সূরা নাহল এর অলৌকিকত্বঃ
সুরা নাহল হল কোরআনের ১৬ তম সুরা এবং এই সুরায় ১২৮ টি আয়াত বা বাক্য আছে।
নাহল অর্থ মৌমাছি। পুরুষ মৌমাছির ১৬ টি ক্রমোজোম থাকে আর নারী মৌমাছির ১৬+১৬ = ৩২ টি ক্রমোজোম থাকে। আবার, মৌমাছির লার্ভা থেকে বেরিয়ে পুর্নাংগ মৌমাছিতে পরিণত হতেও সময় লাগে ১৬ দিন।
আগেই উল্লেখ করেছি যে, এই সুরায় ১২৮ টি আয়াত বা বাক্য আছে। আর ১২৮ হল ১৬ এর গুণিতক। ১২৮ = ১৬X ৮ এবং ১৬ হল এই সুরার ক্রমিক নম্বর আর ৮ হল এই সুরায় ১৬ এর সর্বোচ্চ ৮ টি গুণিতক আয়াত থাকতে পারে। এরা হল ১৬, ৩২, ৪৮, ৬৪, ৮০, ৯৬, ১১২, ১২৮ – মোট ৮ টি।
এই সুরায় আল্লাহ শব্দটি একবার করে এসেছে মোট ৬৪ টি আয়াতে এবং বাকী ৬৪ টি আয়াতে আল্লাহর নাম একবারও আসেনি। এদের মধ্যে আবার ১৬ টি আয়াতে আল্লাহর নাম দুইবার করে এসেছে। আবার ৬৪ হল ১৬ এর একটি গুণিতক।
এই সুরার (১৬:১৬) নম্বর আয়াতের দিকে লক্ষ্য করুন।
وَعَلَامَاتٍ وَبِالنَّجْمِ هُمْ يَهْتَدُونَ (16) যার অর্থ- তিনি তোমাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের চিহ্ন সৃষ্টি করেছেন, তাছাড়া নক্ষত্রের অবস্থান দ্বারাও তারা পথের দিশা পায়।
আরবি অক্ষরগুলোর মধ্যে ১৬ টি অক্ষর ব্যতীত বাকী অক্ষরগুলো দিয়ে উপরের আয়াতটি গঠিত হয়েছে।
আবার এই সুরার শেষ আয়াতেও আছে ৩২ টি অক্ষর যা নারী মৌমাছির ক্রোমোজোমকে নির্দেশ করে। ৩২ = ১৬ + ১৬
এবার আসুন এই সুরার ৬৮ তম আয়াতে।
وَأَوْحَى رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ أَنِ اتَّخِذِي مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا وَمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُونَ (68)
এই আয়াতের ১৬ তম অক্ষর আসার সাথে সাথেই নাহল শব্দটি এসেছে যার অর্থ মৌমাছি। উপরন্তু, আরবী অক্ষরগুলো থেকে মোট ১৬ টি অক্ষর এই আয়াতে ব্যবহৃত হয়েছে।
উপরের আয়াতটির নম্বর হল ৬৮ আর এই আয়াতে শব্দ আছে ১৩ টি। এদের গুনফল, ৬৮ X ১৩ = ৮৮৪ নিশ্চয়ই ভাবছেন ৮৮৪ এর বিশেষত্ব কি? এই সুরার শুরু থেকে গুনে গুনে ৮৮৪ নং শব্দে আসলে ‘নাহল’ শব্দটি পাওয়া যাবে যার অর্থ মৌমাছি।
এবার আসুন এই সুরার সবচেয়ে বড় আয়াতের দিকে। এটি হল ৯২ তম আয়াত এবং এই আয়াতে ৩২ টি শব্দ আছে। এবং এই আয়াতে ১৩১ টি অক্ষর আছে। ভাবতে পারেন, এই ১৩১ এর সাথে সম্পর্ক মৌমাছির? ১৩১ হল একটি মৌলিক সংখ্যা আর ১৩১ হল ৩২ তম মৌলিক সংখ্যা। আর ৩২ = ১৬+১৬, নারী মৌমাছির ক্রোমোজোম সংখ্যা।
|