সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর মত আবাসভুমি ও পানি (Exoplanets and water)~~Hedaet Forum~~


Email: Password: Forgot Password?   Sign up
Are you Ads here? conduct: +8801913 364186

Forum Home >>> Religion >>> সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর মত আবাসভুমি ও পানি (Exoplanets and water)

Tamanna
Modarator Team
Total Post: 7639

From:
Registered: 2011-12-11
 

সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর মত আবাসভুমি ও পানি (Exoplanets and water)

সৌরজগতের বাইরে কি পৃথিবীর মত আবাসভূমি আছে? এ প্রশ্ন মানুষের মনে অনেক আগে থেকেই ছিল। আগের দিনের মানুষেরা ভাবত পৃথিবীই কেবল একমাত্র বসবাসের উপোযোগী গ্রহ। তারা শুধু পৃথিবী, চাঁদ এবং সুর্য কে চিনত। কিন্তু সৌরজগতের বাইরেও যে আরও নক্ষত্র এবং গ্রহ থাকতে পারে, তা ছিল তাদের ধারনার বাইরে।

প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায় যেখানে পানি আছে। আর এ জন্যই বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের বাইরে কি পৃথিবীর মত আবাসভূমি আছে কিনা তা খোঁজার জন্য সেখানে পানি আছে কিনা, তা আগে খুঁজে দেখে। মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দূরবীক্ষণ যন্ত্রে ভিন্ন ভিন্ন গ্রহের ভিন্ন ভিন্ন রঙ দেখে ধারণা করা যায় কোন গ্রহে কি থাকতে পারে। পানি থেকেই যে সকল প্রাণের উৎপত্তি এবং সৌরজগতের বাইরেও যে পৃথিবীর মত বাসযোগ্য গ্রহ থাকতে পারে সে বিষয়ে প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই কোরআনে (২১:৩০) উল্লেখ করা হয়েছে।

أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ (30)

অর্থঃ এরা কি দেখেনা আসমান ও পৃথিবী একসময় ওতোপ্রোতভাবে মিশে ছিল, অতপর আমি এদের উভয়কে আলাদা করে দিয়েছি এবং আমি প্রাণবান সবকিছুকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছি, (এসব জানার পরও) কি তারা ঈমান আনবেনা?

Do not those who disbelieve see that the heavens and the Earth were meshed together then We ripped them apart? And then We (Allah is one and only) made of water everything living? Would they still not believe?

কোরআন অনুযায়ী সকল জীবন্ত সত্ত্বা, তা সেটা পৃথিবীতে থাকুক বা আখিরাতের জান্নাতে (মহাকাশের অন্য কোন বাসযোগ্য গ্রহে), সেখানে অবশ্যই পানি থাকবে। কোরআনে বিভিন্ন জায়গায় জান্নাতের কথা বর্ননা করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় নদী ও ঝর্নার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আর নদী ও ঝর্নার সাথে পানির সম্পর্ক আছে। আর পানির সাথে সম্পর্ক আছে জীবনের।

অন্য একটি আয়াতে (৬৫:১২) এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا (12)

অর্থঃ আল্লাহ যিনি এ সাত আসমান এবং তার অনুরুপ সংখ্যক জমিন সৃষ্টি করেছেন, আবার উভয়ের মাঝখানে (যা কিছু আছে তাদের জন্য) তার নির্দেশ জারি হয়, যাতে করে তোমরা এ কথা অনুধাবন করতে পারো, (আকাশ পাতালের) সকল কিছুর উপর তিনিই (একক) ক্ষমতাবান এবং তার জ্ঞান (এ সৃষ্টিলোকের) প্রতিটি বস্তুকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে।

It is Allah who has created seven heavens and of the earth, the like of them. [His] command descends among them so you may know that Allah is over all things competent and that Allah has encompassed all things in knowledge.

উপরের আয়াতে সাত আসমান এবং সাত জমিনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সাত আসমান বলতে অনেকে পৃথিবীর উপরিভাগের বায়ুমণ্ডলের সাত স্তরের কথা বলে। আবার অনেকে বলে এই সম্পুর্ন মহাবিশ্ব সাতটি স্তরে বিভক্ত। তাদের মধ্যে সবচেয়ে নিচের স্তরটি আমাদের মহাকাশ, যেখানে আমরা খালি চোখে অগণিত তারা দেখতে পাই। আর অন্যদিকে বিজ্ঞানীদের মতে, সাত জমিন বলতে পৃথিবীর ভূত্বক থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সর্বোমোট সাত ধরণের স্তর রয়েছে। আবার অনেকে সাত জমিন বলতে সাতটি মহাদেশকে বুঝিয়েছেন। যে যেমনি ভাবুক না কেন আধুনিক বিজ্ঞানীরা বলেন, এই মহাবিশ্ব এতই বড় যে, এর মধ্যে পৃথিবীর মত বাসযোগ্য আরও অনেক গ্রহ থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেই গ্রহগুলিতে পানিও থাকবে।