|
|
|
|
|
ট্রেডারদের জন্য ডেইলী ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস- ২০২৪
এশীয় সেশন চলাকালীন সময়ে বিশ্লেষণ এবং পূর্বাভাস
আজ এশীয় সেশন চলাকালীন সময়ে, জাপানের CPI (ভোক্তা মূল্য সূচক) প্রতিবেদন প্রকাশের পর, জাপানি ইয়েন মার্কিন ডলারের বিপরীতে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছে। জাপানের মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংক অফ জাপানের আক্রমনাত্মক মুদ্রানীতি প্রণয়নের সম্ভাবনা শক্তিশালী হয়েছে, যা ইয়েনকে সমর্থন করে এবং USD/JPY পেয়ারের মূল্যকে নিম্নমুখী করে। যাইহোক, ইউরোপীয় সেশন চলাকালীন সময়ে, ডলারের মূল্য পুনরায় বাড়তে শুরু করে। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়েছে কারণ গতকালের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রভাবে মার্কিন ডলারের সাম্প্রতিক উর্ধ্বমুখী প্রবণতার বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাইহোক, ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের মন্তব্যে ডোভিশ অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত মার্কিন ডলারের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে রোধ করতে পারে। আজ, ট্রেডারদের মার্কিন সুদের হারের ব্যাপারে ভবিষ্যত সম্ভাবনা এবং ট্রেডিংয়ের সম্ভাব্য অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া জন্য মার্কিন PCE (ব্যক্তিগত ব্যয়) সূচকের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ম্লান হয়ে যাচ্ছে, যা বিয়ারিশ প্রবণতার দুর্বলতা নির্দেশ করে। যাইহোক, RSI (14-দিনের রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স) 30-এর উপরে রয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা নিশ্চিত করে। উপরন্তু, USD/JPY পেয়ারের মূল্য 144.50 লেভেলে অবস্থিত ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন টেস্ট করতে পারে। এই লেভেলের নিচে একটি ব্রেক করা হলে সেটি এই পেয়ারের মূল্যকে 140.25-এর সাপোর্ট সহ 5 আগস্টে রেকর্ডকৃত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলের দিকে নিয়ে চলে যেতে পারে। রেজিস্ট্যান্সের বিষয়ে বলতে গেলে, যদি এই পেয়ারের মূল্য 145.00 লেভেলের উপরে কনসলিডেট হয়, তাহলে এটি মূল্যের 146.00-এর দিকে যাওয়ার পথ খুলতে পারে এবং 146.500 এর জোনের দিকে বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4dLJsFw
|
|
|
|
|
|
|
|
|
৩ সেপ্টেম্বরের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক পটভূমির বিশ্লেষণ
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: আবারও, মঙ্গলবারে খুব কমই সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইএসএম ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাক্টিভিটি সূচক, যা দিনের দ্বিতীয়ার্ধে প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় এবং এই সূচক বেশ কিছুদিন ধরে 50.0 এর "গুরুত্বপূর্ণ" স্তরের নিচে ছিল। এই সূচকের ফলাফল বৃদ্ধি পেয়ে পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেলে সেটি মার্কিন ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা কমিটির সদস্য বুখ এবং জোচনিকের বক্তৃতার কথা উল্লেখ করা যায়। যাইহোক, তাদের আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সহকর্মী ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। আমরা মনে করি ইসিবি পরবর্তী বৈঠকে দ্বিতীয়বারের মতো আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করবে। যদি বুচ এবং জোচনিকের বক্তব্যে এই বিষয়টি নিশ্চিত হয় তবে ইউরোর মূল্য আরও কমতে পারে। এছাড়াও, বুন্দেসব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেল বক্তৃতা দেবেন, এবং তিনিও দ্বিতীয়বারের মতো মূল সুদের হার কমানোর প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন।
উপসংহার: মঙ্গলবার, উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন হতে পারে, তবে এটি শুধুমাত্র ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিপরীতে কারেকশনের অংশ হিসেবে ঘটতে পারে। ইউরোর মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের মধ্য দিয়ে ব্রেক করে গেছে, তাই পাউন্ডের তুলনায় ইউরোর মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, পাউন্ডের মূল্য এখনও ট্রেন্ডলাইনের উপরে রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও ইউরোর তুলনায় অনেক কম দরপতনের শিকার হচ্ছে। মঙ্গলবার উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তুলনামূলকভাবে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, কারণ খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নেই, কিন্তু দিনের দ্বিতীয়ার্ধে গুরুত্বপূর্ণ ISM সূচক প্রকাশিত হবে।
Read more: https://ifxpr.com/4dLoNRX
|
|
|
৪ সেপ্টেম্বরের মূল ইভেন্ট: ট্রেডারদের জন্য মৌলিক পটভূমির বিশ্লেষণ
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: আবারও, বুধবারে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইইউ-তে আগস্টের পরিষেবা খাতের কার্যকলাপ সংক্রান্ত সূচকের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে, তবে দ্বিতীয় অনুমানের ফলাফল প্রথম অনুমানের তুলনায় থেকে খুব কমই ভিন্ন হয়ে থাকে। অতএব, এই সূচকসমূহের ফলাফলের প্রভাবে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি সম্ভাবনা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ JOLTs থেকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে মাঝারি মাত্রায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি পারে। ফলস্বরূপ, আজ ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি দেখতে পাওয়ার খুব কমই সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি এল্ডারসনের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে এবং "বেইজ বুক" প্রকাশ করা হবে। দুটি ইভেন্টই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। আমরা ইতোমধ্যেই ইসিবি প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু জানতে পেরেছি এবং ইসিবি সম্ভবত সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমিয়ে দেবে। বেইজ বুকটি শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের একটি সারাংশ, যাতে কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন তথ্য নেই।উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন হতে, কিন্তু এই দরপতনকে শুধুমাত্র চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিরুদ্ধে কারেকশনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ইউরোর মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের ব্রেক করে নিচের দিকে গেছে, তাই পাউন্ডের চেয়ে ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা বেশি, এখনও পাউন্ডের দরপতনের খুব বেশি সম্ভাবনা নেই। সীমিত সংখ্যক মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্টের কারণে বুধবার উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তুলনামূলকভাবে দুর্বল মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3MvNjL2
|
|
|
৫ সেপ্টেম্বরের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক পটভূমির বিশ্লেষণ
[URL="https://ifxpr.com/3ZizkQx"]সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারে নির্ধারিত বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে। ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এদিকে, যুক্তরাজ্যে নির্মাণ খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ADP থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা (ননফার্ম পে-রোলের সাথে তুলনীয়) এবং আইএসএম পরিষেবা খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও, মার্কিন জবলেস বেনিফিট ক্লেইমসের প্রাথমিক আবেদনের সংখ্যা এবং পরিষেবা খাতের স্ট্যান্ডার্ড S&P ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ট্রেডারদের এডিপি এবং আইএসএম থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটারি কমিটির সদস্য তুওমিনেনের বক্তৃতা বৃহস্পতিবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য মৌলিক ইভেন্ট হতে যাচ্ছে। তবে, সেপ্টেম্বরে ইসিবির কাছ থেকে কী আশা করা যায় সে ব্যাপারে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই স্পষ্টভাবে জানে। আমরা মনে করি যে ইসিবির আরেকবার সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও এই তথ্যটি প্রক্রিয়া করেনি, তাই ইসিবির প্রতিনিধির নতুন বক্তৃতা বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটানোর সম্ভাবনা কম। মার্কেটের ট্রেডাররা শুধুমাত্র মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে এবং ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের ব্যাপারে তাদের প্রত্যাশা সমন্বয় করছে।
উপসংহার: বৃহস্পতিবার, উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কিন্তু এটি শুধুমাত্র ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিপরীতে কারেকশনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ইউরোর মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন অতিক্রম করেছে, তাই পাউন্ডের তুলনায় ইউরো আরও বেশি দরপতনের শিকার হতে পারে। এদিকে, পাউন্ডের এখনও দরপতনে খুব বেশি সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যাইহোক, আজ এবং আগামীকাল, পুরো বাজার পরিস্থিতি শ্রম বাজার, বেকারত্ব এবং পরিষেবা খাতে আইএসএম ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সংক্রান্ত মার্কিন প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে।[/URL]
Read more: https://ifxpr.com/3ZizkQx
|
|
|
৯ সেপ্টেম্বর; নন-ফার্ম পেরোলের বিতর্কিত ফলাফল এবং ডলারের জন্য একটি নতুন হুমকি
শুক্রবারে যুক্তিসঙ্গতভাবে EUR/USD পেয়ারের বেশ ভালই দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে, যা হয়তো নাও ঘটতে পারত। যাইহোক, বছরে একবার অলৌকিক ঘটনা ঘটতেই পারে, এবং ট্রেডাররা কোন কারণ ছাড়াই ডলার ক্রয় করতে পারে পারে। মার্কিন শ্রমবাজারের নেতিবাচক পরিস্থিতির কী সমাপ্তি ঘটেছে? বেকারত্ব এবং শ্রম বাজার সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলো থেকে এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। যদিও দেশটির বেকারত্বের হার 4.2%-এ নেমে গেছে, নন-ফার্ম পেরোলের সংখ্যা আবার পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল এবং জুলাইয়ের ফলাফল নিম্নমুখী হয়েছিল। ফলে, আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে মার্কিন শ্রমবাজারে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, এবং 100% সম্ভাবনা রয়েছে যে ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বরে মূল সুদের হার কমিয়ে দেবে। প্রশ্ন থেকে যায়: ফেড সুদের হার কতটা কমিয়ে দেবে? আমাদের মতে উত্তরটি সুস্পষ্ট: মার্কিন সুদের হার 0.25% কমানো হবে। আমরা ব্যাপকভাবে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার জন্য কোন বাধ্যতামূলক কারণ বা ভিত্তি দেখতে পাচ্ছি না। আমরা মনে করি না যে ফেড ব্যাপক মাত্রায় আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করতে শুরু করবে, কারণ এটি করা হলে মুদ্রাস্ফীতির পতন থেমে যেতে পারে। তা সত্ত্বেও, মার্কিন সুদের হার 0.5% কমানোর সম্ভাবনাও বিদ্যমান এবং আগামী সপ্তাহে এই সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আগস্টের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা পূর্বাভাস অনুসারে বার্ষিক ভিত্তিতে 0.3% কমে যেতে হতে পারে। অন্য কথায়, দেশটির মুদ্রাস্ফীতি 2.6% পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। এই পূর্বাভাসটি পূরণ হবে কিনা তা বলা কঠিন, তবে যদি এটি হয় তবে ফেডের কাছে বছরের শেষ নাগাদ তিনবার সুদের হার কমানোর ভিত্তি থাকবে। মনে করে দেখুন যে যখন মুদ্রাস্ফীতি 2.4% এ নেমে আসে তখন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করা শুরু করে। যাইহোক, ইউরোজোনের সুদের হার প্রাথমিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম ছিল তাই, যদি পূর্বাভাস অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতি কমে যায়, তবে ফেড বছরের শেষের দিকে বেশ আক্রমনাত্মকভাবে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ চলমান রাখতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই, আমরা আমাদের আগেই মতামতেই অটল থাকব। এমনকি যদি ফেড দ্রুততম গতিতে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ পরিচালনা করে, মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে দুই বছর ধরে এই বিষয়টি বিবেচনা করেছে এবং এটির উপর ভিত্তি করে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করেছে। অতএব, যে কোনো ক্ষেত্রেই, আমরা মার্কিন ডলারের আরও দরপতনের কোনো কারণ দেখছি না। ইসিবি-র দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত, ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার তাদের একটি বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে সুদের হার আরও 0.25% কমিয়ে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা যথারীতি এই ঘটনা উপেক্ষা করতে পারে. আমাদের মতে, প্রশ্ন হল মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণকে পুরোপুরিভাবে প্রক্রিয়া করেছে কিনা। এই মুহূর্তটি এলে আমরা মার্কিন গ্রিনব্যাকের তীক্ষ্ণ শক্তিশালী হওয়ার আশা করতে পারি। ফেডের মুদ্রানীতির ভিত্তিতে মার্কেটের ট্রেডাররা কবে ডলার বিক্রি শেষ করবে তা সঠিকভাবে বলা অসম্ভব। যাইহোক, এটি মনে রাখা উচিত যে আমরা এখনও সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে, এই পেয়ারের মূল্য হরিজন্টাল চ্যানেলের উপরের সীমানার কাছাকাছি রয়েছে। আমরা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নতুন করে ইউরোর দর বৃদ্ধির আশা করিনি, তবে এটি মূলত কিছুই পরিবর্তন করে না। এখনও দীর্ঘমেয়াদে ইউরোর দরপতনের অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/47izdGo
|
|
|
গোল্ডের (XAU/USD) ট্রেডিং সিগন্যাল
মার্কিন সেশনের শুরুর দিকে, গোল্ড 2,497 এর কাছাকাছি, 200 EMA এর নিচে, 21 SMA এর নিচে এবং 8/8 মারে এর নিচে ট্রেড করেছে। ইউরোপীয় সেশন চলাকালীন সময়ে, আমরা 2,483 এরিয়ার দিকে দরপতন লক্ষ্য করেছি। এই লেভেল থেকে, আমরা গোল্ডের পুনরুদ্ধার হতে দেখছি, তাই আগামী ঘন্টাগুলোতে গোল্ডের দর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এই জন্য, আমাদের 2,503 এর উপরে কনসলিডেশনের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। যদি আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে 2,503 এর উপরে গোল্ডের মূল্যের কনসলিডেশন হয় এবং বুলিশ ট্রেন্ড চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং চলমান থাকে, আমরা আশা করতে পারি এটির মূল্য প্রায় 2,528 এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাবে। এই এরিয়াটি একটি শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স জোনের প্রতিনিধিত্ব করে যা 19 আগস্ট থেকে গোল্ডের মূল্য টেস্ট করছে। যদি বুলিশ ফোর্স বিরাজ করে, আমরা আশা করতে পারি গোল্ডের মূল্য 2,539 এবং অবশেষে, 2,573-এ পৌঁছবে। অন্যদিকে, যদি গোল্ডের মূল্য 2,503-এর উপরে কনসলিডেট করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা বিয়ারিশ প্রবণতার পুনঃসূচনা আশা করতে পারি। সুতরাং, গোল্ডের মূল্য 2,489-এ পৌঁছতে পারে। যদি গোল্ড 2,485-এর নিচে ট্রেড করে, তাহলে প্রবণতা পরিবর্তন হতে পারে এবং আপট্রেন্ড চ্যানেলের ব্রেক ঘটতে পারে। তারপর, ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য 2,471 এ অবস্থিত প্রায় 200 EMA-এ নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3XBjYVH
|
|
|
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারের খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে আজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মূল বিষয় হল যে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে যুক্তরাজ্য বা ইউরোজোনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি আগ্রহী নয়৷ সকল ট্রেডার মার্কিন ডলার এবং ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। অতএব, শুধুমাত্র সেই প্রতিবেদনগুলো এখন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যা সরাসরি ফেডের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। আজ, এমন একটি প্রতিবেদন মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদন সম্পর্কে ইতোমধ্যে অনেক কিছু বলা হয়েছে।এটি ছাড়াও, যুক্তরাজ্যের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, তবে এটি প্রান্তিক ভিত্তিক প্রতিবেদন নয় যা কিছুটা গুরুত্ব বহন করে, এটি শুধুমাত্র মাসিক এবং তিন মাসের জিডিপি প্রতিবেদন। যুক্তরাজ্যে শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হবে। ব্রিটিশ প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া দুর্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: আবারও, বুধবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। আগামীকাল ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, তারপরে আগামী সপ্তাহে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ সুতরাং, এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে কোনটিরই এখনই মুদ্রানীতির সম্ভাবনার বিষয়ে মন্তব্য করার সম্ভাবনা নেই, কারণ এটি অনুমোদিত নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের "ব্ল্যাকআউট পিরিয়ড" বা মুখে কুলূপ এটে থাকার সময়কাল শুরু হয়েছে, কিন্তু নতুন কোন মন্তব্য না পেলেও মার্কেটের ট্রেডাররা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছে যে তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কী আশা করা যায়।
উপসংহার: বুধবার, উভয় কারেন্সি পেয়ার উভয় দিকে ট্রেড করতে পারে, কারণ সার্বিক পরিস্থিতি মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল এবং প্রায় ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে পূর্বাভাসের তুলনায় দুর্বল ফলাফল দেখা গেলে ডলারের দরপতনের আশা করা যায়।
Read more: https://ifxpr.com/3B0LEuq
|
|
|
১২ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট বজায় ছিল। আপনা মনে করিয়ে দিতে চাই যে গতকাল "এ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন" আগস্টের মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশিত হয়েছিল৷ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি 2.5%-এ নেমে এসেছে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে আরও আক্রমনাত্মকভাবে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। অতীতে, এই ধরনের ফলাফল মার্কিন ডলারের দরপতনকে উস্কে দিত, কিন্তু এবার তা ঘটেনি। যদিও খুব বেশি না হলেও গতকাল ডলার শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি মার্কিন মুদ্রার জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত, যা 2024 জুড়ে দরপতনের শিকায় হয়েছে। আমরা বারবার সতর্ক করেছিলাম যে ডলার অত্যধিক বিক্রি হচ্ছে এবং এটির মূল্য অযৌক্তিকভাবে সস্তা রয়েছে এবং ট্রেডাররা এটি বিক্রি করার জন্য প্রায় কোনও কারণ ব্যবহার করছে, যা অযৌক্তিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সম্ভবত ডলারের ন্যায্য মূল্য ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দুর্বল হলেও তা এখনও বিদ্যমান ও অব্যাহত আছে, এবং ডলারের মূল্য ধীরগতিতে হলেও নিশ্চিতভাবে বাড়ছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, পুরো ইউরোপীয় সেশন জুড়ে মূল্য 1.1048 লেভেল বরাবর ফ্ল্যাট মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। তারপরে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, এবং 15 মিনিটের মধ্যে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1048 থেকে 1.1011-এ নেমে আসে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে তারপরও এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা খুব দুর্বল ছিল। যাইহোক, নতুন ট্রেডাররা সম্ভবত এই সিগন্যাল কাজে লাগাতে সক্ষম হয়নি, কারণ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি কমে যাওয়ায় যৌক্তিকভাবে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল, দরপতন নয়।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে: প্রতি ঘণ্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইনের নিচে কনসলিডেট হয়েছে এবং দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি করার সুযোগ রয়েছে যা সমস্ত কারণ এবং বিশ্লেষণের সাথে যৌক্তিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। দুর্ভাগ্যবশত, নিম্নমুখী কারেকশনের পরে পুনরায় অযৌক্তিকভাবে ডলার বিক্রি করা শুরু হতে পারে, কারণ কেউ জানে না যে মার্কেটে কতক্ষণ ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের প্রভাবের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ অব্যাহত থাকবে, যা এখনও শুরু হয়নি। যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের প্রায় সবগুলো ভবিষ্যত সুদের হার কমানোর ভিত্তিতে ডলারের মূল্য হ্রাস অব্যাহত রেখেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ইতিবাচকের চেয়ে প্রায় ক্ষেত্রেই হতাশাজনক হচ্ছে। তবুও, ডলারের মূল্যের "ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার" দিকে প্রথম অস্থায়ী পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। যদি বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্য 1.1011 লেভেলের নিচে কনসলিডেট হয়, তাহলে নতুন ট্রেডাররা নতুন করে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারে। 5M টাইম ফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132, 1.1191, এবং 1.1275-1.1292। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোনে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক এবং ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা নির্ধারিত রয়েছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, উৎপাদক মূল্য সূচক এবং আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে৷ অবশ্য, ট্রেডারদের মনোযোগ লাগার্ডের বক্তৃতা প্রতি নিবদ্ধ থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/47pS16K
|
|
|
কেন এত দ্রুতগতিতে ইউরোর দরপতন হচ্ছে
যদিও ইউরোর মূল্য একটি গভীর এবং উল্লেখযোগ্য কারেকশনের সম্মুখীন হচ্ছে, ইউরোজোনের ভোক্তারা তাদের মানিব্যাগ খোলার জন্য কোন তাড়াহুড়ো করছেন না, যা কিছু বিশেষজ্ঞকে এটি ভাবতে প্ররোচিত করছে যে আদতেও ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ঘটবে কিনা। এদিকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ ব্যাপকভাবে প্রত্যাশা করছেন যে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে দ্রুতই এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হবে। 20টি দেশ নিয়ে গঠিত ইউরোপীয় ব্লকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এই বছরের প্রথমার্ধে পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেলেও এখন এটি ধীরে ধীরে কমছে। এই অঞ্চলের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে, পরিবারগুলো অর্থনৈতিক মন্দার ক্ষতিপূরণ করবে পারে না এবং ভোক্তাদের মনোভাব প্রাক-মহামারী স্তরের নিচে নেমে গেছে।
যদিও ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি এখন 2% এর কাছাকাছি রয়েছে, কিন্তু ইসিবির কর্মকর্তারা এই চ্যালেঞ্জ দেখছেন যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের অর্থনীতি মন্দার মুখোমুখি হবে, যা আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার বিষয়টি আরও সমর্থন পাচ্ছে। ফলে, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে ইসিবি কর্তৃক সুদের হার আরও কমাতে দেখতে পারি। যদি ইউরোজনের অর্থনৈতিক মন্দা 2025 সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এবং মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার নিচে নেমে আসে, তাহলে ইসিবির মুদ্রানীতি আরও আমূলভাবে নমনীয় করার প্রয়োজন হতে পারে। মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইসিবি-র জন্য ইদানীং ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ হয়ে উঠেছে বলে মনে হচ্ছে, এবং দুর্বল ভোক্তা ব্যয় এটির প্রত্যক্ষ প্রমাণ। কাগজে কলমে, ভোক্তা চাহিদা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই রয়েছে: মুদ্রাস্ফীতি ইতিমধ্যেই 10.6%-এর সর্বোচ্চ থেকে 2.2%-এ নেমে এসেছে, বেকারত্ব রেকর্ড নিম্নস্তরে পৌঁছেছে, ব্যক্তিগত আয় ব্যক্তিগত ব্যয়ের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে এবং ঋণের স্বল্প খরচ বন্ধকী ঋণগুলোকে সস্তা করে তুলবে৷ একবার যদি ইউরোজোনের জনসাধারণ বুঝতে পারে যে মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং সুদের হার দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে, তাহলে সম্ভবত ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধি খুব বেশি দূরে নেই। যাইহোক, এই কারণগুলো সত্ত্বেও, ব্যয়ের মাত্রা খুব সংযত থাকে এবং শীতকাল সবসময়ই ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধির জন্য খারাপ সময়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইউরোজোনের গৃহস্থালি ব্যবহার্যের ব্যয় 0.1% কমেছে। ইউরোজোনের 20টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে একই সময়ের মধ্যে গৃহস্থালি পণ্যের ব্যবহার আরও তীব্রভাবে কমেছে। গত সপ্তাহে ভক্সওয়াগেন এজি ঘোষণা দিয়েছে যে তারা 87 বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশীয় বাজারে উৎপাদক প্ল্যান্ট বন্ধ করতে পারে। এটি এই অঞ্চলের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে আস্থা বাড়ায় না। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অর্থনীতিবিদ উল্লেখ করেছেন যে সমগ্র অঞ্চলের ভোক্তা ব্যয় দুর্বল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, ফলে এই বছর 0.9% জিডিপি প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে ইসিবির পূর্বাভাস চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সর্বশেষ খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফলও পূর্বাভাস অতিক্রম করতে পারেনি, যা শুধুমাত্র 0.1% বৃদ্ধি পেয়েছে, এদিকে প্রত্যাশিত ব্যয় সূচক ফেব্রুয়ারি 2022 সালের পর সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। সুদের হার কমানোর পাশাপাশি, ইসিবির বৈঠকে এই বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারের পূর্বাভাসের নিম্নমুখী সংশোধন অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি ইদানীংকালে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর সক্রিয়ভাবে দরপতনের আরেকটি কারণ। নিম্নমুখী সংশোধিত পূর্বাভাস সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরে সুদের হার হ্রাসের পাশাপাশি অক্টোবরেও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাও বাড়িয়ে তুলবে, যে বিষয়টি ইতোমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেছে।
Read more: https://ifxpr.com/3XCGVIi
|
|
|
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ আমি দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যে লেভেলগুলোর কথা উল্লেখ করেছিলাম সেগুলোর কোন টেস্ট হয়নি। ফলস্বরূপ, মার্কেটে উপযুক্ত এন্ট্রি পয়েন্ট খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ছিল। মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশ হওয়া সত্ত্বেও, স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা এবং ইউরোর সীমিত চাহিদা এই পেয়ারের মূল্যকে হরিজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে। আজ, ইউরো দরপতনের সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, কারণ ইউরোজোনে আগস্ট মাসের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অপেক্ষাকৃত দুর্বল ফলাফল প্রকাশের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইউরোজোনে ZEW ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিতব্য বিজনেস সেন্টিমেন্ট ইনডেক্সের ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে দুর্বল হতে পারে, যা আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের আগে যুক্তিসঙ্গতভাবে ইউরোর মূল্যের যথেষ্ট কারেকশন ঘটাতে পারে। প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়ার অভাব দেখা গেলে সেটি এই পেয়ারের মূল্যের আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্দেশ করবে। সেক্ষেত্রে, আমি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশায় এই পেয়ার কেনার কথা বিবেচনা করব। দৈনিক কৌশল হিসাবে, আমি দৃশ্যপট নং 1 এবং 2 বাস্তবায়নের উপর বেশি নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল দৃশ্যপট নং 1: আজ যখন মূল্য 1.1178-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.1136-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1178-এর লেভেলে গেলে, আমি মার্কেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। গতকালের বুলিশ মোমেন্টামের ধারাবাহিকতায় আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির উপর নির্ভর করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ! কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। দৃশ্যপট নং 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1117-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1136 এবং 1.1178-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল দৃশ্যপট নং 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1117-এর লেভেলে পৌঁছানোর পরে আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1078-এর লেভেল, যেখানে আমি মার্কেট থেকে বের হয়ে অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরো কিনতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল অতিক্রম করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে এবং ইউরোজোনে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের ফলাফল দুর্বল হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং এটি থেকে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। দৃশ্যপট নং 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1136-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1117 এবং 1.1078-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3XAVzPc
|
|
|
১৮ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং সেগুলোর কোনটিই খুব বেশি তাৎপর্যপূর্ণ নয়। ইউরোজোনে, আগস্টের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনের চূড়ান্ত অনুমান প্রথমটি থেকে খুব কমই আলাদা হয়ে থাকে, তাই এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়ার আশা করা যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, নতুন বাড়ি বিক্রয় এবং বিল্ডিং পারমিটের সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো তুলনামূলকভাবে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, যেগুলোর 20-30 পিপসের বেশি প্রতিক্রিয়া শুরু করার সম্ভাবনা নেই। তাই ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক পর্যন্ত মার্কেট ফ্ল্যাট থাকতে পারে। সবাই মূল সুদের হার নিয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: বুধবারের জন্য নির্ধারিত শুধুমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইভেন্ট রয়েছে। সন্ধ্যায়, ফেডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। 99% সম্ভাবনা আছে যে মূল সুদের হার কমানো হবে, কিন্তু এটি কত বেসিস পয়েন্ট কমানো হবে তা এখনও অস্পষ্ট। আমাদের মতে, মার্কেটের ট্রেডাররা ধারণা করছে যে সুদের হার 0.5% কমানো হবে, যদি ফেড এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়, তবে ডলারের আরও দরপতন পারে, কারণ এটি সম্ভাব্য সব বিকল্পের মধ্যে সবচেয়ে নেতিবাচক। সুদের হার 0.25% কমানোর সম্ভাবনাও বেশি, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই এর ভিত্তিতে বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে। তাই, এই ধরনের সিদ্ধান্তের পরে, ডলার আরও শক্তিশালী হতে পারে। প্রেস কনফারেন্সে জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য এবং ডট-প্লট চার্টও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা ভবিষ্যতের সুদের হার সম্পর্কে ফেড কমিটির সদস্যদের প্রত্যাশা প্রদর্শন করবে।
উপসংহার: বুধবার, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য উভয় দিকেই যেতে পারে. আমরা সারা দিন অপেক্ষাকৃত মন্থর মুভমেন্ট দেখতে পাব, কিন্তু সন্ধ্যায়, যেকোন দিকে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের "বিস্ফোরণ" দেখা যেতে পারে। মার্কেটে ইতোমধ্যেই ডলার বিক্রি করে সুদের হার 0.25% কমানোর ভিত্তিতে ইন্সট্রুমেন্টগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, কিন্তু সুদের হার 0.5% কমানো হলে সেট নতুন করে মার্কিন মুদ্রার দরপতন ঘটাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/47t9zPr
|
|
|
১৯ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সম্ভবত ট্রেডাররা উপেক্ষা করবে। মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে ইতোমধ্যেই প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে, যার ফলে তারা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দেবে এমন সম্ভাবনা কম। দিনের প্রথমার্ধে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই ফেডারেল রিজার্ভের গতকালের বৈঠকের সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, ট্রেডারদের দৃষ্টি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের দিকে সরে যাবে।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে। দুপুরের দিকে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সুদের হারের সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। এখানে কোনো অস্পষ্টতা নেই। গতকাল যেমন ফেডের সুদের হার কমানোর বিষয়ে ট্রেডাররা 100% নিশ্চিত ছিল, তেমনি আজও ট্রেডাররা হার সমানভাবে নিশ্চিত যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে। তবে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকে শুধুমাত্র সুদের হারের সিদ্ধান্তই নেয়া হবে না। মুদ্রানীতি কমিটির কতজন সদস্য সুদের হার কমাতে সমর্থন দিচ্ছেন তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ (পূর্বাভাস অনুযায়ী দুইজন সদস্য সুদের হার কমানোর পক্ষে ভোট দিতে পারেন)। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির অবস্থান বোঝা এবং মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনীতির হালনাগাদকৃত পূর্বাভাস পর্যালোচনা করাও গুরুত্বপূর্ণ হবে। অতএব, শুধুমাত্র সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তই আজকের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক নয়।
উপসংহার: বৃহস্পতিবার, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উচ্চমাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। প্রথমত, ইউরোপীয় সেশনে ট্রেডাররা ফেডের সিদ্ধান্তের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে। দ্বিতীয়ত, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। অতএব, আজ আরেকটি ঝড় হতে পারে। সন্ধ্যার মধ্যে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য কোথায় যেতে পারে তার ভবিষ্যদ্বাণী ভুল কাজ হবে, কারণ মৌলিক পটভূমি খুবই শক্তিশালী। ডলার গতকাল থেকে শুরু হওয়া দরপতন এড়াতে পারে কিনা সেটিও গুরুত্বপূর্ণ হবে। যদি ডলারের দরপতন রোধ করা যায় তাহলে সম্ভাব্যভাবে এটির দর বৃদ্ধির আশা করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3TAyhrv
|
|
|
২৩ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর সবই একই ধরনের প্রতিবেদন। জার্মানি, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের সেপ্টেম্বরের পিএমআই (পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে৷ এটি লক্ষণীয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ আইএসএম পিএমআই সূচক প্রকাশ করা হয়, যা আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। এই সূচকগুলোর মার্কেট সেন্টিমেন্টকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা নেই, ট্রেডাররা মূলত ধারাবাহিকভাবে মার্কিন ডলার বিক্রি করে চলেছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এই সপ্তাহে খোলাখুলিভাবে বলেছেন যে মার্কিন অর্থনীতি ভাল অবস্থায় রয়েছে। যদি মার্কেটের ট্রেডাররা এই মন্তব্যের দিকে মনোযোগ দেয় তবে মার্কিন মুদ্রার ক্রমাগত দরপতন হবে না।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: সোমবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা কমিটির সদস্য এল্ডারসন এবং সিপোলোন এবং ফেডের প্রতিনিধি গুলসবি এবং বস্টিকের বক্তৃতা লক্ষণীয়। যাইহোক, যেহেতু ইতোমধ্যেই উভয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ঘোষণা করা হয়েছে, তাই এই কর্মকর্তারা মার্কেটে নতুন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন এমন সম্ভাবনা কম।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে পারে, একটি কারেকশন শুরু হতে পারে বা স্থানীয় পর্যায়ে ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং করা হতে পারে। বর্তমানে শুধুমাত্র স্থানীয় পর্যায়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন ডলার বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত মৌলিক কারণ ব্যবহার করছে। অতএব, PMI প্রতিবেদনের সম্ভাব্য স্বল্প মাত্রার প্রভাব বিবেচনা করার সাথে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা উচিত হবে।
Read more: https://ifxpr.com/3XEoMZt
|
|
|
২৪ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। দিনের একমাত্র কিছুটা উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে IFO ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিতব্য জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট সূচকের কথা বলা যেতে পারে এই৷ আমাদের মতে, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়ার আশা না করা ভাল - যদি কোনো প্রতিক্রিয়া থেকেও থাকে, তবে তা সম্ভবত ন্যূনতম হবে। ফলে, আজ, মার্কেটে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে না। ইউরোর মূল্য সম্ভবত 1.1091-1.1191 এর হরিজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকবে, যখন পাউন্ডের মূল্যের হয় ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে বা 1.3365 লেভেলের কাছাকাছি মূল্য বৃদ্ধিতে বিরতি নেয়া হতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নেই। ইউরোজোনে, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের মুদ্রা কমিটির প্রতিনিধি ম্যাককল একটি বক্তৃতা দেবেন, কিন্তু গত দেড় সপ্তাহ ধরে, আমরা সম্ভবত প্রায় ইসিবির কমিটির সকল সদস্যদের কাছ থেকে মুদ্রানীতি নিয়ে তাদের মতামত শুনেছি। অতএব, ম্যাককল আজ কোন নতুন তথ্য প্রদান করবে এমন সম্ভাবনা কম। উপসংহার: মঙ্গলবার, ইউরোর মূল্য হরিজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকতে পারে, যখন পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও ইউরো দর বৃদ্ধি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে বিরতি নেয়, তবে পাউন্ড তা করতে সক্ষম হবে বলে মনে হয় না। যাইহোক, এমনকি ইউরোর মূল্যের স্থানীয় উচ্চতায় অবস্থান করলেও, এটি সঠিক কারেকশনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। সুতরাং, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে বর্তমানে খুব কমই যৌক্তিকতা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4dgYP83
|
|
|
ইউরোর মূল্য বাড়ছে কিন্তু ফ্ল্যাট মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে
মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে এই পেয়ারের মূল্য সেনকৌ স্প্যান বি লাইন থেকে বাউন্স করেছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে, এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে এটাও স্পষ্ট যে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই পেয়ার 1.1092 এবং 1.1185 লেভেলের মধ্যে অবস্থিত একটি হরিজন্টাল চ্যানেলে ট্রেড করছে। যেহেতু সর্বশেষ বাউন্স এই চ্যানেলের নিম্ন সীমানা থেকে ঘটেছে, তাই আমরা উপরের সীমানার দিকে মুভমেন্ট আশা করতে পারি। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে ইউরোর সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনেরও প্রয়োজন নেই। অবশ্যই, ইউরোর মূল্য ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় আরও কম গতিতে বাড়ছে, কিন্তু তারপরও ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে যখন এই বৃদ্ধির কোন ভিত্তি নেই। মঙ্গলবার, ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। অতএব, প্রযুক্তিগত চিত্র সম্পূর্ণরূপে অপরিবর্তিত রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য হরিজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে কিছুটা বেশি সময় অবস্থান করলে 1.1185 লেভেল থেকে একটি বাউন্সও ঘটতে পারে। যাইহোক, এটি পরিস্থিতির পরিবর্তন করবে না। ইউরোর মূল্য এখনও স্থানীয় উচ্চতার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে এবং নিম্নমুখী হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সাধারণত EUR/USD পেয়ার সবচেয়ে স্থিতিশীল ইন্সট্রুমেন্ট, তাই এই পেয়ারের মূল্যের আকস্মিক পরিবর্তনগুলো অস্বাভাবিক হিসেবে বিবেচিত হয়। GBP/USD-এর মতো, এই পেয়ারের মূল্য দ্রুত বাড়তে পারে না। তবুও, সবগুলো টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য বাড়ছে। ট্রেডিং সিগন্যালের কথা বলতে গেলে, আমরা শুধুমাত্র 1.1127-1.1137 এরিয়ার ব্রেকআউটের কথা উল্লেখ করতে পারি, যার পরে উপরে থেকে একটি বাউন্স হয়েছে। এখানে ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করতে পারতেন। সন্ধ্যার মধ্যে, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 20 পিপস বেড়েছে এবং সম্ভবত 1.1185 লেভেলের দিকে মূল্য বাড়তে থাকবে। তাই, ব্রেক ইভেনে স্টপ লস সেট করার জন্য এবং 1.1185 লেভেলে টেক প্রফিট সেট করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/3TGw2Ti
|
|
|
পাউন্ডের দরপতন কোন কিছুই পরিবর্তন করে না
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টের বিশ্লেষণ বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য 100 পিপস কমে গেছে, যার ফলে কেউ কেউ ধারণা করতে পারে যে আমরা আগে ভুল কথা বলেছি। প্রকৃতপক্ষে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য এক দিনেরও কম সময়ে 1 সেন্ট কমেছে, যার জন্য আপাতদৃষ্টিতে কোন কারণ ছিল না!
যাইহোক, আমরা উল্লেখ করতে চাই যে এই দরপতন সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেনি। যদি পাউন্ডের মূল্য 300 পিপস বেড়ে যায় এবং 100 পিপস কমে যায়, তাহলে এটিকে দুর্বল কারেকশনের সাথে একটি শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বেশ কয়েক মাস ধরে চলমান ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের ধারাবাহিক বৃদ্ধির জন্য যে প্রকৃত কারণ ছিল তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডাররা 2024 সালের শুরু থেকে (সেপ্টেম্বর 2022 থেকে না হলে) ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের প্রতি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে এবং তা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ অর্থনীতিতে কোন উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন না হওয়া সত্ত্বেও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য ইতোমধ্যে 3,000 পিপস বেড়েছে। গতকাল, তেমন কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক পটভূমি ছিল না। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমের মধ্যেও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। ডলারের দর বৃদ্ধির অন্তত কিছু সম্ভাবনা থাকার জন্য, এই পেয়ারের মূল্যকে ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসলিডেট হওয়া দরকার। এই ক্ষেত্রে, সেনকৌ স্প্যান বি লাইনের দিকে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, যেখানে মূল্য যতখানি নিম্নমুখী হচ্ছে তার চেয়ে বেশি ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। যাইহোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শ্রম বাজার, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ, বা বেকারত্ব সম্পর্কিত যেকোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন মার্কিন ডলারের আরেকটি দরপতন ঘটাতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের পরবর্তী বৈঠকে সুদের হার আরও 0.5% কমানোর আশা করছে, যদিও সেপ্টেম্বরের সভায় ইতোমধ্যেই সুদের হার কমানো হয়েছে। বুধবার, 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, পেয়ারটির মূল্য 1.3367 লেভেল থেকে বাউন্স করেছে, যা ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয়। যাইহোক, এই পেয়ারের মূল্য মাত্র 28 পিপস উপরে উঠতে পেরেছে। লং পজিশনে কোনো লোকসান হওয়ার সুযোগ ছিল না। তারপর, মূল্য 1.3367 লেভেলের নিচে কনসলিডেট হয় এবং দিনের শেষে প্রায় 40 পিপস নিচে চলে যায়। ট্রেডাররা এই 40 পিপস উপার্জন করতে পারে।
COT রিপোর্ট: ব্রিটিশ পাউন্ডের COT রিপোর্টে দেখা গেছে যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট প্রায়শই পরিবর্তিত হয়েছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের প্রতিনিধিত্ব করে, ক্রমাগত একে অপরকে ছেদ করছে এবং প্রায়শই শূন্য চিহ্নের কাছাকাছি রয়েছে। আমরা আরও দেখতে পাচ্ছি যে যখন লাল লাইনটি শূন্যের নিচে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্যের শেষ নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। এখন লাল লাইনটি শূন্যের উপরে রয়েছে, এবং মূল্য 1.3154-এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেল ব্রেক করে গেছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুসারে, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপ 17,200টি বাই কন্ট্র্যাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 10,000টি শর্ট কনট্র্যাক্ট ওপেন করেছে। ফলে, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন এক সপ্তাহে 27,200 কন্ট্র্যাক্ট কমেছে। তারপরও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৌলিক পটভূমি এখনও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দীর্ঘমেয়াদী ক্রয়ের জন্য কোন ভিত্তি প্রদান করে না, এবং বিশ্বব্যাপী পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার একটি বাস্তব সুযোগ রয়েছে। যাইহোক, সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে আমরা একটি অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন দেখতে পাচ্ছি, তাই এই লাইনটি ব্রেক না করা পর্যন্ত পাউন্ডের দীর্ঘমেয়াদী পতনের সম্ভাবনা নেই। প্রায় সব প্রতিকূলতার বিপরীতে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য বাড়ছে, এবং এমনকি যখন COT রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে বড় ট্রেডাররা পাউন্ড বিক্রি করছে, তখনও পাউন্ডের দর বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4ekPyx2
|
|
|
অক্টোবর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস হতে চলেছে: ননফার্ম পেরোল, আইএসএম সূচক এবং ইউরোজোন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/386648348.jpg[/IMG]
[URL="https://ifxpr.com/3zQxLPb"]সামনেই অক্টোবর মাস শুরু হতে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরের শ্রমবাজার পরিস্থিতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। EUR/USD পেয়ারের জন্য যে মৌলিক পটভূমি তৈরি হয়েছে তা বিবেচনা করে এই প্রতিবেদনগুলোকে অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মূল্যায়ন করা কঠিন। মাসিক টাইমফ্রেমে দেখা যাচ্ছে যে এই পেয়ারের মূল্য টানা তৃতীয় মাসের মতো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। জুলাই মাসে, এই পেয়ারের মূল্য সাত অংকের ভিত্তি থেকে বাউন্স করেছে এবং তারপর থেকে 500 পিপস বেড়ে সেপ্টেম্বরে 1.1214 এর লেভেলে পৌঁছেছে। যাইহোক, মূল্যের 1.1200 এর লেভেল "কঠিন বাঁধা" হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে কারণ ক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1200 এর লক্ষ্যমাত্রার উপরে কনসলিডেট করতে পারেনি। গত দুই সপ্তাহ ধরে, ট্রেডাররা মূলত এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1080-1.1190 এর রেঞ্জের মধ্যে ওঠানামা করাচ্ছেন।
EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা মূল্যকে বেশ কয়েকবার উপরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু বিক্রেতারা বারবার মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ দখল করে নিচ্ছে, ফলে এই পেয়ারের মূল্য দ্রুতই উপরের রেঞ্জ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটি ইউরো-ডলার পেয়ারের ক্ষেত্রে বিকশিত পরস্পরবিরোধী মৌলিক চিত্রের কারণে হয়েছে। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমানভাবে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশার মধ্যে ইউরোপীয় মুদ্রা চাপের মধ্যে পড়েছিল। PMI, IFO, এবং ZEW সূচকের হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশের পর এবং ফ্রান্স ও স্পেনের মুদ্রাস্ফীতির মন্থরতার পরে অক্টোবরের সভায় সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে (কিছু অনুমান অনুসারে প্রায় 80%)। অন্য কথায়, EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা বর্তমানে ইউরোর মৌলিক পটভূমি থেকে সমর্থনের উপর নির্ভর করতে পারছে না যদি না পুরো ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি "ইতিবাচক" ফলাফল দিয়ে ট্রেডারদের অবাক করে। এই দৃশ্যপটের সম্ভাবনা বাদ দিলে, কেবলমাত্র মার্কিন ডলার আরও দুর্বল হলেই এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি (টেকসই বৃদ্ধি) পাওয়া সম্ভব। যাইহোক, সম্প্রতি মার্কিন গ্রিনব্যাক অবস্থান ধরে রেখেছে: মার্কিন ডলার সূচক বেশ কয়েকবার 99 রেঞ্জে নেমে গেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত 100.00 এর লক্ষ্যমাত্রার উপরেই থেকে গেছে। ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর মিশেল বোম্যানের কাছ থেকে মার্কিন ডলার সমর্থন পেয়েছে, যিনি আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার ক্ষেত্রে মাঝারি গতি নির্ধারণ করার পক্ষে সমর্থন করেছিলেন। মূল PCE সূচকটির ফলাফলও ডলারের পক্ষে কাজ করছে, সূচকটি দুই মাস 2.6% এ থাকার পর আগস্টে বেড়ে 2.7%-এ পৌঁছেছে। তবুও, মার্কিন মুদ্রা দুর্বল রয়ে গেছে। মার্কিন গ্রিনব্যাকের অ্যাকিলিস হিল বা দুর্বল জায়গা হল মার্কিন শ্রমবাজার, যা সম্প্রতি অস্থিতিশীল হওয়ার লক্ষণ দেখিয়েছে। অতএব, যদি সেপ্টেম্বরের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ফলাফল আবারও হতাশাজনক হয়, তাহলে মার্কিন মুদ্রা তীব্র চাপের মধ্যে পড়বে—এই ক্ষেত্রে, বোম্যান বা মুদ্রাস্ফীতি কেউই এটিকে বাঁচাতে পারবে না। ফেডের প্রায় সকল প্রতিনিধি যারা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে বক্তব্য দিয়েছেন তারা মার্কিন শ্রমবাজারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে সেপ্টেম্বরের বৈঠকের পরে জেরোম পাওয়েল বলেছিলেন যে মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে এবং শ্রমবাজার নিম্নমুখী হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। সুদের হার 50 বেসিস পয়েন্ট কমানোর ন্যায্যতা প্রমাণ করে, ফেডের চেয়ারম্যান উল্লেখ করেছেন যে গত এক বছরে মজুরি বৃদ্ধির গতি নামমাত্র কমেছে এবং গত তিন মাসে গড়ে 116,000 কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই থেকে শ্রমবাজারের সুরক্ষার দিকে ফেডের মনোনিবেশ সেপ্টেম্বরের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের তাৎপর্যকে বাড়িয়ে তুলেছে।
মার্কিন শ্রমবাজারের মূল প্রতিবেদনটি ঐতিহ্যগতভাবে মাসের প্রথম শুক্রবারে প্রকাশ করা হয় যা এবার 4 অক্টোবরে পড়েছে। যাইহোক, এই প্রতিবেদনটি এবার অন্যান্য প্রতিবেদনের আগে প্রকাশিত হবে, যা EUR/USD পেয়ারের মূল্যকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, 1 অক্টোবর মঙ্গলবার, আমরা আগস্টের (JOLTS জব ওপেনিংস) কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাতে পাব। এই সূচকটি আগের দুই মাসে (জুলাই ও জুন) নিম্নমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে। আগস্টে তৃতীয় মাসের মতো এই সূচক নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে - পূর্বাভাস অনুযায়ী, সূচকটি 7.640 মিলিয়নে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে (জুলাই মাসে, এটি 7.673 মিলিয়ন ছিল)। আগামী ২ অক্টোবর এডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী বেসরকারী খাতে শুধুমাত্র 124,000 কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যদি প্রত্যাশার বিপরীতে সূচকটির ফলাফল 100,000 এর নিচে নেমে আসে, তাহলে সরকারী প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই ডলার চাপের মুখে পড়বে। অবশেষে, ৪ অক্টোবর শুক্রবারে সেপ্টেম্বরের নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুসারে, বেকারত্বের হার 4.2% এ থাকা উচিত এবং নন-ফার্ম সেক্টরে চাকরির সংখ্যা 144,000 বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর অর্থ হল সংখ্যাটি আবার 200,000 এর থেকে কম হবে। এদিকে, অগাস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে 3.8% হওয়ার পরে গড় ঘন্টায় উপার্জনের বৃদ্ধির হার দ্রুত 3.2%-এ কমে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, নন-ফার্ম পেরোল প্রতিবেদন পূর্বাভাস তুলনামূলকভাবে দুর্বল। অতএব, যদি এই প্রতিবেদনের উপাদানগুলো "নেতিবাচক" হয়, তাহলে ডলার আবার দরপতনের শিকার হবে, কারণ ফেডের নভেম্বরের বৈঠকে 50-বেসিস-পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা 60-75% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে৷ EUR/USD পেয়ারের জন্য মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হলেও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকা
|
|
|
পহেলা অক্টোবরে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাজ্যে উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে, যেগুলোকে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এই প্রতিবেদনের মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া উস্কে সম্ভাবনা নেই। ইউরোজোনে সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। যাইহোক, এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরে ইউরোর তীব্র দরপতনের সম্ভাবনা নেই। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যেই মুদ্রানীতি নমনীয়করণ চক্র শুরু করেছে, তাই মুদ্রাস্ফীতি যে হারে কমছে তা আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। তদুপরি, মার্কেটের ট্রেডাররা ইউরো বিক্রি করতে আগ্রহী নয়, যেমনটি আমরা গতকাল জার্মান মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেও দেখতে পেয়েছি। আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স এবং JOLTs থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। উভয় প্রতিবেদনই বেশ গুরুত্বপূর্ণ, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন করে মার্কিন ডলার বিক্রির শুরু করার কারণ খুঁজবে। যেমনটি আমরা গতকাল দেখেছি, এমনকি ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতাও ডলারকে বিশেষভাবে সাহায্য করেনি।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে, ইসাবেল শ্নাবেলের বক্তৃতা সহ ফেডের প্রতিনিধিদের বক্তৃতাগুলোর কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা যায়। গত সপ্তাহে, FOMC-এর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নভেম্বরে সুদের হার 0.5% কমানোর পক্ষে কথা বলেছেন, কিন্তু পাওয়েল এবং তার কিছু সহকর্মী বলেছেন যে এই ধরনের আক্রমনাত্মকভাবে সুদের হার কমানোর প্রয়োজন নেই। যাই হোক না কেন, সবকিছুই আসন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল উপর নির্ভর করবে এবং এখন থেকে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সুদের হার হ্রাসের পরিমাণ নিয়ে আলোচনা করা যুক্তিযুক্ত নয়। তবুও, FOMC-এর অন্যান্য প্রতিনিধিদের অবস্থান আর্থিক কমিটির সামগ্রিক অবস্থান সম্পর্কে একটি ধারণা দেবে।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরোর মূল্য 1.1091 এবং 1.1191 এর মধ্যে অবস্থিত একটি সীমিত রেঞ্জের মধ্যে থাকতে পারে। কোন কিছুই পাউন্ড স্টার্লিংকে আটকে রাখতে পারবে বলে মনে হয় না, এবং এটির মূল্য ইউরোর তুলনায় অনেক বেশি ঘন ঘন বৃদ্ধি পায় এবং মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমিও তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারছে না। অতএব, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। ট্রেডাররা মার্কিন প্রতিবেদনে নতুন করে ডলার বিক্রির ন্যায্যতা দেওয়ার অজুহাত খুঁজবে।
Read more: https://ifxpr.com/4dtcokL
|
|
|
ইউরো কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছে
ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ার উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে পড়ে। প্রতিবেদনটির ফলাফল পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিন্তু ইউরোজোনের CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচকে মন্দা প্রতিফলিত হয়েছে। একদিকে, প্রতিবেদনটির ফলাফল বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের পূর্বাভাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। অন্যদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রতিবেদনের তাৎপর্যকে অত্যধিক হিসেবে মূল্যায়ন করা কঠিন। অক্টোবরের বৈঠকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে আগে, ডিসেম্বরের বৈঠকে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ছিল। এই প্রতিবেদনটি মার্কিন গ্রিনব্যাকের বিপরীতে ইউরোর দরপতন ঘটিয়েছে।
EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1080-1.1190 রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে গেছে (যেখানে এটি গত দুই সপ্তাহ ধরে ট্রেড করছিল) এবং 1.1040 এর সাপোর্ট লেভেলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে (দৈনিক চার্টে কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানা)। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইউরোজোনে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) সেপ্টেম্বরে বার্ষিক ভিত্তিতে 1.8%-এ নেমে এসেছে। এটি 2021 সালের মে মাস থেকে সবচেয়ে কম মুদ্রাস্ফীতির হার। এটাও লক্ষণীয় যে এই সূচকটি টানা দ্বিতীয় মাসে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে। মূল সূচক, যা জ্বালানি এবং খাদ্যের দাম বাদ দিয়ে বিবেচনা করা, বার্ষিক ভিত্তিতে 2.7% এ নেমে এসেছে। এই সূচকটিও টানা দ্বিতীয় মাসে হ্রাস পেয়েছে, যদিও সামগ্রিক CPI এর মতো দ্রুত হারে নয়। তা সত্ত্বেও, এই বছরে এপ্রিলের পর সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির সবচেয়ে দুর্বল প্রবৃদ্ধির হার চিহ্নিত হয়েছে। প্রতিবেদনটির ফলাফল এই ইঙ্গিত দেয় যে আগস্টে 4.1% বৃদ্ধির পরে সেপ্টেম্বরে পরিষেবার ব্যয় বার্ষিক ভিত্তিতে 4.0% বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রতিফলিত করছে, তবে প্রবণতাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পরিষেবা খাতের মুদ্রাস্ফীতি ইসিবির জন্য "মাথাব্যথা" হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই এই সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিবেদন থেকে এটাও জানা গেছে যে আগের মাসে জ্বালানির দাম 6% কমেছে (আগস্টে 3% হ্রাসের তুলনায়), যেখানে শিল্প পণ্যের দাম 0.4% বেড়েছে (গত মাসের মতো)। খাদ্য, অ্যালকোহল এবং তামাকের দাম 2.4% বৃদ্ধি পেয়েছে (আগের পরিসংখ্যানে এই সূচক 2.3% ছিল)। এটিও উল্লেখ করা উচিত যে ফ্রান্স এবং স্পেনের মূল্যস্ফীতি শেষ পর্যন্ত সেপ্টেম্বরে 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার নিচে নেমে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্রান্সে, আগস্টে 2.2%-এ বেড়ে যাওয়ার পর গত মাসে ভোক্তা মূল্য সূচক বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 1.5%-এ পৌঁছেছে, এবং স্পেনে, এই সূচক বৃদ্ধি পেয়ে 1.7%-এ পৌঁছেছে (আগস্টে 2.4% এর তুলনায়)। এই পরিসংখ্যানগুলো এই ইঙ্গিত দেয় যে ইসিবি এই মাসের প্রথম দিকে আবার সুদের হার কমাতে পারে। সম্পূর্ণ ধারণা পেতে, ইউরোপীয় উদ্যোক্তাদের ক্রমবর্ধমান হতাশাবাদ প্রতিফলিত করে এমন অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর কথা মনে করা উচিত। পিএমআই, আইএফও এবং জেডইডব্লিউ সূচকগুলোর ফলাফল "নেতিবাচক" ছিল, যা ইউরোর পরিস্থিতি আরও খারাপ করছে। উল্লিখিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগেও, HSBC এবং BNP Paribas-এর বিশেষজ্ঞরা অক্টোবরের সভায় ইসিবির সুদের হার 25 বেসিস পয়েন্ট কমানোর 80% সম্ভাবনা রয়েছে অনুমান করেছেন। আমি বিশ্বাস করি যে এখন এই ধরনের দৃশ্যপটের সমর্থকদের সংখ্যা বাড়বে, বিশেষ করে রয়টার্সের সাম্প্রতিক একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন বিবেচনা করে, যার মতে অক্টোবরে সুদের হার কমানোর বিষয়টি "এজেন্ডায় রয়েছে" এবং ইসিবির সদস্যরা এ নিয়ে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছে। HSBC-এর বিশ্লেষকদের মতে, ইসিবি 2025 সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রতিটি সভায় সুদের হার 25-বেসিস-পয়েন্ট কমানোর পথে অগ্রসর হবে, যার অর্থ পরবর্তী পাঁচটি বৈঠকে। ইসিবির ভবিষ্যত পদক্ষেপের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান ডোভিশ প্রত্যাশার মধ্যে, ইউরো মার্কিন গ্রিনব্যাকের বিপরীতে যথেষ্ট চাপের মধ্যে এসেছে।
কিন্তু আমরা কি বলতে পারি যে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা ধ্বংস হয়ে গেছে? আমি মনে করি না কারণ ডলারও "ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের" পরীক্ষার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। নভেম্বরের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভেরও সম্ভাব্যভাবে সুদের হার 50-বেসিস-পয়েন্ট কমানোর ঝুঁকি রয়েছে। গত সপ্তাহে, এই ধরনের পরিস্থিতির সম্ভাবনা ছিল 60%। আজকের হিসাবে, সেই সম্ভাবনা 30% এ নেমে গেছে। যাইহোক, যদি মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল আবার হতাশাজনক হয়, মন্দার লক্ষণ দেখায়, তাহলে মার্কিন গ্রিনব্যাক প্রবল চাপের মধ্যে পড়বে। ফেডের কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বিবৃতি বিবেচনা করে ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ফলাফল এখন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। অতএব, শুক্রবারের প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল মৌলিকভাবে EUR/USD পেয়ারের পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পারে। মার্কিন ডলারের দুর্বলতার পরিপ্রেক্ষিতে, এখন শর্ট পজিশন এন্ট্রি করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া, মঙ্গলবারের আইএসএম ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স 47.6-এ বৃদ্ধির দুর্বল পূর্বাভাসের বিপরীতে সেপ্টেম্বরে 47.2-এ আশায় ডলারের ক্রেতারা হতাশ হয়েছে। সূচকটি সংকোচন অঞ্চলে ছিল (এই সূচকটি আগস্টেও একই স্তরে ছিল)। আমার মতে, EUR/USD পেয়ারের বিক্রেতারা মোমেন্টামের উপর ভর করে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1040 এর লক্ষ্যে (দৈনিক চার্টে কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানা) আরও কয়েক ডজন পয়েন্ট নিচে নামিয়ে দিতে পারে— কিন্তু আরও টেকসই দরপতনের সম্ভাবনা অত্যন্ত অনিশ্চিত। প্রধানত শুক্রবারের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের কারণে আরও দরপতনের বিষয়টি অনিশ্চিত, যা মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3NfYwzz
|
|
|
৩ অক্টোবরে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। জার্মানি, ইইউ, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা খাতের সেপ্টেম্বরের ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সূচকের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে৷ যাইহোক, এই প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমানের ফলাফল প্রথম অনুমানের থেকে খুব কমই উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হয়, তাই আমরা এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার আশা করি না৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইএসএম পরিষেবা সূচক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এই সূচকটি গত দুই মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই নতুন ইতিবাচক ফলাফল ডলারের মূল্যের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চালিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে। মার্কিন জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, যা বাজার পরিস্থিতিকে দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা কম।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: বৃহস্পতিবার মূল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের রাফেল বস্টিকের বক্তৃতা রয়েছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, জেরোম পাওয়েল বলেছিলেন যে ফেড নভেম্বরে সুদের হার 0.5% কমানোর পরিকল্পনা করছে না, যা ডলার বিক্রেতাদের উল্লেখযোগ্যভাবে হতাশ করেছে। তবে, পাওয়েল একাই সুদের হারের সিদ্ধান্ত নেবেন না। পরবর্তী সভায় ফেডের যত বেশি কর্মকর্তারা আক্রমনাত্মকভাবে নীতিমালার নমনীয়করণের দিকে ঝুঁকবেন, নতুন করে ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা তত বেশি। আমরা বেকারত্ব এবং নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন প্রকাশের পরে মূল সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে, যদিও এটি সম্ভবত উল্লেখযোগ্য হবে না। আমরা মনে করি যে এখন উভয় পেয়ারের মূল্যের দীর্ঘায়িত নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। যদি শুক্রবারের গুরুত্বপূর্ণ শ্রম বাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল হতাশাজনক না হয়, তবে ডলার শক্তিশালী হতে পারে, কারণ ডলারের সাম্প্রতিক দরপতন ইতোমধ্যে যথেষ্ট বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3N7YBFL
|
|
|
৭ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের খুচরা বিক্রির প্রতিবেদন। এটি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়, তাই এটির প্রভাবে মার্কেটে খুবই সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। সামগ্রিকভাবে, গত সপ্তাহে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য হ্রাস পেয়েছে, তাই এ সপ্তাহে মার্কেটে উভয় পেয়ারের মূল্যের কারেকশন দেখা যেতে পারে (বিশেষ করে যেসব দিনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা এবং মৌলিক পটভূমি নেই)। এটি বিশেষভাবে ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যা ২০২৪ সালে ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে কমই দরপতনের শিকার হয়েছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারে উল্লেখযোগ্য মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি নিল কাশকারি এবং রাফায়েল বস্টিকের বক্তৃতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি আকর্ষণীয় হবে কারণ ফেডের কর্মকর্তাগণ শুক্রবার প্রকাশিত বেকারত্ব এবং নন-ফার্ম পেরোল প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। আমরা সম্ভবত এমন বিবৃতি শুনতে পারব যেখানে পরবর্তী বৈঠকে ফেডের আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করার প্রয়োজন নেই বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। এই তথ্য মার্কিন ডলারকে সমর্থন করতে পারে। সেপ্টেম্বরের শ্রম বাজারে ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে এবং বেকারত্বের হার কমেছে। এটি আসন্ন সপ্তাহগুলোতে ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে। মার্কিন ডলার শুধুমাত্র কাশকারি এবং বস্টিকের হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিতের উপর ভিত্তি করে টানা ছয় দিন ধরে বৃদ্ধির মুখ দেখতে পারে। তবে, তারা সন্ধ্যার দিকে বক্তব্য দেবেন, তাই দিনের বেলা উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের পথে কোনো বাধা থাকবে না। একই সময়ে, ইউরোপীয় সেশনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার, কারণ ইউরোপীয় সেশনে মার্কেটের ট্রেডাররা শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/47VjYn6
|
|
|
ট্রেডাররা রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকের কার্যবিবরণীর অপেক্ষায়
[URL="https://ifxpr.com/4eRW91S"]অস্ট্রেলিয়ান ডলার মার্কিন ডলারের বিপরীতে দরপতনের শিকার হচ্ছে, একইসাথে মার্কিন গ্রিনব্যাকের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এবং অস্ট্রেলিয়ান ডলারের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ঠিক এক সপ্তাহ আগে, 30 সেপ্টেম্বর, AUD/USD পেয়ারের মূল্য 19 মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ 0.6945-এ পৌঁছেছিল। যাইহোক, আজ ইন্সট্রুমেন্টটির দর তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেল প্রায় 0.67 এ স্থির হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে মার্কিন ডলারের দুর্বলতার কারণে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। মার্কিন ডলার ফেডের আর্থিক নীতিমালার আরও নমনীয়করণের প্রত্যাশার কারণে চাপের মধ্যে ছিল। একই সময়ে, অস্ট্রেলিয়ান ডলার পিপলস ব্যাংক অফ চায়না (পিবিওসি) এর সিদ্ধান্ত থেকে উপকৃত হয়েছে। অর্থনৈতিক খাতের পুনরুদ্ধারের জন্য, পিপলস ব্যাংক অফ চায়না (পিবিওসি) সুদের হার কমানোর এবং বন্ধকী ঋণের বোঝা কমানোর সাথে সাথে আর্থিক খাতে অতিরিক্ত তারল্য প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলোর ফলস্বরূপ, লৌহ আকরিকের মূল্য বহু মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে, যা অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অস্ট্রেলিয়ার সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানও AUD/USD পেয়ারের ক্রেতাদের সমর্থন যুগিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ANZ ব্যবসায়িক আস্থার সূচক 43.0-এর পূর্বাভাস ছাড়িয়ে 60.9-এ পৌঁছেছে। এই সূচকটি টানা তৃতীয় মাসের মতো বৃদ্ধি পেয়ে সেপ্টেম্বরে এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এই খবরের পরে, AUD/USD পেয়ারের মূল্য প্রায় 0.70 লেভেলে পৌঁছেছে কিন্তু তারপরে এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 200 পিপস কমে গিয়ে দ্রুত বিপরীতমুখী হয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে AUD/USD পেয়ারের দর বৃদ্ধি শুধুমাত্র মার্কিন ডলারের দুর্বলতার দ্বারা চালিত হয়েছে। সেপ্টেম্বরের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন গ্রিনব্যাকের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে আসে এবং AUD/USD পেয়ারের মূল্য কমে যায়। এই পেয়ারের মূল্যের উত্থান মূলত নড়বড়ে ভিত্তির উপর নির্মিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, চীনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দীপনা ব্যবস্থাকে ঘিরে আশাবাদ দ্রুত ম্লান হয়ে যায়। অনেক বিশ্লেষক সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে এই পদক্ষেপগুলো দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা যেমন মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং রিয়েল এস্টেট সংকট সমাধানের জন্য যথেষ্ট হবে। অধিকন্তু, অস্ট্রেলিয়ান ডলারের ট্রেডাররা অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনকে উপেক্ষা করেছে, যদিও এই সূচকটি নিম্নমুখী হয়েছে। দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) আগস্ট মাসে 2.7% এ নেমে এসেছে, যা 2.8%-এর পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য কম। প্রথমত, দেশটির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল রিজার্ভ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়ার (RBA) লক্ষ্যমাত্রা 2-3% এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, সূচকটি গত তিন মাসে ধারাবাহিকভাবে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে, যা অবশ্যম্ভাবীভাবে ব্যাংকটি প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করে এমন প্রান্তিক ভিত্তিক প্রতিবেদনের ফলাফলকে প্রভাবিত করবে। অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দুর্বলতার পরিপ্রেক্ষিতে, অবশ্যই সেপ্টেম্বরের রিজার্ভ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়ার সভার ফলাফল বিবেচনা করতে হবে। মার্চের পর প্রথমবারের মতো, নিয়ন্ত্রক সংস্থা সুদের হার বাড়ানোর বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেনি। আগের তিনটি বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুটি বিকল্প বিবেচনা করেছিল: স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং নীতিমালা কঠোর করা। এখন, পরবর্তী বিকল্পটি বিবেচনা থেকে সরানো হয়েছে। একই সময়ে, আরবিএ-এর গভর্নর মিশেল বুলক সুদের হার কমানোর কথা অস্বীকার করেননি। যদিও তিনি এটি অনুমানমূলকভাবে এবং কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা ছাড়াই এই ইঙ্গিত দিয়েছেন, নিছক সত্য এই যে ব্যাংকটির "ডোভিশ" বা নমনীয় অবস্থান নিয়ে ইতোমধ্যেই অনেক বেশি আলোচনা হচ্ছে।
এই কারণেই আজ, ৮ অক্টোবর, এশিয়ান সেশন চলাকালীন সময়ে প্রকাশিতব্য আরবিএ-এর সেপ্টেম্বরের বৈঠকের কার্যবিবরণী AUD/USD পেয়ারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, চূড়ান্ত বিবৃতিতে কোনো চাঞ্চল্যকর খবর ছিল না। এক বিবৃতিতে, RBA-এর নীতিনির্ধারকরা স্বীকার করেছেন যে অস্ট্রেলিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি ধীরগতিতে বাড়ছে কিন্তু খুব বেশি রয়ে গেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যও করেছে, উল্লেখ করেছে যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং আগত প্রতিবেদনের ফলাফল উপর নির্ভর করে প্রতিটি বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে সুদের হারের সিদ্ধান্ত নেবে। যদি সেপ্টেম্বরের বৈঠকের কার্যবিবরণীতে অনুরূপ মন্তব্য থাকে, তাহলে AUD/USD পেয়ারের ট্রেডাররা এটি উপেক্ষা করবে। যাইহোক, যদি কার্যবিবরণীতে সুদের হার কমানোর সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে অসি ডলার উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে পড়বে। উদাহরণস্বরূপ, যদি RBA প্রান্তিক ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের ফলাফল বিবেচনা করে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় বা এমনকি সূক্ষ্মভাবে অদূর ভবিষ্যতে নীতিমালা নমনীয় করার ইঙ্গিত দেয়। এই ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত, কারণ RBA-এর সেপ্টেম্বরের বৈঠক প্রকৃতপক্ষে আগের বৈঠক থেকে আলাদা ছিল কারণ এটিতে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সূক্ষ্ম ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যদি কার্যবিবরণীতে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সংকেত পাওয়া যায়, তাহলে AUD/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, AUD/USD পেয়ারের মূল্য দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ড সূচকের (0.6810) মাঝামাঝি লাইনের নিচে ব্রেক করে গেছে কিন্তু 0.6780 এর সাপোর্ট লেভেলে (একই সময়সীমার কিজুন-সেন লাইন) স্থির হয়েছে। এই পেয়ারের বিক্রেতারা মূল্যের এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠার পরেই বিক্রি করার কথা বিবেচনা করতে পারে। সেক্ষেত্রে, নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হবে 0.6760 এর লেভেল, যা চার ঘণ্টার চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডের নিম্ন লাইন। প্রধান নিম্নমুখী লক্ষ্যমাত্রা 0.6680 এ অবস্থিত, যা D1 চার্টে কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানার সাথে মিলে যায়।[/URL]
Read more: https://ifxpr.com/4eRW91S
|
|
|
৯ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। একদিকে, এর অর্থ হলো উভয় প্রধান কারেন্সি পেয়ারের আরও দরপতনের জন্য কোনও অতিরিক্ত চাপ নেই। অন্যদিকে, সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য কারেকশন করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। তাই, কারেকশন ছাড়াই উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে নতুন প্রযুক্তিগত সিগন্যালের প্রয়োজন। যেকোনো ক্ষেত্রেই, আজ কোন উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের আশা করা যাচ্ছে না।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে, ফেডারেল রিজার্ভের মনিটারি কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যের বক্তব্যের ওপর দৃষ্টি দেওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে লরি লোগান, থমাস বারকিন, অস্টান গুলসবি ও অন্যান্য কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা নভেম্বরে সুদের হার ০.৫% কমানোর বিষয়টিকে সমর্থন করছেন, তবে সবাই নয়। তাই মার্কেটের ট্রেডাররা এই বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যে, আর কারা "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থানের পক্ষে আছেন। ফেডের যত বেশি সদস্য ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের পক্ষে থাকবে, ভবিষ্যতে ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা তত কমে যাবে। তবে এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই আসন্ন আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের পুরো চক্রটি আংশিক বা পুরোপুরি মূল্যায়ন করে ফেলেছে। ডলারের দরপতনের জন্য নতুন কোন কারণ নেই।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে। তবে, সপ্তাহের প্রথম দুই দিনেও একই সুযোগ ছিল কিন্তু সেটি ঘটেনি। মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং নভেম্বর মাসে ফেডের সুদের হার ০.৫% কমানোর সম্ভাবনা ডলারের ওপর কোন চাপ সৃষ্টি করছে না। যদি কার্যকর সেল সিগন্যাল পাওয়া যায়, তবে কারেকশন ছাড়াই উভয় কারেন্সি পেয়ারের আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4h0QmZU
|
|
|
২১ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই মার্কেটে মনোযোগ দেওয়ার মতো খুব বেশি কিছু নেই। খুব সম্ভবত আমাদের সামনে একটি শান্ত দিন রয়েছে, যেখানে মূল্যের ন্যূনতম পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে। এটি আবারও উভয় পেয়ারের মূল্যের কারেকশন করার একটি ভালো সুযোগ হতে পারে, তবে এই মুহূর্তে, কোনো পেয়ারের মূল্যই ট্রেন্ডলাইন ভেদ করতে পারেনি।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি লরি লোগান এবং নিল কাশকারির ভাষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ছাড়া বা সাম্প্রতিককালে ফেড থেকে নতুন কিছু প্রকাশিত না হলে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আমরা আর কী আশা করতে পারি? আমরা মনে করি FOMC-এর কর্মকর্তারা শুক্রবারের তাদের সহকর্মীদের মতোই মার্কেটে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবেন না। তারা সন্ধ্যার শেষের দিকে কথা বলবেন, এবং দিনের বেলা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা পরিকল্পিত নেই।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ড উভয়েরই পুনরায় দরপতন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি উভয় পেয়ারের মূল্যের ট্রেন্ডলাইন থেকে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তাহলে নতুন করে দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, মূল্যের ভোলাটিলিটি কম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং ফ্ল্যাট মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হতে পারে। মনে রাখবেন, ফ্ল্যাট মার্কেটে বেশিরভাগ সিগন্যালই ফলস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সুতরাং, এমনকি মূল্য ট্রেন্ডলাইন ভেদ করলেও এটিকে ভবিষ্যৎ দর বৃদ্ধির নিশ্চয়তা হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
Read more: https://ifxpr.com/4f8Oyfq
|
|
|
২২ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, যার মানে মার্কেটে পর্যবেক্ষণ করার মতো কোন প্রতিবেদন থাকবে না। তবে, গতকাল এই পরিস্থিতি মার্কেটে সারাদিন ধরে নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে বাধা দেয়নি। অবশ্যই, এটা ভাবা বোকার মতো কাজ হবে যে আজকের পরিস্থিতি গতকালের মতোই হবে, তবে মার্কেটে এখনও শক্তিশালী নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তাই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা ছাড়াই ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি প্যাট্রিক হার্কার, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেনের বক্তব্যকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তাত্ত্বিকভাবে, এদের তিনজনই এমন কিছু নতুন তথ্য দিতে পারেন যা ইউরো এবং ডলারের এক্সচেঞ্জ রেটকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, এর সম্ভাবনা খুবই কম। ফেডের প্রতিনিধিরা প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং তাদের বক্তব্যের মধ্যে বেশ বৈচিত্র্য দেখা যায়। শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। ক্রিস্টিন লাগার্ডও গত সপ্তাহের ইসিবির বৈঠকের পর মুদ্রানীতির বিষয়ে আলোচনা থেকে বিরত থাকতে পারেন, মার্কেটের ট্রেডাররা ইসিবির বৈঠক থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পেয়েছিল।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইনের থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই আবারও নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। তবে উভয় পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা আবারও কম থাকতে পারে। লাগার্ডের বক্তব্য ইউরোর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় তিনি মুদ্রানীতির বিষয়ে মৌলিকভাবে নতুন কোনো তথ্য প্রদান করবেন বলে মনে হয় না।
Read more: https://ifxpr.com/4eStKZY
|
|
|
২৩ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি রাখা যেতে পারে, তবে এটি এতটাই গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন সূচক যে এর উপর ভিত্তি করে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া আশা করা বোকামি হবে। সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে আমরা দেখতে পেয়েছি যে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ছাড়াই ইউরো এবং পাউন্ড বিক্রি অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত রয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের কোনো সংকেত এখনও দেখা যায়নি।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের মূল মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি মিশেল বোম্যান এবং প্যাট্রিক হার্কারের বক্তৃতা রয়েছে, সেইসাথে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেনের বক্তৃতাও রয়েছে। তাত্ত্বিকভাবে, এই কর্মকর্তাদের যেকোনো একজন মার্কেটে নতুন তথ্য সরবরাহ করতে পারেন যা ইউরো এবং ডলারের মূল্যের প্রভাবিত করতে পারে। বাস্তবে, এর সম্ভাবনা কম। ফেডের প্রতিনিধিরা প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য দিয়ে থাকেন, এবং তাদের বক্তব্য প্রায়শই ভিন্ন রকম হয়। লাগার্ড গতকাল দুইবার বক্তৃতা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে ইসিবির সুদের হার 0.5% হ্রাসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না এবং সামগ্রিকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে। নতুন কোনো তথ্য ছাড়াই ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত রাখার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইন থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই নিম্নমুখী মুভমেন্ট ধীরে ধীরে চলমান থাকতে পারে। তবে, ভোলাটিলিটি আবারও কম থাকতে পারে। লাগার্ডের বক্তৃতা ইউরোকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে সন্দেহ রয়েছে যে তিনি মুদ্রানীতির বিষয়ে মার্কেটে মৌলিকভাবে নতুন কোনো তথ্য দিতে পারবেন কিনা, বিশেষ করে যেহেতু গত বৃহস্পতিবার থেকে ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।
Read more: https://ifxpr.com/4fad5AE
|
|
|
অ্যান্ড্রু বেইলি ব্রিটিশ পাউন্ডকে দরপতনের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না
এই সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির এক বা দুইবার বক্তব্য দেবেন। তবে, এটি পাউন্ডের জন্য কোন "লাইফলাইন" নিয়ে আসবে না। আমরা কেবলমাত্র ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নমনীয় অবস্থানের প্রত্যাশা করতে পারি, কারণ ইউরোজোনের মতোই যুক্তরাজ্যে দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে, যেখানে ইসিবি ইতোমধ্যেই তিনবার সুদের হার কমিয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কেবল একবার সুদের হার কমিয়েছে এবং এখনো পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অপেক্ষা করছে—বিশেষত তারা সেবাখাতে মুদ্রাস্ফীতি এবং কোর ইনফ্লেশনের কমার প্রত্যাশা করছে।
আসুন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির দিকে আলাদাভাবে নজর দিই। আমেরিকার অর্থনীতি চাঙ্গা রয়েছে এবং কোন মন্দার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অপরদিকে, ব্রিটিশ অর্থনীতি গত দুই বছর ধরে প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেনি। তবুও, অনেক বিশেষজ্ঞ ব্রিটিশ অর্থনীতির সামান্য প্রবৃদ্ধিকে "কঠিন পরিস্থিতিতে পুনরুদ্ধার" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন, যখন মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে "অর্থহীন" হিসাবে উপস্থাপন করেছিলেন, কারণ তারা যেকোনো সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হবে বলে মনে করতেন। এখন আমরা বছরের শেষ দিকে এসে পৌঁছেছি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়নি। সুতরাং, মার্কেটের ট্রেডাররা শুরুতেই এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপারে ভুল মূল্যায়ন করেছিল এবং এখন তাদের কাছে ভুলগুলো সংশোধন করার জন্য কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং, আমরা পুরোপুরিভাবে ব্রিটিশ পাউন্ডের অব্যাহত দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।
গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি ৭১ পিপস, যা পাউন্ড/ডলার পেয়ারের জন্য "গড়" হিসেবে বিবেচিত হয়। অক্টোবর ২৪, বৃহস্পতিবারে আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2990 এবং 1.2848 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি উপরের দিকে যাচ্ছে, যা নির্দেশ করে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। দরপতনের আগে সিসিআই ইন্ডিকেটর ছয়বার বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছিল। সম্প্রতি, এই ইন্ডিকেটরটি ওভারসোল্ড এরিয়াতে প্রবেশ করেছে এবং বেশ কয়েকটি বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে, যা এই ইঙ্গিত দেয় যে সামনে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.2909 S2 – 1.2878 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.2939 R2 – 1.2970 R3 – 1.3000
Read more: https://ifxpr.com/4dZs0wN
|
|
|
সাপ্তাহিক পর্যালোচনা: অক্টোবরের উষ্ণ সমাপ্তি
চলতি সপ্তাহটি অক্টোবরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহগুলোর একটি হতে। চলতি মাসের শেষভাহে ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় অঞ্চলেই EUR/USD পেয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সপ্তাহের শেষের দিকে এই পেয়ারের মূল্য 1.07 ফিগারের বেসের কাছাকাছি আসবে এবং 1.0700 লেভেলের নিচে দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে অথবা এটির মূল্য 1.0840-1.0950 রেঞ্জে ফিরে যেতে পারে এবং পরবর্তী পর্যায়ে 1.10 ফিগারের দিকে দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার
সোমবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই, যেখানে প্রধান আকর্ষণীয় ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) সহ-সভাপতি লুই ডে গুইন্ডোসের বক্তব্য রয়েছে। অক্টোবরের শুরুর দিকে তিনি ইউরোপীয় অর্থনীতির দুর্বল প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে "নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির ঝুঁকিসমূহ অব্যাহত রয়েছে" তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম "সময়ের সাথে সাথে শক্তিশালী হওয়া উচিত।" যদি তিনি পুনরায় এই ধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেন, তবে ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও, সোমবারে কারেন্সি মার্কেটের ট্রেডাররা কীভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে আমরা সেটি দেখতে পারব। সপ্তাহান্তে, ইসরায়েল ১ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানে আক্রমণ চালায়। ইসরায়েল ইরানের সামরিক স্থাপনার উপর আঘাত হানে, কিন্তু তেল এবং পরমাণু স্থাপনাগুলো এড়িয়ে যায়, যা তেলের দামের ঊর্ধ্বগতিকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। ইরানের প্রতিক্রিয়া দেখা এখনও বাকি আছে, ইরানি মিডিয়া পাল্টা প্রতিশোধের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যখন স্কাই নিউজ আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে ইরান তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে যে তারা ইসরায়েলের হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকবে।। মার্কেটে এই ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা এখনও অজানা।
মঙ্গলবার
মঙ্গলবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কনফারেন্স বোর্ড কনজিউমার কনফিডেন্স সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা প্রধান আকর্ষণীয় ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে সূচকটি ৯৮.৭ এ হ্রাস পায়, এবং অক্টোবরে এই সূচক ৯৯.২ হবে বলে পূর্বাভাস০ দেয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে JOLTS কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা প্রকাশিত হবে। জুন এবং জুলাইয়ে দুই মাস পতনের পর, আগস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়ে 8.04 মিলিয়ন হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা ৭.৯২ মিলিয়ন পর্যন্ত হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি এটি পূর্বাভাসের থেকে অনেক বেশি বা কম হয় তবে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা বাড়তে পারে।
বুধবার
বুধবারে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রান্তিকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রাথমিক প্রতিবেদন হাতে পাব। পূর্বাভাস অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.০% হবে, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দেশটির জিডিপি এই স্তরে পৌঁছানো বা তা অতিক্রম করা ডলারের ক্রেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে যেকোনো ধীরগতির ফলে ফেডের আরও আক্রমণাত্মকভাবে নীতিমালা নমনীয়করণের প্রত্যাশা পুনরুজ্জীবিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার
বৃহস্পতিবারও EUR/USD পেয়ারের ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ইউরোপীয় সেশনে, ইউরোজোনে গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, অক্টোবরের মোট CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক সেপ্টেম্বরে ১.৭% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১.৯% এ উন্নীত হবে। সাধারণত ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধি ইউরোর জন্য ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে যদি মুদ্রাস্ফীতি ইসিবির লক্ষ্যমাত্রার (২% এর বেশি) উপরে যায়, তাহলে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা শক্তিশালী "ঊর্ধ্বমুখী র্যালি" শুরু করতে পারে। উল্লেখ্য যে, মূল সূচকটি নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাতে পারে এবং ২.৬% এ নেমে আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি কোর CPI ভা মূল ভোক্তা মূল্য সূচক ও পূর্বাভাসের বিপরীতে বৃদ্ধি পায়, তবে ইউরো আরও উল্লেখযোগ্য সমর্থন পাবে। মার্কিন সেশনে, মূল PCE সূচক প্রকাশিত হবে, যা ফেড ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। এই সূচকটি টানা দুই মাস (জুন এবং জুলাই) ২.৬% এ ছিল, তবে আগস্টে এটি ২.৭% এ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেপ্টেম্বরেও এটি ২.৭% এ থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। যদি এই সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করে, তবে ডলারের ক্রেতারা আরও সুবিধা পেতে পারে, বিশেষত যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোর CPI এবং PPI সূচক বাড়ছে।
শুক্রবার
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে ট্রেডারদের মনোযোগ অক্টোবরের ননফার্ম পে-রোল (NFP) সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর থাকবে। গত মাসে, মার্কিন শ্রমবাজার ডলারকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রদান করেছিল, কারণ সেপ্টেম্বরের ননফার্ম পে-রোল (NFP) সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সমস্ত উপাদানই প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ছিল। অক্টোবরের প্রতিবেদনের ফলাফল হয় এই প্রবণতাকে নিশ্চিত করবে, অথবা প্রত্যাখ্যান করবে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন মার্কিন বেকারত্বের হার ৪.১%-এ স্থির থাকবে। তবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার দুর্বল থাকতে পারে এবং মাত্র +১১১,০০০ নতুন কর্মসংস্থান যুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে, সেপ্টেম্বরে এই বৃদ্ধি ছিল ২৫০,০০০। এডিপি থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের দুর্বল পূর্বাভাসের কারণে, যদি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ১,০০,০০০ এর নিচে নেমে আসে, তবে ডলার ব্যাপক চাপের মুখে পড়তে পারে। মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সূচক গড় ঘণ্টাপ্রতি আয় বৃদ্ধির সূচকটি সেপ্টেম্বরের ৪.০% স্তরে স্থির থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ডলার ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য, এই সূচকটি অবশ্যই ৪%-এর নিচে নামা উচিত নয়। শুক্রবারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হল ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক, যা ৪৭.২ থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭.৫ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র তখনই এই সূচকটি ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে যদি এটি অপ্রত্যাশিতভাবে সম্প্রসারণ অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং ৫০-পয়েন্টের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে।
উপসংহার চলতি সপ্তাহটি অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনায় পরিপূর্ণ। গুরত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল EUR/USD পেয়ারের মূল্যের উচ্চমাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার কারণ হতে পারে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরিস্থিতি বিক্রেতাদের জন্য খুব বেশি অনুকূল নয়। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মতে, জার্মানি এবং ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি ত্বরান্বিত হবে, যখন মার্কিন শ্রমবাজার পরিস্থিতি নেতিবাচক হতে পারে। যদি গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর ফলাফল পূর্বাভাসের সাথে মিলে যায়, তবে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা শক্তিশালী হয়ে পাল্টা আক্রমণ চালাতে পারে, যা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.09 রেঞ্জের মাঝামাঝি (1.0950 – সাপ্তাহিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডের মধ্যম লাইন, যা কিজুন-সেন লাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ) এর দিকে পৌঁছে দিতে পারে। তবে, যদি ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি মন্থর হয় এবং ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ফলাফল "ইতিবাচক" আসে, তবে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে আরও তীব্রভাবে বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এমন ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0720 এর সাপোর্ট লেভেলের (D1 টাইমফ্রেমের বলিঙ্গার ব্যান্ডের নিম্ন লাইন) দিকে নেমে যেতে পারে এবং 1.06 রেঞ্জ টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3Ur0Urc
|
|
|
২৯ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে দুটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে জার্মানির GFK কনজিউমার কনফিডেন্স সূচক, যা উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করে না, কারণ এটি অপেক্ষাকৃত ছোটখাট একটি প্রতিবেদন। তবে দ্বিতীয় প্রতিবেদন বেশি গুরুত্ব বহন করে: এটি যুক্তরাষ্ট্রের সেপ্টেম্বরের JOLTs কর্মসংস্থান সৃষ্টি সংক্রান্ত প্রতিবেদন। আগস্টের তুলনায় এই প্রতিবেদনের ফলাফল সামান্য নিম্নমুখী হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে, তবে যেহেতু সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার কমেছে, তাই JOLTs-এর মূল পরিসংখ্যানের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যেতে পারে। এটি আজকের একমাত্র প্রতিবেদন যা মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে না। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নতুন কোনো বক্তব্য অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা নেই, যদিও বর্তমানে সেগুলো বিশেষ প্রয়োজনীয় নয়, কারণ ইসিবির পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে এখনও পাঁচ সপ্তাহ বাকি। ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও কোনো বক্তব্যের আশা করা হচ্ছে না, কারণ ৬-৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের আগে তারা আর্থিক নীতিমালা নিয়ে কোন ধরনের আলোচনা করতে পারবেন না।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিং, সম্ভবত ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, যখন ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বাস্তবে, আজ এই কারেন্সিগুলোর মূল্যের বিপরীতমুখী মুভমেন্ট দেখা যাবে না বলেই মনে হচ্ছে, শুধুমাত্র JOLTs থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনই উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই, উভয় কারেন্সি পেয়ারের জন্য একই দিকনির্দেশনায় বাই বা সেল সিগন্যালের অপেক্ষা করা সম্ভবত বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত হবে, যেন সেগুলো একে অপরের বিপরীত না হয়।
Read more: https://ifxpr.com/3BZeEmK
|
|
|
৩০ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে এবং এগুলোর সবগুলোই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিতে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং জিডিপি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ইউরোজোনে জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি প্রতিবেদনের পাশাপাশি ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আজ মার্কেটের বেশ কার্যকর মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপীয় সামষ্টিক প্রতিবেদন থেকে ইউরোর জন্য শক্তিশালী সমর্থনের আশা করা কঠিন, কারণ এই অঞ্চলের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সম্ভবত পূর্বাভাস ছাড়াবে না, এদিকে জার্মানির বেকারত্বের হার খুব প্রভাবশালী সূচক নয় এবং জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির সামান্য ত্বরণ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করবে বলে মনে হয় না। তবে, দুপুরের দিকে প্রকাশিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেট সেন্টিমেন্টকে শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আজ উভয় পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইভেন্ট হল ইসিবি'র ইসাবেল শ্ন্যাবেলের বক্তব্য। তবে, যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, ইসিবির কৌশল ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে: আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ অব্যাহত থাকবে এবং ডিসেম্বরে সুদের হার আরও 0.25% কমানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই, শ্ন্যাবেল আজ নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন বলে মনে হচ্ছে না। যাই হোক না কেন, মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের দিকে নজর রাখবে।
উপসংহার: এই সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিং উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্পূর্ণরূপে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করবে, ফলে পূর্বাভাস দেয়া কঠিন। আমরা মনে করি ইউরোপীয় সামষ্টিক প্রতিবেদন থেকে ইউরোর সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে মার্কিন প্রতিবেদনের মাধ্যমে সমর্থন পেলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যদি সেগুলোর ফলাফল গতকালের JOLTs থেকে প্রতিবেদনের ফলাফল মতো হয়। তাই, ইউরো এবং পাউন্ডের ট্রেডাররা সম্ভাব্য সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের দিকে তাকিয়ে আছে।
Read more: https://ifxpr.com/4fqXk8z
|
|
|
৩১ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তবে বাস্তবিক অর্থেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন। গতকাল জানা গেছে, জার্মানির মূল্যস্ফীতি ২% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই আজ আমরা যুক্তিসঙ্গতভাবে আশা করতে পারি যে ইউরোজোনের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিসেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসে বিরতি গ্রহণের কথা ভাবতে পারে। যদি নভেম্বরেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তবে ইসিবি পরবর্তী কয়েকটি বৈঠকে সুদের হার হ্রাসে বিরতি গ্রহণ করতে পারে। এই পরিস্থিতি ইউরোকে সমর্থন যোগাবে। আমরা আশা করছি না যে এটি একাই ইউরোর মূল্যের দুই বছর ধরে চলা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরুজ্জীবিত করবে, তবে কমপক্ষে এটি একটি কারেকশনকে উদ্দীপিত করতে পারে। আজ প্রকাশিতব্য মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচক, জবলেস ক্লেইমের সংখ্যা, এবং মার্কিনিদের ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন। আমরা মনে করি এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়, তবে PCE সূচকটির ফলাফল মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে বিশেষ কিছুই নেই। গতকাল জার্মানির মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ডিসেম্বর মাসে ইসিবির সুদের হার কমানো নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, এবং আজকের ইউরোজোন মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন এ ব্যাপারে সঠিক অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে। ইসিবি বা ফেডারেল রিজার্ভের তরফ থেকে কোনো বিবৃতি নির্ধারিত নেই।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনগুলোর ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্পূর্ণরূপে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করবে, যে সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন ইউরোকে সমর্থন করতে পারে, যখন পাউন্ডের জন্য আবারও কঠিন সময় আসতে পারে। কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের PCE সূচকটির ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হলে পাউন্ডের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3NLmOSj
|
|
|
এই সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে কী আশা করা যায়
মার্কিন ডলার ইউরো এবং পাউন্ডের বিপরীতে দরপতনের শিকার হচ্ছে, এবং এর জন্য কিছু যৌক্তিক কারণ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা হ্রাসের স্পষ্ট লক্ষণ ছাড়াও, ফেডারেল রিজার্ভের নীতিমালাও মার্কিন ডলারের দুর্বলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে কাজ করছে। ফেডারেল রিজার্ভ এবং বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সপ্তাহে আবারও সুদের হার কমাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরপরই ঘটবে, যেটির ফলাফল এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে এবং ডলারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে। প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো, যারা বৈশ্বিক অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশের বেশি দায়িত্বে রয়েছে, এই সপ্তাহে সুদের হার নির্ধারণ করবে, এবং আগামী চার বছরের জন্য মার্কিন নীতিমালার সম্ভাব্য দিক সম্পর্কে কোনো দৃঢ় তথ্যের ওপর নির্ভর করবে। যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫ নভেম্বর নির্বাচনের আগে প্রায় সমান সমান অবস্থানে রয়েছেন, তখন ওয়াশিংটন থেকে লন্ডন পর্যন্ত নীতিনির্ধারকদের উপর চাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা হ্রাস পাচ্ছে এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার জয়ের সম্ভাবনা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
নির্বাচনের বাইরেও, মার্কিন নীতিনির্ধারকরা ইতোমধ্যেই সেপ্টেম্বর মাসে সুদের ৫০ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের পর আরও ধীরে ধীরে সুদের হার কমানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অর্থনীতিবিদরা সাধারণভাবে এই বৃহস্পতিবার সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের আশা করছেন, যার পরে ডিসেম্বরে আরেকবার সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। এই পদক্ষেপটি বোধগম্য, বিশেষ করে শুক্রবারের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরে, যেখানে ২০২০ সালের পর থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সবচেয়ে দুর্বল হার পরিলক্ষিত হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে ননফার্ম পেরোল কেবলমাত্র ১২,০০০ বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং আগের দুই মাসের নিয়োগও পূর্বে অনুমানকৃতের চেয়ে দুর্বল ছিল, যা শ্রমবাজারের নেতিবাচক অবস্থা নির্দেশ করে। বেকারত্বের হার ৪.১% এ স্থির ছিল, যখন ঘণ্টাভিত্তিক মজুরির হার বেড়েছে। যদিও ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তারা রাজনীতি থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন, তারা নির্বাচনের আগেই সুদের হার কমাতে শুরু করেছেন, যার ফলাফল সম্ভবত ভোটাররা অর্থনীতি সম্পর্কে কী অনুভব করেন তার ওপর নির্ভর করতে পারে। ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সম্ভবত জোর দিয়ে বলবেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে তুলনামূলক কম কঠোর নীতি প্রয়োজন, কিন্তু তারপরও তিনি এবং তার সহকর্মীরা নতুন প্রশাসনের সমালোচনার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও বিভিন্ন ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে—অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতি থেকে শুরু করে দীর্ঘস্থায়ী মুদ্রাস্ফীতি—যদিও এর সঙ্গে ট্রাম্পের বিজয় এবং তার শুল্ক আরোপের হুমকি থেকে বৈশ্বিক বাণিজ্যের সম্ভাব্য আঘাতের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ ব্যাংক মঙ্গলবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্য, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র এবং অন্যান্য দেশে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এসব বিষয় কারেন্সি মার্কেটে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে, এবং মার্কিন ডলারের পূর্বাভাস নেতিবাচক বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, ক্রেতাদের মূল্যের 1.0915 এর লেভেলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা প্রয়োজন। সেখান থেকে মূল্যের 1.0935 পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0955 এর সর্বোচ্চ লেভেল। যদি ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য কমে যায়, তবে 1.0860 এর আশেপাশে গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতাদের কার্যক্রম আশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে কোনো সাপোর্ট না পাওয়া যায়, তাহলে 1.0830 এর নিম্ন লেভেলের টেস্ট বা 1.0810 থেকে লং পজিশন ওপেন করার জন্য অপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বর্তমান GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.2995 এর লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। শুধুমাত্র এটি 1.3040 এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে সক্ষম করবে, যার উপরে ব্রেক করা কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3070 এর এরয়া, যার পরে 1.3100 এর দিকে এই পেয়ারের মূল্যের তীব্র মুভমেন্ট নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে 1.2690 এ বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। এতে সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানে উল্লেখযোগ্য আঘাত হানবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.2925 এর নিম্ন লেভেলে পৌঁছে দেবে, যা এই পেয়ারের মূল্যের 1.2885 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি করবে।
Read more: https://ifxpr.com/3NPRW3n
|
|
|
৫ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হল যুক্তরাষ্ট্রের ISM থেকে পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন। এটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। মার্কিন উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের ফলাফল আবারও হতাশাজনক ছিল, তাই দেশটির পরিষেবা খাত কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারে। আজ যদি পরিষবা PMI সূচকের ফলাফলও দুর্বল হয়, তবে মার্কিন ডলার অব্যাহতভাবে দরপতনের শিকার হতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে মঙ্গলবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। লাগার্ডে সাধারণত তার বক্তব্যে কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন না, তবে এইবার তিনি সম্প্রতি প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন, যা প্রত্যাশার তুলনায় বেশি ছিল। এটি সম্ভাব্যভাবে এই ইঙ্গিত দেয় যে ইসিবির অবস্থান কিছুটা হকিশ বা কঠোর হতে পারে, যা ইউরোর জন্য সহায়ক হবে। তবে উল্লেখ্য যে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতির নমনীয়করণের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হয়েছে, তাই EUR/USD পেয়ারের মূল্য সম্ভবত ভারসাম্যপূর্ণ থাকবে কারণ এই পেয়ার ইউরোপীয় অঞ্চলের আর্থিক নীতিমালার সম্ভাব্য নমনীয়করণ দ্বারাও প্রভাবিত হবে।
উপসংহার: এ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিং, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক কারণগুলো আবারও উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। এই সপ্তাহটি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ এবং অস্থিরতাসম্পন্ন হতে পারে, তাই পরবর্তী চার দিনে নির্ধারিত সব ইভেন্টের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ফেডের বৈঠক, এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কেটে অনিয়মিত এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3AEZxyu
|
|
|
৬ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তবে বর্তমানে সেগুলোর বিশেষ প্রয়োজনও নেই। রাতে, মার্কিন নির্বাচনের প্রভাবে কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রধান দুটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ২০০ পিপসের মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। এর ফলে, দিনের বাকি সময়েও মার্কেটে উভয় দিকে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে। নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বাভাস দেওয়া অসম্ভব, ঠিক তেমনি সময়ের সাথে সাথে ফলাফলে কী পরিবর্তন আসবে তা অনুমান করাও কঠিন। সুতরাং, সপ্তাহের বাকি অংশে সম্ভাব্য মুভমেন্টের পূর্বাভাস দেয়ার চেষ্টা করব না। ডলার এখনও নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে কারণ বৈশ্বিক প্রবণতা নিম্নমুখী। আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকগুলো মার্কেটে অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য রয়েছে। যদিও লাগার্ড সাধারণত এমন কিছু বলেন না যা ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়, তবে তিনি সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন, যা পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি ছিল। তবে, বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের মনোযোগ ক্রিস্টিন লাগার্ড, ইসিবি বা এর মুদ্রানীতির দিকে নেই। সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এবং ফেড ও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের উপরই উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ভর করবে।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিং, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য হঠাৎ করে উভয় দিকেই পরিবর্তিত হতে পারে। মার্কিন ডলারের মূল্যের রাতের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বিভ্রান্তিকর হতে পারে, কারণ এটি কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট নয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কমলা হ্যারিস জয়লাভ করে বা ফেড আগামীকাল নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করে, তবে ডলারের মূল্য সহজেই হ্রাস পেতে পারে। সুতরাং, কোনও ট্রেডিং পজিশন ওপেন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/4fADbxe
|
|
|
ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়লাভ করায় মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে
ডলার শক্তিশালী হচ্ছে এবং ইউরো দুর্বল হচ্ছে। আজ, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফলের পর এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাউন্স হতে পারে, তবে উপরের সব কারণগুলো ফেডের সিদ্ধান্ত বা জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য যাই হোক না কেন কার্যকর থাকবে। সাম্প্রতিক ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের কারণে ফেড যদি আরও নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করে, তবে স্বল্পমেয়াদে ডলার দুর্বল হতে পারে। তবে, আমরা সামগ্রিকভাবে ডলারের শক্তিশালী হওয়ার প্রত্যাশাই করে যাচ্ছি। ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে আপাতত তেমন কিছু বলার নেই।সুস্পষ্টভাবেই ট্রাম্প জয়লাভ করেছেন, তবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষিত হবেন না। এর মধ্যে, কমলা হ্যারিসের দল নির্বাচনী ফলাফলের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে পারে, কিছু অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনর্গণনা হতে পারে। তবে বর্তমানে, ট্রাম্পের বিজয় অবিসংবাদিত মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, মার্কিন ভোটাররা চার বছর আগের পথ অনুসরণ করেছে: সেবার তারা ট্রাম্পকে বাদ দিয়ে বাইডেনকে ভোট দিয়েছিল। এখন, তারা আবার ট্রাম্পকেই ভোট দিতে প্রস্তুত ছিল। যদিও বাইডেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, অনেকেই কমলা হ্যারিসকে 'বাইডেনের বিকল্প' হিসেবে দেখেছেন, নিজস্ব শক্তিশালী রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়। যাই হোক, আমেরিকানরা ডেমোক্রেটিকদের নেতৃত্বে অসন্তুষ্ট ছিল। এখন, তারা রিপাবলিকানদের শাসনের স্বাদ গ্রহণ করবে, কারণ রিপাবলিকানরা সিনেটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
বুধবারের ট্রেডিং সেশনে EUR/USD কারেন্সি পেয়ার প্রায় ২৫০ পিপস দরপতনের শিকার হয়েছে। রাতেই এই পেয়ারের দরপতন শুরু হয় এবং সারা দিন ধরে চলতে থাকে। কেন এটি ঘটেছে তা নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন নেই—শুধুমাত্র একটি বিষয়ই মার্কিন ডলারের মূল্যের এই তীব্র বৃদ্ধির প্রধান কারণ হতে পারে: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়। সঠিকভাবে বললে, নির্বাচনের কারণেই মার্কেটে এই তীব্র মুভমেন্ট দেখা গেছে। আমরা বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেছিলাম যে কমলা হ্যারিসের তুলনায় ট্রাম্পের নেতৃত্বে ডলার হয়তো চেয়ে ভাল পারফর্ম করবে। তবে ট্রাম্পের বিজয়ে ডলারের দর একদিনে ২.৫ সেন্ট বাড়বে, এটি আমরা কল্পনাও করিনি। অর্থাৎ, এমন একটি মুভমেন্টের পূর্বাভাস দেওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। তবে, এই ধরনের মুভমেন্ট সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত নয়। প্রথমত, ইউরো অতিরিক্ত ক্রয় করা হয়েছে এবং ডলার অতিরিক্ত বিক্রয় করা হয়েছে—যা আমরা ২০২৪ সালের শুরু থেকেই উল্লেখ করছি। দ্বিতীয়ত, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের বৈশ্বিক প্রবণতা নিম্নমুখী রয়েছে, যা আমরা পুরো বছর ধরে বলে আসছি। তৃতীয়ত, মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই দুই বছর ধরে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের প্রভাব মূল্যায়ন করেছে। এখন ফেড সুদের হার কমানো শুরু করেছে, তাই ডলারের দরপতনের জন্য কোনো কারণ নেই। চতুর্থত, আমরা বারবার উল্লেখ করেছি যে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের যেকোনো বৃদ্ধি কেবল একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা যেকোনো সময় শেষ হতে পারে। সুতরাং, বুধবার ডলারের মূল্যের তীব্র বৃদ্ধি অপ্রত্যাশিত হলেও, মধ্যমেয়াদে EUR/USD পেয়ারের দরপতন প্রত্যাশিত ছিল।
Read more: https://ifxpr.com/3YGSLQS
|
|
|
চাপের মুখেও পাউন্ডের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে
সোমবার কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের দরপতন হয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য নিম্নমুখী রয়েছে, যা সেপ্টেম্বরের FOMC-এর বৈঠকের ঠিক পরেই শুরু হয়েছিল, যেখানে ফেডারেল রিজার্ভ মূল সুদের হার 0.5% কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ভেবে দেখুন—ফেড ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করে সুদের হার 0.5% হ্রাস বাস্তবায়ন করল, এবং ডলারের মূল্য দেড় মাসব্যাপী বুলিশ মুভমেন্ট প্রদর্শন প্রতিক্রিয়া জানাল। এটি কি কিছুটা পরস্পরবিরোধী বলে মনে হচ্ছে না? এই মুভমেন্টটি আমাদের বারবার ব্যাখ্যা করা উচিত: স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক কারণগুলো পরিবর্তিত হতে পারে, যা স্বল্পমেয়াদে ডলার বা পাউন্ডকে সমর্থন যোগাতে পারে। তবে, বৈশ্বিক প্রবণতা এবং মৌলিক ভিত্তিগুলো স্থির থাকে। বৈশ্বিক প্রবণতা নির্দেশ করে যে মার্কেট মেকাররা কোন দিকটি পছন্দ করেন, এবং বৈশ্বিক মৌলিক ভিত্তিগুলো ভবিষ্যতের সম্ভাব্য মার্কেট মুভমেন্ট নির্দেশ করে। এবং এগুলো থেকে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি? গত ১৬ বছর ধরে বৈশ্বিক ভিত্তিতে পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। যদিও এই প্রবণতা এক সময় শেষ হবে, তবুও এমন পরিবর্তনের জন্য বড় কারণ প্রয়োজন। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে পাউন্ডের মূল্যের দুই বছরের বৃদ্ধি একটি কারেকশনের বেশি কিছু নয়। হায়ার টাইমফ্রেমেও কারেকশন হতে পারে এবং এ ধরনের কারেকশন প্রায়ই সময়সাপেক্ষ হয়। এই কারেকশন, যা গত দুই বছরে পাউন্ডের মূল্যের অযৌক্তিক বৃদ্ধির সঙ্গে মিলে গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই ইঙ্গিত দিচ্ছিল যে মার্কেট একটি উল্লেখযোগ্য দরপতনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পাউন্ডের মূল্যের স্থিতিশীলতার প্রধান কারণ হল ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড। ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমানোর ব্যাপারে দেরি করছে, কারণ তারা মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ফেডের বিপরীতে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের প্রভাব মূল্যায়ন করেনি। তবে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ধীরগতিতে সুদের হার কমানো সত্ত্বেও, আমরা মনে করি যে পাউন্ড দুর্বল হতে থাকবে। এমনকি যদি বৈশ্বিক নিম্নমুখী প্রবণতা সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে শেষ হয়ে থাকে এবং গত দুই বছর ধরে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করে, তবুও একটি উল্লেখযোগ্য কারেকশন হওয়া প্রয়োজন। এই কারেকশনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় 1.1850 এর লেভেল, যা আমরা বছরের শুরু থেকে উল্লেখ করছি। যদি পাউন্ডের মূল্য 1.1850-এ নেমে যায়, তবে যেকোন সম্ভাব্য নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য শক্তিশালী মৌলিক কারণের প্রয়োজন হবে। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পরবর্তী চার বছরে অর্থনৈতিক, আর্থিক বা ভূ-রাজনৈতিক সংকট এড়িয়ে চলে, তবে দীর্ঘমেয়াদে ডলার দুর্বল হওয়ার জন্য কোন যৌক্তিকতা থাকবে না। সুতরাং, যদি এই পেয়ারের মূল্য সেপ্টেম্বর ২০২২-এর নিম্ন লেভেলগুলোতে না পৌঁছায়, তাহলে আমরা সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট প্রবণতার আশা করছি, কিন্তু নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা যাবে না বলে মনে হচ্ছে।
গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি 123 পিপস ছিল, যা "উচ্চমাত্রা" হিসাবে বিবেচনা করা যায়। মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2746 থেকে 1.2992 রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী হয়ে গেছে, যা একটি বিয়ারিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। CCI সূচকটি একটি বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে, তবে রিবাউন্ড ইতোমধ্যেই ঘটেছে, ফলে মূল্য একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করছে। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1: 1.2848 S2: 1.2817 S3: 1.2787 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1: 1.2878 R2: 1.2909 R3: 1.2939
ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে। আমরা এখনও লং পজিশন এড়িয়ে যাচ্ছি, কারণ আমরা মনে করি যে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি করতে পারে এমন সমস্ত কারণগুলো অনেকবার মূল্যায়ন করা হয়েছে। যদি আপনি "শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কৌশল" ব্যবহার করে ট্রেড করেন, তবে শুধুমাত্র মূল্য মুভিং এভারেজের উপরে উঠে গেলেই লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3000 এবং 1.3031 এর লেভেল। তবে, বর্তমানে মার্কেটে ফ্ল্যাট প্রবণতা বিরাজ করছে। তদ্ব্যতীত, ফ্ল্যাট মুভমেন্টে স্পষ্টভাবে নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য মুভিং এভারেজের নিচে থাকে, শর্ট পজিশন প্রাসঙ্গিক থাকবে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.2817 এবং 1.2756 এর লেভেল।
Read more: https://ifxpr.com/3Z2i4yo
|
|
|
১৩ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার মাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। ইউরোজোন বা যুক্তরাজ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না, যার ফলে ট্রেডারদের মনোযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর কেন্দ্রীভূত থাকবে। এই প্রতিবেদনটি সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে ডলারের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। অক্টোবরে মার্কিন কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) 2.6% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে, যা মার্কিন মুদ্রার জন্য অত্যন্ত অনুকূল হবে। আমরা মনে করি যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই এই পূর্বাভাস মূল্যায়ন করেছে। অতএব, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ঘটনা ডলারের আরও দর বৃদ্ধির প্রবণতাকে উদ্দীপ্ত করতে পারে, যেখানে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি পূর্বাভাসের চেয়ে কম হলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি কমিটির কয়েকজন সদস্যের ভাষণ উল্লেখযোগ্য। তবে, মাত্র গত সপ্তাহে ফেডের সাম্প্রতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে এই বক্তব্যগুলো থেকে সম্ভবত বড় ধরনের কোন তথ্য পাওয়া যাবে না। তদ্ব্যতীত, ডিসেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসে বিরতির ইঙ্গিত পাওয়া গেলে মার্কিন ডলারের মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এই বক্তব্যগুলো মার্কিন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরে অনুষ্ঠিত হবে, যা ফেডের কর্মকর্তাদের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্য করার সুযোগ দেবে, যা তাদের বক্তব্যগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও দৃঢ়ভাবে ডলার ক্রয় করছে। তবে, মার্কিন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনটির ফলাফল 2.5% এর নিচে এলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেন্সি পেয়ারের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। কোর ইনফ্লেশন বা মূল মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের ফলাফলও উপেক্ষা করা উচিত নয়; সামগ্রিকভাবে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি সেটি ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে।
Read more: https://ifxpr.com/3URjRnd
|
|
|
১৪ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। ইউরোজোনে, জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যখন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদক মূল্য সূচক এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে, এই প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে কোনটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোজোনের জিডিপি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা জিডিপির সকল অনুমানের মধ্যে তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে কিছুটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, তবে তা খুব বেশি হবে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের প্রধান ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে জেরোম পাওয়েল এবং অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে প্রশ্ন হল: তারা ট্রেডারদেরকে কী নতুন কোন তথ্য প্রদান করতে পারেন? গত সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই এত অল্প সময়ে তাদের মতামত বা অবস্থান পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। অবশ্যই, এই ইভেন্ট দুটি উপেক্ষা করা উচিত নয়, বিশেষ করে পাওয়েলের বক্তব্য, কারণ তিত্নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। তবে আমরা মনে করি না যে পাওয়েল বা বেইলি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি থামাতে পারবেন। ফেড ডিসেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসে বিরতি নিতে পারে, যা ডলারের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা জাগাতে পারে।
উপসংহার: সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে কেবল ডলার ক্রয়ের উপরই মনোনিবেশ করছে। পাওয়েল বা বেইলির বক্তব্য মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে আমরা মনে করি তাদের বক্তব্যের প্রভাবে কেবল মার্কেটে চলমান ডলার ক্রয়ের প্রবণতা আরও সমর্থিত হবে। আজ প্রকাশিতব্য সকল প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
Read more: https://ifxpr.com/3Cqzf3T
|
|
|
১৮ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি লুইস ডে গুইন্ডোস, ফিলিপ লেন এবং ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য রয়েছে। আমরা আশা করছি না যে ইসিবির এই কর্মকর্তাগণ মার্কেটের ট্রেডারদের কোন গুরুত্বপূর্ণ নতুন তথ্য প্রদান করবেন বা ইউরোকে সমর্থন যোগাবেন। ইসিবি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান বজায় রেখেছে, যখন মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন ডলার ক্রয়ের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। সুতরাং, আমরা মনে করি যে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। যদিও সপ্তাহের শুরুর কয়েক দিন কনসলিডেশন (ফ্ল্যাট ট্রেডিং) হতে পারে, তবে এমনটি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে হচ্ছে।
উপসংহার: এ সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা মূলত মার্কিন ডলার ক্রয়ের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। বৃহস্পতিবার পাওয়েলের বক্তব্য ডলারকে শক্তিশালী করেছে এবং শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ডলারের আরও বৃদ্ধিকে সমর্থন যুগিয়েছে। যদিও আরেকটি কারেকশনের প্রচেষ্টারও সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বর্তমানে ইউরো বা পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির কোন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।
Read more: https://ifxpr.com/3OdZhde
|
|
|
ইউরোর মূল্য কি তলানিতে নেমে গিয়েছে?
সর্বশেষ কমিটমেন্টস অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট ৫ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পেয়ারের বিক্রেতাদের আধিপত্য বিস্তার করার সর্বশেষ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। যাইহোক, এক মাস আগে, প্রফেশনাল ট্রেডারদের শর্ট পজিশনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো নেট পজিশনের সংখ্যা হ্রাস করেছে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে এখন ইউরো ক্রয়ের চেয়ে বেশি বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা এখনও ইউরোর মূল্যের শক্তিশালী হওয়ার জন্য কোন মৌলিক কারণ দেখতে পাচ্ছি না, যখন প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ একটি কনসলিডেশনের (ফ্ল্যাট মার্কেট) ইঙ্গিত দেয়। সাপ্তাহিক টাইম ফ্রেমে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে এই পেয়ার 1.0448 এবং 1.1274 রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করছে। ফলে এই পেয়ারের মূল্য কার্যত ৭-মাস ধরে অবস্থান করা রেঞ্জ থেকে ২০-মাসের রেঞ্জে স্থানান্তরিত হয়েছে। ফলে, 1.0448-এর দিকে আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়ে গেছে, যেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য খুব বেশি দূরে নেই। গত সপ্তাহের রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপের লং পজিশনের সংখ্যা 100 বেড়েছে, যেখানে শর্ট পজিশনের সংখ্যা 14,100 কমেছে, যার ফলে নেট পজিশনের সংখ্যা 14,200 বেড়েছে। এখনও ইউরোর বেশ উল্লেখযোগ্য দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4exV3HT
|
|
|
কেন মার্কিন ডলারের নিম্নমুখী প্রবণতা থেমে গেল?
রাজনৈতিক ও মৌলিক পটভূমি সাধারণত সীমিত সময়কাল ধরে প্রভাব বিস্তার করে—এগুলোর প্রভাবের মাত্রা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, বরং প্রভাবের স্থায়িত্ব খুব বেশি হয় না। মার্কেটের ট্রেডাররা রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর প্রতি তীব্র এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেগুলো দ্রুত বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যে প্রতিফলিত হয়। এ ধরনের ঘটনা যত ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে তত দ্রুতই এই প্রভাব ম্লান হয়ে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। তবে, এক্ষেত্রে, সংবাদটির প্রভাব এত তীব্র ছিল যে এর পরবর্তী প্রভাব প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান ছিল, বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রশাসনে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো মার্কেটে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তবে, সেই দুই সপ্তাহ শেষ হয়েছে এবং মার্কেটে এই প্রভাব ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের প্রভাব ফিকে হয়ে গেছে, যার ফলে মার্কিন ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে, যা ডলারের চাহিদার পতনকে প্রতিফলিত করে। ডলারের প্রধান পেয়ারগুলোর মূল্য সেই অনুযায়ী সমন্বয় করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা উল্লেখযোগ্যভাবে ১০০-পয়েন্টের কারেকশন ঘটিয়েছে। এখানে "কারেকশন" শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান মৌলিক পটভূমি এখনও এই পেয়ারের মূল্যের স্থায়ী বৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্দেশ করে না—শুধু ট্রাম্পের আবার খবরের শিরোনামে আসার সম্ভাবনা থাকার জন্য নয় বা ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর অবস্থানের কারণে নয়, বরং ইউরোর সম্ভাব্য দুর্বলতার কারণে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীর বিজয়ের পরে, ডিসেম্বরের সভায় ইসিবির সুদের হার ৫০-বেসিস-পয়েন্ট কমানোর সম্ভাবনা কমে গিয়েছিল, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকির দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছিল। তবে, এখন ট্রেডারদের দৃষ্টি মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগ থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের দিকে স্থানান্তরিত হয়েছে। তবুও, সুদের হার ৫০-বেসিস-পয়েন্ট কমানোর সম্ভাবনা এখনও আলোচনায় রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ইসিবির সদস্য গ্যাব্রিয়েল মাখলুফ (আয়ারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর) সম্প্রতি উল্লেখ করেছেন যে এমন একটি পদক্ষেপের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর জন্য "জোরালো কারণের" প্রয়োজন হবে। আমার মতে, PMI সূচকের দুর্বল ফলাফল এখানে একটি নির্ধারক ভূমিকা পালন করতে পারে। এই প্রতিবেদন এই শুক্রবার (২২ নভেম্বর) প্রকাশিত হবে, যার মাত্র তিন সপ্তাহ পরে ইসিবির ডিসেম্বরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যদি এই প্রতিবেদনটির ফলাফল নেতিবাচক হয়, তাহলে ইসিবির সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে, যা ইউরোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
জার্মানির সামষ্টিক প্রতিবেদনের ওপরও ট্রেডারদের বিশেষ নজর থাকবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, নভেম্বরে জার্মানির উৎপাদন সংক্রান্ত PMI সূচক সামান্য নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা অক্টোবরের স্তরের কাছাকাছি অবস্থান করবে (অক্টোবরে ৪৩.১ এর বিপরীতে ৪৩.০)। দেশটির পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচক ৫০-পয়েন্টের ওপরে সামান্য বৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে (আগের মাসে ৫১.৬ বিপরীতে ৫১.৮ হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে)। এটি সাধারণ পূর্বাভাস, তবে সব বিশ্লেষক এ ব্যাপারে একমত নন। উদাহরণস্বরূপ, ING-এর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে জার্মানির প্রতিবেদনের ফলাফল এই পূর্বাভাসের চেয়ে কম হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে, ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে নয় বরং ইউরোর দুর্বলতার কারণে EUR/USD-এর দরপতন ঘটবে।
এদিকে, ফেডারেল রিজার্ভের ডিসেম্বরে বৈঠকে সুদের হার হ্রাসে বিরতির বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। CME FedWatch টুল অনুযায়ী, ডিসেম্বরে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা ৪০%-এ পৌঁছেছে। কিছু মুদ্রা কৌশলবিদ ইতোমধ্যে নিশ্চিত যে ফেডারেল রিজার্ভ পরবর্তী বৈঠকে সুদের হারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখবে। উদাহরণস্বরূপ, Nomura-র বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে ফেড অন্তত মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে (এবং তারা মার্চ এবং জুনে মোট ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছেন)। তবে আরেকটি পূর্বাভাস রয়েছে। ব্যাংক অব আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা ডিসেম্বরে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছেন, যার পরে মার্চ এবং জুনে আরও দুইবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে সুদের হার কমানো হবে বলে তারা ধারণা করছেন, তারপর ফেড ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত সুদের হার হ্রাসে বিরতি গ্রহণ করবে। যদিও মার্কেটে ফেডের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের বিষয়ে ঐকমত্যের অভাব রয়েছে, একটি বিষয় স্পষ্ট: ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই মনে করেন যে ফেড সুদের হার হ্রাসে বিরতি নেবে বা সুদের হার হ্রাস বন্ধ করবে, শুধুমাত্র এই সিদ্ধান্তের সময়কাল নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক চলমান রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কি EUR/USD পেয়ারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বজায় থাকবে? আমার মতে, না। তাই এখনই প্রবণতার পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা করাটা ঠিক হবে না। একই সময়ে, EUR/USD-এর মূল্যের 1.1000 এর লেভেলের ব্রেকের জন্য কোনো মৌলিক প্রভাবকও নেই। অতিরিক্ত অনুঘটক প্রয়োজন—যেমন নিশ্চিতভাবে ইসিবির সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্টের হ্রাস (যা PMI প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফলের কারণে হতে পারে) বা ফেডের হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি। এই সপ্তাহে ফেডের নীতিনির্ধারকরা EUR/USD পেয়ারের বিক্রেতাদের জন্য সমর্থন যোগাতে পারেন, যেখানে মিশেল বোম্যানের বক্তব্যের (২০ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য) ওপর বিশেষ নজর থাকবে, যিনি সেপ্টেম্বরে সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্টের হ্রাসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন কিন্তু অক্টোবরে সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্টের হ্রাসের পক্ষে সমর্থন যুগিয়েছিলেন। তার মন্তব্য EUR/USD পেয়ারের মূল্যের আরও বেশি অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। EUR/USD-এর ট্রেডিং কৌশল যদি বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.0560 এর সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করিয়ে নিচের দিকে নিয়ে যেতে পারে (H4 টাইমফ্রেমের মধ্যবর্তী বোলিঞ্জার ব্যান্ড লাইনে)তাহলে EUR/USD-এর শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ইনস্ট্রুমেন্টটির মূল্য মধ্যবর্তী এবং নিম্ন বোলিঞ্জার ব্যান্ড লাইনের মধ্যে এবং সমস্ত ইচিমোকু সূচক লাইনের নিচে নেমে যাবে, একটি বিয়ারিশ "লাইন প্যারেড" সিগন্যাল গঠন করবে। নিম্নমুখী মুভমেন্টের ক্ষেত্রে মূল্যের প্রধান লক্ষ্য হল 1.0500 (চার ঘণ্টার চার্টে বোলিঞ্জার ব্যান্ডের নিম্ন লাইন)। 1.0400 এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা এখন ঝুঁকিপূর্ণ কারণ অস্পষ্ট মৌলিক পটভূমির কারণে বিক্রেতাদের জন্য এই পেয়ারের মূল্যকে 1.0500 লেভেলের নিচে রাখা কঠিন হবে।
Read more: https://ifxpr.com/3Zg4OX5
|
|
|
যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু পাউন্ড চাপের মধ্যে রয়েছে
বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছিল, কিন্তু মূল্য 1.27 রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন পাউন্ডকে কেবল সাময়িকভাবে সমর্থন প্রদান করেছিল, যদিও এই প্রতিবেদনের প্রায় সব উপাদানই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। কিন্তু ডলার আবারও শক্তিশালী হয়েছে—তাই এই পেয়ারের মূল্য 1.2713 পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরে 1.26 রেঞ্জে ফিরে এসেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, GBP/USD পেয়ারের ট্রেডাররা টানা দুই দিন পাউন্ডের জন্য ইতিবাচক মৌলিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করেছেন। মঙ্গলবার, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কর্মকর্তারা মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং বুধবারের প্রতিবেদনে অক্টোবর মাসে মুদ্রাস্ফীতির চাপ আরও বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, প্রকাশিত প্রতিবেদন উদ্বেগের যথার্থতা প্রমাণ করছে। তবে, তা সত্ত্বেও এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে ব্যর্থ হয়েছে, যদিও মূল্য 1.27 রেঞ্জে পৌঁছেছিল।
মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন দিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক। প্রথমত, এই প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল ট্রেডারদের চমকে দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাজ্যের মাসিক কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক বৃদ্ধি পেয়ে 0.6%-এ পৌঁছেছে (প্রত্যাশা ছিল 0.4%), যা মার্চের পর থেকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধির হার। বার্ষিক ভিত্তিতে এই সূচক বৃদ্ধি পেয়ে 2.3%-এ পৌঁছেছে (প্রত্যাশা ছিল 2.2%)। সূচকটির ফলাফল ইতিবাচক ছিল, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে বেশ কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে (এপ্রিলের পর থেকে অক্টোবর মাসে সবচেয়ে শক্তিশালী বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে)। কোর CPI বা মূল ভোক্তা মূল্য সূচক, যা খাদ্য ও জ্বালানি মূল্য বাদ দিয়ে বিবেচনা করা হয়, পাউন্ডকে সমর্থন যুগিয়েছিল, এই সূচকটি বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 3.3%-এ পৌঁছেছে (পূর্বাভাস ছিল 3.1%)। বেতন সংক্রান্ত আলোচনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রিটেইল প্রাইস ইনডেক্স বা খুচরা বিক্রয় সূচকের (RPI) ফলাফল প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকলেও এটি এখনও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করেছে। মাসিক ভিত্তিতে, RPI 0.5%-এর ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। বার্ষিক ভিত্তিতে, সূচকটি অক্টোবর মাসে বেড়ে 3.4%-এ পৌঁছেছে, যা সেপ্টেম্বরে 2.7% ছিল। মাসিক প্রডিউসার পারচেজ প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক ক্রয় মূল্য সূচক এই বছরের এপ্রিলের পর থেকে প্রথমবারের মতো ঋণাত্নক মান থেকে বেড়ে 0.1%-এ পৌঁছেছে। বার্ষিক ভিত্তিতে, সূচকটি -2.3%-এ পৌঁছেছে (-3.0%-এ পতনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল)। প্রডিউসার সেলিং প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক বিক্রয় মূল্য সূচকও ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে: মাসিক ভিত্তিতে সূচক 0.0% (প্রত্যাশা ছিল -0.1%) এবং বার্ষিক ভিত্তিতে সূচকটি -0.8% (প্রত্যাশা ছিল -1.0%) ছিল। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল এটি নিশ্চিত করে যে আগামী বৈঠকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BoE) সম্ভবত বর্তমান মুদ্রানীতি বজায় রাখবে। সম্প্রতি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের (ক্লেয়ার লম্বারডেলি, ক্যাথরিন ম্যান, অ্যালান টেলর) বক্তব্যে মাঝারিভাবে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তারা মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তবে আসন্ন বৈঠকে সুদের হার বৃদ্ধির কোনো সংকেত দেয়নি। সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে বিরতি দেওয়ার সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করেছে, কারণ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মুদ্রাস্ফীতির স্থায়ীত্বের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করছে। যুক্তরাজ্যে অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির প্রতিবেদনটি এই বক্তব্যগুলোর আলোকে দেখা উচিত: এতে কোনো সন্দেহ নেই যে যদি প্রতিবেদনটি সংসদীয় শুনানির আগের দিন প্রকাশিত হতো, তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কর্মকর্তারা আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতো। তবে এখানে সহজেই বিষয়টি অনুধাবন করা যায় এবং এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে বিরতি দেবে।
Read more: https://ifxpr.com/3Z2OyqS
|
|
|
ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন কি থামতে পারে?
শুক্রবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। চার্টে যা দেখা যাচ্ছে যে এটি ব্রিটিশ মুদ্রার জন্য তুলনামূলকভাবে আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতি। উল্লেখযোগ্য যে, অস্থিরতার মাত্রার কারণে পাউন্ডের দরপতন তীব্রতা ইউরোর তুলনায় কম। গত দুই মাসে, ইউরোর মূল্য ৭০০–৮০০ পিপস হ্রাস পেয়েছে, যখন পাউন্ডের মূল্য ৮০০–৯০০ পিপস কমেছে। তবে সাধারণত, পাউন্ডের মূল্যের অস্থিরতা ইউরোর চেয়ে প্রায় ১.৫ গুণ বেশি। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, এই সময়ের মধ্যে পাউন্ডের মূল্য ১,১০০–১,২০০ পিপস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারত। যাইহোক, মার্কিন ডলারের বিপরীতে দরপতনের ক্ষেত্রে পাউন্ড তুলনামূলকভাবে বেশি প্রতিরোধ দেখাচ্ছে। এই প্রতিরোধের পেছনে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (BoE) আর্থিক নীতিমালা আংশিকভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, যা পাউন্ডের দরপতন কিছুটা ধীর করছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মূল সুদের হার কমাতে তাড়াহুড়া করছে না। তবে এটি প্রায় নিশ্চিত যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ভবিষ্যতে সুদের হার কমানো অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি গত দুই বছর ধরে স্থবির অবস্থায় রয়েছে, যেখানে উচ্চ সুদের হার বজায় রাখা টেকসই কোন পদক্ষেপ নয়। সুতরাং, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সুদের হার কমানো প্রয়োজন। এর মধ্যে মার্কেটের ট্রেডাররা গত দুই বছর ধরে কেবল ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর বিষয়টি মূল্যায়ন করে এসেছে। ফলে, পাউন্ডের আরও উল্লেখযোগ্য দরপতনের সুযোগ রয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যের ক্যালেন্ডারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা বক্তব্য প্রদান অনুষ্ঠান নেই। তবে এর অর্থ এই নয় যে পাউন্ডের দরপতন থেমে যাবে। গত সপ্তাহ জুড়ে পাউন্ডের দরপতনের জন্য খুব বেশি কারণ ছিল না, তবুও সামষ্টিক বা মৌলিক পটভূমির কোন প্রভাব না থাকা সত্তেও পাউন্ডের মূল্য ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে PCE প্রাইস ইনডেক্স, তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান, এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়। সাধারণত, মার্কেটের ট্রেডাররা জিডিপি প্রতিবেদনের প্রতি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে না। যদিও ফেডের জন্য PCE ইনডেক্স গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটির ফলাফল পূর্বাভাসের থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন না হলে মার্কেটে কম প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এদিকে, ডিউরেবল গুডস অর্ডার্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল আকর্ষণীয় হলেও এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। বর্তমান বাজারের পরিস্থিতি বৈশ্বিক কারণ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, এবং সাধারণভাবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক পটভূমি এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়। গত দুই মাসে, ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের মধ্যেও ডলারের মূল্য বেড়েছে—যা একটি পরস্পরবিরোধী ঘটনা। তবে আমরা আগেও ব্যাখ্যা করেছি যে, ফেডের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশায় দুই বছর ধরে ডলারের হ্রাস পেয়েছিল। সুতরাং, নীতিমালার নমনীয়করণের প্রভাবে বেশিরভাগ অংশ ইতোমধ্যেই মূল্যায়িত হয়েছে, এবং মার্কেটে এখন ডলারের ন্যায্য মূল্যের সমন্বয় করা হচ্ছে এবং পূর্বে উপেক্ষিত বিষয়গুলো আমলে নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ, ব্রিটিশ অর্থনীতির দুর্বলতা, এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন। সুতরাং, আমরা মনে করি উল্লেখযোগ্য বাধা ছাড়াই পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 86 পিপস, যা "মাঝারি" হিসেবে বিবেচনা করা যায়। সোমবার, ২৫ নভেম্বর, আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2444 এবং 1.2616 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল নিম্নমুখী, যা স্থায়ীভাবে এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা নির্দেশ করে। CCI সূচকটি একাধিক বুলিশ ডাইভারজেন্স তৈরি করেছে এবং কয়েকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, তবে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের সম্ভাবনা এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1: 1.2451 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1: 1.2573 R2: 1.2695 R3: 1.2817 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে। আমরা এখনও মনে করছি যে লং পজিশন থেকে খুব বেশি লাভের সম্ভাবনা নেই, কারণ আমরা মনে করি পাউন্ডের দর বৃদ্ধির সম্ভাব্য সমস্ত কারণ ইতোমধ্যে একাধিকবার মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করেছে। যারা "শুধুমাত্র টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের" ভিত্তিতে ট্রেড করেন, তারা লং পজিশন ওপেন করতে পারেন, তবে সেসময় এই পেয়ারের মূল্যকে মুভিং অ্যাভারেজের উপরে থাকতে হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2817 এবং 1.2878। তবে, শর্ট পজিশন আরও বেশি লাভজনক হতে পারে, এবং মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের নিচে থাকতে হবে, এক্ষেত্রে মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.2451 এর লেভেল।
Read more: https://ifxpr.com/4fZdM0c
|
|
|
পাউন্ডের মূল্যের কারেকশনের প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হলেও তা সফল হয়নি
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টের বিশ্লেষণ সোমবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ার কারেকশনের চেষ্টা করেছিল, তবে মূল্য ক্রিটিকাল লাইন বা ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরে স্থির হতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে। বাস্তবে, এটি ইতোমধ্যেই পুনরায় শুরু হয়েছে, কারণ সোমবার দিনে দ্বিতীয়ার্ধে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের তুলনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই পেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরপতন হতে দেখা গেছে। ফলে, সর্বশেষ কারেকশন সঠিকভাবে শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যেতে পারে। এটি অবাক হওয়ার মতো কোন বিষয় নয়, কারণ আমরা এখনো মনে করি যে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনই যুক্তিসঙ্গত। সম্প্রতি এমন কোনো খবর বা ইভেন্ট ছিল না যা বৈশ্বিক মৌলিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যদি তাই হয়, তবে পাউন্ডের মূল্য হঠাৎ করে কীসের ভিত্তিতে বাড়তে শুরু করবে? আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে এবং এর লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2429–1.2445 এরিয়া। যদি এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেল, কিজুন-সেন লাইন এবং 1.2605–1.2620 এর উপরে স্থির হয়, তাহলে আমরা কিছুটা শক্তিশালী কারেকশনের আলোচনা করতে পারি। তবে, আপাতত এটি ঘটছে না। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশিত হয়নি, যার ফলে দিনজুড়ে ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো তেমন কিছু ছিল না। তবুও, সোমবারের ট্রেডিং সিগন্যালগুলো বেশ আকর্ষণীয় ছিল। মূল্য 1.2599–1.2620 এরিয়া থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা উভয় ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ প্রদান করেছে। যদিও মূল্য উভয় ক্ষেত্রেই নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা 1.2516-এ পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে আজও এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ সব প্রধান সূচক এখনো এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করছে। সম্ভাব্য লোকসান থেকে সুরক্ষা পেতে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা যেতে পারে।
COT রিপোর্ট সর্বশেষ কমিটমেন্টস অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট অনুযায়ী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ পাউন্ডের কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট অত্যন্ত অস্থির হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন প্রতিফলিত করে, প্রায়ই পরস্পরকে অতিক্রম করছে এবং শূন্যের কাছাকাছি রয়েছে। লাল লাইনটি শূন্যের নিচে থাকা অবস্থায় এই পেয়ারের মূল্যের সর্বশেষ নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। বর্তমানে লাল লাইনটি শূন্যের উপরে রয়েছে, তবে এই পেয়ারের মূল্য গুরুত্বপূর্ণ 1.3154 এর লেভেল অতিক্রম করেছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুসারে, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপ 18,300টি বাই কন্ট্রাক্ট এবং 2,500টি সেল কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে, যার সাপ্তাহিক ভিত্তিতে নেট পজিশনের সংখ্যা 15,800 হ্রাস পেয়েছে। মৌলিক পটভূমি এখনও দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ড ক্রয়ের জন্য কোন ভিত্তি প্রদান করছে না, এবং বিশ্বব্যাপী পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে একটি অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন রয়েছে, যার মানে দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা এখনও নিশ্চিত করা যায় না। যাইহোক, পাউন্ড এই ট্রেন্ডলাইনটি টেস্ট করার সময়, মূল্য এখনও এটি ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে পারেনি। দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের একটি রিবাউন্ড এবং কারেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আমরা আশা করি যে মূক্ত এই ট্রেন্ডলাইনটি অতিক্রম করবে, যার ফলে আরও দরপতন ঘটতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4fAxeRb
|
|
|
গ্যারি গেন্সলারকে বরখাস্তের প্রতিশ্রুতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের!
জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব শুরু হবে। গ্যারি গেন্সলার দীর্ঘদিন ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে জোরালোভাবে সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন। তার কার্যক্রম ক্রিপ্টো কমিউনিটিতে সমালোচনা ঝড় তুলে দিয়েছিল ও এই ইন্ড্রাস্ট্রিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল। বিশেষত তিনি যখন কয়েনবেস, বাইন্যান্স এবং ক্র্যাকেন-এর মতো বড় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তখন তার বিরুদ্ধে "নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বলপ্রয়োগ" এর অভিযোগ উঠেছিল। গেন্সলার ১৭ এপ্রিল, ২০২১-এ SEC-এ তার মেয়াদ শুরু করেছিলেন, যা আর্থিক বাজার নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে। তিনি ট্রেজারি বন্ড মার্কেটে সেন্ট্রালাইজড ক্লিয়ারিং কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং নির্বাহী ক্ষতিপূরণ ও কর্মক্ষমতার মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন কার্যকর করেছেন। এছাড়া, তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার জন্য তার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। তবে, তার মতে অধিকাংশ ক্রিপ্টোকারেন্সি সিকিউরিটিজ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত, ফলে তিনি কমোডিটি ফিউচারস ট্রেডিং কমিশন (CFTC)-এর মতো অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থানে পড়ে যান। তার পদত্যাগের ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ের সঙ্গে মিলে যায়। একই সময়ে, হোয়াইট হাউসে ক্রিপ্টোকারেন্সি-সংক্রান্ত একটি নতুন পদ সৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পদটির প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করতে এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচন করতে ট্রাম্পের টিম ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করছে। যদি ট্রাম্প এই এজেন্সি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যান, তবে এটি হবে ক্রিপ্টোকারেন্সি-ভিত্তিক প্রথম হোয়াইট হাউস পজিশন। এই নতুন পদের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কয়েনবেসের সিইও ব্রায়ান আর্মস্ট্রং, কয়েনবেস এবং বাইন্যান্সের সাবেক নির্বাহী ব্রায়ান ব্রুকস এবং CFTC এর সাবেক চেয়ারম্যান ক্রিস জিয়ানকার্লো, যিনি কমিউনিটিতে "ক্রিপ্টো ড্যাড" নামে পরিচিত। ম্যানেজমেন্টে এই ধরনের পরিবর্তন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি নীতিমালা ঘিরে আলোচনার কারণে বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে এটির মূল্য ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে।
Read more: [url]https://ifxpr.com/3CPzhSX[/url]
|
|
|
ISM সূচক, পাওয়েলের বক্তব্য এবং নভেম্বরের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের সাথে ডিসেম্বরের গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহের সূচনা
এবারের ডিসেম্বরকে দুটি অসম অংশে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথম অংশে (প্রথম তিন সপ্তাহ) বৈশ্বিক ফরেক্স মার্কেটে উচ্চমাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, কারণ ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ মাসিক প্রতিবেদন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বছরের শেষ বৈঠকের ফলাফল প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে। দ্বিতীয় অংশ হলো ছুটির আগে এবং পরের সময়কাল। EUR/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, সাধারণত ফেডারেল রিজার্ভ বছরের শেষ সিদ্ধান্ত প্রদান করে, যা ডিসেম্বরে (এই বছর ১৮ তারিখে) অনুষ্ঠিত হবে। এর কয়েক দিন আগে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে (এই বছর ১২ ডিসেম্বর ইসিবির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে)। এর মধ্যে, নভেম্বর এবং অক্টোবর মাসের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বৈঠকে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই প্রেক্ষাপটে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সোমবার আজ ইউরোপীয় সেশনের সময় নভেম্বরের PMI সূচকের চূড়ান্ত অনুমান প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, চূড়ান্ত অনুমানের ফলাফল প্রাথমিক পরিসংখ্যানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। এর আগে এই সূচকের প্রাথমিক অনুমান ইউরোর উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছিল, কারণ এই সূচকের বেশিরভাগই উপাদানই প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল, যা ইউরোপীয় ব্যবসায়িক খাতে বাড়তে থাকা নিরাশার প্রতিফলন ঘটায়। যদি সূচকটির ফলাফল নিম্নমুখী হয়, তবে ইউরো আরও চাপের মুখে পড়তে পারে। তবে, EUR/USD-এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনটি মার্কিন সেশনে প্রকাশিত হবে এবং সেটি নভেম্বরের মার্কিন ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স। এপ্রিল থেকে এই সূচকটি সংকোচন অঞ্চলে রয়েছে এবং অক্টোবর মাসে এটি 46.5-এ নেমে আসে। নভেম্বরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এটি সামান্য পুনরুদ্ধার করে 47.7-এ পৌঁছানোর কথা রয়েছে। যদি এই সূচকটি অপ্রত্যাশিতভাবে ৫০ পয়েন্টের সীমা অতিক্রম করে সম্প্রসারণ অঞ্চলে প্রবেশ করে, তবে এটি ডলারকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রদান করতে পারে, যদিও এমনটি ঘটার সম্ভাবনা কম। যদি সূচকটির ফলাফল প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়, তবে মার্কেটে মৃদু প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে, তবে পূর্বাভাসের তুলনায় প্রকৃত ফলাফলের যেকোনো ভিন্নতা মার্কেটে উচ্চমাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, সোমবার ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার বক্তব্য দেবেন। তিনি সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে বক্তব্য দিয়েছিলেন, যখন তিনি মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল নেতিবাচক হলে আরও আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় এবং বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির আলোকে তার অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মঙ্গলবার মঙ্গলবাঃর মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে ট্রেডারদের মনোযোগ থাকবে, কারণ JOLTS জব ওপেনিংস রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদন নির্দিষ্ট মাসের শেষে বেসরকারি খাতে চাকরির শূন্যপদগুলোর সংখ্যা প্রতিফলিত করে, যা মৌসুমীভিত্তিক সমন্বয় করা হয়েছে। জুন এবং জুলাই মাসে এই প্রতিবেদনের ফলাফল নিম্নমুখী হওয়ার পর, সূচকটি আগস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে সেপ্টেম্বরে (7.443 মিলিয়ন) আবারও হ্রাস পায়। অক্টোবরের জন্য পূর্বাভাস রয়েছে 7.490 মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তবে এটি মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তাদের মধ্যে নিউ ইয়র্ক ফেড প্রেসিডেন্ট জন উইলিয়ামস, শিকাগো ফেড প্রেসিডেন্ট অস্টান গুলসবি, এবং ফেড গভর্নর অ্যাড্রিয়ানা কুগলারের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার বুধবার মার্কিন সেশন শুরু হবে ADP এমপ্লয়মেন্ট সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রকাশনা দিয়ে, যা মার্কিন শ্রমবাজারের সম্ভাব্য পরিবর্তনের একটি প্রাথমিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ এটি অফিসিয়াল ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন প্রকাশের দুই দিন আগে প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনের প্রাথমিক পূর্বাভাস ডলারের জন্য প্রতিকূল, যেখানে বেসরকারি খাতে মাত্র 166,000 নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফল ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন প্রকাশের আগে ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, নভেম্বরের ISM সার্ভিসেস ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। বিশেষজ্ঞরা অক্টোবরের এই সূচকের 55.5 (পূর্বের মান: 56.0) এর কাছাকাছি একটি ফলাফল প্রত্যাশা করছেন। ডলারের ক্রেতাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে এই সূচকটি যাতে ৫০ পয়েন্টের উপরে থাকে, এছাড়া ডলার ক্রয় করা উচিত হবে না। এছাড়া বুধবার ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল-এরও বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। নভেম্বরের শুরুর দিকে তার মন্তব্য EUR/USD-এর মূল্যের উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল, যখন তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ফেড সুদের হার কমানোর ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবে না। এরপর থেকে, CME FedWatch অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ২৯%-এ নেমে এসেছে। পাওয়েলের মন্তব্য, বিশেষত কোর PCE ইনডেক্স (যা ২.৮%-এ পৌঁছেছে) সম্পর্কে তার মন্তব্য মার্কেট সেন্টিমেন্টকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার জার্মানির ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে ৪.২% বৃদ্ধির পর, অক্টোবর মাসে এটি ২.১% হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গত সপ্তাহে বেকার ভাতার জন্য আবেদনের সংখ্যা ছিল 213,000, যা মে মাসের পর সর্বনিম্ন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এটি সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে 215,000-এ পৌঁছাতে পারে। তবে, এই প্রতিবেদনের ফলাফল তেমন গুরুত্ব না দেওয়া হতে পারে, কারণ ট্রেডাররা শুক্রবারের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি বেশি মনোযোগী।
শুক্রবার শুক্রবারের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে নভেম্বরের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন। গত মাসে মার্কিন শ্রমবাজার মাত্র ১২,০০০ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে ট্রেডারদের চমকে দিয়েছিল। তবে, এই সংখ্যা ধর্মঘট এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এসেছিল। নভেম্বরে এমন কোনো ব্যাঘাত না থাকায়, ট্রেডাররা আরও সঠিক প্রতিবেদনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বেকারত্বের হার সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ৪.২%-এ পৌঁছাতে পারে, যা গত দুই মাস ধরে ৪.১%-এ ছিল। ২০৫,০০০ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০০,০০০ এর উপরের যেকোনো সংখ্যা ডলারকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রদান করবে। মজুরি বৃদ্ধির সূচক, যা মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপে সহায়ক সূচক, ৪.০%-এ স্থির থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ডলারের ক্রেতাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে এই সূচকটি যাতে ৪%-এর নিচে না নামে।
উপসংহার এই সপ্তাহে বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে এবং এই পেয়ারের মূল্যের অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা দেখা যাবে বলে মনে হচ্ছে। যদি ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক হয়, নভেম্বর ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল পরিলক্ষিত হয়, এবং পাওয়েল সতর্ক অবস্থান বজায় রাখেন, তবে মার্কেটে ডিসেম্বরে সুদের হার হ্রাসে বিরতির বিষয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, যা EUR/USD পেয়ারের মূল্যকে পুনরায় 1.04 রেঞ্জে নামিয়ে আনতে পারে। বিপরীতে, মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0630 লেভেলের উপরে চলে যেতে পারে, যা ডেইলি চার্টে মিডল বোলিঙ্গার ব্যান্ড এবং কিজুন-সেন লাইন-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
Read more: https://ifxpr.com/3Zde5O9
|
|
|
ডলারের জন্য সপ্তাহটি ইতিবাচকভাবে শুরু হয়েছে
সোমবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে কনসলিডেট করেছে। মার্কিন ডলারের জন্য সপ্তাহটি ইতিবাচকভাবে শুরু হয়েছে। কোনো স্পষ্ট অনুঘটক ছাড়াই মার্কিন মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, যদিও রাতের বেলায় তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত ছিল না। আমাদের মতে, এই গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহের শুরুতেই মার্কেটের ট্রেডাররা দেখিয়েছে যে তারা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রাখতে প্রস্তুত। তবে, এ ব্যাপারে ট্রেডারদের বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়। যদি এই সপ্তাহের বেশিরভাগ মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফল দুর্বল হয়, তাহলে মার্কেট সেন্টিমেন্ট (অন্তত স্বল্পমেয়াদে) দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। এ সপ্তাহের মাত্র এক দিন পার হয়েছে, তাই কোন উপসংহার টানার সময় এখনো আসেনি। মূলত, আমরা যা উল্লেখ করেছিলাম তার সঙ্গে যোগ করার মতো কিছু নেই। আমরা এখনো মনে করি যে গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট শুধুমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন ছিল। যদি তাই হয়, তাহলে এই সপ্তাহে পুনরায় এই পেয়ারের দরপতন শুরু হতে পারে, যা ইউরোর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। ইউরোর মূল্য এখনো সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমের হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকার সুযোগ পেতে পারে, বিশেষ করে 1.0450-এর নিচে দরপতন এড়াতে পারলে। তবে, মূল্য এই লেভেল ব্রেক করলে, পেয়ারটির মূল্য প্রায় নিশ্চিতভাবেই 1.00–1.02 রেঞ্জের দিকে চলে যাবে। এই রেঞ্জের মধ্যে 16 বছর ধরে চলমান নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকা যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের 0.9500-এর সর্বশেষ নিম্ন লেভেলের পুনরায় টেস্ট হওয়ার প্রত্যাশা করতে পারি। বর্তমান প্রযুক্তিগত চিত্র শুধুমাত্র ইউরোর দরপতনের দিকেই ইঙ্গিত করে না, বরং উল্লেখযোগ্যভাবে বড় দরপতনের সম্ভাবনাও নির্দেশ করছে। অবশ্য, এই সপ্তাহে ইউরোর পরিবর্তে ডলার দুর্বল হতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মার্কিন শ্রম বাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে, তবে আমরা মনে করি এই প্রতিবেদনগুলো এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফেডারেল রিজার্ভ এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব নিয়ে বেশি চিন্তিত। গত কয়েক মাসে অনেকেই অনুমান করেছেন যে ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি বেশি বাড়তে পারে। এটি ফেডকে সুদের হার বাড়াতে বাধ্য করতে পারে, অথবা আগের প্রত্যাশার তুলনায় কম আক্রমণাত্নকভাবে সুদের হার কমাতে পারে। প্রসঙ্গত, গত দুই বছরে মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের প্রত্যাশিত মুদ্রানীতির নমনীয়করণের বিষয়টি মূল্যায়ন করেছে, যেখানে ২০২৪-এর জন্য 0.25% হারে ৬–৭ বার সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা করা হয়েছিল। তবে, এখন এটি স্পষ্ট যে ৬–৭ বার সুদের হার কমানো হবে না এবং অনেক স্বল্প মাত্রায় সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। উপরন্তু, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির নমনীয়করণের বিষয়টি এখনও পুরোপুরিভাবে মূল্যায়িত হয়নি, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অর্থনীতির তুলনামূলক অবস্থাও যথাযথভাবে বিবেচিত হয়নি। এখন যখন ইসিবি তাদের অর্থনীতির শোচনীয় অবস্থার কথা স্বীকার করেছে, তখন মার্কেটের ট্রেডাররা গত দুই বছরে ইউরোজোনের GDP প্রবৃদ্ধির অভাবকে "আমলে" নিয়েছে। আমরা মনে করি, এখনও ডলারের আরও মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত, গত পাঁচ দিনে ট্রেডিংয়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 91 পিপস, যা "গড়পরতা" হিসেবে বিবেচনা করা যায়। মঙ্গলবার, আমরা 1.0402 এবং 1.0584 লেভেলের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখতে পারি। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী হচ্ছে, যা নির্দেশ করে যে সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে। CCI সূচকটি কয়েকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যা একটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সূচনা করেছে।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল S1 – 1.0498 S2 – 1.0376 S3 – 1.0254 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল R1 – 1.0620 R2 – 1.0742 R3 – 1.0864 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: পুনরায় EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, আমরা নিয়মিতভাবে মধ্য-মেয়াদে ইউরোর দরপতনের প্রত্যাশা তুলে ধরেছি এবং সামগ্রিক বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছি। খুব সম্ভবত, মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ফেডের ভবিষ্যৎ সুদের হার কমানোর সমস্ত বা প্রায় সমস্ত সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে ফেলেছে। যদি তাই হয়, তাহলে মধ্য-মেয়াদে ডলারের দরপতনের কোনো মৌলিক কারণ নেই—যদিও পূর্বেও খুব বেশি কারণ ছিল না। যদি মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের নিচে থাকে, তবে শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে, যার লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0376 এবং 1.0254। যারা "শুধুমাত্র" টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তারা এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের উপরে থাকলে 1.0620 এবং 1.0695 এর লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করতে পারেন। তবে, বর্তমানে আমরা লং পজিশন ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছি না।
Read more: https://ifxpr.com/49iml44
|
|
|
নতুন করে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ছে
আমরা সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচনা করেছি, যা নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। সেদিন, ফেডারেল রিজার্ভ প্রথমবারের মতো তাদের মূল সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা ট্রেডারদের সংকেত দেয় যে সুদের হার কমানোর চক্র শুরু হয়েছে। এই সংকেত ট্রেডারদের একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে ভবিষ্যতে কখন বা কতটুকু হার কমানো হবে তা নিয়ে জল্পনার আর প্রয়োজন নেই। এটি ঘটছিল, এবং এই সংকেত বিনিয়োগকারীদের তাদের আগের পজিশন থেকে মুনাফা গ্রহণ করতে প্ররোচিত করেছিল। সুদের হার কমানোর এই চক্র প্রায় দুই বছর ধরে চলেছে। মনে করিয়ে দিয়ে চাই যে ২০২২ সালের শরতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেতে শুরু করে, যখন সুদের হার কমানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেই সময় থেকে, মার্কেট-মেকাররা আক্রমণাত্মকভাবে ইউরোর মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করছিল এবং ডলার বিক্রি করছিল। স্বাভাবিকভাবেই, এই মুভমেন্টটি অযৌক্তিক ছিল, কারণ তখন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সুদের হার কমানোর কথা ভাবছিল। বর্তমানে, ইসিবি ফেডের তুলনায় আরও দ্রুত সুদের হার কমাচ্ছে। সুতরাং, ইউরোর মূল্য দুই বছর ধরে অযৌক্তিকভাবে বাড়ছিল, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা মূলত ফেডের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি নমনীয়করণের উপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছিল। আমরা এখনও মনে করি ইউরো উল্লেখযোগ্যভাবে অতিমূল্যায়িত রয়ে গেছে। এছাড়াও, ১৬ বছরের বিশ্বব্যাপী নিম্নমুখী প্রবণতা এই সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করে যে ইউরোর আরও দরপতন ছাড়া খুব কমই অন্য কোনো বিকল্প রয়েছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচকের শক্তিশালী ফলাফল ডলারকে অতিরিক্ত সমর্থন প্রদান করেছে। গত দুই মাসের ইউরোর দরপতনের বিপরীতে সামগ্রিক কারেকশনের মাত্রা এখনও খুবই সীমিত এবং এটি দীর্ঘায়িত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাত্ত্বিকভাবে, যেকোনো মুহূর্তে পুনরায় ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। আমরা এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের 1.00–1.02 রেঞ্জে পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছি। এই সপ্তাহে, সবকিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে, যেগুলোর ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক হতে পারে। তা সত্ত্বেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট কারেকশন ছাড়া আর কিছুই নয়। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতা হচ্ছে ৭৬ পিপস, যা "গড়পড়তা" হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা আশা করছি বুধবার এই পেয়ারের মূল্য 1.0457 এবং 1.0609 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিচের দিকে নির্দেশ করছে, যা বৈশ্বিক নিম্নমুখী প্রবণতাকে স্থিতিশীল রাখছে। CCI সূচকটি বেশ কয়েকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যার ফলে একটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হয়েছে, যা এখনও চলমান রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/49oClSo
|
|
|
৫ ডিসেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ বৃহস্পতিবার অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মূলত, উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় এবং মার্কিন জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই দুটি প্রতিবেদন গুরুত্বের দিক থেকে "মাঝারি" হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই এগুলোর প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার আশা করা হচ্ছে না। এই সপ্তাহে ট্রেডাররা ট্রেডিংয়ে খুব একটা উৎসাহ দেখায়নি, দুই মাসের দরপতনের পর উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ধীরগতির কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। ইউরোর মূল্য ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে, আর পাউন্ডের মূল্যের দুর্বল ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের সদস্য থমাস বারকিনের বক্তৃতা অনুষথিত হবে। তবে, এটি উল্লেখযোগ্য যে জেরোম পাওয়েলের গতকালের বক্তৃতা থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই, বারকিন ফেডের মুদ্রানীতি সম্পর্কে নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে না। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্ভবত মুদ্রানীতি সমন্বয় করার আগে মুদ্রাস্ফীতি ও শ্রমবাজার সংক্রান্ত নতুন প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে।
উপসংহার সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে ইউরোর মূল্য সম্ভবত হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকবে, আর পাউন্ডের মূল্যের দুর্বল ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন বজায় থাকবে। যেহেতু অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না এবং খুবই সীমিত ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট রয়েছে, তাই মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা কম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং অত্যন্ত এলোমেলো মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3BqnAlb
|
|
|
পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানো হয়েছে
GBP/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যদিও দিনের শেষ নাগাদ মূল্য সামান্য হ্রাস পেয়েছে। তবে, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখন এই পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, যা কারেকটিভ মুভমেন্টের অব্যাহত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত মূল্য এই ট্রেন্ডলাইনের নিচে স্থির না হয়, দুই-দেড় মাস আগে শুরু হওয়া বিয়ারিশ প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়া নিয়ে আলোচনা করার খুব বেশি অর্থ নেই, কারণ এটি অনেক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি। এর কারণগুলো আমরা পূর্বেও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছি এবং সেগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও নির্দিষ্ট প্রতিবেদন বা ইভেন্ট মাঝে মাঝে পাউন্ডকে সমর্থন দিতে পারে এবং কারেকটিভ মুভমেন্টের সূচনা ঘটাতে পারে, মোটাদাগে এই পেয়ারের জন্য মৌলিক প্রেক্ষাপট অপরিবর্তিতভাবে নেতিবাচক রয়ে গেছে। শুক্রবার, যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল মার্কেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। তবে, গত সপ্তাহে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য বেশিরভাগ সময় উর্ধ্বমুখী হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল এতটা দুর্বল ছিল না যে এটি পুরো সপ্তাহব্যাপী ডলারের দরপতনকে বৈধতা দিতে পারে। সুতরাং, আমরা এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি মূলত একটি টেকনিক্যাল কারেকশন ছিল, যা নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে ঘটেছে। শুক্রবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন প্রকাশের সময়সূচির সাথে মিলে যাওয়ায় এটি কার্যকর করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রকাশিত প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফলের কারণে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2796–1.2816 লেভেল থেকে পুনরায় বাউন্স করবে কিনা তা অনুমান করা কঠিন ছিল। তবুও, মূল্য উক্ত লেভেল থেকে বাউন্স করেছে এবং পরবর্তী বড় দরপতন দেখিয়েছে, যা এই সপ্তাহেও চলমান থাকতে পারে। এমনকি যদি শুক্রবার এই ট্রেড ক্লোজ করা হয়ে থাকে, তাহলে এই ট্রেড থেকে প্রায় ৫০ পিপস লাভ করা সম্ভব ছিল।
COT রিপোর্ট সর্বশেষ কমিটমেন্টস অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট অনুযায়ী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ পাউন্ডের কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট উল্লেখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন প্রতিফলিত করে, প্রায়ই পরস্পরকে অতিক্রম করছে এবং শূন্যের কাছাকাছি রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য 1.3154 এর লেভেল ব্রেক করেছে এবং পরবর্তীতে ট্রেন্ডলাইনে পৌঁছেছে। আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা দেখা যাবে, এবং ট্রেন্ডলাইনের নিচে আরও কনসলিডেশনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুসারে, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপ 400টি বাই কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 1,900টি সেল কন্ট্রাক্ট ওপেন করেছে৷ ফলস্বরূপ, সাপ্তাহিক ভিত্তিতে নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা 2,300 কন্ট্রাক্ট কমেছে। মৌলিক পটভূমি অনুযায়ী মার্কেটে দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ক্রয়ের সম্ভাবনা নেই। পাউন্ডের মূল্যের ব্যাপক মাত্রায় নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রকৃত সুযোগ রয়েছে। যদিও ট্রেন্ডলাইনটি এইভাবে আরও দরপতন রোধ করেছে, তবে এই পেয়ারের মূল্য এটি অতিক্রম করতে ব্যর্থ হলে সেটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের দিকে নিয়ে যেতে পারে, ফলে পাউন্ডের মূল্য 1.3500 এর উপরে চলে যেতে পারে। যাইহোক, এই মুহূর্তে কি পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোন মৌলিক ভিত্তি বিদ্যমান রয়েছে?
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনা বজায় রয়েছে, যদিও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন হচ্ছে। টেকনিক্যাল কারেকশনের বাইরে, আমরা এখনো দৃঢ়ভাবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো ভিত্তি দেখছি না। তবুও, পাউন্ডের মূল্যের অসাধারণ স্থিতিশীলতা এখনও বেশ স্পষ্ট, কারণ ইউরোর মূল্য স্থবির থাকলেও বা পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা না থাকলেও পাউন্ডের মূল্য বাড়ছে। ৯ ডিসেম্বর, আমরা নিম্নলিখিত লেভেলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছি: 1.2429-1.2445, 1.2516, 1.2605-1.2620, 1.2796-1.2816, 1.2863, 1.2981-1.2987, 1.3050.। এছাড়াও, সেনকৌ স্প্যান বি লাইন (1.2616) এবং কিজুন-সেন (1.2716) লাইনগুলোও সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত দিকে 20 পিপস মুভমেন্টের পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত। সোমবার, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই বা কোন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। এর ফলে, আমরা অপেক্ষাকৃত ঝামেলাহীনভাবে এ সপ্তাহের ট্রেডিংয়ের সূচনার আশা করছি। তবে, শুক্রবার মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরে এবং বুধবার মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চলমান থাকতে পারে। এদিকে, ট্রেন্ডলাইনের কারণে এই পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের খুব বেশি সুযোগ নেই।
Read more: https://ifxpr.com/3Bn6BjR
|
|
|
পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে দেখে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না
সোমবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য উভয় দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, যেন মার্কেট ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রেডারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। গত সপ্তাহে খুব কম কারণ থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকটি মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল এবং অ্যান্ড্রু বেইলি আগামী বছরে চারবার সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে, এই সুদের হার কমানোর ঘোষণা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের প্রতিফলন, যা সাধারণভাবে পাউন্ডের দরপতন ঘটানো উচিত ছিল। একই সময়ে, জেরোম পাওয়েল পুনরায় উল্লেখ করেছেন যে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করছে না এবং মার্কিন অর্থনীতির ইতিবাচক পরিস্থিতির কারণে তারা প্রয়োজনীয় সময় নিচ্ছে। শুক্রবারের নন ফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল পাওয়েলের বক্তব্যের যৌক্তিকত তুলে ধরেছে। সুতরাং, আমাদের মতে, গত সপ্তাহে পাউন্ডের তুলনায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধির আরও বেশি কারণ ছিল। ইউরোর মতোই প্রযুক্তিগত কারণে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। পরপর দুই মাস ধরে এই পেয়ার দরপতনের শিকার হয়েছে, তাই অন্তত একটি ছোটখাট কারেকশনের প্রয়োজন ছিল। এটি বুঝতে পারলে একই ধরনের অনুমান করা যায় যা ইউরোর ক্ষেত্রে ঘটেছিল: এই সপ্তাহে পাউন্ডের মূল্য পুনরায় নিম্নমুখী হতে পারে। অবশ্যই, কেউ আগাম বলতে পারে না বুধবার প্রকাশিতব্য মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল কী হবে, যা এই সপ্তাহের প্রধান ইভেন্ট (ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক বাদে)। যদি মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি না পায় বা হ্রাস পায়, তাহলে এটি আরও ডলার বিক্রির বৈধতা প্রদান করতে পারে। তবে, কারেকশন যতই শক্তিশালী হোক না কেন, এটি একটি কারেকশন হিসেবেই বিবেচিত হবে। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে শেষ কারেকটিভ ওয়েভটি 76.4%-এ পৌঁছেছে, যেখানে মূল্য দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারেকশন প্রদর্শন করেছে। একই সময়ে, এটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণভিত্তিক পর্যবেক্ষণ। এমনকি যদি গত দুই বছর ধরে আমরা যে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি হতে দেখেছি তা নতুন করে বহু-বছরের প্রবণতার সূচনা নির্দেশ করে (যার জন্য বর্তমানে কোনো নির্দিষ্ট ভিত্তি নেই), তারপরও পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন হওয়া প্রয়োজন, যা পাউন্ডের মূল্যকে অন্তত 1.18 লেভেলের ফিরিয়ে আনবে। 16 বছরের নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তি বিবেচনা করতে, ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যকে 1.4230 লেভেলের উপরে উঠতে হবে। পাউন্ডের মূল্য ইতোমধ্যে 2,000 পিপসেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পরেও এত শক্তিশালী বৃদ্ধির জন্য আরও কী কারণ থাকতে পারে? এবারও আমরা আগের মতোই উপসংহার পৌঁছেছি। পাউন্ডের মূল্য কিছু সময়ের জন্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের বিষয়টি উপেক্ষা করতে পারে, যা যেকোনো পরিস্থিতিতেই শুরু হবে বা আরও দ্রুততর হবে। একইভাবে, মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের বিষয়টি ভুলভাবে বিচার করেও সেটি উপেক্ষা করতে পারে। এর পাশাপাশি, বড় বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাউন্ডের মূল্য বাড়িয়ে তুলতে পারে, যদিও এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নাও থাকতে পারে। তবে, এর কোনোটিই সামগ্রিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারবে না। পাউন্ডের মূল্যের যেকোনো বৃদ্ধি একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হবে। এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো শক্তিশালী বৃদ্ধি একটি অননুমেয় মুভমেন্ট, যা শুধুমাত্র পরবর্তীতে বিশ্লেষণ করে কারণগুলো ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যেখানে ইতিবাচক কারণগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নেতিবাচক কারণগুলোকে উপেক্ষা করা হয়। গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি 78 পিপসে পৌঁছেছে, যা এই পেয়ারের জন্য "মাঝারি" হিসাবে বিবেচিত হয়। মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর এই পেয়ারের মূল্য 1.2684 থেকে 1.2840 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল নিম্নমুখী হচ্ছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করে। CCI ইনডিকেটর একাধিক বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে এবং একাধিকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে। যদিও একটি কারেকটিভ মুভমেন্ট শুরু হয়েছে, এর স্থায়িত্ব সম্পর্কে পূর্বানুমান করা কঠিন।
Read more: https://ifxpr.com/3VygF0l
|
|
|
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্টের বিশ্লেষণ মঙ্গলবার ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় EUR/USD পেয়ারের দরপতন শুরু হয়। দিনের একমাত্র অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশিত হয়েছে, তবে এটি ইউরোর দরপতনের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না, কারণ এটি পূর্বাভাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দ্বিতীয় অনুমান মাত্র। সাধারণত, মুদ্রাস্ফীতির গতি বাড়লে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নীতিমালা প্রণয়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা ইউরোকে শক্তিশালী করা উচিত, দুর্বল নয়। ফলে, গতকাল মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য সম্ভাব্য দুটি ব্যাখ্যা রয়েছে। প্রথমটি প্রযুক্তিগত। নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার বিপরীতে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হয়েছিল এবং এখন মূল্য পুনরায় নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। দ্বিতীয়টি সামষ্টিক অর্থনৈতিক। আজকের মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে, যা ইঙ্গিত দেবে যে ফেডারেল রিজার্ভ ডিসেম্বরের বৈঠকে মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে পারে। সাধারণভাবে, আমরা মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রত্যাশা করছি। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের সুনির্দিষ্ট ফলাফল অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে কি না সেটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। এমনকি যদি নভেম্বর মাসে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি না পায়, তবুও এটি কেবল এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশনকে সাময়িকভাবে দীর্ঘায়িত করবে। নিকটবর্তী মেয়াদে ডলারের মূল্য সেনকৌ স্প্যান বি লাইনের নিচে নেমে যেতে হবে, যা নিম্নমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার একটি প্রযুক্তিগত নিশ্চিতকরণ প্রদান করবে। গতকাল 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.0533 লেভেল এবং কিজুন সেন লাইন 1.0550 লেভেল ব্রেক করেছে। যদিও কোন উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা যায়নি, তবে নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হলে একটি সেল পজিশন দীর্ঘ সময়ের জন্য হোল্ড করে রাখা যেতে পারে। আজকের মার্কেটের মুভমেন্ট মূলত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে, যা মূল্যের কারেকশনকে দীর্ঘায়িত করতে পারে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাকেই নির্দেশ করছে।
COT রিপোর্ট সর্বশেষ কমিটমেন্ট অফ ট্রেডার্স (COT) রিপোর্টটি ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। চার্টে দেখা গেছে যে, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন "বুলিশ" রয়ে গেছে, যদিও বিক্রেতারা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ অর্জন করছে। প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে, কমার্শিয়াল ট্রেডারদের শর্ট পজিশনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল, ফলে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো নেট পজিশনের সংখ্যা নেতিবাচক মানে পরিণত হয়েছিল। এটি ইঙ্গিত দেয় যে এখন ইউরো কেনার চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। মৌলিকভাবে, ইউরো মূল্যবৃদ্ধির কোন সুস্পষ্ট কারণ নেই। প্রযুক্তিগতভাবে, এই পেয়ারের মূল্য একটি কনসলিডেশন জোন বা একটি ফ্ল্যাট প্রবণতায় রয়ে গেছে। সাপ্তাহিক চার্টে, EUR/USD পেয়ার ডিসেম্বর 2022 সাল থেকে 1.0448 এবং 1.1274 এর মধ্যে ট্রেড করছে, যা আরও দরপতনের সম্ভাবনা তুলে ধরে। এই পেয়ারের মূল্য 1.0448 এর লেভেল ব্রেকআউট করে নিচের দিকে গেলে সেটি নতুন করে ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে পারে। লাল এবং নীল লাইন একে অপরকে অতিক্রম করেছে, যা মার্কেটে বিয়ারিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপের লং পজিশনের সংখ্যা 11,400 বেড়েছে, যেখানে শর্ট পজিশনের সংখ্যা 12,800 বেড়েছে। এর ফলে নেট পজিশনের সংখ্যা 1,400 হ্রাস পেয়েছে।
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হচ্ছে এবং মূল্য দৃশ্যমান একটি হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে অবস্থান করছে। আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এই কারেকশন জটিল এবং ধীর গতির বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা এখনও মনে করি যে ইউরোর মূল্যের উল্লেখযোগ্য শক্তিশালী হওয়ার মতো কোনো ভিত্তি নেই, তাই আমরা কারেকশন শেষ হওয়া এবং প্যারিটি লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতন শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করব। উদাহরণস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য সেনকৌ স্প্যান বি লাইনের নিচে নেমে গেলে সেটি সম্ভাব্য নিম্নমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার সংকেত দেবে। ১১ ডিসেম্বর, আমরা নিম্নলিখিত ট্রেডিং লেভেলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছি - 1.0269, 1.0340-1.0366, 1.0485, 1.0585, 1.0658-1.0669, 1.0757, 1.0797, 1.0843, 1.0889, 1.0935, সেইসাথে সেনকৌ স্প্যান বি (1.0464) এবং কিজুন-সেন লাইন (1.0551) লাইনগুলোর উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। ইচিমোকু সূচক লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তাই ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় এই সূচকের প্রকৃত অবস্থান বিবেচনা করা উচিত। যদি এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত দিকে 15 পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করে তবে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করতে ভুলবেন না। যদি সিগন্যালটি ভুল বলে প্রমাণিত হয় তবে এটি আপনাকে সম্ভাব্য লোকসানের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করবে। বুধবার ইউরোজোন ক্যালেন্ডারে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, "এ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন" হিসেবে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে এই প্রতিবেদনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ফেডের আগামী সপ্তাহের বৈঠকের সিদ্ধান্তকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া ফেডের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ার চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে।
Read more ttps://ifxpr.com/3VWhcth
|
|
|
মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ডলারের উপর কোনই প্রভাব ফেলেনি
বুধবার সংকীর্ণ রেঞ্জের মধ্যে GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের ধারাবাহিকতা বা নতুন করে নিম্নমুখী প্রবণতার শুরু হওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাব এতটাই দুর্বল ছিল যে মার্কেটে উল্লেখ করার মতো কোন মুভমেন্ট সৃষ্টি হয়নি। মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে 2.7% হওয়ায় ফেডারেল রিজার্ভ হয়তো সন্তুষ্ট হয়েছে, কিন্তু ট্রেডাররা পরপর তিন দিন স্থবির হয়ে থাকার পর মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছিল। অবশ্যই, সোমবার, মঙ্গলবার এবং বুধবার এই পেয়ারের মূল্য সংকীর্ণ রেঞ্জের মধ্যে ওঠানামা করেছে। সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট না থাকায় এই পেয়ারের মূল্যের স্থবির মুভমেন্টটি যুক্তিসঙ্গত ছিল, তবে বুধবার এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতা-ভিত্তিক মুভমেন্টের সম্ভাবনা ছিল। তা সত্ত্বেও, এমন কোনো মুভমেন্ট দেখা যায়নি। প্রযুক্তিগত চিত্র এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে, মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের ঠিক উপরে অবস্থান করছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের দীর্ঘস্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সম্ভাবনা নির্দেশ করছে। তবে, 4-ঘণ্টার টাইমফ্রেমেও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে এটি কেবল একটি কারেকশন। মাঝারি মেয়াদে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মৌলিক কোনো ভিত্তি নেই, যা আরও দরপতনের সম্ভাবনা বাড়ায়। একই বিষয় বারবার উল্লেখ করার কারণটি অন্তর্দৃষ্টির অভাব নয় বরং বৈশ্বিক কারণগুলো ধীর গতিতে বিকাশিত হচ্ছে। গত দুই বছরে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে—16-বছর দীর্ঘ নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে একটি কারেকশন হয়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন মূলত ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের প্রত্যাশা দ্বারা চালিত হয়েছিল, যা 2022 সালের শুরুর দিকে মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে যখন মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাওয়া শুরু করে। ডলারের পুনরুদ্ধার প্রায় অনিবার্য মনে হচ্ছে কারণ এই কারণটি প্রায় সম্পূর্ণভাবে মার্কেটে মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের দুই বছরের বৃদ্ধির দিকে তাকালে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে মূল্যের লক্ষ্যমাত্রায় ফিরে আসার প্রত্যাশা করা বাস্তবসম্মত নয়। লক্ষ্যমাত্রা প্রায় 1.18 এ অবস্থিত, এবং সাম্প্রতিক সর্বোচ্চ লেভেল থেকে পাউন্ডের প্রায় 1,600 পিপস পতন বাকি রয়েছে—যা ঘটতে এক বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে। তবে ট্রেডারদের দুটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে। প্রথমত, মার্কেটে মূলত কারেকশন, কনসলিডেশন, বা ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি কারেকশন একটি পজিশন সমন্বয় করার সুযোগ প্রদান করে, যা মূল প্রবণতায় প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা তৈরি করে। অন্তত, বড় ট্রেডাররা এভাবেই কাজ করে। দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য, বৈশ্বিক প্রবণতা তেমন প্রাসঙ্গিক নয়। স্বল্পমেয়াদী লাভের জন্য স্থানীয় লেভেল এবং প্রযুক্তিগত প্যাটার্ন যথেষ্ট। তবে, দুর্বল মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির কারণে এই সপ্তাহে এই ধরনের সুযোগ সীমিত ছিল। গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 69 পিপস, যা এই পেয়ারের জন্য "গড়" হিসেবে বিবেচিত হয়। বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বরে 1.2677–1.2815 রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী হচ্ছে, যা এইপ এয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার ধারাবাহিকতার সংকেত দেয়। CCI সূচকটি একাধিক বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে এবং কয়েকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে। কারেকশন এখনও অব্যাহত রয়েছে, তবে এর স্থায়িত্ব অনুমান করা বেশ কঠিন।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1: 1.2695 S2: 1.2573 S3: 1.2451 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1: 1.2817 R2: 1.2939 R3: 1.3062 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তবে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। আমরা এখনও লং পজিশন ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছি না, কারণ আমরা মনে করি যে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধির সহায়ক উপাদানগুলো ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হয়েছে। যারা "বিশুদ্ধ" প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তারা মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের উপরে স্থিতিশীল হলে 1.2817 এবং 1.2939 লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করতে পারেন। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শর্ট পজিশন বেশি প্রাসঙ্গিক, যেখানে মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের নিচে কনসলিডেট হলে 1.2573 লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন নেওয়া যেতে পারে।
ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তবে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। আমরা এখনও লং পজিশন ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছি না, কারণ আমরা মনে করি যে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধির সহায়ক উপাদানগুলো ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হয়েছে। যারা "বিশুদ্ধ" প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তারা মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের উপরে স্থিতিশীল হলে 1.2817 এবং 1.2939 লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করতে পারেন। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শর্ট পজিশন বেশি প্রাসঙ্গিক, যেখানে মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের নিচে কনসলিডেট হলে 1.2573 লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন নেওয়া যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/49zAOZC
|
|
|
বিটকয়েন: প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির একটি নতুন যুগ
2024 সালে বিটকয়েন একটি নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্পট বিটকয়েন ETF-এ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আকৃষ্ট হয়, এবং বিটকয়েনের মূল্য প্রথমবারের মতো $100,000 এর সাইকোলজিক্যাল লেভেল অতিক্রম করে। এই অর্জনগুলো এই ক্রিপ্টোকারেন্সির গুরুত্বকে আরও জোরদার করেছে এবং এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাসেট ক্লাসে পরিণত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। কেন ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে বৃহত্তম ট্রেডাররা বিটকয়েন বেছে নিচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে বিটকয়েনে বিনিয়োগকারীদের জন্য কী কী ঝুঁকি এবং সুযোগ অপেক্ষা করছে? এই পর্যালোচনায় আমরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজব।
স্পট ETF-এ রেকর্ড মূলধন প্রবাহ: 500,000 BTC-এর বেশি অ্যাসেট মার্কিন স্পট বিটকয়েন ETF একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছে: এটি চালু হওয়ার পর এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে মোট মূলধন প্রবাহ 500,000 BTC অতিক্রম করেছে। এটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে এই প্রোডাক্টের উল্লেখযোগ্য প্রভাবকে নির্দেশ করে। 2024 সালের 11 জানুয়ারি চালুর পর থেকে, 12টি মার্কিন স্পট ETF মোট প্রায় 2.5% প্রচলিত বিটকয়েন সাপ্লাই অ্যাবজর্ব করেছে, যা বর্তমানে 19.8 মিলিয়ন BTC। K33-এর গবেষণা প্রধান ভেটলে লুন্ডের মতে, এই তহবিলগুলোর নেট প্রবাহ 500,925 BTC ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে বুধবার একদিনেই $223.1 মিলিয়ন বিনিয়োগ করা হয়েছে, যার মধ্যে $121.9 মিলিয়ন গেছে ফিডেলিটির FBTC ফান্ডে।
মার্কেটের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহের তাৎপর্য মার্কিন স্পট ETF গুলোর মধ্যে, ব্ল্যাকরকের IBIT ETF শীর্ষে রয়েছে, যা 520,000 এর বেশি BTC পরিচালনা করছে, যা আইশেয়ার্স গোল্ড ট্রাস্ট (IAU) কে ছাড়িয়ে গেছে, যেটির অ্যাসেটের পরিমাণ $50 বিলিয়ন। ফিডেলিটির FBTC ETF, 247,000 এরও বেশি BTC পরিচালনা করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গ্রেস্কেলের GBTC তহবিল, যা পূর্বে 619,000 BTC পরিচালনা করত, বর্তমানে উল্লেখযোগ্য আউটফ্লো-এর কারণে মাত্র 210,000 BTC পরিচালনা করছে। মার্কিন স্পট ETF-এর মোট অ্যাসেটের পরিমাণ বর্তমানে 1.1 মিলিয়ন BTC অতিক্রম করেছে - এটি বিটকয়েনের সৃষ্টিকর্তা সাতোশি নাকামোটোর অ্যাসেটের সাথে তুলনীয়। এটি প্রাতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণের পরিসর এবং পূর্বে উচ্চ ভোলাটিলিটি এবং তুলনামূলক স্বল্প প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকায় মার্কেটের উপর ETF গুলোর প্রভাব প্রদর্শন করে।
মনস্তাত্ত্বিকভাবে $100,000 এর মাইলফলক: কারণ এবং প্রভাব ১১ ডিসেম্বরে, বিটকয়েনের মূল্য আবার $100,000 এর লেভেল অতিক্রম করে প্রায় 4% বৃদ্ধি পায়। এই উত্থানটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইতিবাচক সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকেত দ্বারা পরিচালিত হয়, যার মধ্যে নভেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল, যা ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের প্রত্যাশা জোরদার করে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসের বৃদ্ধি এতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্টেবলকয়েনের মূলধন $200 বিলিয়ন-এ পৌঁছেছে, যা মার্কেটে সামগ্রিক লিকুইডিটি বাড়িয়েছে। একই সাথে, মার্কেটে বিটকয়েনের আধিপত্য 54%-এ পৌঁছেছে, যা 2021 সালের শুরুর পর সর্বোচ্চ স্তর। বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে অনুকূল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারে, যদিও তারা সম্ভাব্য ভোলাটিলিটি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
পূর্বাভাস: পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা $105,000 বিশ্লেষকরা বিটকয়েনের মূল্য $105,000-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখছেন। এই লেভেলটি ব্রেক করা হলে $2 বিলিয়নেরও বেশি শর্ট পজিশনের লিকুইডেশন হতে পারে, যা বিটকয়েনের মূল্যের উর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও শক্তিশালী করবে। কয়েনগ্লাস-এর তথ্য অনুসারে, মার্কেটে উল্লেখযোগ্য লিভারেজ পজিশন জমা হচ্ছে, যা বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধির অনুঘটক এবং পরবর্তী ভোলাটিলিটির কারণ হতে পারে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ: উদাহরণ হিসেবে AMP অস্ট্রেলিয়ান কর্পোরেশন AMP তাদের পেনশন ফান্ডের মাধ্যমে বিটকয়েনে $27 মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের একটি উদাহরণ। AMP অস্ট্রেলিয়ার প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটকয়েনকে এর পেনশন অ্যাসেট পোর্টফোলিওতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। কোম্পানির প্রতিনিধিরা ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাসেটের গুরুত্ব এবং এর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে এই সিদ্ধান্তের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। AMP-এর সিনিয়র পোর্টফোলিও ম্যানেজার স্টিভ ফ্লেগ বলেন, "বিটকয়েনের ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি থেকে বোঝা যায় যে এটি উপেক্ষা করার মতো অ্যাসেট নয়।" তবে, অন্যান্য অস্ট্রেলিয়ান পেনশন ফান্ডগুলো এর উচ্চ ভোলাটিলিটির কারণে ক্রিপ্টো বিনিয়োগ থেকে দূরে রয়েছে।
টেকনিক্যাল লেভেল এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি আশাবাদ থাকা সত্ত্বেও, বিটকয়েনের মূল্য $104,000 এর লেভেল গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্সের সম্মুখীন হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, এই লেভেলটি লাভ তুলে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা মার্কেটে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিটকয়েনের মূল্য এই রেজিস্ট্যান্স লেভেলটি ব্রেক করতে ব্যর্থ হলে প্রবণতার বিপরীতমুখী পরিবর্তন এবং $60,000-$70,000 লেভেলে কারেকশন হতে পারে। বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, শরতের সক্রিয় প্রবৃদ্ধির পরে জানুয়ারিতে প্রায়ই বিটকয়েনের মূল্য হ্রাস পেতে দেখা যায়।
উপসংহার: বিটকয়েনের ব্যাপারে কী আশা করা যায়? বিটকয়েন ক্রমাগত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আকর্ষণ করছে, যা এটিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ হিসেবে শক্তিশালী করছে। বিটকয়েনের মূল্য $104,000 এর লেভেল অতিক্রম করলে নতুন সর্বোচ্চ লেভেলের দিকে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হতে পারে, তবে লাভ তুলে নেওয়ার কারণে কারেকশনের সম্ভাবনা থেকে যায়। আগামী মাসগুলিতে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ এবং বড় ট্রেডারদের, বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পদক্ষেপ বিটকয়েনের মূল্যের গতিপথ নির্ধারণ করবে। যাই হোক না কেন, 2024 ইতোমধ্যেই বিটকয়েনের জন্য একটি ঐতিহাসিক বছর হয়ে উঠেছে, যা আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থায় এর গুরুত্বকে সুসংহত করেছে।
Read more: https://ifxpr.com/49OemMr
|
|
|
১৮ ডিসেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত থাকলেও, এর মধ্যে কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুরু করছি যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন দিয়ে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি আবার সংকুচিত হচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়ছে। এর ফলে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড তাদের বছরের শেষ বৈঠকে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেবে না বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, আজকের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনটি এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারে। যদি দেশটির মুদ্রাস্ফীতি নভেম্বরের জন্য পূর্বাভাসকৃত 2.6% এর তুলনায় কম বৃদ্ধি পায়, তাহলে আগামীকালের বৈঠকে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, যা ব্রিটিশ পাউন্ডের উল্লেখযোগ্যভাবে দরপতন ঘটাতে পারে। অন্যদিকে, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির সম্ভাবনাই বেশি এবং এটি পাউন্ডকে সমর্থন যোগাতে পারে। ইউরোজোনে, নভেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, তবে এটি গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত। যুক্তরাষ্ট্রে, বিল্ডিং পারমিট এবং হাউজিং স্টার্ট সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার প্রধান ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হলো FOMC-এর বৈঠক। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট, তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো মার্কেটে হালনাগাদকৃত ডট-প্লট প্রকাশিত হবে, যা আগামী দুই বছরে সুদের হার পরিবর্তনের বিষয়ে মুদ্রানীতি কমিটির সদস্যদের প্রত্যাশা প্রতিফলিত করবে। সহজ কথায়, ডট-প্লট চার্ট ফেড কমিটির দৃষ্টিভঙ্গি চিত্রিত করবে। এছাড়াও, জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যা ফেডের ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালার ব্যাপারে আরও অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে।
উপসংহার: বুধবারে তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ের শুরু থেকেই যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। তবে ইউরোর মূল্য তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের পরে ইউরোর মূল্যের অস্থিরতা বেড়ে যেতে পারে। আজ প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ গৌণ ভূমিকা পালন করবে, যেখানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক পটভূমি উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণ করবে।
Read more: https://ifxpr.com/3Bz6sdb
|
|
|
২৩ ডিসেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রতিবেদন হচ্ছে যুক্তরাজ্যের তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন (তৃতীয় অনুমান)। তবে, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সম্ভবত শুক্রবারে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ কারেকশন হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে ব্রিটিশ পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য সমর্থন পাওয়া কঠিন হবে। সোমবার জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশের পরিকল্পনা নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে না। তবে, ট্রেডারদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আর্থিক নীতিমালা সম্পর্কিত অতিরিক্ত মন্তব্য বা বক্তব্যের প্রয়োজন নেই। ইতোমধ্যেই তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এই অঞ্চলগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে। আমরা মনে করি, এই বৈঠকগুলো থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা পাওয়া গিয়েছে যে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে। তবে, সোমবার মূলত টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে। তবে, সোমবার মূলত টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/49ONBHC
|
|
|
কনজিউমার কনফিডেন্স সূচক, ডিউরেবল গুডস অর্ডার, এবং ট্রাম্পের সাহসী বিবৃতি
EUR/USD পেয়ারের মূল্য আবারও 1.03 রেঞ্জে ফিরে এসেছে। EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা 1.0450-এর মধ্যবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করার চেষ্টা করেছিল, যা D1 টাইমফ্রেমে টেনকান-সেন লাইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, তবে তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বিক্রেতারা বর্তমানে আধিপত্য বিস্তার করছে; তবে তারা এখনও উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করতে, বিক্রেতাদের মূল্যকে 1.0360 এর সাপোর্ট লেভেলের নিচে ধরে রাখতে হবে, যা একই টাইমফ্রেমে বলিংগার ব্যান্ডসের নিম্ন লাইনের প্রতিনিধিত্ব করে। এখন পর্যন্ত, তাদের এই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। মূলত "উচ্চবিত্ত পারে না, নিম্নবিত্ত চায় না" এই উক্তিটির এখন নতুন অর্থে প্রকাশ পাচ্ছে, যা EUR/USD পেয়ারের বর্তমান পরিস্থিতিকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করে। শুক্রবার, মার্কিন ডলার সূচক উল্লেখযোগ্যভাবে 108.28 থেকে 107.30-এ নেমে এসেছে। এই বিয়ারিশ রিভার্সাল মূলত কোর PCE সূচকের প্রকাশের কারণে ঘটে, যা নভেম্বর মাসে 2.8%-এ নেমে এসেছে, যা 2.9%-এর পূর্বাভাসের সামান্য কম। যদিও এই ফলাফল মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির কোনো ধীরগতির ইঙ্গিত দেয় না, ডলারের ক্রেতারা এই প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এই প্রতিক্রিয়া যৌক্তিকতার চেয়ে বেশি আবেগপ্রবণ বলে মনে হচ্ছে, কারণ মুদ্রাস্ফীতি সূচকটি 2.8%-এ স্থিতিশীল রয়েছে, যা দুই মাস ধরে 2.7%-এ ছিল। সোমবারের মধ্যে, ডলার সূচক 108 রেঞ্জে ফিরে আসে এবং পূর্ববর্তী প্রায় সব দরপতন পুনরুদ্ধার করে।
ডলার আংশিকভাবে পুনরায় গতি লাভ করেছে, যার পেছনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের ভূমিকা রয়েছে। যদিও তিনি আগামী 28 দিন পর 47তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন, তার মন্তব্য ইতোমধ্যেই অর্থবাজারে প্রভাব ফেলেছে। চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, মেক্সিকো, পানামা এবং ডেনমার্ক (বিশেষত গ্রিনল্যান্ড) ট্রাম্পের অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক বিবাদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। সম্প্রতি, তিনি ঘোষণা করেন যে, গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা ডেনমার্কের মালিকানাধীন একটি অঞ্চল। এই ঘোষণাটি ডেনমার্কের জন্য তার একজন রাষ্ট্রদূতের মনোনয়নের সঙ্গে মিলে যায়। অতীতে, তিনি পানামা থেকে পানামা খাল পুনরুদ্ধারের হুমকিও দিয়েছিলেন, দেশটিকে চীনের সঙ্গে অতিরিক্ত সহযোগিতা করার এবং মার্কিন জাহাজের উপর উচ্চ টোল আরোপ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন। কিছু বিশ্লেষক ট্রাম্পের মন্তব্যকে কেবলমাত্র রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে দেখছেনন, যা তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের সময়ের বক্তৃতার কথা মনে করিয়ে দেয়। তবে, যেহেতু নির্বাচন অনেক আগেই শেষ হয়েছে এবং ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তার অবস্থান নিশ্চিত করেছেন, তার মন্তব্যগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। এগুলো তার প্রশাসনের অধীনে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির প্রধান দিক নির্দেশনার প্রতিফলন ঘটায়।
সোমবার EUR/USD এক্সচেঞ্জ রেটের পতন এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের হুমকিগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল সত্ত্বেও, নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। মোট অর্ডার 1.1% কমেছে, যা জুন মাসের পর থেকে সর্বনিম্ন স্তর এবং বিশ্লেষকরা 0.3% কমার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। পরিবহন ব্যতীত অর্ডার 0.1% হ্রাস পেয়েছে, যা জুলাই মাসের পর থেকে সর্বনিম্ন, এবং এটি 0.3%-এর বৃদ্ধির পূর্বাভাসের বিপরীতমুখী ফলাফল। ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনের পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচককেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করেছেন, সেটি হচ্ছে কনফারেন্স বোর্ডের মার্কিন কনজিউমার কনফিডেন্স ইনডেক্স। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই সূচকটি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে—99.2 থেকে 109.6 এবং তারপর 111.7-এ পৌঁছেছে। ডিসেম্বরে এটি 112.9-এ বাড়ার প্রত্যাশা ছিল। তবে, এটি কমে 104.7-এ নেমে এসেছে, যদিও নভেম্বরের পরিসংখ্যানটি 112.8-এ আপডেট করা হয়েছে। মিশ্র অর্থনৈতিক ফলাফলের পরেও, ডলারের চাহিদা শক্তিশালী রয়েছে। এটি মার্কেটে বিদ্যমান "ঝুঁকি না গ্রহণ করার" মানসিকতাকে প্রতিফলিত করে, যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর গুরুত্বকে গৌণ করে তুলেছে।
এই পরিবর্তনের অংশবিশেষ হিসেবে ফেডের জানুয়ারি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ইতোমধ্যেই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। CME FedWatch টুলের তথ্য অনুযায়ী, ফেডের বর্তমান নীতি অপরিবর্তিত রাখার সম্ভাবনা 95%। এরপরের বৈঠক মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে, এবং এর ফলাফল মুদ্রাস্ফীতি প্রবণতা এবং মার্কিন শ্রমবাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করবে। ফলে, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো উপেক্ষা করা হচ্ছে, কারণ এগুলো জানুয়ারি বা এমনকি মার্চের সিদ্ধান্তে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বিয়ারিশ প্রবণতা প্রদর্শন করছে। বর্তমানে, এটি বলিঙ্গার ব্যান্ডসের মাঝারি এবং নিম্ন লাইনের মধ্যে ট্রেড করছে এবং সমস্ত ইচিমোকু সূচকের নিচে অবস্থান করছে, যা একটি চলমান বিয়ারিশ "প্যারেড অব লাইন" প্যাটার্ন নির্দেশ করে। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0370 এর লেভেল, যা দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডসের নিম্ন লাইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0330 এর লেভেল, যা সাপ্তাহিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডসের নিম্ন লাইনের সঙ্গতিপূর্ণ।
Read more: https://ifxpr.com/3BJRbGs
|
|
|
যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীন বৃদ্ধিতে রেকর্ড
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীন মানুষের বৃদ্ধি ১৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। তবে এ সংখ্যা প্রকৃত অবস্থার তুলনায় কম হতে পারে। কারণ এতে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে অস্থায়ীভাবে থাকা ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত নয়। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, এ সংকটের কারণ উচ্চ আবাসন খরচ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বড় শহরে অভিবাসন। জানুয়ারির এক রাতে ডিপার্টমেন্ট অব হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট (এইচইউডি) করা জরিপ অনুসারে, ওইদিন ৭ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র, অস্থায়ী বাসস্থান বা কোনো আশ্রয় ছাড়াই ছিল। এর আগে ২০২৩ সালে গৃহহীন মার্কিনের সংখ্যা বেড়েছিল ১২ শতাংশ।
পর্যালোচনা: https://ifxpr.com/3azJlBa
|
|