ধাঁধা সমগ্র অধ্যায় ০৩
০০১.
ভন্ ভন্ করে
তবু ভোমরা নয়
গলায় পৈতা তার
বামুন তবু যে নয়।
উত্তরঃ।
০০২.
কাঁটা ভরা অঙ্গ তার, সুদীর্ঘ আকার
প্রাণ আছে, শিরে কেশের সম্ভার
জিহবার আগে মধু, বিন্দু বিন্দু ঝরে
জুড়ায় রসনাখানি, পান করে তারে।
উত্তরঃ খেঁজুর গাছ।
০০৩.
একটুখানি ঘরে
চুনকাম করে
উত্তরঃ ডিম।
০০৪.
ভয়ঙ্কর পথিক সে
সকলে যে ডরায়
খানিক পরে কাঁদিয়া
সাগর সে ভাসায়।
উত্তরঃ বৃষ্টি।
০০৫.
একটুখানি পুষ্পরিনী
টলমল করে,
একটুখানি কুটা পাড়লে
সর্বনাশ করে।
উত্তরঃ চোখ।
০০৬.
আাঁধার পুকুর, গড়ান মাঠ,
বত্রিশ কলাগাছ, একখানি পাট।
উত্তরঃ দাঁত ও জিহবা।
০০৭.
ছোট ছোট গাছখানি তার কত ফল ধরে
একটা যদি খায় তবে আহা-উহু করে।
উত্তরঃ বোম্বাই মরিচ।
০০৮.
আমারও নাই, তোমারও নাই,
আমরা কে তা বোঝ নাই
উত্তরঃ মানুষ।
০০৯.
হাত পা তার ইটের সমান
অতি পুরু ছাল,
পেটে দিলে তাকে
বাড়ে অনেক মান
উত্তরঃ গম গাছ।
০১০.
এই পাড়ে খাগড়া
ওই পাড়ে খাগড়া
কখনও মিলেমিশে
কখনও বা ঝগড়া
উত্তরঃ চোখের পাতা।
০১১.
আট পা আঠারো হাঁটু
জাল ফেলিয়া মরা ঠেঁটু
শুকনায় ফেলিয়া জাল
গাছে উঠিয়া নিল ফাল
উত্তরঃ মাকড়শা।
০১২.
বিনা দুধে হইছে দই
এমন কুমার পাব কই।
উত্তরঃ চুন।
০১৩.
লাঠির মত গাছে
সোনার ফল নাচে।
উত্তরঃ ভুট্টা গাছ।
০১৪.
একই মায়ের সন্তান মোরা
আমি তাকে ভাই বলি
সে আমায় বলে না ভাই
বলুনতো কি সম্পর্ক তাই।
উত্তরঃ ভাইবোন।
০১৫.
উঠান ঠন ঠন, বাড়িতে নাই
খাই বস্তুর বাকল নাই।
উত্তরঃ লবণ।
০১৬.
এ পাড়ে বুড়ি মরল
ও পারে গন্ধ ছাড়ল।
উত্তরঃ কাঁঠাল।
০১৭.
ঝাপাট জঙ্গল খেকে বের হলো সাপ
ডিম পাড়ে কাপ কাপ।
উত্তরঃ বেতফুল।
০১৮.
থাল ঝনঝন, থাল ঝনঝন
থাল নিল চোরে,
বৃন্দাবনে লাগলো আগুন
কে নিভাইতে পারে।
উত্তরঃ রোদ।
০১৯.
বৃক্ষ এক হইছে যে মাঠের উপর
ডালে ডালে পুষ্প তার, ফুটিছে বিস্তর
যৌবনকালেতে তারে সর্বলোকে খায়,
হেমন্তে জন্ম তার,
বসন্তে মরে যায়।
উত্তরঃ সরিষা ফুল।
০২০.
এই দেখলাম এই নাই
কী বলব সবই রাজার ঠাঁয়।
উত্তরঃ বিদ্যুৎ।
|