শেয়ারের মূল্য 3% হ্রাস পেয়েছে। আগামী সপ্তাহের পূর্বাভাস: সতর্ক আশাবাদ ও ফেডের দিকে দৃষ্টি নতুন সপ্তাহটি সতর্ক আশাবাদের সঙ্গে শুরু হচ্ছে, তবে ট্রেডাররা অপেক্ষা করার পথ বেছে নিয়েছে। FOMC-এর সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, যা ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিতে পারে। এছাড়া, ফেডের কয়েকজন কর্মকর্তা বক্তব্য দেবেন, যা সুদের হার সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও স্পষ্ট করতে পারে।
আগামী সপ্তাহের পূর্বাভাস: সতর্ক আশাবাদ ও ফেডের দিকে দৃষ্টি নতুন সপ্তাহটি সতর্ক আশাবাদের সঙ্গে শুরু হচ্ছে, তবে ট্রেডাররা অপেক্ষা করার পথ বেছে নিয়েছে। FOMC-এর সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, যা ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিতে পারে। এছাড়া, ফেডের কয়েকজন কর্মকর্তা বক্তব্য দেবেন, যা সুদের হার সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও স্পষ্ট করতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন যা পর্যবেক্ষণ করা উচিত: মার্কিন আবাসন বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন: বিল্ডিং পারমিট, হাউজিং স্টার্টস এবং এক্সিস্টিং হোম সেলস সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে প্রভাব ফেলবে। এই পরিসংখ্যানগুলো মার্কিন নির্মাণ খাতের অবস্থা তুলে ধরবে, যা সুদের হার পরিবর্তনের জন্য সংবেদনশীল। S&P Global-এর PMI সূচক: সূচকটির ফলাফল ইঙ্গিত দেবে যে উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধির গতি স্থিতিশীল আছে কি না। PMI সূচকের ফলাফল শক্তিশালী হলে, এটি ফেডের সুদের হার উচ্চমাত্রায় বজায় রাখার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করবে, যা স্টক মার্কেটের উপর চাপ তৈরি করতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন যা পর্যবেক্ষণ করা উচিত: মার্কিন আবাসন বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন: বিল্ডিং পারমিট, হাউজিং স্টার্টস এবং এক্সিস্টিং হোম সেলস সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে প্রভাব ফেলবে। এই পরিসংখ্যানগুলো মার্কিন নির্মাণ খাতের অবস্থা তুলে ধরবে, যা সুদের হার পরিবর্তনের জন্য সংবেদনশীল। S&P Global-এর PMI সূচক: সূচকটির ফলাফল ইঙ্গিত দেবে যে উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধির গতি স্থিতিশীল আছে কি না। PMI সূচকের ফলাফল শক্তিশালী হলে, এটি ফেডের সুদের হার উচ্চমাত্রায় বজায় রাখার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করবে, যা স্টক মার্কেটের উপর চাপ তৈরি করতে পারে।
S&P 500: বুলিশ মোমেন্টাম অব্যাহত রয়েছে S&P 500 সূচক 6,100 লেভেলের ওপরে রয়েছে, যা বর্তমান দৃঢ় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করছে। যদি সূচকটি 6,120-এর ওপরে থাকে, তাহলে এটি 6,150-এ যেতে পারে, যেখানে টেক প্রফিট শুরু হতে পারে। 6,150-এর ব্রেকআউট করে সূচকটি উপরের দিকে গেলে, নতুন লক্ষ্যমাত্রা হবে 6,180 – 6,200, যা সূচকটিকে নতুন সর্বকালের সর্বোচ্চ লেভেলের দিকে নিয়ে যেতে পারে। মূল সাপোর্ট এখন 6,100-এ অবস্থিত, এবং সূচকটি এই লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে গেলে 6,080 এবং 6,050-এর দিকে কারেকশন হতে পারে। যদি বিয়ারিশ প্রবণতা হয়, তাহলে 6,000-এর কাছাকাছি মূল সাপোর্ট জোনে সূচকটির পতন ঘটতে পারে, যেখানে 50-দিনের SMA অবস্থিত।
ইনডিকেটর: RSI (14) = 62, যা নির্দেশ করে যে সূচকটি ওভারবট স্ট্যাটাসের কাছাকাছি যাচ্ছে, তবে এখনো কোনো রিভার্সাল সিগন্যাল দেখা যাচ্ছে না। MACD বুলিশ জোনে রয়েছে, যা মার্কেটে ইতিবাচক পরিস্থিতি নিশ্চিত করছে। 50-দিনের SMA 6,000-এর কাছাকাছি অবস্থান করছে, যা একটি প্রধান গতিশীল সাপোর্ট হিসেবে কাজ করছে। যদি S&P 500 সূচকও 6,120-এর ওপরে থাকে, তাহলে এটি আরও বৃদ্ধি পেয়ে 6,150 এবং তার ওপরে যেতে পারে। তবে, যদি সূচকটি 6,100-এর নিচে নামে, তাহলে কারেকশন হয়ে 6,080 – 6,050 লেভেলে পৌঁছাতে পারে।
নাসডাক 100 সূচক 22,200 টেস্ট করছে নাসডাক 100 সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা প্রযুক্তি খাতের ইতিবাচক প্রবণতা প্রতিফলিত করছে। মূল রেজিস্ট্যান্স লেভেল 22,200, এবং এই লেভেল ব্রেকআউট করে সূচকটি উপরের দিকে গেলে 22,500-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা নতুন রেকর্ড উচ্চতা নির্ধারণ করবে। তবে, ওভারবট সিগন্যাল কারেকশন সম্ভাবনা বৃদ্ধি করছে, বিশেষত যদি বিনিয়োগকারীরা টেক প্রফিট সেট করে বা মুনাফা সংগ্রহ শুরু করে।
সাপোর্ট লেভেলসমূহ: 22,000: যদি সূচকটি এই লেভেলের নিচে নামে, তাহলে কারেকশন হয়ে সূচকটি 21,800-এর দিকে যেতে পারে। 21,600: গভীর কারেকশন হলে সূচকটি এই লেভেল টেস্ট হতে পারে, যেখানে 50-দিনের SMA অবস্থান করছে। সূচকসমূহ: RSI (14) = 70, যা নির্দেশ করে যে মার্কেটে ওভারবট সিগন্যাল রয়েছে এবং কারেকশনের সম্ভাবনা বাড়ছে। MACD বুলিশ জোন রয়েছে, তবে মোমেন্টামের সম্ভাব্য মন্দার সংকেত দিচ্ছে। 50-দিনের SMA 21,600-এ রয়েছে, যা কারেকশনের ক্ষেত্রে একটি প্রধান সাপোর্ট লেভেল হিসেবে কাজ করবে। ওভারবট স্ট্যাটাসের কারণে স্বল্পমেয়াদে কারেকশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি নাসডাক 100 সূচক 22,200-এর ওপরে থাকে, তাহলে মূল্য আরও বৃদ্ধি পেয়ে 22,500-এর দিকে যেতে পারে। তবে, যদি সূচকটি 22,000-এর নিচে নামে, তাহলে এটি 21,800 – 21,600-এর দিকে নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3EDlAaL
|
|