১. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
২. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
৩. পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
৪. কলা ও কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
৫. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।
৬. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
৭. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
৮. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে।
দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
৯. লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।
১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
১২. মৌরির পানি : মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।
এ ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন : সরষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে।
দারচিনি:
১/২ চা চামচ দারচিনি পাউডার এক গ্লাস গরম দুধে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর একটু ঠাণ্ডা হলে এটি পান করুন। চাইলে এতে কিছু মধু মিশিয়ে নেয়া যেতে পারে। দারচিনির চা পান করতে পারেন। গরম পানিতে দারচিনি গুড়া মিশিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে এরপর পান করুন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার:
প্রথমে ২ চা চামচ ভিনেগার এক গ্লাস গরম পানিতে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এটি ঠাণ্ডা হলে পান করুন।
আদা:
প্রতিদিন খাবার পর এক টুকরো আদা চিবিয়ে খান। এতে আপনার গ্যাসের সমস্যা থাকবে না।এক চামচ আদা বেটে তা গরম পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এর চা তৈরি করে দিনে ২ বার পান করুন।
রসুন:
প্রতিদিন কিছু রসুন চিবিয়ে খান এতে গ্যাস হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
মৌরি:
কিছু পরিমাণ মৌরি পানিতে দিয়ে ৫ মিনিট ধরে গরম করুন এরপর এটিকে ছেঁকে ঠাণ্ডা করে পান করুন। চাইলে এটি চিবিয়ে খেতে পারেন।
পুদিনা পাতা:
কিছু ফ্রেস পুদিনা পাতা এক কাপ গরম পানিতে নিয়ে ৫ মিনিট ধরে গরম করুন এরপর এটিকে ছেঁকে কিছু মধু দিন। এটি দিনে ২-৩ বার পান করুন। তাড়াতাড়ি আরাম পেতে কিছু পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।
|