|
|
|
|
|
ট্রেডারদের জন্য ডেইলী ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস- ২০২৪
এশীয় সেশন চলাকালীন সময়ে বিশ্লেষণ এবং পূর্বাভাস
আজ এশীয় সেশন চলাকালীন সময়ে, জাপানের CPI (ভোক্তা মূল্য সূচক) প্রতিবেদন প্রকাশের পর, জাপানি ইয়েন মার্কিন ডলারের বিপরীতে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছে। জাপানের মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংক অফ জাপানের আক্রমনাত্মক মুদ্রানীতি প্রণয়নের সম্ভাবনা শক্তিশালী হয়েছে, যা ইয়েনকে সমর্থন করে এবং USD/JPY পেয়ারের মূল্যকে নিম্নমুখী করে। যাইহোক, ইউরোপীয় সেশন চলাকালীন সময়ে, ডলারের মূল্য পুনরায় বাড়তে শুরু করে। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়েছে কারণ গতকালের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রভাবে মার্কিন ডলারের সাম্প্রতিক উর্ধ্বমুখী প্রবণতার বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাইহোক, ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের মন্তব্যে ডোভিশ অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত মার্কিন ডলারের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে রোধ করতে পারে। আজ, ট্রেডারদের মার্কিন সুদের হারের ব্যাপারে ভবিষ্যত সম্ভাবনা এবং ট্রেডিংয়ের সম্ভাব্য অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া জন্য মার্কিন PCE (ব্যক্তিগত ব্যয়) সূচকের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ম্লান হয়ে যাচ্ছে, যা বিয়ারিশ প্রবণতার দুর্বলতা নির্দেশ করে। যাইহোক, RSI (14-দিনের রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স) 30-এর উপরে রয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা নিশ্চিত করে। উপরন্তু, USD/JPY পেয়ারের মূল্য 144.50 লেভেলে অবস্থিত ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন টেস্ট করতে পারে। এই লেভেলের নিচে একটি ব্রেক করা হলে সেটি এই পেয়ারের মূল্যকে 140.25-এর সাপোর্ট সহ 5 আগস্টে রেকর্ডকৃত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলের দিকে নিয়ে চলে যেতে পারে। রেজিস্ট্যান্সের বিষয়ে বলতে গেলে, যদি এই পেয়ারের মূল্য 145.00 লেভেলের উপরে কনসলিডেট হয়, তাহলে এটি মূল্যের 146.00-এর দিকে যাওয়ার পথ খুলতে পারে এবং 146.500 এর জোনের দিকে বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4dLJsFw
|
|
|
|
|
|
|
|
|
৩ সেপ্টেম্বরের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক পটভূমির বিশ্লেষণ
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: আবারও, মঙ্গলবারে খুব কমই সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইএসএম ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাক্টিভিটি সূচক, যা দিনের দ্বিতীয়ার্ধে প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় এবং এই সূচক বেশ কিছুদিন ধরে 50.0 এর "গুরুত্বপূর্ণ" স্তরের নিচে ছিল। এই সূচকের ফলাফল বৃদ্ধি পেয়ে পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেলে সেটি মার্কিন ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা কমিটির সদস্য বুখ এবং জোচনিকের বক্তৃতার কথা উল্লেখ করা যায়। যাইহোক, তাদের আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সহকর্মী ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। আমরা মনে করি ইসিবি পরবর্তী বৈঠকে দ্বিতীয়বারের মতো আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করবে। যদি বুচ এবং জোচনিকের বক্তব্যে এই বিষয়টি নিশ্চিত হয় তবে ইউরোর মূল্য আরও কমতে পারে। এছাড়াও, বুন্দেসব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেল বক্তৃতা দেবেন, এবং তিনিও দ্বিতীয়বারের মতো মূল সুদের হার কমানোর প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন।
উপসংহার: মঙ্গলবার, উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন হতে পারে, তবে এটি শুধুমাত্র ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিপরীতে কারেকশনের অংশ হিসেবে ঘটতে পারে। ইউরোর মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের মধ্য দিয়ে ব্রেক করে গেছে, তাই পাউন্ডের তুলনায় ইউরোর মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, পাউন্ডের মূল্য এখনও ট্রেন্ডলাইনের উপরে রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও ইউরোর তুলনায় অনেক কম দরপতনের শিকার হচ্ছে। মঙ্গলবার উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তুলনামূলকভাবে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, কারণ খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নেই, কিন্তু দিনের দ্বিতীয়ার্ধে গুরুত্বপূর্ণ ISM সূচক প্রকাশিত হবে।
Read more: https://ifxpr.com/4dLoNRX
|
|
|
৪ সেপ্টেম্বরের মূল ইভেন্ট: ট্রেডারদের জন্য মৌলিক পটভূমির বিশ্লেষণ
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: আবারও, বুধবারে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইইউ-তে আগস্টের পরিষেবা খাতের কার্যকলাপ সংক্রান্ত সূচকের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে, তবে দ্বিতীয় অনুমানের ফলাফল প্রথম অনুমানের তুলনায় থেকে খুব কমই ভিন্ন হয়ে থাকে। অতএব, এই সূচকসমূহের ফলাফলের প্রভাবে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি সম্ভাবনা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ JOLTs থেকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে মাঝারি মাত্রায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি পারে। ফলস্বরূপ, আজ ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি দেখতে পাওয়ার খুব কমই সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি এল্ডারসনের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে এবং "বেইজ বুক" প্রকাশ করা হবে। দুটি ইভেন্টই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। আমরা ইতোমধ্যেই ইসিবি প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু জানতে পেরেছি এবং ইসিবি সম্ভবত সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমিয়ে দেবে। বেইজ বুকটি শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের একটি সারাংশ, যাতে কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন তথ্য নেই।উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন হতে, কিন্তু এই দরপতনকে শুধুমাত্র চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিরুদ্ধে কারেকশনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ইউরোর মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের ব্রেক করে নিচের দিকে গেছে, তাই পাউন্ডের চেয়ে ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা বেশি, এখনও পাউন্ডের দরপতনের খুব বেশি সম্ভাবনা নেই। সীমিত সংখ্যক মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্টের কারণে বুধবার উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তুলনামূলকভাবে দুর্বল মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3MvNjL2
|
|
|
৫ সেপ্টেম্বরের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক পটভূমির বিশ্লেষণ
[URL="https://ifxpr.com/3ZizkQx"]সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারে নির্ধারিত বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে। ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এদিকে, যুক্তরাজ্যে নির্মাণ খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ADP থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা (ননফার্ম পে-রোলের সাথে তুলনীয়) এবং আইএসএম পরিষেবা খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও, মার্কিন জবলেস বেনিফিট ক্লেইমসের প্রাথমিক আবেদনের সংখ্যা এবং পরিষেবা খাতের স্ট্যান্ডার্ড S&P ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ট্রেডারদের এডিপি এবং আইএসএম থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটারি কমিটির সদস্য তুওমিনেনের বক্তৃতা বৃহস্পতিবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য মৌলিক ইভেন্ট হতে যাচ্ছে। তবে, সেপ্টেম্বরে ইসিবির কাছ থেকে কী আশা করা যায় সে ব্যাপারে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই স্পষ্টভাবে জানে। আমরা মনে করি যে ইসিবির আরেকবার সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও এই তথ্যটি প্রক্রিয়া করেনি, তাই ইসিবির প্রতিনিধির নতুন বক্তৃতা বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটানোর সম্ভাবনা কম। মার্কেটের ট্রেডাররা শুধুমাত্র মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে এবং ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের ব্যাপারে তাদের প্রত্যাশা সমন্বয় করছে।
উপসংহার: বৃহস্পতিবার, উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কিন্তু এটি শুধুমাত্র ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিপরীতে কারেকশনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ইউরোর মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন অতিক্রম করেছে, তাই পাউন্ডের তুলনায় ইউরো আরও বেশি দরপতনের শিকার হতে পারে। এদিকে, পাউন্ডের এখনও দরপতনে খুব বেশি সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যাইহোক, আজ এবং আগামীকাল, পুরো বাজার পরিস্থিতি শ্রম বাজার, বেকারত্ব এবং পরিষেবা খাতে আইএসএম ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সংক্রান্ত মার্কিন প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে।[/URL]
Read more: https://ifxpr.com/3ZizkQx
|
|
|
৯ সেপ্টেম্বর; নন-ফার্ম পেরোলের বিতর্কিত ফলাফল এবং ডলারের জন্য একটি নতুন হুমকি
শুক্রবারে যুক্তিসঙ্গতভাবে EUR/USD পেয়ারের বেশ ভালই দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে, যা হয়তো নাও ঘটতে পারত। যাইহোক, বছরে একবার অলৌকিক ঘটনা ঘটতেই পারে, এবং ট্রেডাররা কোন কারণ ছাড়াই ডলার ক্রয় করতে পারে পারে। মার্কিন শ্রমবাজারের নেতিবাচক পরিস্থিতির কী সমাপ্তি ঘটেছে? বেকারত্ব এবং শ্রম বাজার সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলো থেকে এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। যদিও দেশটির বেকারত্বের হার 4.2%-এ নেমে গেছে, নন-ফার্ম পেরোলের সংখ্যা আবার পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল এবং জুলাইয়ের ফলাফল নিম্নমুখী হয়েছিল। ফলে, আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে মার্কিন শ্রমবাজারে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, এবং 100% সম্ভাবনা রয়েছে যে ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বরে মূল সুদের হার কমিয়ে দেবে। প্রশ্ন থেকে যায়: ফেড সুদের হার কতটা কমিয়ে দেবে? আমাদের মতে উত্তরটি সুস্পষ্ট: মার্কিন সুদের হার 0.25% কমানো হবে। আমরা ব্যাপকভাবে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার জন্য কোন বাধ্যতামূলক কারণ বা ভিত্তি দেখতে পাচ্ছি না। আমরা মনে করি না যে ফেড ব্যাপক মাত্রায় আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করতে শুরু করবে, কারণ এটি করা হলে মুদ্রাস্ফীতির পতন থেমে যেতে পারে। তা সত্ত্বেও, মার্কিন সুদের হার 0.5% কমানোর সম্ভাবনাও বিদ্যমান এবং আগামী সপ্তাহে এই সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আগস্টের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা পূর্বাভাস অনুসারে বার্ষিক ভিত্তিতে 0.3% কমে যেতে হতে পারে। অন্য কথায়, দেশটির মুদ্রাস্ফীতি 2.6% পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। এই পূর্বাভাসটি পূরণ হবে কিনা তা বলা কঠিন, তবে যদি এটি হয় তবে ফেডের কাছে বছরের শেষ নাগাদ তিনবার সুদের হার কমানোর ভিত্তি থাকবে। মনে করে দেখুন যে যখন মুদ্রাস্ফীতি 2.4% এ নেমে আসে তখন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করা শুরু করে। যাইহোক, ইউরোজোনের সুদের হার প্রাথমিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম ছিল তাই, যদি পূর্বাভাস অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতি কমে যায়, তবে ফেড বছরের শেষের দিকে বেশ আক্রমনাত্মকভাবে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ চলমান রাখতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই, আমরা আমাদের আগেই মতামতেই অটল থাকব। এমনকি যদি ফেড দ্রুততম গতিতে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ পরিচালনা করে, মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে দুই বছর ধরে এই বিষয়টি বিবেচনা করেছে এবং এটির উপর ভিত্তি করে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করেছে। অতএব, যে কোনো ক্ষেত্রেই, আমরা মার্কিন ডলারের আরও দরপতনের কোনো কারণ দেখছি না। ইসিবি-র দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত, ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার তাদের একটি বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে সুদের হার আরও 0.25% কমিয়ে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা যথারীতি এই ঘটনা উপেক্ষা করতে পারে. আমাদের মতে, প্রশ্ন হল মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণকে পুরোপুরিভাবে প্রক্রিয়া করেছে কিনা। এই মুহূর্তটি এলে আমরা মার্কিন গ্রিনব্যাকের তীক্ষ্ণ শক্তিশালী হওয়ার আশা করতে পারি। ফেডের মুদ্রানীতির ভিত্তিতে মার্কেটের ট্রেডাররা কবে ডলার বিক্রি শেষ করবে তা সঠিকভাবে বলা অসম্ভব। যাইহোক, এটি মনে রাখা উচিত যে আমরা এখনও সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে, এই পেয়ারের মূল্য হরিজন্টাল চ্যানেলের উপরের সীমানার কাছাকাছি রয়েছে। আমরা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নতুন করে ইউরোর দর বৃদ্ধির আশা করিনি, তবে এটি মূলত কিছুই পরিবর্তন করে না। এখনও দীর্ঘমেয়াদে ইউরোর দরপতনের অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/47izdGo
|
|
|
গোল্ডের (XAU/USD) ট্রেডিং সিগন্যাল
মার্কিন সেশনের শুরুর দিকে, গোল্ড 2,497 এর কাছাকাছি, 200 EMA এর নিচে, 21 SMA এর নিচে এবং 8/8 মারে এর নিচে ট্রেড করেছে। ইউরোপীয় সেশন চলাকালীন সময়ে, আমরা 2,483 এরিয়ার দিকে দরপতন লক্ষ্য করেছি। এই লেভেল থেকে, আমরা গোল্ডের পুনরুদ্ধার হতে দেখছি, তাই আগামী ঘন্টাগুলোতে গোল্ডের দর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এই জন্য, আমাদের 2,503 এর উপরে কনসলিডেশনের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। যদি আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে 2,503 এর উপরে গোল্ডের মূল্যের কনসলিডেশন হয় এবং বুলিশ ট্রেন্ড চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং চলমান থাকে, আমরা আশা করতে পারি এটির মূল্য প্রায় 2,528 এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাবে। এই এরিয়াটি একটি শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স জোনের প্রতিনিধিত্ব করে যা 19 আগস্ট থেকে গোল্ডের মূল্য টেস্ট করছে। যদি বুলিশ ফোর্স বিরাজ করে, আমরা আশা করতে পারি গোল্ডের মূল্য 2,539 এবং অবশেষে, 2,573-এ পৌঁছবে। অন্যদিকে, যদি গোল্ডের মূল্য 2,503-এর উপরে কনসলিডেট করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা বিয়ারিশ প্রবণতার পুনঃসূচনা আশা করতে পারি। সুতরাং, গোল্ডের মূল্য 2,489-এ পৌঁছতে পারে। যদি গোল্ড 2,485-এর নিচে ট্রেড করে, তাহলে প্রবণতা পরিবর্তন হতে পারে এবং আপট্রেন্ড চ্যানেলের ব্রেক ঘটতে পারে। তারপর, ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য 2,471 এ অবস্থিত প্রায় 200 EMA-এ নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3XBjYVH
|
|
|
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারের খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে আজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মূল বিষয় হল যে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে যুক্তরাজ্য বা ইউরোজোনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি আগ্রহী নয়৷ সকল ট্রেডার মার্কিন ডলার এবং ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। অতএব, শুধুমাত্র সেই প্রতিবেদনগুলো এখন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যা সরাসরি ফেডের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। আজ, এমন একটি প্রতিবেদন মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদন সম্পর্কে ইতোমধ্যে অনেক কিছু বলা হয়েছে।এটি ছাড়াও, যুক্তরাজ্যের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, তবে এটি প্রান্তিক ভিত্তিক প্রতিবেদন নয় যা কিছুটা গুরুত্ব বহন করে, এটি শুধুমাত্র মাসিক এবং তিন মাসের জিডিপি প্রতিবেদন। যুক্তরাজ্যে শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হবে। ব্রিটিশ প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া দুর্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: আবারও, বুধবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। আগামীকাল ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, তারপরে আগামী সপ্তাহে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ সুতরাং, এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে কোনটিরই এখনই মুদ্রানীতির সম্ভাবনার বিষয়ে মন্তব্য করার সম্ভাবনা নেই, কারণ এটি অনুমোদিত নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের "ব্ল্যাকআউট পিরিয়ড" বা মুখে কুলূপ এটে থাকার সময়কাল শুরু হয়েছে, কিন্তু নতুন কোন মন্তব্য না পেলেও মার্কেটের ট্রেডাররা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছে যে তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কী আশা করা যায়।
উপসংহার: বুধবার, উভয় কারেন্সি পেয়ার উভয় দিকে ট্রেড করতে পারে, কারণ সার্বিক পরিস্থিতি মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল এবং প্রায় ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে পূর্বাভাসের তুলনায় দুর্বল ফলাফল দেখা গেলে ডলারের দরপতনের আশা করা যায়।
Read more: https://ifxpr.com/3B0LEuq
|
|
|
১২ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট বজায় ছিল। আপনা মনে করিয়ে দিতে চাই যে গতকাল "এ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন" আগস্টের মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশিত হয়েছিল৷ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি 2.5%-এ নেমে এসেছে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে আরও আক্রমনাত্মকভাবে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। অতীতে, এই ধরনের ফলাফল মার্কিন ডলারের দরপতনকে উস্কে দিত, কিন্তু এবার তা ঘটেনি। যদিও খুব বেশি না হলেও গতকাল ডলার শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি মার্কিন মুদ্রার জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত, যা 2024 জুড়ে দরপতনের শিকায় হয়েছে। আমরা বারবার সতর্ক করেছিলাম যে ডলার অত্যধিক বিক্রি হচ্ছে এবং এটির মূল্য অযৌক্তিকভাবে সস্তা রয়েছে এবং ট্রেডাররা এটি বিক্রি করার জন্য প্রায় কোনও কারণ ব্যবহার করছে, যা অযৌক্তিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সম্ভবত ডলারের ন্যায্য মূল্য ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দুর্বল হলেও তা এখনও বিদ্যমান ও অব্যাহত আছে, এবং ডলারের মূল্য ধীরগতিতে হলেও নিশ্চিতভাবে বাড়ছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, পুরো ইউরোপীয় সেশন জুড়ে মূল্য 1.1048 লেভেল বরাবর ফ্ল্যাট মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। তারপরে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, এবং 15 মিনিটের মধ্যে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1048 থেকে 1.1011-এ নেমে আসে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে তারপরও এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা খুব দুর্বল ছিল। যাইহোক, নতুন ট্রেডাররা সম্ভবত এই সিগন্যাল কাজে লাগাতে সক্ষম হয়নি, কারণ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি কমে যাওয়ায় যৌক্তিকভাবে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল, দরপতন নয়।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে: প্রতি ঘণ্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইনের নিচে কনসলিডেট হয়েছে এবং দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি করার সুযোগ রয়েছে যা সমস্ত কারণ এবং বিশ্লেষণের সাথে যৌক্তিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। দুর্ভাগ্যবশত, নিম্নমুখী কারেকশনের পরে পুনরায় অযৌক্তিকভাবে ডলার বিক্রি করা শুরু হতে পারে, কারণ কেউ জানে না যে মার্কেটে কতক্ষণ ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের প্রভাবের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ অব্যাহত থাকবে, যা এখনও শুরু হয়নি। যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের প্রায় সবগুলো ভবিষ্যত সুদের হার কমানোর ভিত্তিতে ডলারের মূল্য হ্রাস অব্যাহত রেখেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ইতিবাচকের চেয়ে প্রায় ক্ষেত্রেই হতাশাজনক হচ্ছে। তবুও, ডলারের মূল্যের "ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার" দিকে প্রথম অস্থায়ী পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। যদি বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্য 1.1011 লেভেলের নিচে কনসলিডেট হয়, তাহলে নতুন ট্রেডাররা নতুন করে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারে। 5M টাইম ফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132, 1.1191, এবং 1.1275-1.1292। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোনে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক এবং ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা নির্ধারিত রয়েছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, উৎপাদক মূল্য সূচক এবং আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে৷ অবশ্য, ট্রেডারদের মনোযোগ লাগার্ডের বক্তৃতা প্রতি নিবদ্ধ থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/47pS16K
|
|
|
কেন এত দ্রুতগতিতে ইউরোর দরপতন হচ্ছে
যদিও ইউরোর মূল্য একটি গভীর এবং উল্লেখযোগ্য কারেকশনের সম্মুখীন হচ্ছে, ইউরোজোনের ভোক্তারা তাদের মানিব্যাগ খোলার জন্য কোন তাড়াহুড়ো করছেন না, যা কিছু বিশেষজ্ঞকে এটি ভাবতে প্ররোচিত করছে যে আদতেও ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ঘটবে কিনা। এদিকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ ব্যাপকভাবে প্রত্যাশা করছেন যে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে দ্রুতই এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হবে। 20টি দেশ নিয়ে গঠিত ইউরোপীয় ব্লকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এই বছরের প্রথমার্ধে পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেলেও এখন এটি ধীরে ধীরে কমছে। এই অঞ্চলের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে, পরিবারগুলো অর্থনৈতিক মন্দার ক্ষতিপূরণ করবে পারে না এবং ভোক্তাদের মনোভাব প্রাক-মহামারী স্তরের নিচে নেমে গেছে।
যদিও ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি এখন 2% এর কাছাকাছি রয়েছে, কিন্তু ইসিবির কর্মকর্তারা এই চ্যালেঞ্জ দেখছেন যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের অর্থনীতি মন্দার মুখোমুখি হবে, যা আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার বিষয়টি আরও সমর্থন পাচ্ছে। ফলে, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে ইসিবি কর্তৃক সুদের হার আরও কমাতে দেখতে পারি। যদি ইউরোজনের অর্থনৈতিক মন্দা 2025 সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এবং মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার নিচে নেমে আসে, তাহলে ইসিবির মুদ্রানীতি আরও আমূলভাবে নমনীয় করার প্রয়োজন হতে পারে। মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইসিবি-র জন্য ইদানীং ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ হয়ে উঠেছে বলে মনে হচ্ছে, এবং দুর্বল ভোক্তা ব্যয় এটির প্রত্যক্ষ প্রমাণ। কাগজে কলমে, ভোক্তা চাহিদা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই রয়েছে: মুদ্রাস্ফীতি ইতিমধ্যেই 10.6%-এর সর্বোচ্চ থেকে 2.2%-এ নেমে এসেছে, বেকারত্ব রেকর্ড নিম্নস্তরে পৌঁছেছে, ব্যক্তিগত আয় ব্যক্তিগত ব্যয়ের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে এবং ঋণের স্বল্প খরচ বন্ধকী ঋণগুলোকে সস্তা করে তুলবে৷ একবার যদি ইউরোজোনের জনসাধারণ বুঝতে পারে যে মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং সুদের হার দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে, তাহলে সম্ভবত ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধি খুব বেশি দূরে নেই। যাইহোক, এই কারণগুলো সত্ত্বেও, ব্যয়ের মাত্রা খুব সংযত থাকে এবং শীতকাল সবসময়ই ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধির জন্য খারাপ সময়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইউরোজোনের গৃহস্থালি ব্যবহার্যের ব্যয় 0.1% কমেছে। ইউরোজোনের 20টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে একই সময়ের মধ্যে গৃহস্থালি পণ্যের ব্যবহার আরও তীব্রভাবে কমেছে। গত সপ্তাহে ভক্সওয়াগেন এজি ঘোষণা দিয়েছে যে তারা 87 বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশীয় বাজারে উৎপাদক প্ল্যান্ট বন্ধ করতে পারে। এটি এই অঞ্চলের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে আস্থা বাড়ায় না। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অর্থনীতিবিদ উল্লেখ করেছেন যে সমগ্র অঞ্চলের ভোক্তা ব্যয় দুর্বল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, ফলে এই বছর 0.9% জিডিপি প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে ইসিবির পূর্বাভাস চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সর্বশেষ খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফলও পূর্বাভাস অতিক্রম করতে পারেনি, যা শুধুমাত্র 0.1% বৃদ্ধি পেয়েছে, এদিকে প্রত্যাশিত ব্যয় সূচক ফেব্রুয়ারি 2022 সালের পর সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। সুদের হার কমানোর পাশাপাশি, ইসিবির বৈঠকে এই বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারের পূর্বাভাসের নিম্নমুখী সংশোধন অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি ইদানীংকালে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর সক্রিয়ভাবে দরপতনের আরেকটি কারণ। নিম্নমুখী সংশোধিত পূর্বাভাস সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরে সুদের হার হ্রাসের পাশাপাশি অক্টোবরেও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাও বাড়িয়ে তুলবে, যে বিষয়টি ইতোমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেছে।
Read more: https://ifxpr.com/3XCGVIi
|
|
|
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ আমি দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যে লেভেলগুলোর কথা উল্লেখ করেছিলাম সেগুলোর কোন টেস্ট হয়নি। ফলস্বরূপ, মার্কেটে উপযুক্ত এন্ট্রি পয়েন্ট খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ছিল। মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশ হওয়া সত্ত্বেও, স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা এবং ইউরোর সীমিত চাহিদা এই পেয়ারের মূল্যকে হরিজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে। আজ, ইউরো দরপতনের সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, কারণ ইউরোজোনে আগস্ট মাসের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অপেক্ষাকৃত দুর্বল ফলাফল প্রকাশের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইউরোজোনে ZEW ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিতব্য বিজনেস সেন্টিমেন্ট ইনডেক্সের ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে দুর্বল হতে পারে, যা আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের আগে যুক্তিসঙ্গতভাবে ইউরোর মূল্যের যথেষ্ট কারেকশন ঘটাতে পারে। প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়ার অভাব দেখা গেলে সেটি এই পেয়ারের মূল্যের আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্দেশ করবে। সেক্ষেত্রে, আমি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশায় এই পেয়ার কেনার কথা বিবেচনা করব। দৈনিক কৌশল হিসাবে, আমি দৃশ্যপট নং 1 এবং 2 বাস্তবায়নের উপর বেশি নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল দৃশ্যপট নং 1: আজ যখন মূল্য 1.1178-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.1136-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1178-এর লেভেলে গেলে, আমি মার্কেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। গতকালের বুলিশ মোমেন্টামের ধারাবাহিকতায় আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির উপর নির্ভর করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ! কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। দৃশ্যপট নং 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1117-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1136 এবং 1.1178-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল দৃশ্যপট নং 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1117-এর লেভেলে পৌঁছানোর পরে আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1078-এর লেভেল, যেখানে আমি মার্কেট থেকে বের হয়ে অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরো কিনতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল অতিক্রম করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে এবং ইউরোজোনে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের ফলাফল দুর্বল হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং এটি থেকে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। দৃশ্যপট নং 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1136-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1117 এবং 1.1078-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3XAVzPc
|
|
|
১৮ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং সেগুলোর কোনটিই খুব বেশি তাৎপর্যপূর্ণ নয়। ইউরোজোনে, আগস্টের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনের চূড়ান্ত অনুমান প্রথমটি থেকে খুব কমই আলাদা হয়ে থাকে, তাই এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়ার আশা করা যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, নতুন বাড়ি বিক্রয় এবং বিল্ডিং পারমিটের সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো তুলনামূলকভাবে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, যেগুলোর 20-30 পিপসের বেশি প্রতিক্রিয়া শুরু করার সম্ভাবনা নেই। তাই ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক পর্যন্ত মার্কেট ফ্ল্যাট থাকতে পারে। সবাই মূল সুদের হার নিয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: বুধবারের জন্য নির্ধারিত শুধুমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইভেন্ট রয়েছে। সন্ধ্যায়, ফেডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। 99% সম্ভাবনা আছে যে মূল সুদের হার কমানো হবে, কিন্তু এটি কত বেসিস পয়েন্ট কমানো হবে তা এখনও অস্পষ্ট। আমাদের মতে, মার্কেটের ট্রেডাররা ধারণা করছে যে সুদের হার 0.5% কমানো হবে, যদি ফেড এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়, তবে ডলারের আরও দরপতন পারে, কারণ এটি সম্ভাব্য সব বিকল্পের মধ্যে সবচেয়ে নেতিবাচক। সুদের হার 0.25% কমানোর সম্ভাবনাও বেশি, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই এর ভিত্তিতে বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে। তাই, এই ধরনের সিদ্ধান্তের পরে, ডলার আরও শক্তিশালী হতে পারে। প্রেস কনফারেন্সে জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য এবং ডট-প্লট চার্টও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা ভবিষ্যতের সুদের হার সম্পর্কে ফেড কমিটির সদস্যদের প্রত্যাশা প্রদর্শন করবে।
উপসংহার: বুধবার, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য উভয় দিকেই যেতে পারে. আমরা সারা দিন অপেক্ষাকৃত মন্থর মুভমেন্ট দেখতে পাব, কিন্তু সন্ধ্যায়, যেকোন দিকে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের "বিস্ফোরণ" দেখা যেতে পারে। মার্কেটে ইতোমধ্যেই ডলার বিক্রি করে সুদের হার 0.25% কমানোর ভিত্তিতে ইন্সট্রুমেন্টগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, কিন্তু সুদের হার 0.5% কমানো হলে সেট নতুন করে মার্কিন মুদ্রার দরপতন ঘটাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/47t9zPr
|
|
|
১৯ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সম্ভবত ট্রেডাররা উপেক্ষা করবে। মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে ইতোমধ্যেই প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে, যার ফলে তারা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দেবে এমন সম্ভাবনা কম। দিনের প্রথমার্ধে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই ফেডারেল রিজার্ভের গতকালের বৈঠকের সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, ট্রেডারদের দৃষ্টি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের দিকে সরে যাবে।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে। দুপুরের দিকে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সুদের হারের সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। এখানে কোনো অস্পষ্টতা নেই। গতকাল যেমন ফেডের সুদের হার কমানোর বিষয়ে ট্রেডাররা 100% নিশ্চিত ছিল, তেমনি আজও ট্রেডাররা হার সমানভাবে নিশ্চিত যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে। তবে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকে শুধুমাত্র সুদের হারের সিদ্ধান্তই নেয়া হবে না। মুদ্রানীতি কমিটির কতজন সদস্য সুদের হার কমাতে সমর্থন দিচ্ছেন তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ (পূর্বাভাস অনুযায়ী দুইজন সদস্য সুদের হার কমানোর পক্ষে ভোট দিতে পারেন)। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির অবস্থান বোঝা এবং মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনীতির হালনাগাদকৃত পূর্বাভাস পর্যালোচনা করাও গুরুত্বপূর্ণ হবে। অতএব, শুধুমাত্র সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তই আজকের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক নয়।
উপসংহার: বৃহস্পতিবার, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উচ্চমাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। প্রথমত, ইউরোপীয় সেশনে ট্রেডাররা ফেডের সিদ্ধান্তের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে। দ্বিতীয়ত, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। অতএব, আজ আরেকটি ঝড় হতে পারে। সন্ধ্যার মধ্যে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য কোথায় যেতে পারে তার ভবিষ্যদ্বাণী ভুল কাজ হবে, কারণ মৌলিক পটভূমি খুবই শক্তিশালী। ডলার গতকাল থেকে শুরু হওয়া দরপতন এড়াতে পারে কিনা সেটিও গুরুত্বপূর্ণ হবে। যদি ডলারের দরপতন রোধ করা যায় তাহলে সম্ভাব্যভাবে এটির দর বৃদ্ধির আশা করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3TAyhrv
|
|
|
২৩ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর সবই একই ধরনের প্রতিবেদন। জার্মানি, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের সেপ্টেম্বরের পিএমআই (পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে৷ এটি লক্ষণীয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ আইএসএম পিএমআই সূচক প্রকাশ করা হয়, যা আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। এই সূচকগুলোর মার্কেট সেন্টিমেন্টকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা নেই, ট্রেডাররা মূলত ধারাবাহিকভাবে মার্কিন ডলার বিক্রি করে চলেছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এই সপ্তাহে খোলাখুলিভাবে বলেছেন যে মার্কিন অর্থনীতি ভাল অবস্থায় রয়েছে। যদি মার্কেটের ট্রেডাররা এই মন্তব্যের দিকে মনোযোগ দেয় তবে মার্কিন মুদ্রার ক্রমাগত দরপতন হবে না।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: সোমবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা কমিটির সদস্য এল্ডারসন এবং সিপোলোন এবং ফেডের প্রতিনিধি গুলসবি এবং বস্টিকের বক্তৃতা লক্ষণীয়। যাইহোক, যেহেতু ইতোমধ্যেই উভয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ঘোষণা করা হয়েছে, তাই এই কর্মকর্তারা মার্কেটে নতুন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন এমন সম্ভাবনা কম।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে পারে, একটি কারেকশন শুরু হতে পারে বা স্থানীয় পর্যায়ে ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং করা হতে পারে। বর্তমানে শুধুমাত্র স্থানীয় পর্যায়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন ডলার বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত মৌলিক কারণ ব্যবহার করছে। অতএব, PMI প্রতিবেদনের সম্ভাব্য স্বল্প মাত্রার প্রভাব বিবেচনা করার সাথে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা উচিত হবে।
Read more: https://ifxpr.com/3XEoMZt
|
|
|
২৪ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। দিনের একমাত্র কিছুটা উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে IFO ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিতব্য জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট সূচকের কথা বলা যেতে পারে এই৷ আমাদের মতে, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়ার আশা না করা ভাল - যদি কোনো প্রতিক্রিয়া থেকেও থাকে, তবে তা সম্ভবত ন্যূনতম হবে। ফলে, আজ, মার্কেটে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে না। ইউরোর মূল্য সম্ভবত 1.1091-1.1191 এর হরিজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকবে, যখন পাউন্ডের মূল্যের হয় ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে বা 1.3365 লেভেলের কাছাকাছি মূল্য বৃদ্ধিতে বিরতি নেয়া হতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নেই। ইউরোজোনে, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের মুদ্রা কমিটির প্রতিনিধি ম্যাককল একটি বক্তৃতা দেবেন, কিন্তু গত দেড় সপ্তাহ ধরে, আমরা সম্ভবত প্রায় ইসিবির কমিটির সকল সদস্যদের কাছ থেকে মুদ্রানীতি নিয়ে তাদের মতামত শুনেছি। অতএব, ম্যাককল আজ কোন নতুন তথ্য প্রদান করবে এমন সম্ভাবনা কম। উপসংহার: মঙ্গলবার, ইউরোর মূল্য হরিজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকতে পারে, যখন পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও ইউরো দর বৃদ্ধি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে বিরতি নেয়, তবে পাউন্ড তা করতে সক্ষম হবে বলে মনে হয় না। যাইহোক, এমনকি ইউরোর মূল্যের স্থানীয় উচ্চতায় অবস্থান করলেও, এটি সঠিক কারেকশনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। সুতরাং, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে বর্তমানে খুব কমই যৌক্তিকতা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4dgYP83
|
|
|
ইউরোর মূল্য বাড়ছে কিন্তু ফ্ল্যাট মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে
মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে এই পেয়ারের মূল্য সেনকৌ স্প্যান বি লাইন থেকে বাউন্স করেছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে, এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে এটাও স্পষ্ট যে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই পেয়ার 1.1092 এবং 1.1185 লেভেলের মধ্যে অবস্থিত একটি হরিজন্টাল চ্যানেলে ট্রেড করছে। যেহেতু সর্বশেষ বাউন্স এই চ্যানেলের নিম্ন সীমানা থেকে ঘটেছে, তাই আমরা উপরের সীমানার দিকে মুভমেন্ট আশা করতে পারি। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে ইউরোর সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনেরও প্রয়োজন নেই। অবশ্যই, ইউরোর মূল্য ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় আরও কম গতিতে বাড়ছে, কিন্তু তারপরও ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে যখন এই বৃদ্ধির কোন ভিত্তি নেই। মঙ্গলবার, ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। অতএব, প্রযুক্তিগত চিত্র সম্পূর্ণরূপে অপরিবর্তিত রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য হরিজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে কিছুটা বেশি সময় অবস্থান করলে 1.1185 লেভেল থেকে একটি বাউন্সও ঘটতে পারে। যাইহোক, এটি পরিস্থিতির পরিবর্তন করবে না। ইউরোর মূল্য এখনও স্থানীয় উচ্চতার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে এবং নিম্নমুখী হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সাধারণত EUR/USD পেয়ার সবচেয়ে স্থিতিশীল ইন্সট্রুমেন্ট, তাই এই পেয়ারের মূল্যের আকস্মিক পরিবর্তনগুলো অস্বাভাবিক হিসেবে বিবেচিত হয়। GBP/USD-এর মতো, এই পেয়ারের মূল্য দ্রুত বাড়তে পারে না। তবুও, সবগুলো টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য বাড়ছে। ট্রেডিং সিগন্যালের কথা বলতে গেলে, আমরা শুধুমাত্র 1.1127-1.1137 এরিয়ার ব্রেকআউটের কথা উল্লেখ করতে পারি, যার পরে উপরে থেকে একটি বাউন্স হয়েছে। এখানে ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করতে পারতেন। সন্ধ্যার মধ্যে, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 20 পিপস বেড়েছে এবং সম্ভবত 1.1185 লেভেলের দিকে মূল্য বাড়তে থাকবে। তাই, ব্রেক ইভেনে স্টপ লস সেট করার জন্য এবং 1.1185 লেভেলে টেক প্রফিট সেট করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/3TGw2Ti
|
|
|
পাউন্ডের দরপতন কোন কিছুই পরিবর্তন করে না
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টের বিশ্লেষণ বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য 100 পিপস কমে গেছে, যার ফলে কেউ কেউ ধারণা করতে পারে যে আমরা আগে ভুল কথা বলেছি। প্রকৃতপক্ষে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য এক দিনেরও কম সময়ে 1 সেন্ট কমেছে, যার জন্য আপাতদৃষ্টিতে কোন কারণ ছিল না!
যাইহোক, আমরা উল্লেখ করতে চাই যে এই দরপতন সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেনি। যদি পাউন্ডের মূল্য 300 পিপস বেড়ে যায় এবং 100 পিপস কমে যায়, তাহলে এটিকে দুর্বল কারেকশনের সাথে একটি শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বেশ কয়েক মাস ধরে চলমান ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের ধারাবাহিক বৃদ্ধির জন্য যে প্রকৃত কারণ ছিল তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডাররা 2024 সালের শুরু থেকে (সেপ্টেম্বর 2022 থেকে না হলে) ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের প্রতি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে এবং তা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ অর্থনীতিতে কোন উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন না হওয়া সত্ত্বেও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য ইতোমধ্যে 3,000 পিপস বেড়েছে। গতকাল, তেমন কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক পটভূমি ছিল না। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমের মধ্যেও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। ডলারের দর বৃদ্ধির অন্তত কিছু সম্ভাবনা থাকার জন্য, এই পেয়ারের মূল্যকে ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসলিডেট হওয়া দরকার। এই ক্ষেত্রে, সেনকৌ স্প্যান বি লাইনের দিকে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, যেখানে মূল্য যতখানি নিম্নমুখী হচ্ছে তার চেয়ে বেশি ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। যাইহোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শ্রম বাজার, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ, বা বেকারত্ব সম্পর্কিত যেকোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন মার্কিন ডলারের আরেকটি দরপতন ঘটাতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের পরবর্তী বৈঠকে সুদের হার আরও 0.5% কমানোর আশা করছে, যদিও সেপ্টেম্বরের সভায় ইতোমধ্যেই সুদের হার কমানো হয়েছে। বুধবার, 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, পেয়ারটির মূল্য 1.3367 লেভেল থেকে বাউন্স করেছে, যা ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয়। যাইহোক, এই পেয়ারের মূল্য মাত্র 28 পিপস উপরে উঠতে পেরেছে। লং পজিশনে কোনো লোকসান হওয়ার সুযোগ ছিল না। তারপর, মূল্য 1.3367 লেভেলের নিচে কনসলিডেট হয় এবং দিনের শেষে প্রায় 40 পিপস নিচে চলে যায়। ট্রেডাররা এই 40 পিপস উপার্জন করতে পারে।
COT রিপোর্ট: ব্রিটিশ পাউন্ডের COT রিপোর্টে দেখা গেছে যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট প্রায়শই পরিবর্তিত হয়েছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের প্রতিনিধিত্ব করে, ক্রমাগত একে অপরকে ছেদ করছে এবং প্রায়শই শূন্য চিহ্নের কাছাকাছি রয়েছে। আমরা আরও দেখতে পাচ্ছি যে যখন লাল লাইনটি শূন্যের নিচে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্যের শেষ নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। এখন লাল লাইনটি শূন্যের উপরে রয়েছে, এবং মূল্য 1.3154-এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেল ব্রেক করে গেছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুসারে, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপ 17,200টি বাই কন্ট্র্যাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 10,000টি শর্ট কনট্র্যাক্ট ওপেন করেছে। ফলে, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন এক সপ্তাহে 27,200 কন্ট্র্যাক্ট কমেছে। তারপরও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৌলিক পটভূমি এখনও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দীর্ঘমেয়াদী ক্রয়ের জন্য কোন ভিত্তি প্রদান করে না, এবং বিশ্বব্যাপী পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার একটি বাস্তব সুযোগ রয়েছে। যাইহোক, সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে আমরা একটি অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন দেখতে পাচ্ছি, তাই এই লাইনটি ব্রেক না করা পর্যন্ত পাউন্ডের দীর্ঘমেয়াদী পতনের সম্ভাবনা নেই। প্রায় সব প্রতিকূলতার বিপরীতে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য বাড়ছে, এবং এমনকি যখন COT রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে বড় ট্রেডাররা পাউন্ড বিক্রি করছে, তখনও পাউন্ডের দর বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4ekPyx2
|
|
|
অক্টোবর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস হতে চলেছে: ননফার্ম পেরোল, আইএসএম সূচক এবং ইউরোজোন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/386648348.jpg[/IMG]
[URL="https://ifxpr.com/3zQxLPb"]সামনেই অক্টোবর মাস শুরু হতে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরের শ্রমবাজার পরিস্থিতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। EUR/USD পেয়ারের জন্য যে মৌলিক পটভূমি তৈরি হয়েছে তা বিবেচনা করে এই প্রতিবেদনগুলোকে অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মূল্যায়ন করা কঠিন। মাসিক টাইমফ্রেমে দেখা যাচ্ছে যে এই পেয়ারের মূল্য টানা তৃতীয় মাসের মতো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। জুলাই মাসে, এই পেয়ারের মূল্য সাত অংকের ভিত্তি থেকে বাউন্স করেছে এবং তারপর থেকে 500 পিপস বেড়ে সেপ্টেম্বরে 1.1214 এর লেভেলে পৌঁছেছে। যাইহোক, মূল্যের 1.1200 এর লেভেল "কঠিন বাঁধা" হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে কারণ ক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1200 এর লক্ষ্যমাত্রার উপরে কনসলিডেট করতে পারেনি। গত দুই সপ্তাহ ধরে, ট্রেডাররা মূলত এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1080-1.1190 এর রেঞ্জের মধ্যে ওঠানামা করাচ্ছেন।
EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা মূল্যকে বেশ কয়েকবার উপরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু বিক্রেতারা বারবার মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ দখল করে নিচ্ছে, ফলে এই পেয়ারের মূল্য দ্রুতই উপরের রেঞ্জ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটি ইউরো-ডলার পেয়ারের ক্ষেত্রে বিকশিত পরস্পরবিরোধী মৌলিক চিত্রের কারণে হয়েছে। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমানভাবে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশার মধ্যে ইউরোপীয় মুদ্রা চাপের মধ্যে পড়েছিল। PMI, IFO, এবং ZEW সূচকের হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশের পর এবং ফ্রান্স ও স্পেনের মুদ্রাস্ফীতির মন্থরতার পরে অক্টোবরের সভায় সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে (কিছু অনুমান অনুসারে প্রায় 80%)। অন্য কথায়, EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা বর্তমানে ইউরোর মৌলিক পটভূমি থেকে সমর্থনের উপর নির্ভর করতে পারছে না যদি না পুরো ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি "ইতিবাচক" ফলাফল দিয়ে ট্রেডারদের অবাক করে। এই দৃশ্যপটের সম্ভাবনা বাদ দিলে, কেবলমাত্র মার্কিন ডলার আরও দুর্বল হলেই এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি (টেকসই বৃদ্ধি) পাওয়া সম্ভব। যাইহোক, সম্প্রতি মার্কিন গ্রিনব্যাক অবস্থান ধরে রেখেছে: মার্কিন ডলার সূচক বেশ কয়েকবার 99 রেঞ্জে নেমে গেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত 100.00 এর লক্ষ্যমাত্রার উপরেই থেকে গেছে। ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর মিশেল বোম্যানের কাছ থেকে মার্কিন ডলার সমর্থন পেয়েছে, যিনি আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার ক্ষেত্রে মাঝারি গতি নির্ধারণ করার পক্ষে সমর্থন করেছিলেন। মূল PCE সূচকটির ফলাফলও ডলারের পক্ষে কাজ করছে, সূচকটি দুই মাস 2.6% এ থাকার পর আগস্টে বেড়ে 2.7%-এ পৌঁছেছে। তবুও, মার্কিন মুদ্রা দুর্বল রয়ে গেছে। মার্কিন গ্রিনব্যাকের অ্যাকিলিস হিল বা দুর্বল জায়গা হল মার্কিন শ্রমবাজার, যা সম্প্রতি অস্থিতিশীল হওয়ার লক্ষণ দেখিয়েছে। অতএব, যদি সেপ্টেম্বরের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ফলাফল আবারও হতাশাজনক হয়, তাহলে মার্কিন মুদ্রা তীব্র চাপের মধ্যে পড়বে—এই ক্ষেত্রে, বোম্যান বা মুদ্রাস্ফীতি কেউই এটিকে বাঁচাতে পারবে না। ফেডের প্রায় সকল প্রতিনিধি যারা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে বক্তব্য দিয়েছেন তারা মার্কিন শ্রমবাজারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে সেপ্টেম্বরের বৈঠকের পরে জেরোম পাওয়েল বলেছিলেন যে মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে এবং শ্রমবাজার নিম্নমুখী হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। সুদের হার 50 বেসিস পয়েন্ট কমানোর ন্যায্যতা প্রমাণ করে, ফেডের চেয়ারম্যান উল্লেখ করেছেন যে গত এক বছরে মজুরি বৃদ্ধির গতি নামমাত্র কমেছে এবং গত তিন মাসে গড়ে 116,000 কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই থেকে শ্রমবাজারের সুরক্ষার দিকে ফেডের মনোনিবেশ সেপ্টেম্বরের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের তাৎপর্যকে বাড়িয়ে তুলেছে।
মার্কিন শ্রমবাজারের মূল প্রতিবেদনটি ঐতিহ্যগতভাবে মাসের প্রথম শুক্রবারে প্রকাশ করা হয় যা এবার 4 অক্টোবরে পড়েছে। যাইহোক, এই প্রতিবেদনটি এবার অন্যান্য প্রতিবেদনের আগে প্রকাশিত হবে, যা EUR/USD পেয়ারের মূল্যকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, 1 অক্টোবর মঙ্গলবার, আমরা আগস্টের (JOLTS জব ওপেনিংস) কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাতে পাব। এই সূচকটি আগের দুই মাসে (জুলাই ও জুন) নিম্নমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে। আগস্টে তৃতীয় মাসের মতো এই সূচক নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে - পূর্বাভাস অনুযায়ী, সূচকটি 7.640 মিলিয়নে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে (জুলাই মাসে, এটি 7.673 মিলিয়ন ছিল)। আগামী ২ অক্টোবর এডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী বেসরকারী খাতে শুধুমাত্র 124,000 কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যদি প্রত্যাশার বিপরীতে সূচকটির ফলাফল 100,000 এর নিচে নেমে আসে, তাহলে সরকারী প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই ডলার চাপের মুখে পড়বে। অবশেষে, ৪ অক্টোবর শুক্রবারে সেপ্টেম্বরের নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুসারে, বেকারত্বের হার 4.2% এ থাকা উচিত এবং নন-ফার্ম সেক্টরে চাকরির সংখ্যা 144,000 বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর অর্থ হল সংখ্যাটি আবার 200,000 এর থেকে কম হবে। এদিকে, অগাস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে 3.8% হওয়ার পরে গড় ঘন্টায় উপার্জনের বৃদ্ধির হার দ্রুত 3.2%-এ কমে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, নন-ফার্ম পেরোল প্রতিবেদন পূর্বাভাস তুলনামূলকভাবে দুর্বল। অতএব, যদি এই প্রতিবেদনের উপাদানগুলো "নেতিবাচক" হয়, তাহলে ডলার আবার দরপতনের শিকার হবে, কারণ ফেডের নভেম্বরের বৈঠকে 50-বেসিস-পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা 60-75% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে৷ EUR/USD পেয়ারের জন্য মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হলেও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকা
|
|
|
পহেলা অক্টোবরে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাজ্যে উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে, যেগুলোকে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এই প্রতিবেদনের মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া উস্কে সম্ভাবনা নেই। ইউরোজোনে সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। যাইহোক, এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরে ইউরোর তীব্র দরপতনের সম্ভাবনা নেই। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যেই মুদ্রানীতি নমনীয়করণ চক্র শুরু করেছে, তাই মুদ্রাস্ফীতি যে হারে কমছে তা আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। তদুপরি, মার্কেটের ট্রেডাররা ইউরো বিক্রি করতে আগ্রহী নয়, যেমনটি আমরা গতকাল জার্মান মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেও দেখতে পেয়েছি। আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স এবং JOLTs থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। উভয় প্রতিবেদনই বেশ গুরুত্বপূর্ণ, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন করে মার্কিন ডলার বিক্রির শুরু করার কারণ খুঁজবে। যেমনটি আমরা গতকাল দেখেছি, এমনকি ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতাও ডলারকে বিশেষভাবে সাহায্য করেনি।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে, ইসাবেল শ্নাবেলের বক্তৃতা সহ ফেডের প্রতিনিধিদের বক্তৃতাগুলোর কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা যায়। গত সপ্তাহে, FOMC-এর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নভেম্বরে সুদের হার 0.5% কমানোর পক্ষে কথা বলেছেন, কিন্তু পাওয়েল এবং তার কিছু সহকর্মী বলেছেন যে এই ধরনের আক্রমনাত্মকভাবে সুদের হার কমানোর প্রয়োজন নেই। যাই হোক না কেন, সবকিছুই আসন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল উপর নির্ভর করবে এবং এখন থেকে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সুদের হার হ্রাসের পরিমাণ নিয়ে আলোচনা করা যুক্তিযুক্ত নয়। তবুও, FOMC-এর অন্যান্য প্রতিনিধিদের অবস্থান আর্থিক কমিটির সামগ্রিক অবস্থান সম্পর্কে একটি ধারণা দেবে।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরোর মূল্য 1.1091 এবং 1.1191 এর মধ্যে অবস্থিত একটি সীমিত রেঞ্জের মধ্যে থাকতে পারে। কোন কিছুই পাউন্ড স্টার্লিংকে আটকে রাখতে পারবে বলে মনে হয় না, এবং এটির মূল্য ইউরোর তুলনায় অনেক বেশি ঘন ঘন বৃদ্ধি পায় এবং মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমিও তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারছে না। অতএব, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। ট্রেডাররা মার্কিন প্রতিবেদনে নতুন করে ডলার বিক্রির ন্যায্যতা দেওয়ার অজুহাত খুঁজবে।
Read more: https://ifxpr.com/4dtcokL
|
|
|
ইউরো কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছে
ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ার উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে পড়ে। প্রতিবেদনটির ফলাফল পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিন্তু ইউরোজোনের CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচকে মন্দা প্রতিফলিত হয়েছে। একদিকে, প্রতিবেদনটির ফলাফল বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের পূর্বাভাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। অন্যদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রতিবেদনের তাৎপর্যকে অত্যধিক হিসেবে মূল্যায়ন করা কঠিন। অক্টোবরের বৈঠকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে আগে, ডিসেম্বরের বৈঠকে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ছিল। এই প্রতিবেদনটি মার্কিন গ্রিনব্যাকের বিপরীতে ইউরোর দরপতন ঘটিয়েছে।
EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1080-1.1190 রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে গেছে (যেখানে এটি গত দুই সপ্তাহ ধরে ট্রেড করছিল) এবং 1.1040 এর সাপোর্ট লেভেলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে (দৈনিক চার্টে কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানা)। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইউরোজোনে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) সেপ্টেম্বরে বার্ষিক ভিত্তিতে 1.8%-এ নেমে এসেছে। এটি 2021 সালের মে মাস থেকে সবচেয়ে কম মুদ্রাস্ফীতির হার। এটাও লক্ষণীয় যে এই সূচকটি টানা দ্বিতীয় মাসে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে। মূল সূচক, যা জ্বালানি এবং খাদ্যের দাম বাদ দিয়ে বিবেচনা করা, বার্ষিক ভিত্তিতে 2.7% এ নেমে এসেছে। এই সূচকটিও টানা দ্বিতীয় মাসে হ্রাস পেয়েছে, যদিও সামগ্রিক CPI এর মতো দ্রুত হারে নয়। তা সত্ত্বেও, এই বছরে এপ্রিলের পর সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির সবচেয়ে দুর্বল প্রবৃদ্ধির হার চিহ্নিত হয়েছে। প্রতিবেদনটির ফলাফল এই ইঙ্গিত দেয় যে আগস্টে 4.1% বৃদ্ধির পরে সেপ্টেম্বরে পরিষেবার ব্যয় বার্ষিক ভিত্তিতে 4.0% বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রতিফলিত করছে, তবে প্রবণতাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পরিষেবা খাতের মুদ্রাস্ফীতি ইসিবির জন্য "মাথাব্যথা" হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই এই সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিবেদন থেকে এটাও জানা গেছে যে আগের মাসে জ্বালানির দাম 6% কমেছে (আগস্টে 3% হ্রাসের তুলনায়), যেখানে শিল্প পণ্যের দাম 0.4% বেড়েছে (গত মাসের মতো)। খাদ্য, অ্যালকোহল এবং তামাকের দাম 2.4% বৃদ্ধি পেয়েছে (আগের পরিসংখ্যানে এই সূচক 2.3% ছিল)। এটিও উল্লেখ করা উচিত যে ফ্রান্স এবং স্পেনের মূল্যস্ফীতি শেষ পর্যন্ত সেপ্টেম্বরে 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার নিচে নেমে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্রান্সে, আগস্টে 2.2%-এ বেড়ে যাওয়ার পর গত মাসে ভোক্তা মূল্য সূচক বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 1.5%-এ পৌঁছেছে, এবং স্পেনে, এই সূচক বৃদ্ধি পেয়ে 1.7%-এ পৌঁছেছে (আগস্টে 2.4% এর তুলনায়)। এই পরিসংখ্যানগুলো এই ইঙ্গিত দেয় যে ইসিবি এই মাসের প্রথম দিকে আবার সুদের হার কমাতে পারে। সম্পূর্ণ ধারণা পেতে, ইউরোপীয় উদ্যোক্তাদের ক্রমবর্ধমান হতাশাবাদ প্রতিফলিত করে এমন অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর কথা মনে করা উচিত। পিএমআই, আইএফও এবং জেডইডব্লিউ সূচকগুলোর ফলাফল "নেতিবাচক" ছিল, যা ইউরোর পরিস্থিতি আরও খারাপ করছে। উল্লিখিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগেও, HSBC এবং BNP Paribas-এর বিশেষজ্ঞরা অক্টোবরের সভায় ইসিবির সুদের হার 25 বেসিস পয়েন্ট কমানোর 80% সম্ভাবনা রয়েছে অনুমান করেছেন। আমি বিশ্বাস করি যে এখন এই ধরনের দৃশ্যপটের সমর্থকদের সংখ্যা বাড়বে, বিশেষ করে রয়টার্সের সাম্প্রতিক একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন বিবেচনা করে, যার মতে অক্টোবরে সুদের হার কমানোর বিষয়টি "এজেন্ডায় রয়েছে" এবং ইসিবির সদস্যরা এ নিয়ে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছে। HSBC-এর বিশ্লেষকদের মতে, ইসিবি 2025 সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রতিটি সভায় সুদের হার 25-বেসিস-পয়েন্ট কমানোর পথে অগ্রসর হবে, যার অর্থ পরবর্তী পাঁচটি বৈঠকে। ইসিবির ভবিষ্যত পদক্ষেপের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান ডোভিশ প্রত্যাশার মধ্যে, ইউরো মার্কিন গ্রিনব্যাকের বিপরীতে যথেষ্ট চাপের মধ্যে এসেছে।
কিন্তু আমরা কি বলতে পারি যে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা ধ্বংস হয়ে গেছে? আমি মনে করি না কারণ ডলারও "ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের" পরীক্ষার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। নভেম্বরের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভেরও সম্ভাব্যভাবে সুদের হার 50-বেসিস-পয়েন্ট কমানোর ঝুঁকি রয়েছে। গত সপ্তাহে, এই ধরনের পরিস্থিতির সম্ভাবনা ছিল 60%। আজকের হিসাবে, সেই সম্ভাবনা 30% এ নেমে গেছে। যাইহোক, যদি মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল আবার হতাশাজনক হয়, মন্দার লক্ষণ দেখায়, তাহলে মার্কিন গ্রিনব্যাক প্রবল চাপের মধ্যে পড়বে। ফেডের কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বিবৃতি বিবেচনা করে ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ফলাফল এখন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। অতএব, শুক্রবারের প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল মৌলিকভাবে EUR/USD পেয়ারের পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পারে। মার্কিন ডলারের দুর্বলতার পরিপ্রেক্ষিতে, এখন শর্ট পজিশন এন্ট্রি করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া, মঙ্গলবারের আইএসএম ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স 47.6-এ বৃদ্ধির দুর্বল পূর্বাভাসের বিপরীতে সেপ্টেম্বরে 47.2-এ আশায় ডলারের ক্রেতারা হতাশ হয়েছে। সূচকটি সংকোচন অঞ্চলে ছিল (এই সূচকটি আগস্টেও একই স্তরে ছিল)। আমার মতে, EUR/USD পেয়ারের বিক্রেতারা মোমেন্টামের উপর ভর করে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1040 এর লক্ষ্যে (দৈনিক চার্টে কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানা) আরও কয়েক ডজন পয়েন্ট নিচে নামিয়ে দিতে পারে— কিন্তু আরও টেকসই দরপতনের সম্ভাবনা অত্যন্ত অনিশ্চিত। প্রধানত শুক্রবারের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের কারণে আরও দরপতনের বিষয়টি অনিশ্চিত, যা মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3NfYwzz
|
|
|
৩ অক্টোবরে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। জার্মানি, ইইউ, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা খাতের সেপ্টেম্বরের ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সূচকের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে৷ যাইহোক, এই প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমানের ফলাফল প্রথম অনুমানের থেকে খুব কমই উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হয়, তাই আমরা এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার আশা করি না৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইএসএম পরিষেবা সূচক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এই সূচকটি গত দুই মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই নতুন ইতিবাচক ফলাফল ডলারের মূল্যের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চালিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে। মার্কিন জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, যা বাজার পরিস্থিতিকে দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা কম।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা: বৃহস্পতিবার মূল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের রাফেল বস্টিকের বক্তৃতা রয়েছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, জেরোম পাওয়েল বলেছিলেন যে ফেড নভেম্বরে সুদের হার 0.5% কমানোর পরিকল্পনা করছে না, যা ডলার বিক্রেতাদের উল্লেখযোগ্যভাবে হতাশ করেছে। তবে, পাওয়েল একাই সুদের হারের সিদ্ধান্ত নেবেন না। পরবর্তী সভায় ফেডের যত বেশি কর্মকর্তারা আক্রমনাত্মকভাবে নীতিমালার নমনীয়করণের দিকে ঝুঁকবেন, নতুন করে ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা তত বেশি। আমরা বেকারত্ব এবং নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন প্রকাশের পরে মূল সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে, যদিও এটি সম্ভবত উল্লেখযোগ্য হবে না। আমরা মনে করি যে এখন উভয় পেয়ারের মূল্যের দীর্ঘায়িত নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। যদি শুক্রবারের গুরুত্বপূর্ণ শ্রম বাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল হতাশাজনক না হয়, তবে ডলার শক্তিশালী হতে পারে, কারণ ডলারের সাম্প্রতিক দরপতন ইতোমধ্যে যথেষ্ট বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3N7YBFL
|
|
|
৭ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের খুচরা বিক্রির প্রতিবেদন। এটি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়, তাই এটির প্রভাবে মার্কেটে খুবই সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। সামগ্রিকভাবে, গত সপ্তাহে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য হ্রাস পেয়েছে, তাই এ সপ্তাহে মার্কেটে উভয় পেয়ারের মূল্যের কারেকশন দেখা যেতে পারে (বিশেষ করে যেসব দিনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা এবং মৌলিক পটভূমি নেই)। এটি বিশেষভাবে ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যা ২০২৪ সালে ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে কমই দরপতনের শিকার হয়েছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারে উল্লেখযোগ্য মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি নিল কাশকারি এবং রাফায়েল বস্টিকের বক্তৃতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি আকর্ষণীয় হবে কারণ ফেডের কর্মকর্তাগণ শুক্রবার প্রকাশিত বেকারত্ব এবং নন-ফার্ম পেরোল প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। আমরা সম্ভবত এমন বিবৃতি শুনতে পারব যেখানে পরবর্তী বৈঠকে ফেডের আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করার প্রয়োজন নেই বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। এই তথ্য মার্কিন ডলারকে সমর্থন করতে পারে। সেপ্টেম্বরের শ্রম বাজারে ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে এবং বেকারত্বের হার কমেছে। এটি আসন্ন সপ্তাহগুলোতে ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে। মার্কিন ডলার শুধুমাত্র কাশকারি এবং বস্টিকের হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিতের উপর ভিত্তি করে টানা ছয় দিন ধরে বৃদ্ধির মুখ দেখতে পারে। তবে, তারা সন্ধ্যার দিকে বক্তব্য দেবেন, তাই দিনের বেলা উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের পথে কোনো বাধা থাকবে না। একই সময়ে, ইউরোপীয় সেশনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার, কারণ ইউরোপীয় সেশনে মার্কেটের ট্রেডাররা শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/47VjYn6
|
|
|
ট্রেডাররা রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকের কার্যবিবরণীর অপেক্ষায়
[URL="https://ifxpr.com/4eRW91S"]অস্ট্রেলিয়ান ডলার মার্কিন ডলারের বিপরীতে দরপতনের শিকার হচ্ছে, একইসাথে মার্কিন গ্রিনব্যাকের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এবং অস্ট্রেলিয়ান ডলারের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ঠিক এক সপ্তাহ আগে, 30 সেপ্টেম্বর, AUD/USD পেয়ারের মূল্য 19 মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ 0.6945-এ পৌঁছেছিল। যাইহোক, আজ ইন্সট্রুমেন্টটির দর তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেল প্রায় 0.67 এ স্থির হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে মার্কিন ডলারের দুর্বলতার কারণে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। মার্কিন ডলার ফেডের আর্থিক নীতিমালার আরও নমনীয়করণের প্রত্যাশার কারণে চাপের মধ্যে ছিল। একই সময়ে, অস্ট্রেলিয়ান ডলার পিপলস ব্যাংক অফ চায়না (পিবিওসি) এর সিদ্ধান্ত থেকে উপকৃত হয়েছে। অর্থনৈতিক খাতের পুনরুদ্ধারের জন্য, পিপলস ব্যাংক অফ চায়না (পিবিওসি) সুদের হার কমানোর এবং বন্ধকী ঋণের বোঝা কমানোর সাথে সাথে আর্থিক খাতে অতিরিক্ত তারল্য প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলোর ফলস্বরূপ, লৌহ আকরিকের মূল্য বহু মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে, যা অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অস্ট্রেলিয়ার সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানও AUD/USD পেয়ারের ক্রেতাদের সমর্থন যুগিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ANZ ব্যবসায়িক আস্থার সূচক 43.0-এর পূর্বাভাস ছাড়িয়ে 60.9-এ পৌঁছেছে। এই সূচকটি টানা তৃতীয় মাসের মতো বৃদ্ধি পেয়ে সেপ্টেম্বরে এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এই খবরের পরে, AUD/USD পেয়ারের মূল্য প্রায় 0.70 লেভেলে পৌঁছেছে কিন্তু তারপরে এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 200 পিপস কমে গিয়ে দ্রুত বিপরীতমুখী হয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে AUD/USD পেয়ারের দর বৃদ্ধি শুধুমাত্র মার্কিন ডলারের দুর্বলতার দ্বারা চালিত হয়েছে। সেপ্টেম্বরের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন গ্রিনব্যাকের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে আসে এবং AUD/USD পেয়ারের মূল্য কমে যায়। এই পেয়ারের মূল্যের উত্থান মূলত নড়বড়ে ভিত্তির উপর নির্মিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, চীনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দীপনা ব্যবস্থাকে ঘিরে আশাবাদ দ্রুত ম্লান হয়ে যায়। অনেক বিশ্লেষক সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে এই পদক্ষেপগুলো দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা যেমন মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং রিয়েল এস্টেট সংকট সমাধানের জন্য যথেষ্ট হবে। অধিকন্তু, অস্ট্রেলিয়ান ডলারের ট্রেডাররা অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনকে উপেক্ষা করেছে, যদিও এই সূচকটি নিম্নমুখী হয়েছে। দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) আগস্ট মাসে 2.7% এ নেমে এসেছে, যা 2.8%-এর পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য কম। প্রথমত, দেশটির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল রিজার্ভ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়ার (RBA) লক্ষ্যমাত্রা 2-3% এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, সূচকটি গত তিন মাসে ধারাবাহিকভাবে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে, যা অবশ্যম্ভাবীভাবে ব্যাংকটি প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করে এমন প্রান্তিক ভিত্তিক প্রতিবেদনের ফলাফলকে প্রভাবিত করবে। অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দুর্বলতার পরিপ্রেক্ষিতে, অবশ্যই সেপ্টেম্বরের রিজার্ভ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়ার সভার ফলাফল বিবেচনা করতে হবে। মার্চের পর প্রথমবারের মতো, নিয়ন্ত্রক সংস্থা সুদের হার বাড়ানোর বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেনি। আগের তিনটি বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুটি বিকল্প বিবেচনা করেছিল: স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং নীতিমালা কঠোর করা। এখন, পরবর্তী বিকল্পটি বিবেচনা থেকে সরানো হয়েছে। একই সময়ে, আরবিএ-এর গভর্নর মিশেল বুলক সুদের হার কমানোর কথা অস্বীকার করেননি। যদিও তিনি এটি অনুমানমূলকভাবে এবং কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা ছাড়াই এই ইঙ্গিত দিয়েছেন, নিছক সত্য এই যে ব্যাংকটির "ডোভিশ" বা নমনীয় অবস্থান নিয়ে ইতোমধ্যেই অনেক বেশি আলোচনা হচ্ছে।
এই কারণেই আজ, ৮ অক্টোবর, এশিয়ান সেশন চলাকালীন সময়ে প্রকাশিতব্য আরবিএ-এর সেপ্টেম্বরের বৈঠকের কার্যবিবরণী AUD/USD পেয়ারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, চূড়ান্ত বিবৃতিতে কোনো চাঞ্চল্যকর খবর ছিল না। এক বিবৃতিতে, RBA-এর নীতিনির্ধারকরা স্বীকার করেছেন যে অস্ট্রেলিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি ধীরগতিতে বাড়ছে কিন্তু খুব বেশি রয়ে গেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যও করেছে, উল্লেখ করেছে যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং আগত প্রতিবেদনের ফলাফল উপর নির্ভর করে প্রতিটি বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে সুদের হারের সিদ্ধান্ত নেবে। যদি সেপ্টেম্বরের বৈঠকের কার্যবিবরণীতে অনুরূপ মন্তব্য থাকে, তাহলে AUD/USD পেয়ারের ট্রেডাররা এটি উপেক্ষা করবে। যাইহোক, যদি কার্যবিবরণীতে সুদের হার কমানোর সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে অসি ডলার উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে পড়বে। উদাহরণস্বরূপ, যদি RBA প্রান্তিক ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের ফলাফল বিবেচনা করে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় বা এমনকি সূক্ষ্মভাবে অদূর ভবিষ্যতে নীতিমালা নমনীয় করার ইঙ্গিত দেয়। এই ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত, কারণ RBA-এর সেপ্টেম্বরের বৈঠক প্রকৃতপক্ষে আগের বৈঠক থেকে আলাদা ছিল কারণ এটিতে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সূক্ষ্ম ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যদি কার্যবিবরণীতে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সংকেত পাওয়া যায়, তাহলে AUD/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, AUD/USD পেয়ারের মূল্য দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ড সূচকের (0.6810) মাঝামাঝি লাইনের নিচে ব্রেক করে গেছে কিন্তু 0.6780 এর সাপোর্ট লেভেলে (একই সময়সীমার কিজুন-সেন লাইন) স্থির হয়েছে। এই পেয়ারের বিক্রেতারা মূল্যের এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠার পরেই বিক্রি করার কথা বিবেচনা করতে পারে। সেক্ষেত্রে, নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হবে 0.6760 এর লেভেল, যা চার ঘণ্টার চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডের নিম্ন লাইন। প্রধান নিম্নমুখী লক্ষ্যমাত্রা 0.6680 এ অবস্থিত, যা D1 চার্টে কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানার সাথে মিলে যায়।[/URL]
Read more: https://ifxpr.com/4eRW91S
|
|
|
৯ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। একদিকে, এর অর্থ হলো উভয় প্রধান কারেন্সি পেয়ারের আরও দরপতনের জন্য কোনও অতিরিক্ত চাপ নেই। অন্যদিকে, সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য কারেকশন করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। তাই, কারেকশন ছাড়াই উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে নতুন প্রযুক্তিগত সিগন্যালের প্রয়োজন। যেকোনো ক্ষেত্রেই, আজ কোন উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের আশা করা যাচ্ছে না।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে, ফেডারেল রিজার্ভের মনিটারি কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যের বক্তব্যের ওপর দৃষ্টি দেওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে লরি লোগান, থমাস বারকিন, অস্টান গুলসবি ও অন্যান্য কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা নভেম্বরে সুদের হার ০.৫% কমানোর বিষয়টিকে সমর্থন করছেন, তবে সবাই নয়। তাই মার্কেটের ট্রেডাররা এই বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যে, আর কারা "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থানের পক্ষে আছেন। ফেডের যত বেশি সদস্য ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের পক্ষে থাকবে, ভবিষ্যতে ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা তত কমে যাবে। তবে এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই আসন্ন আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের পুরো চক্রটি আংশিক বা পুরোপুরি মূল্যায়ন করে ফেলেছে। ডলারের দরপতনের জন্য নতুন কোন কারণ নেই।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে। তবে, সপ্তাহের প্রথম দুই দিনেও একই সুযোগ ছিল কিন্তু সেটি ঘটেনি। মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং নভেম্বর মাসে ফেডের সুদের হার ০.৫% কমানোর সম্ভাবনা ডলারের ওপর কোন চাপ সৃষ্টি করছে না। যদি কার্যকর সেল সিগন্যাল পাওয়া যায়, তবে কারেকশন ছাড়াই উভয় কারেন্সি পেয়ারের আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4h0QmZU
|
|
|
২১ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই মার্কেটে মনোযোগ দেওয়ার মতো খুব বেশি কিছু নেই। খুব সম্ভবত আমাদের সামনে একটি শান্ত দিন রয়েছে, যেখানে মূল্যের ন্যূনতম পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে। এটি আবারও উভয় পেয়ারের মূল্যের কারেকশন করার একটি ভালো সুযোগ হতে পারে, তবে এই মুহূর্তে, কোনো পেয়ারের মূল্যই ট্রেন্ডলাইন ভেদ করতে পারেনি।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি লরি লোগান এবং নিল কাশকারির ভাষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ছাড়া বা সাম্প্রতিককালে ফেড থেকে নতুন কিছু প্রকাশিত না হলে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আমরা আর কী আশা করতে পারি? আমরা মনে করি FOMC-এর কর্মকর্তারা শুক্রবারের তাদের সহকর্মীদের মতোই মার্কেটে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবেন না। তারা সন্ধ্যার শেষের দিকে কথা বলবেন, এবং দিনের বেলা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা পরিকল্পিত নেই।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ড উভয়েরই পুনরায় দরপতন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি উভয় পেয়ারের মূল্যের ট্রেন্ডলাইন থেকে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তাহলে নতুন করে দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, মূল্যের ভোলাটিলিটি কম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং ফ্ল্যাট মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হতে পারে। মনে রাখবেন, ফ্ল্যাট মার্কেটে বেশিরভাগ সিগন্যালই ফলস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সুতরাং, এমনকি মূল্য ট্রেন্ডলাইন ভেদ করলেও এটিকে ভবিষ্যৎ দর বৃদ্ধির নিশ্চয়তা হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
Read more: https://ifxpr.com/4f8Oyfq
|
|
|
২২ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, যার মানে মার্কেটে পর্যবেক্ষণ করার মতো কোন প্রতিবেদন থাকবে না। তবে, গতকাল এই পরিস্থিতি মার্কেটে সারাদিন ধরে নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে বাধা দেয়নি। অবশ্যই, এটা ভাবা বোকার মতো কাজ হবে যে আজকের পরিস্থিতি গতকালের মতোই হবে, তবে মার্কেটে এখনও শক্তিশালী নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তাই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা ছাড়াই ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি প্যাট্রিক হার্কার, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেনের বক্তব্যকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তাত্ত্বিকভাবে, এদের তিনজনই এমন কিছু নতুন তথ্য দিতে পারেন যা ইউরো এবং ডলারের এক্সচেঞ্জ রেটকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, এর সম্ভাবনা খুবই কম। ফেডের প্রতিনিধিরা প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং তাদের বক্তব্যের মধ্যে বেশ বৈচিত্র্য দেখা যায়। শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। ক্রিস্টিন লাগার্ডও গত সপ্তাহের ইসিবির বৈঠকের পর মুদ্রানীতির বিষয়ে আলোচনা থেকে বিরত থাকতে পারেন, মার্কেটের ট্রেডাররা ইসিবির বৈঠক থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পেয়েছিল।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইনের থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই আবারও নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। তবে উভয় পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা আবারও কম থাকতে পারে। লাগার্ডের বক্তব্য ইউরোর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় তিনি মুদ্রানীতির বিষয়ে মৌলিকভাবে নতুন কোনো তথ্য প্রদান করবেন বলে মনে হয় না।
Read more: https://ifxpr.com/4eStKZY
|
|
|
২৩ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি রাখা যেতে পারে, তবে এটি এতটাই গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন সূচক যে এর উপর ভিত্তি করে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া আশা করা বোকামি হবে। সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে আমরা দেখতে পেয়েছি যে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ছাড়াই ইউরো এবং পাউন্ড বিক্রি অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত রয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের কোনো সংকেত এখনও দেখা যায়নি।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের মূল মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি মিশেল বোম্যান এবং প্যাট্রিক হার্কারের বক্তৃতা রয়েছে, সেইসাথে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেনের বক্তৃতাও রয়েছে। তাত্ত্বিকভাবে, এই কর্মকর্তাদের যেকোনো একজন মার্কেটে নতুন তথ্য সরবরাহ করতে পারেন যা ইউরো এবং ডলারের মূল্যের প্রভাবিত করতে পারে। বাস্তবে, এর সম্ভাবনা কম। ফেডের প্রতিনিধিরা প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য দিয়ে থাকেন, এবং তাদের বক্তব্য প্রায়শই ভিন্ন রকম হয়। লাগার্ড গতকাল দুইবার বক্তৃতা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে ইসিবির সুদের হার 0.5% হ্রাসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না এবং সামগ্রিকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে। নতুন কোনো তথ্য ছাড়াই ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত রাখার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইন থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই নিম্নমুখী মুভমেন্ট ধীরে ধীরে চলমান থাকতে পারে। তবে, ভোলাটিলিটি আবারও কম থাকতে পারে। লাগার্ডের বক্তৃতা ইউরোকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে সন্দেহ রয়েছে যে তিনি মুদ্রানীতির বিষয়ে মার্কেটে মৌলিকভাবে নতুন কোনো তথ্য দিতে পারবেন কিনা, বিশেষ করে যেহেতু গত বৃহস্পতিবার থেকে ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।
Read more: https://ifxpr.com/4fad5AE
|
|
|
অ্যান্ড্রু বেইলি ব্রিটিশ পাউন্ডকে দরপতনের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না
এই সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির এক বা দুইবার বক্তব্য দেবেন। তবে, এটি পাউন্ডের জন্য কোন "লাইফলাইন" নিয়ে আসবে না। আমরা কেবলমাত্র ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নমনীয় অবস্থানের প্রত্যাশা করতে পারি, কারণ ইউরোজোনের মতোই যুক্তরাজ্যে দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে, যেখানে ইসিবি ইতোমধ্যেই তিনবার সুদের হার কমিয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কেবল একবার সুদের হার কমিয়েছে এবং এখনো পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অপেক্ষা করছে—বিশেষত তারা সেবাখাতে মুদ্রাস্ফীতি এবং কোর ইনফ্লেশনের কমার প্রত্যাশা করছে।
আসুন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির দিকে আলাদাভাবে নজর দিই। আমেরিকার অর্থনীতি চাঙ্গা রয়েছে এবং কোন মন্দার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অপরদিকে, ব্রিটিশ অর্থনীতি গত দুই বছর ধরে প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেনি। তবুও, অনেক বিশেষজ্ঞ ব্রিটিশ অর্থনীতির সামান্য প্রবৃদ্ধিকে "কঠিন পরিস্থিতিতে পুনরুদ্ধার" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন, যখন মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে "অর্থহীন" হিসাবে উপস্থাপন করেছিলেন, কারণ তারা যেকোনো সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হবে বলে মনে করতেন। এখন আমরা বছরের শেষ দিকে এসে পৌঁছেছি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়নি। সুতরাং, মার্কেটের ট্রেডাররা শুরুতেই এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপারে ভুল মূল্যায়ন করেছিল এবং এখন তাদের কাছে ভুলগুলো সংশোধন করার জন্য কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং, আমরা পুরোপুরিভাবে ব্রিটিশ পাউন্ডের অব্যাহত দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।
গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি ৭১ পিপস, যা পাউন্ড/ডলার পেয়ারের জন্য "গড়" হিসেবে বিবেচিত হয়। অক্টোবর ২৪, বৃহস্পতিবারে আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2990 এবং 1.2848 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি উপরের দিকে যাচ্ছে, যা নির্দেশ করে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। দরপতনের আগে সিসিআই ইন্ডিকেটর ছয়বার বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছিল। সম্প্রতি, এই ইন্ডিকেটরটি ওভারসোল্ড এরিয়াতে প্রবেশ করেছে এবং বেশ কয়েকটি বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে, যা এই ইঙ্গিত দেয় যে সামনে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.2909 S2 – 1.2878 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.2939 R2 – 1.2970 R3 – 1.3000
Read more: https://ifxpr.com/4dZs0wN
|
|
|
সাপ্তাহিক পর্যালোচনা: অক্টোবরের উষ্ণ সমাপ্তি
চলতি সপ্তাহটি অক্টোবরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহগুলোর একটি হতে। চলতি মাসের শেষভাহে ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় অঞ্চলেই EUR/USD পেয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সপ্তাহের শেষের দিকে এই পেয়ারের মূল্য 1.07 ফিগারের বেসের কাছাকাছি আসবে এবং 1.0700 লেভেলের নিচে দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে অথবা এটির মূল্য 1.0840-1.0950 রেঞ্জে ফিরে যেতে পারে এবং পরবর্তী পর্যায়ে 1.10 ফিগারের দিকে দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার
সোমবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই, যেখানে প্রধান আকর্ষণীয় ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) সহ-সভাপতি লুই ডে গুইন্ডোসের বক্তব্য রয়েছে। অক্টোবরের শুরুর দিকে তিনি ইউরোপীয় অর্থনীতির দুর্বল প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে "নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির ঝুঁকিসমূহ অব্যাহত রয়েছে" তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম "সময়ের সাথে সাথে শক্তিশালী হওয়া উচিত।" যদি তিনি পুনরায় এই ধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেন, তবে ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও, সোমবারে কারেন্সি মার্কেটের ট্রেডাররা কীভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে আমরা সেটি দেখতে পারব। সপ্তাহান্তে, ইসরায়েল ১ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানে আক্রমণ চালায়। ইসরায়েল ইরানের সামরিক স্থাপনার উপর আঘাত হানে, কিন্তু তেল এবং পরমাণু স্থাপনাগুলো এড়িয়ে যায়, যা তেলের দামের ঊর্ধ্বগতিকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। ইরানের প্রতিক্রিয়া দেখা এখনও বাকি আছে, ইরানি মিডিয়া পাল্টা প্রতিশোধের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যখন স্কাই নিউজ আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে ইরান তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে যে তারা ইসরায়েলের হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকবে।। মার্কেটে এই ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা এখনও অজানা।
মঙ্গলবার
মঙ্গলবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কনফারেন্স বোর্ড কনজিউমার কনফিডেন্স সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা প্রধান আকর্ষণীয় ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে সূচকটি ৯৮.৭ এ হ্রাস পায়, এবং অক্টোবরে এই সূচক ৯৯.২ হবে বলে পূর্বাভাস০ দেয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে JOLTS কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা প্রকাশিত হবে। জুন এবং জুলাইয়ে দুই মাস পতনের পর, আগস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়ে 8.04 মিলিয়ন হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা ৭.৯২ মিলিয়ন পর্যন্ত হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি এটি পূর্বাভাসের থেকে অনেক বেশি বা কম হয় তবে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা বাড়তে পারে।
বুধবার
বুধবারে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রান্তিকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রাথমিক প্রতিবেদন হাতে পাব। পূর্বাভাস অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.০% হবে, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দেশটির জিডিপি এই স্তরে পৌঁছানো বা তা অতিক্রম করা ডলারের ক্রেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে যেকোনো ধীরগতির ফলে ফেডের আরও আক্রমণাত্মকভাবে নীতিমালা নমনীয়করণের প্রত্যাশা পুনরুজ্জীবিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার
বৃহস্পতিবারও EUR/USD পেয়ারের ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ইউরোপীয় সেশনে, ইউরোজোনে গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, অক্টোবরের মোট CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক সেপ্টেম্বরে ১.৭% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১.৯% এ উন্নীত হবে। সাধারণত ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধি ইউরোর জন্য ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে যদি মুদ্রাস্ফীতি ইসিবির লক্ষ্যমাত্রার (২% এর বেশি) উপরে যায়, তাহলে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা শক্তিশালী "ঊর্ধ্বমুখী র্যালি" শুরু করতে পারে। উল্লেখ্য যে, মূল সূচকটি নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাতে পারে এবং ২.৬% এ নেমে আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি কোর CPI ভা মূল ভোক্তা মূল্য সূচক ও পূর্বাভাসের বিপরীতে বৃদ্ধি পায়, তবে ইউরো আরও উল্লেখযোগ্য সমর্থন পাবে। মার্কিন সেশনে, মূল PCE সূচক প্রকাশিত হবে, যা ফেড ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। এই সূচকটি টানা দুই মাস (জুন এবং জুলাই) ২.৬% এ ছিল, তবে আগস্টে এটি ২.৭% এ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেপ্টেম্বরেও এটি ২.৭% এ থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। যদি এই সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করে, তবে ডলারের ক্রেতারা আরও সুবিধা পেতে পারে, বিশেষত যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোর CPI এবং PPI সূচক বাড়ছে।
শুক্রবার
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে ট্রেডারদের মনোযোগ অক্টোবরের ননফার্ম পে-রোল (NFP) সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর থাকবে। গত মাসে, মার্কিন শ্রমবাজার ডলারকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রদান করেছিল, কারণ সেপ্টেম্বরের ননফার্ম পে-রোল (NFP) সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সমস্ত উপাদানই প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ছিল। অক্টোবরের প্রতিবেদনের ফলাফল হয় এই প্রবণতাকে নিশ্চিত করবে, অথবা প্রত্যাখ্যান করবে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন মার্কিন বেকারত্বের হার ৪.১%-এ স্থির থাকবে। তবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার দুর্বল থাকতে পারে এবং মাত্র +১১১,০০০ নতুন কর্মসংস্থান যুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে, সেপ্টেম্বরে এই বৃদ্ধি ছিল ২৫০,০০০। এডিপি থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের দুর্বল পূর্বাভাসের কারণে, যদি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ১,০০,০০০ এর নিচে নেমে আসে, তবে ডলার ব্যাপক চাপের মুখে পড়তে পারে। মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সূচক গড় ঘণ্টাপ্রতি আয় বৃদ্ধির সূচকটি সেপ্টেম্বরের ৪.০% স্তরে স্থির থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ডলার ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য, এই সূচকটি অবশ্যই ৪%-এর নিচে নামা উচিত নয়। শুক্রবারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হল ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক, যা ৪৭.২ থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭.৫ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র তখনই এই সূচকটি ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে যদি এটি অপ্রত্যাশিতভাবে সম্প্রসারণ অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং ৫০-পয়েন্টের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে।
উপসংহার চলতি সপ্তাহটি অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনায় পরিপূর্ণ। গুরত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল EUR/USD পেয়ারের মূল্যের উচ্চমাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার কারণ হতে পারে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরিস্থিতি বিক্রেতাদের জন্য খুব বেশি অনুকূল নয়। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মতে, জার্মানি এবং ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি ত্বরান্বিত হবে, যখন মার্কিন শ্রমবাজার পরিস্থিতি নেতিবাচক হতে পারে। যদি গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর ফলাফল পূর্বাভাসের সাথে মিলে যায়, তবে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা শক্তিশালী হয়ে পাল্টা আক্রমণ চালাতে পারে, যা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.09 রেঞ্জের মাঝামাঝি (1.0950 – সাপ্তাহিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডের মধ্যম লাইন, যা কিজুন-সেন লাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ) এর দিকে পৌঁছে দিতে পারে। তবে, যদি ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি মন্থর হয় এবং ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ফলাফল "ইতিবাচক" আসে, তবে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে আরও তীব্রভাবে বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এমন ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0720 এর সাপোর্ট লেভেলের (D1 টাইমফ্রেমের বলিঙ্গার ব্যান্ডের নিম্ন লাইন) দিকে নেমে যেতে পারে এবং 1.06 রেঞ্জ টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3Ur0Urc
|
|
|
২৯ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে দুটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে জার্মানির GFK কনজিউমার কনফিডেন্স সূচক, যা উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করে না, কারণ এটি অপেক্ষাকৃত ছোটখাট একটি প্রতিবেদন। তবে দ্বিতীয় প্রতিবেদন বেশি গুরুত্ব বহন করে: এটি যুক্তরাষ্ট্রের সেপ্টেম্বরের JOLTs কর্মসংস্থান সৃষ্টি সংক্রান্ত প্রতিবেদন। আগস্টের তুলনায় এই প্রতিবেদনের ফলাফল সামান্য নিম্নমুখী হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে, তবে যেহেতু সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার কমেছে, তাই JOLTs-এর মূল পরিসংখ্যানের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যেতে পারে। এটি আজকের একমাত্র প্রতিবেদন যা মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে না। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নতুন কোনো বক্তব্য অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা নেই, যদিও বর্তমানে সেগুলো বিশেষ প্রয়োজনীয় নয়, কারণ ইসিবির পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে এখনও পাঁচ সপ্তাহ বাকি। ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও কোনো বক্তব্যের আশা করা হচ্ছে না, কারণ ৬-৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের আগে তারা আর্থিক নীতিমালা নিয়ে কোন ধরনের আলোচনা করতে পারবেন না।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিং, সম্ভবত ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, যখন ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বাস্তবে, আজ এই কারেন্সিগুলোর মূল্যের বিপরীতমুখী মুভমেন্ট দেখা যাবে না বলেই মনে হচ্ছে, শুধুমাত্র JOLTs থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনই উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই, উভয় কারেন্সি পেয়ারের জন্য একই দিকনির্দেশনায় বাই বা সেল সিগন্যালের অপেক্ষা করা সম্ভবত বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত হবে, যেন সেগুলো একে অপরের বিপরীত না হয়।
Read more: https://ifxpr.com/3BZeEmK
|
|
|
৩০ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে এবং এগুলোর সবগুলোই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিতে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং জিডিপি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ইউরোজোনে জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি প্রতিবেদনের পাশাপাশি ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আজ মার্কেটের বেশ কার্যকর মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপীয় সামষ্টিক প্রতিবেদন থেকে ইউরোর জন্য শক্তিশালী সমর্থনের আশা করা কঠিন, কারণ এই অঞ্চলের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সম্ভবত পূর্বাভাস ছাড়াবে না, এদিকে জার্মানির বেকারত্বের হার খুব প্রভাবশালী সূচক নয় এবং জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির সামান্য ত্বরণ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করবে বলে মনে হয় না। তবে, দুপুরের দিকে প্রকাশিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেট সেন্টিমেন্টকে শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আজ উভয় পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইভেন্ট হল ইসিবি'র ইসাবেল শ্ন্যাবেলের বক্তব্য। তবে, যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, ইসিবির কৌশল ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে: আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ অব্যাহত থাকবে এবং ডিসেম্বরে সুদের হার আরও 0.25% কমানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই, শ্ন্যাবেল আজ নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন বলে মনে হচ্ছে না। যাই হোক না কেন, মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের দিকে নজর রাখবে।
উপসংহার: এই সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিং উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্পূর্ণরূপে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করবে, ফলে পূর্বাভাস দেয়া কঠিন। আমরা মনে করি ইউরোপীয় সামষ্টিক প্রতিবেদন থেকে ইউরোর সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে মার্কিন প্রতিবেদনের মাধ্যমে সমর্থন পেলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যদি সেগুলোর ফলাফল গতকালের JOLTs থেকে প্রতিবেদনের ফলাফল মতো হয়। তাই, ইউরো এবং পাউন্ডের ট্রেডাররা সম্ভাব্য সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের দিকে তাকিয়ে আছে।
Read more: https://ifxpr.com/4fqXk8z
|
|
|
৩১ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তবে বাস্তবিক অর্থেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন। গতকাল জানা গেছে, জার্মানির মূল্যস্ফীতি ২% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই আজ আমরা যুক্তিসঙ্গতভাবে আশা করতে পারি যে ইউরোজোনের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিসেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসে বিরতি গ্রহণের কথা ভাবতে পারে। যদি নভেম্বরেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তবে ইসিবি পরবর্তী কয়েকটি বৈঠকে সুদের হার হ্রাসে বিরতি গ্রহণ করতে পারে। এই পরিস্থিতি ইউরোকে সমর্থন যোগাবে। আমরা আশা করছি না যে এটি একাই ইউরোর মূল্যের দুই বছর ধরে চলা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরুজ্জীবিত করবে, তবে কমপক্ষে এটি একটি কারেকশনকে উদ্দীপিত করতে পারে। আজ প্রকাশিতব্য মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচক, জবলেস ক্লেইমের সংখ্যা, এবং মার্কিনিদের ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন। আমরা মনে করি এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়, তবে PCE সূচকটির ফলাফল মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে বিশেষ কিছুই নেই। গতকাল জার্মানির মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ডিসেম্বর মাসে ইসিবির সুদের হার কমানো নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, এবং আজকের ইউরোজোন মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন এ ব্যাপারে সঠিক অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে। ইসিবি বা ফেডারেল রিজার্ভের তরফ থেকে কোনো বিবৃতি নির্ধারিত নেই।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনগুলোর ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্পূর্ণরূপে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করবে, যে সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন ইউরোকে সমর্থন করতে পারে, যখন পাউন্ডের জন্য আবারও কঠিন সময় আসতে পারে। কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের PCE সূচকটির ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হলে পাউন্ডের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3NLmOSj
|
|
|
এই সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে কী আশা করা যায়
মার্কিন ডলার ইউরো এবং পাউন্ডের বিপরীতে দরপতনের শিকার হচ্ছে, এবং এর জন্য কিছু যৌক্তিক কারণ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা হ্রাসের স্পষ্ট লক্ষণ ছাড়াও, ফেডারেল রিজার্ভের নীতিমালাও মার্কিন ডলারের দুর্বলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে কাজ করছে। ফেডারেল রিজার্ভ এবং বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সপ্তাহে আবারও সুদের হার কমাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরপরই ঘটবে, যেটির ফলাফল এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে এবং ডলারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে। প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো, যারা বৈশ্বিক অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশের বেশি দায়িত্বে রয়েছে, এই সপ্তাহে সুদের হার নির্ধারণ করবে, এবং আগামী চার বছরের জন্য মার্কিন নীতিমালার সম্ভাব্য দিক সম্পর্কে কোনো দৃঢ় তথ্যের ওপর নির্ভর করবে। যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫ নভেম্বর নির্বাচনের আগে প্রায় সমান সমান অবস্থানে রয়েছেন, তখন ওয়াশিংটন থেকে লন্ডন পর্যন্ত নীতিনির্ধারকদের উপর চাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা হ্রাস পাচ্ছে এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার জয়ের সম্ভাবনা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
নির্বাচনের বাইরেও, মার্কিন নীতিনির্ধারকরা ইতোমধ্যেই সেপ্টেম্বর মাসে সুদের ৫০ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের পর আরও ধীরে ধীরে সুদের হার কমানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অর্থনীতিবিদরা সাধারণভাবে এই বৃহস্পতিবার সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের আশা করছেন, যার পরে ডিসেম্বরে আরেকবার সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। এই পদক্ষেপটি বোধগম্য, বিশেষ করে শুক্রবারের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরে, যেখানে ২০২০ সালের পর থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সবচেয়ে দুর্বল হার পরিলক্ষিত হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে ননফার্ম পেরোল কেবলমাত্র ১২,০০০ বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং আগের দুই মাসের নিয়োগও পূর্বে অনুমানকৃতের চেয়ে দুর্বল ছিল, যা শ্রমবাজারের নেতিবাচক অবস্থা নির্দেশ করে। বেকারত্বের হার ৪.১% এ স্থির ছিল, যখন ঘণ্টাভিত্তিক মজুরির হার বেড়েছে। যদিও ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তারা রাজনীতি থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন, তারা নির্বাচনের আগেই সুদের হার কমাতে শুরু করেছেন, যার ফলাফল সম্ভবত ভোটাররা অর্থনীতি সম্পর্কে কী অনুভব করেন তার ওপর নির্ভর করতে পারে। ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সম্ভবত জোর দিয়ে বলবেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে তুলনামূলক কম কঠোর নীতি প্রয়োজন, কিন্তু তারপরও তিনি এবং তার সহকর্মীরা নতুন প্রশাসনের সমালোচনার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও বিভিন্ন ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে—অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতি থেকে শুরু করে দীর্ঘস্থায়ী মুদ্রাস্ফীতি—যদিও এর সঙ্গে ট্রাম্পের বিজয় এবং তার শুল্ক আরোপের হুমকি থেকে বৈশ্বিক বাণিজ্যের সম্ভাব্য আঘাতের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ ব্যাংক মঙ্গলবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্য, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র এবং অন্যান্য দেশে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এসব বিষয় কারেন্সি মার্কেটে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে, এবং মার্কিন ডলারের পূর্বাভাস নেতিবাচক বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, ক্রেতাদের মূল্যের 1.0915 এর লেভেলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা প্রয়োজন। সেখান থেকে মূল্যের 1.0935 পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0955 এর সর্বোচ্চ লেভেল। যদি ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য কমে যায়, তবে 1.0860 এর আশেপাশে গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতাদের কার্যক্রম আশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে কোনো সাপোর্ট না পাওয়া যায়, তাহলে 1.0830 এর নিম্ন লেভেলের টেস্ট বা 1.0810 থেকে লং পজিশন ওপেন করার জন্য অপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বর্তমান GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.2995 এর লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। শুধুমাত্র এটি 1.3040 এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে সক্ষম করবে, যার উপরে ব্রেক করা কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3070 এর এরয়া, যার পরে 1.3100 এর দিকে এই পেয়ারের মূল্যের তীব্র মুভমেন্ট নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে 1.2690 এ বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। এতে সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানে উল্লেখযোগ্য আঘাত হানবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.2925 এর নিম্ন লেভেলে পৌঁছে দেবে, যা এই পেয়ারের মূল্যের 1.2885 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি করবে।
Read more: https://ifxpr.com/3NPRW3n
|
|
|
৫ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হল যুক্তরাষ্ট্রের ISM থেকে পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন। এটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। মার্কিন উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের ফলাফল আবারও হতাশাজনক ছিল, তাই দেশটির পরিষেবা খাত কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারে। আজ যদি পরিষবা PMI সূচকের ফলাফলও দুর্বল হয়, তবে মার্কিন ডলার অব্যাহতভাবে দরপতনের শিকার হতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে মঙ্গলবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। লাগার্ডে সাধারণত তার বক্তব্যে কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন না, তবে এইবার তিনি সম্প্রতি প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন, যা প্রত্যাশার তুলনায় বেশি ছিল। এটি সম্ভাব্যভাবে এই ইঙ্গিত দেয় যে ইসিবির অবস্থান কিছুটা হকিশ বা কঠোর হতে পারে, যা ইউরোর জন্য সহায়ক হবে। তবে উল্লেখ্য যে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতির নমনীয়করণের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হয়েছে, তাই EUR/USD পেয়ারের মূল্য সম্ভবত ভারসাম্যপূর্ণ থাকবে কারণ এই পেয়ার ইউরোপীয় অঞ্চলের আর্থিক নীতিমালার সম্ভাব্য নমনীয়করণ দ্বারাও প্রভাবিত হবে।
উপসংহার: এ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিং, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক কারণগুলো আবারও উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। এই সপ্তাহটি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ এবং অস্থিরতাসম্পন্ন হতে পারে, তাই পরবর্তী চার দিনে নির্ধারিত সব ইভেন্টের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ফেডের বৈঠক, এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কেটে অনিয়মিত এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3AEZxyu
|
|