পেপটিক আলসার: পাকস্থলী, অন্ননালীর নীচের অংশ বা ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রাচীরে ঘা তৈরি হলে তাকে পেপটিক আলসার বলে। পেটে অধিক এসিড উৎপন্ন হওয়ার কারণে হয়ে থাকে এই রোগ। লেবু অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা হলে পাকস্থলী চূড়ান্ত রকমের এসিডিক হয়ে যেতে পারে। এমনকি পরিপাকতন্ত্রের প্রাচীরে ঘা তৈরি করতে পারে। তাই বলা যায় যে মাত্রাতিরিক্ত লেবু গ্রহণ করা মাঝারি বা তীব্র আকারে পেপটিক আলসার হওয়ার একটি কারণ। গ্যাস্ট্রোইসোফেজাল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD): এই রোগটিও অন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত। বমি বমিভাব, বমি, বুকে ব্যথা এবং গলায় ব্যথা হওয়া এই রোগের লক্ষণ। সাধারণভাবে একে এসিড রিফ্লাক্স বলে। লেবুতে যে এসিড থাকে তা পাকস্থলী ও অন্ননালীকে পৃথককারী পেশীর উপর প্রভাব ফেলে, তাই এই পেশীর শক্তি কমে যায়। ফলে পাকস্থলীর এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে খুব সহজেই গলার দিকে চলে যেতে পারে। তখন অন্ননালীর প্রাচীরে জ্বলুনি সৃষ্টি হয়। ঘন ঘন মূত্র ত্যাগের অভ্যাস: যদিও ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি পুষ্টি উপাদান তারপরও এর অধিকমাত্রা ঘন ঘন মূত্র ত্যাগের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা যেতে পারে। লেবু প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। কিডনি পাথর: লেবুর খোসা রান্নায় ব্যবহার করা হয় যা কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে। এর কারণ খোসায় অক্সালেট থাকে। অক্সালেট আমাদের শরীরে ক্রিস্টালে পরিণত হয় বলে ক্যালসিয়ামের শোষণকে প্রতিহত করে। এর ফলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। পেটের সমস্যা: অনেক বেশি লেবুর রস পান করলে পাকস্থলীর সমস্যা হওয়াটা খুবই সহজ। আমাদের শরীরের যতটুকু শোষণ করার ক্ষমতা আছে তার চেয়েও বেশি ভিটামিন সি শরীরে গেলে পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন সি বের করে দেয়ার জন্য অন্ত্রে পানির আধিক্য তৈরি হয়, যার কারণে ডায়রিয়া ও বমি হতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত যেকোন কিছুই শরীরের জন্য খারাপ। লেবুর ক্ষেত্রেও কথাটি প্রযোজ্য। তাই লেবুর উপকারিতা পাওয়ার জন্য পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন। সূত্র: বোল্ড স্কাই
|