দীর্ঘ বিরতিতে খাবার খেলে, পেট খালি থাকলে, বেশি পরিমানে চা , কফি পান কিংবা ধূমপান করলে গ্যাষ্টিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আবার অনেক সময় বেশি পরিমানে ভারী খাবার এবং ঝাল খাবার খেলেও অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে।
যখনই অ্যাসিডিটির সমস্যা বোধ করবেন ,বুক জ্বালা পোড়া করবে তখনই অল্প পরিমানে দারুচিনি খেয়ে নিতে পারেন। এটা হজমের জন্য সহায়ক একটি প্রাকৃতিক উপাদান।
ভারী খাওয়ার পর অস্বস্তি অনুভব করলে ছোট এক টুকরো গুড় খেতে পারেন। এটা অ্যাসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে।
প্রাচীন কাল থেকেই চীনে ওষুধি হিসেবে লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়। প্রাকৃতিকভাবে লবঙ্গ গ্যাস প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া লবঙ্গ আর এলাচের গুড়া একসঙ্গে খেলেও অ্যাসিডিটি দূর করা যায়।
আদা স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী। এটা হজমে সহায়তা করে। বুক জ্বলা পোড়া হলে ছোট এক টুকরা আদা নিয়ে চিবাতে থাকুন। অনেকটা আরাম পাবেন। যাদের বেশি পরিমানে অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তারা দিনে দুই থেকে তিনবার এক চামচ করে আদার রস খেতে পারেন।
অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে রসুনও বেশ উপকারী। গ্যাসের সমস্যা বোধ করলে এক কোয়া রসুন খেয়ে ফেলতে পারেন। এতে গ্যাস-অম্বল সংক্রান্ত নানা লক্ষণ ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।
গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা কমাতে তুলসি পাতা দারুন কাজ করে। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে,যা খুব অল্প সময়ে অ্যাসিডিটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। একারণে গ্যাসের সমস্যা হলে ৩-৪ টি তুলসি পাতা পানিতে ভিজিয়ে,সেই পানি ফুটিয়ে খেয়ে ফেলুন। অনেক আরাম বোধ করবেন।
সূত্র : এনডিটিভি
|