কোন শেয়ারের ক্লোজ প্রাইজ ৪০ টাকা, শেয়ারটির বাৎসরিক EPS আছে ৪ টাকা তাহলে তার PE হল ১০। এখন শেয়ারটি ১ম কোয়াটারে eps দিল ০.৫০ টাকা এবং প্রকাশ করল যে তার eps আগের বছরে ছিল ০.১০ টাকা। এবার হল ০.৫০ টাকা। তাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হল এবং অনেক বিনিয়োগকারীই ভাবল যে eps ৫০০% বেড়ে গেছে। আসলে তাতে কি শেয়ারের পজিশন ভাল হল? উত্তর না। কারন তার PE আরও বেড়ে গেল। যেহেতু ১ম কোয়াটার যতই আগের চাইতে ৫ গুন বাড়ুক না কেন প্রকৃতপক্ষে তার ১ম কোয়াটারে এখন eps ০.৫০ টাকা মানে তার বাৎসরিক eps ২.০০ টাকা হল।
সুতরাং শেয়ারটির PE ১০ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ২০’এ । শেয়ারটির পজিশন আরো খারাপ হল । আর এভাবেই বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন। কারন উক্ত শেয়ারটির বিষয়ে দিনের পর দিন ভাবেন এবং বলেন eps ৫ গুন বেড়েও শেয়ারে দাম বৃদ্বির প্রভাব পড়লনা, হায়রে শেয়ারবাজার! আসলে যেকোন শেয়ারের eps আসার আগেই শেয়ার কৌশলীরা অথবা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা উক্ত শেয়ারের চলমান PE পর্যন্ত কিনেন ।
তাই সব বিনিয়োগকারীদের উচিত এবিষয়টা জেনে নেওয়া। এর জন্য একটি সহজ হিসাব দিলাম । PE বের করার জন্যে ১ম কোয়াটারে eps কে ৪ দিয়ে গুনফলকে ক্লোজ প্রাইসের সঙ্গে ভাগ । ২য় কোয়াটারে সমন্বিত eps কে ২ দিয়ে গুন করে ক্লোজ প্রাইসের সঙ্গে ভাগ। আবার ৩য় কোয়াটারে সম্বনিত eps কে ৩ দিয়ে ভাগ করে ভাগফলকে ৪ দিয়ে গুন করে গুনফলকে ক্লোজ প্রাইসের সঙ্গে ভাগ করতে হবে ।
দেশের শেয়ার বাজারে EPS এর এই বিষয়টি অনেক সহজ হলেও অনেকের কাছেই তা বোধগম্য নয় । তাই এই বিষয়টি জেনে নিলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
collected by Prothom-alo
|