ভাষাসৈনিক মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম~~Hedaet Forum~~


Email: Password: Forgot Password?   Sign up
Are you Ads here? conduct: +8801913 364186

Forum Home >>> Biography >>> ভাষাসৈনিক মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম

Tamanna
Modarator Team
Total Post: 7639

From:
Registered: 2011-12-11
 

ভাষাসৈনিক মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম
Collected by net
রক্তের লাল কাপড়ে মোড়ানো একুশ। যাদের আন্দোলন সংগ্রামের নিরন্তন লড়াইয়ে পাওয়া আমার মায়ের ভাষা বাংলা। যাদের ত্যাগের রক্তিম শিখরে লেখা আমাদের উজ্জ¦ল দিশা ৫২। জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের ভিত্তিতো সেই ভাষা আন্দোলনই। জাতির সেই শ্রেষ্ঠসন্তান, বীরসেনানী শহীদদের প্রতি আমাদের বিন¤্র শ্রদ্ধা ও সালাম। ২১ ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বিশ্বের ১৯০টি দেশে এখন প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপিত হ”েছ। বর্তমানে বিশ্বের ৩০ কোটিরও বেশি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে। এ বিশাল অর্জন একান্ত-ই আমাদের। কিš‘ যাদের ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের মুখের বাংলা ভাষা। আমরা একবারও কি ভেবে দেখেছি? ভাষা শহীদ আর সৈনিকদের আমরা যথাযোগ্য মর্যাদায় ভূষিত করতে? পেরেছি তাদের যথাযথ সম্মান করতে? এই লড়াইয়ে প্রথম কাতারের-ই একজন অধ্যাপক গোলাম আযম।

এই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন ভাষাসৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম। স্বমহিমায় উদ্ভাসিত একজন মানুষ। নিজ যোগ্যতা বলে তার ঐতিহাসিক সাক্ষর তিনি নিজেই। তিনিই তার উপমা। প্রাচ্যের অক্রফোর্ড হিসেবে খ্যাত ডাকসু’র সাবেক জিএস। সময়ের সাড়াজাগানো ছাত্রনেতা গোলাম আযম। বর্তমান সময়ের আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু, বিশ্বব্যাপি সমাদৃত, কেয়ারটেকার সরকারের রূপকার, ভাষাসৈনিক, বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ, মজলুম মানবতার বলিষ্ঠ কণ্ঠসর, জননেতা অধ্যাপক গোলাম আযম। আজ তিনি নিজেই একটি ইতিহাস, একটি আন্দোলন, একটি চেতনা আর বিশ্বাসের স্মৃতির মিনার হয়ে আমাদের মাঝে দন্ডায়মান। অধ্যাপক গোলাম আযম একজন সৎ, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, খ্যাতিমান অহিংস রাজনৈতিক নেতা, যিনি আন্তর্জাতিকভাবে শ্রদ্ধেয় পন্ডিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। এই মেধাবী চৌকস ও অভাবনীয় নেতৃত্বের গুণাবলীসম্পন্ন ক্ষণজন্মা মানুষ ১৯২২ সালে ঢাকার লক্ষীবাজারে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ম্যাট্রিক ও ইন্টারমিডিয়েট ঢাকা থেকে পাস করেন তিনি। স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সম্পৃক্ত হন ছাত্র আন্দোলনের সাথে। ১৯৪৭-৪৮ ও ৪৮-৪৯ সালে পরপর দু’বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর জিএস (জেনারেল সেক্রেটারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
’৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়ে পাকিস্তান সরকার দ্বারা কারা নির্যাতিত হন। এই মহান নেতা ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। শেখ মুজিব কর্তৃক ’৬৬ সালের ছয় দফা দাবি তৈরিতে অংশ নেয়া ২১ সদস্যের অন্যতম। ১৯৫৪ সালে যোগদান করেন জামায়াতে ইসলামীতে এবং প্রত্যক্ষভাবে শুরু করেন রাজনৈতিক জীবন। পাকিস্তানে ১৯৫৫ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। কপ (ঈঙচ- ঈড়সনরহবফ ঙঢ়ঢ়ড়ংরঃরড়হ চধৎঃু), পিডিএম (চউগ- চধশরংঃধহ উবসড়পৎধঃরপ গড়াবসবহঃ), ডাক (উঅঈ- উবসড়পৎধঃরপ অপঃরড়হ ঈড়সসরঃঃবব) ইত্যাদি আন্দোলনে জনাব শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্য সকল দলের নেতাদের সাথে অংশগ্রহণ করে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক কারণে ১৯৬৪ সালেও তাকে কারাবরণ করতে হয়েছিল। ভাষাসৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম একটি আন্দোলন, একটি জাগরণ, একটি বলিষ্ঠ নেতৃত্বের নাম। একটি চেতনা ও বিশ্বাসের গগনজোয়ারী বিশ্বাসের কণ্ঠস্বর। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত কেয়ারটেকার সরকার ফর্মুলার রূপকার। মেধা ও নৈতিকতার সমন্বয়ের একটি সম্ভাবনাময় দেশগড়ার চেতনার অগ্রপথিক।
জাতির জীবনে প্রফেসর গোলাম আযম এক জীবন্ত কিংবদন্তি। অধ্যাপক গোলাম আযম বিশ্বব্যাপী উ”চারিত একটি আওয়াজ। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার যে সংগ্রাম শুরু হয়, তার সাথে তিনি প্রথম থেকেই প্রত্যক্ষভাবে ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে পাকিস্তানি স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়ে তাকে হাজতবাসসহ শত সহস্র নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। এ দেশের ছাত্র-জনতা যখন বুঝতে পারে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করে, বাংলা ভাষাকে নির্বাসনে পাঠানোর যে আয়োজন করছে, তা বাস্তবায়িত হলে বাংলা ভাষাভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কার্যত অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীতে পরিণত হবে। এমন এক প্রেক্ষাপটে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিশেষ করে ছাত্ররা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করে। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে এই সাহসী বীরপুরুষ প্রত্যক্ষভাবে ভাষা আন্দোলনে শরিক হন। এই দিন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে হরতাল পালিত হয়। হরতাল সফল করতে অধ্যাপক গোলাম আযম ডাকসুর জিএস হিসেবে ছাত্রদের সংগঠিত করেন, বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করে পিকেটিংয়ের জন্য রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অব¯’ান নেন। হরতালে পিকেটিংয়ের সময় তাকেসহ ১০-১২ জনকে তেজগাঁও থানা পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ বিক্ষোভের মূলে ছিল প্রধানত ছাত্ররা। ভাষার দাবিতে প্রথম গণবিক্ষোভ, ধর্মঘট বা হরতাল এবং ১১ মার্চ ঐতিহাসিক মর্যাদা পাওয়ার দাবি রাখে। (সূত্রঃ সোনার বাংলা)
অধ্যাপক গোলাম আযম এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন-” ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ঢাকায় আসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তাকে ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি সংবলিত একটি ঐতিহাসিক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ স্মারকলিপি প্রণয়নের দায়িত্ব ছিল তৎকালীন ছাত্রনেতা সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ভিপি (পরবর্তীতে বিচারপতি) আব্দুর রহমান চৌধুরীর ওপর। স্মারকলিপিটি ডা’কসুর কাউকে দিয়ে পেশ করার ব্যাপারে চারটি হলের ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দ ঐকমত্যে পৌঁছেন। ডা’কসুর ভিপি ছিলেন অরবিন্দু বোস। তিনি যেহেতু হিন্দু তাই তাকে দিয়ে পাঠ করালে সরকার বিষয়টিকে ভিন্নভাবে চিত্রিত করতে পারে। এই দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত হয় ডাকসুর জিএস অর্থাৎ আমার ওপর দায়িত্ব অর্পিত হয়। রাষ্ট্রভাষা বাংলার কথাটি ছিল শেষের দিকে। এর আগে প্রাদেশিকতায় আমরা বিশ্বাস করি না এমনভাবে আঞ্চলিকতার নিন্দার কথা বলা ছিল এ প্যারাটি পড়ার সময় ছাত্রছাত্রীরা তুমুল করতালি দেয়। করতালি শেষে আমার কানে এলো লিয়াকত আলীর স্ত্রী রানা লিয়াকত তার স্বামীকে বলছেন, ‘ল্যাঙ্গুয়েজকে বারে মে সাফ বাতা দেনা।” তার কথা শোনার পর আমি লেট মি রিপিট দিস বলে আবার ভাষার দাবি সংবলিত প্যারাটি পড়লাম। আবার মুহুর্মুহু করতালি শুরু হলো। আমি এবার করতালির জন্য একটু বেশি সময় দিলাম। আমি লিয়াকত আলী খান এবং রানা লিয়াকত আলী খানের খুব কাছে বসেছিলাম। আমি পরিষ্কার বুঝতে পারলাম বিষয়টিকে খুব ভালোভাবে নেননি তিনি। আমি মনে মনে ¯ি’র করলাম বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য তিনি তার বক্তব্যে করলে আমি সাথে সাথে প্রতিবাদ করে স্লোগান দেব। কিš‘ তিনি খুব ঝানু রাজনীতিবিদ হিসেবে উপ¯ি’তির মনোভাব উপলব্ধি করে বিষয়টি চেপে গেলেন। তার মনে ক্ষোভ থাকলেও এমনটি তার স্ত্রী অনুরোধ করার পরও ভাষার প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেন না। শুধু বক্তব্যেও একপর্যায়ে ক্ষোভের সাথে বলেন, ইফ ইট ইস নট প্রোভিনসিয়ালিজম, দেন হোয়াট ইস প্রোভেনসিয়ালিজম? তার এ কথাগুলো শুনে আমরা মনে করেছিলাম তিনি হয়তো ভাষার ব্যাপারে আরও কিছু বলবেন। কিš‘ না তিনি এ প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেলেন। আমার আর স্লোগান দেয়া হলো না।” ১৯৫২ সালে পল্টন ময়দানের এক জনসভায় খাজা নাজিমুদ্দিন ছাত্রদের সাথে করা সাত দফা চুক্তির তোয়াক্কা না করে ঘোষণা করলেন বাংলা নয় উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তিনি রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে কায়েদে আযমের বক্তব্যেরও পুনরাবৃত্তি করার পরই শুরু হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি”
১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার অন্যায়ভাবে তার জন্মগত নাগরিকত্ব অধিকার হরণ করলেও পরবর্তীতে, ১৯৯৪ সালে, সুপ্রিম কোর্টের সর্বসম্মত রায়ে নাগরিক অধিকার ফিরে পান এবং তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এখন নতুন করে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আবার সেই একই অভিযোগের অবতারণা করা হ”েছ। স্বাধীন বাংলাদেশে ত্রিশ বছর জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে থেকে সর্বশেষ স্বে”ছায় অবসর গ্রহণকারী পদের ও ক্ষমতার প্রতি নির্লোভ একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অধ্যাপক গোলাম আযম। উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অনেক স্মরণীয় ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। এ প্রবীণ মজলুম জননেতা ও বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে মানবজীবনের যাবতীয় সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিবেদিত প্রাণপুরুষ।
আজ জীবন সন্ধিক্ষণে এ সংগ্রামী নেতা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আর অপপ্রচারের শিকার। ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যার কালো পর্দার আড়ালে তার স্বর্ণোজ্জ্বল অনেক অবদানকে ঢেকে রাখার অপপ্রয়াস চালা”েছ নিরন্তনভাবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রফেসর গোলাম আযম সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব। গণতন্ত্র উত্তরণে ৯০ এ তার কেয়ারটেকার পদ্ধতি জাতিকে দিয়েছিল মুক্তির দিশা। ১১ জানুয়ারি ২০১২ কারাগারে যাওয়ার আগে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন- ১৯৮০’র দশকে এবং ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে বিএনপি’র বিরুদ্ধে আন্দোলনে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। সকল আন্দোলনকারী দলের লিয়াজোঁ কমিটি একত্রে বৈঠক করে কর্মসূচি ঠিক করতো। তখন তো কোন দিন আওয়ামী লীগ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধাপরাধী মনে করেনি। ফেব্রুয়ারি ১৯৯১-এর নির্বাচনের পর সরকার গঠনের জন্য আওয়ামী লীগ জামায়াতের সহযোগিতা প্রার্থনা করে আমার নিকট ধরনা দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতা আমির হোসেন আমু সাহেব জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ সাহেবের মাধ্যমে আমাকে মন্ত্রী বানাবার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। তখনও তো আওয়ামী লীগের মনে হয়নি যে, জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধী! পরবর্তীতে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী জামায়াতের সমর্থন লাভের আবদার নিয়ে যখন আমার সাথে সাক্ষাৎ করেন, তখনও তো তাদের দৃষ্টিতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ ‘যুদ্ধাপরাধী’ ছিল না। এরপর এমন কী ঘটলো যে আওয়ামী লীগ ও কতক বাম দল জামায়াতকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যা দিয়ে জামায়াতকে নির্মূল করার জন্য জেহাদে নামলেন? এরূপ দু’মুখো নীতি কোনো সু¯’ রাজনীতির পরিচয় বহন করে না।”

অধ্যাপক গোলাম আযম কখনও এমপি, মন্ত্রী কিছুই হননি সুযোগ থাকার পরও। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অভিনব এবং নির্যাতিত ব্যক্তি অধ্যাপক গোলাম আযম। ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি, চাওয়া-পাওয়া বৃহত্তর স্বার্থে তার ত্যাগ এমন বহু বাস্তবতা এখন দৃশ্যের অন্তরালে। যিনি ক্ষমতায় না থেকেও ক্ষমতাসীন সকলের অপবাদের দায়ভার কাঁধে পড়েছে। যিনি দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে সব সময় ভূমিকা রেখেছেন কিš‘ তার বিনিময়ে সব সরকার থেকে উপহার পেয়েছেন কারাবরণ। বিশ্বজুড়ে তার অসম্ভব খ্যাতি, তাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কৌতূহলের শেষ নেই। সব সময়ই ঐতিহাসিক সত্য বর্তমান অব¯’ায় উপনীত হওয়ার ক্ষেত্র। তার আত্মনির্মাণ এবং বিকাশের ক্ষেত্রে বেশকিছু চিন্তা হিসেব নিকেশ ছিল সুদুর প্রসারী। বিশেষ করে ভারতের আগ্রাসন ও অধিপত্যবাদের ক্ষেত্রে অধ্যপক গোলাম আযমের ৪২ বছর পূর্বের ভাবনা আজকের সবচেয়ে সত্য ও বাস্তবতা। এখন আমাদের নতুন প্রজন্মকে ভাবিয়ে তুলছে তার জীবর্দ্দশায়ই। এ আরেক গোলাম আযম আমাদেও মাঝে উপ¯ি’ত। অধ্যাপক আযমের দেয়া কেয়ারটেকার ফর্মূলা দেশে-বিদেশে সমাদৃত ও প্রশংসিত। ছাত্রছাত্রীদেও পাঠ্য বইয়ের অন্তভূক্ত। রাজনৈতিক চেতনায় খুবই সংকীর্ণ শেখ হাসিনার পক্ষে এমন গোলাম আযমকে মানা খুবই অসম্ভব। তার উদ্ভাবন, চিন্তা, আবিস্কার তাকে টিকিয়ে রাখবে শতাব্দী থেকে শতাব্দী। আওয়ামীলীগ ব্যাক্তি গোলাম আযমকে আটকিয়ে রেখে তার রেখে যাওয়া আদর্শকে স্তদ্ধ করতে পারবে না। সমকালীন ¯’ানীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহে তার অনেক কর্মই আজ ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত।

প্রিয়পাঠকবৃন্দ, সবমিলিয়ে আজ আমাদের মাঝে এমন এক গোলাম আযম উপ¯ি’ত যার প্রজ্ঞা, লেখনি, চিন্তা, রাজনৈতিক অন্তর্দৃষ্টি, ক্ষমা; মহানুভবতা, নিয়মানুবর্তিতা, ধৈর্য এবং সহনশীলতার মতো যাবতীয় মহৎ গুণাবলির বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাঝে কালোত্তীর্ণ। নির্যাতিত-নিপীড়িত, নিষ্পেষিত জনতার অধিকার এবং মর্যাদাবোধ সম্পর্কে এক আবহ তৈরি করতে সাহায্য করেছে, যার উদাহরণ নিকট অতীতে বিরল, একবিংশ শতাব্দীর উষালগ্নে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ইসলাম, জাতিগত অধিকার এবং সচেতনতা, পারস্পরিক মর্যাদাবোধ নিয়ে বিশ্ব যখন চরম সঙ্কটের মোকাবিলা করছে, ঠিক তেমনি একটি মুহূর্তে নিজের কর্মমহানুভবতার মাধ্যমে সমহিমায় নিজেকে এমনই এক প্রতীকে রূপায়িত করেছেন ভাষাসৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম। তা নিকট অতীতে খুবই বিরল।
বাংলার বুকে লক্ষ-কোটি মানুষ এখন ইসলামের পতাকাতলে সমবেত। পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল তার পদচারনায় মুখরিত হয়ে দ্বীন কায়েমের চেতনায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যারা জীবন দিতে জানে কিন্ত মাথা নত করেনা এক আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে। যারা চিরদিন গোলাম আযমকে মনে রাখবে, চিরদিন ভালবাসবে, সম্মান করতে থাকবে নিজের গরজে। তার লেখনী ইসলামের পথে উজ্জীবিত করবে শতাব্দীর পর শতাব্দী। অনাগত যুবকদের জন্য হবে নতুন পথের দিশা এবং ঘটবে নব উত্থান। যাকে শ্রদ্ধা পেতে রাষ্ট্রের কোন আইনের প্রয়োজন পড়বে না। অধ্যাপক আযমের সবচেয়ে বড় সফলতা হ”েছ বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সময় তার সহযোগীতা ও পরামর্শ নিয়েছে। আর তার আবিস্কৃত কেয়ারটেকার সরকার আদায়ের আন্দোলনে সবয়ের ব্যাবধানে সব রাজনৈতিক দলগুলো একই আওয়াজ তুলেছে।

১১ জানুয়ারি ২০১২ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে যাওয়ার পূর্বে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে প্রদত্ত একটি বক্তব্যে কয়েকটি লাইন দিয়ে লেখাটির ইতি টানছি। তিনি লিখেছেন- ‘আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের কর্মজীবনে সারাদেশে ব্যাপক সফর করেছি। জনগণের মধ্যেই বিচরণ করেছি। উন্নত নৈতিক চরিত্রে ভূষিত হওয়ার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। মানবতাবিরোধী যেসব অপরাধের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে তোলা হচ্ছে তা কখনো জনগণ বিশ্বাস করবে না। আমাকে ফাঁসি দিলেও জনগণ আমাকে আল্লাহর সৈনিক হিসেবেই গণ্য করবে ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে বলতে চাই, দেশের মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য আমি নিজের সারাজীবন উৎসর্গ করেছি। আত্মপ্রচার বা আত্মপ্রতিষ্ঠা কখনোই চাইনি। এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আমিই একমাত্র কর্মক্ষম থাকা অবস্থায় দলীয় প্রধানের পদ থেকে অবসর নেয়ার মতো নজির সৃষ্টি করেছি। কোনো প্রতিদান বা স্বীকৃতি কারো কাছে কোনোদিন চাইনি; এখনো চাই না। আমার জন্য আমার আল্লাহই যথেষ্ট। তবে আফসোস, দেশ এবং জাতির জন্য যা চেয়েছি তা দেখে যেতে পারবো কিনা। দোয়া করি, আল্লাহ এই দেশকে এবং দেশের মানুষকে হেফাযত করুন, দেশের স্বাধীনতা, অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করুন। আল্লাহ তাআলা দেশের মানুষকে দুনিয়ার কল্যাণ ও আখিরাতের মুক্তি দান করুন। আমীন। আপনাদের নিকট দোয়া চাই। আল্লাহ তাআলা যেন আমার নেক আমলগুলো মেহেরবানী করে কবুল করেন, যাবতীয় গুনাহখাতা মাফ করেন এবং আখিরাতে স





 

Tamanna

Modarator Team

Total Post: 7639
From
Registered: 2011-12-11
 

Popularity late Professor Ghulam Azam Collected by net Twenty-one blood red cloth wrap. My mother Bengali language movement of the continuous fighting. Written in red on the top of the left orientation of our ujjala 5. Bhittito the language movement for self-determination movement in the nation. Sresthasantana the nation, birasenani respect to the martyrs of our binara and peace. Today is the International Mother Language Day on February 1. Now 190 countries around the world every year on February 1, "International Mother Language Day, celebrated being" echa. Bengali is spoken by 30 million people in the world. This is truly a great achievement for us. What š 'sacrifice are found in the Bengali language in our mouth. Not once have we considered? We have given a befitting language martyrs and soldiers? They've got to respect? The Qatar-e-Azam, a professor in this fight. This is one of the nation's best sons Popularity Ghulam Azam. A man exposed sbamahimaya. He signed his historic own merit. He is in his likeness. Former East akraphorda dakasura known as GS. Azam sarajagano time student. The current focus of the movement, worldwide favorite, the caretaker government architect, language movement veteran, is one of the global Islamic movement pranapurusa, sturdy kanthasara oppressed humanity, leader Ghulam Azam. Today, he is a history, a movement, a spirit of faith and the monument stands between us. Professor Ghulam Azam, an honest, personality, prominent non-violent political leader, who is known as an internationally respected scholar. The skillful and talented leadership gunabalisampanna improbable Highly Gifted people laksibajare maternal grandfather's house in Dhaka, was born in 1922. He passed matriculation and intermediate from Dhaka. Schools and colleges across the border, known as the Oxford of the East, and a BA in political science from the University of Dhaka passed the MA. Dhaka University student was involved in the student movement. Two years in a row in 1947-48 and 48-49 Dhaka University Students' Union (sight) of the GS (General Secretary) served as. The active part 52 of the Language Movement of Pakistan, who was persecuted by the government. This was a great leader, an organizer of the historic Language Movement. Sheikh Mujib's six-point charter of demands by the '66 who took part in the creation of 1 member. Jamaat-e-Islami in 1954 and immediately joined the political life began. Pakistan from 1955 to 1971 took part in the democratic movement. COP (inaca irasanarahabapha narharharanrahraraha cadhathu), PDM (cauga cadhasaramhdhaha ubasarapatdhahrapa garabasabahah), digit (uai ubasarapatdhahrapa Action Committee), etc. Mr. Sheikh Mujibur Rahman and other leaders in the movement to take part in a pioneering role. In 1964 he was imprisoned for political reasons. Popularity Golam Azam is a movement, an awakening, a strong leadership name. The voice of a spirit of faith and beliefs gaganajoyari. Architect widely caretaker government formula. A combination of intellectual and moral potential desagarara pioneer spirit. Prof Ghulam Azam, a living legend in the life of the nation. Professor Ghulam Azam global Wu "a voice infused. After the partition of Bengal in 1947, the state began to struggle with him, he was immediately from the beginning. Due to the language movement, the Pakistani leadership was authoritarian regime was attacked by hundreds of thousands of torture has been hajatabasasaha. Young people of this country understand the state of the Pakistani rulers Urdu, Bengali language in exile are organizing the implementation of the majority of the Bengali-speaking people will be practically illiterate population. The people of East Pakistan, especially in the context of the student movement began to recognize Bangla as a state. March 11, 1948, was part of this brave hero Everyone in the language movement. This day is celebrated on strike demanding Bangla as the state. Prof Ghulam Azam DUCSU GS students to succeed as a strike organized, divided into groups for picketing the city's most important points was abaana. Tejgaon police arrested people picketing during the strike of the inmates were 10-1. At the core of the protests were mainly students. The first public demonstration every demand, strike or strikes, and on 11 March deserves historic status. (Source: golden Bengali) In an interview with Professor Ghulam Azam said: "In 1948, Pakistan's first prime minister, Liaquat Ali Khan arrived in Dhaka. He delivered a speech to students at the university gymnasium. November 7 students from the University of Dhaka, demanding Bangla as the state is bearing a historic memorandum. The memorandum was responsible for preparing the student dormitory VP Muslim Hall (later Justice) on Abdur Rahman Chowdhury. Dakasura memorandum to be presented with one of the four Hall Student Union leaders reached consensus. Bose was VP dakasura Arabindu. Since the purchase by the government of the Hindu so he could illustrate the issue differently. The decision was taken in this direction by considering the DUCSU GS were entrusted to me. The state had at the end of the word. Earlier pradesikataya regional condemnation was talking as if we do not believe that the time to read this paragraph gives students Applause. Rana Liaquat Liaquat Ali, wife of applause at the end of her husband came to my ears saying, "May lyanguyejake bar clamp debt cleared." After listening to her, I say, let me repeat it over again, I read every claim containing para. The applause started again. I have given a little more time for the applause. Rana Liaquat Ali Khan Liaquat Ali Khan and I sat very close. I realized it clear that he did very well. I thought I ira Bangla comments against the state with his speech, and I will protest slogans. What š 'He appreciates the attitude of the veteran politician upaitira went down. Despite her anger, but to ask his wife to do so in the context of language does not say no. Just to anger the stage version, Not If You probhinasiyalijama brick yum, yum probhenasiyalijama What gives? We thought he heard these words, he may also say something about language. What š 'He avoided the issue. I was not slogans. "Sir Khawaja 195 students at a public meeting at Paltan Maidan in the seven-point agreement with the independent Bengali declared that Urdu is the national language of Pakistan. Quaid Azam's remarks about the state after repeated protests began. Bengali language demanded the state " In 1973, the government unfairly taken her birth-right citizenship, but later, in 1994, the Supreme Court returned a unanimous verdict in the civil rights and the charges brought against him are false. Now, a new fully motivated again to the root of the complaint being "echa. Bangladesh Jamaat-e-Islami politics from the last thirty years, sbe "chaya retired and receiving positions of great power against a senior politician Ghulam Azam. Directly involved in the political history of the subcontinent, many memorable events. A senior leader and wise politician and repressed. On the basis of Islamic teachings, all the problems of human life dedicated to the struggle to build a happy and prosperous Bangladesh pranapurusa. Referring to the life of the leader of the movement, and the propaganda of national and international conspiracy. Black conspirators lies behind the veil covering his glorious contribution apaprayasa shed a lot of "nirantanabhabe echa. Prof Ghulam Azam, the most discussed figure in the history of Bangladesh. The caretaker of the nation's transition to democracy, the release of 90 orientation. 11 January 01 speech to the nation before leaving the prison, he said anti-Ershad movement in the 1980s and 1990s, and from 1994 to 1996 led the movement against the BNP and the Awami League-led caretaker government, demanding the simultaneous movement. Liaison committee meeting of the party activists together all the programs used to fix. And I did not feel any day of the Awami League and Jamaat leaders for war crimes. After the February 1991 elections, the Awami League party to form a government with the support of my prayers were being ignored. Awami League leaders Amir Hossain Amu Mr. Mujahid, Jamaat Secretary General's proposal to make the minister gave me. I still did not feel that the Awami League, Jamaat-e-Islami war criminal! Later, Justice Badrul Haider Chowdhury, Awami League nominated presidential candidate of the party to gain support when I met with demands, still led by their leaders 'war criminal' was not. What happened after that left some of the Awami League and the Islamic "war criminals as" down with the Islamic jihad to eradicate? Dumukho any such policy su 'identity politics does not carry. " The MP Golam Azam, the Minister did nothing, despite having the opportunity. Prof Ghulam Azam in the history of the novel and the abused person. Personal details, leaving many of its demands for greater interest of the reality behind the scenes. Shoulder the responsibility of being in power is the power of the accusation. The country, nation and humanity in what has always been the role of the š 'to the government in exchange for the gifts received from the imprisoned. His reputation around the world is impossible, it is not the end of the international interest. Abaaya reaching historical truth is always present in the field. Atmanirmana her thinking and the development of some of the accounts in the foreseeable term. India, in particular, aggression and adhipatyabadera professor Azam 4 years ago thought of the truth and the reality of today. Now our new generation of its jibarddasayai raised concerns. Another Azam upaita we have in place in the middle. Azam favorites at home and abroad, and praised the caretaker formula. Chatrachatrideo included in the text book. Sheikh Hasina's political consciousness is very narrow, so it is impossible to admit that Ghulam Azam. His inventions, thoughts, he will survive in centuries and centuries. Ghulam Azam left him stuck behind AL person can not staddha ideology. Aniya and international contemporary historical events of his many deeds today. Priyapathakabrnda, altogether one of us today upaita Azam, whose wisdom, writings, thoughts, political insight, forgiveness; Generosity, discipline, patience and tolerance between different ethnic groups, such as the attributes of the great classics. Oppressed, stressed the rights and dignity of the people helped create the atmosphere, which is also rare in the recent past, the twenty-first century, the crack of dawn for human rights, democracy, Islam, ethnic rights and awareness, mutual dignity of the crisis the world is facing, just as a at the moment samahimaya himself through his karmamahanubhabatara have implemented such a symbol Popularity Ghulam Azam. It is very rare in the recent past. Gathered under the banner of Islam to the heart of millions of people. Fifty-five thousand square miles of walks determined to be filled with the spirit of the establishment of religion. However, one does not know to give life to those who bow down to anyone except Allah. Ghulam Azam, who remember forever, forever love, honor, will own garaje. His writings will inspire the cause of Islam for centuries. There will be a new future for the youth and the emergence of the new guidance. The state will not be any need to respect the law. Azam is definitely the biggest achievement "echa the major political parties have taken the advice of his collaborative. The caretaker government has discovered sabayera margin recovery movement has been the voice of all the political parties. 11 January 01 to appear before the International Criminal Tribunal in a statement given to the people with a few lines of text tanachi end. He writes: "I have traveled extensively across the country in the long 50-year career. We have people wandering in. High moral character, have tried to encourage people to be awarded. The charges of crimes against humanity against the people will not believe that it is being taken. I am a soldier of Allah, shall be deemed to be hanged, I hope the people. Amin.