রোমান্টিক গল্প
মেয়েটাকে আমার খুব ভাল লাগে ।
শুধু ভাল
লাগলে বললে ভুল হবে, অনেক
ভালো বাসি । হেন
কোন কথা নেই যা তাকে বলি না,
কিন্তু
ভালবাসার কথাটাই শুধু
কখনো বলতে পারি না ।
মাইশা, তার নাম । একই
সাথে পড়ি আমরা ।
ভার্সিটিতে এডমিশান নেয়ার পর
প্রথম
যে ক্যাম্পাসে আসি সেদিনই
একটা গাধার মত
কান্ড ঘটিয়ে ফেলি ! একটা ইটের
সাথে উষ্ঠা খেয়ে স্যান্ডেল
ছিঁড়ে ফেলি !
কি বিচ্ছিরি অবস্থা ।
আশে পাশে পরিচিত কেউ
নাই আর অপরিচিতজনদের আমার
এহেন
অবস্থা দেখে সে কি হাসি !!
পালিয়ে যাব কিনা ভাবছি এমন সময়
একটা মেয়ে এগিয়ে এল । ব্যাগ
থেকে একটা সুঁই
আর সুতা বের করে বলল- নাও, সেলাই
করে ফেল !
একবার কোচিং এ যাবার সময় আমিও
উষ্ঠা খেয়ে জুতা ছিড়ে ফেলি ।
সেদিন খুব
নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম । সেই
থেকে ব্যাগে সবসময় সুই/সুতা রাখি !
অনেক তার কান্ড দেখে অবাক
হয়েছিল আর
আমি হয়েছিলাম বাকরুদ্ধ ! ওর
চোখের
দিকে হা হয়ে তাকিয়ে ছিলাম ।
আমার এমন
অদ্ভুত দৃষ্টি দেখে ও বলল-
কি স্যান্ডেল সেলাই
করতে পার না ? নাকি সেলাই
করে দেব ?
আমি কাচুমাচু করে বললাম-
লাগবে না ।
আমি পারব ! মেয়েদের
ব্যাগে স্যান্ডেল সেলাই
করার সুঁইচ থেকে মেকাপ বক্স পর্যন্ত
সবই
পাওয়া যায়- এমন
কথা আগে শুনেছিলাম । কিন্তু
দেখার সৌভাগ্য এ প্রথম হল !
জীবনে কখনো মুচির কাছ থেকেও
স্যান্ডেল
সেলাই করে পরিনি ।
ছিঁড়ে গেলে সেটা ফেলেই
দিতাম ! কিন্তু ওর সামনে যে সেদিন
কিভাবে সেলাই করে ফেললাম
সেটা
ভেবে আমি এখনো অবাক হই ! অনেক
হা করে আমাদের
দিকে তাকিয়ে অবাক
চোখে আমাদের কর্মকান্ড দেখছে !
লজ্জায়
আমি মাথা তুলতে পারছি না । কিন্তু
তার
সেদিকে কোন ভ্রক্ষেপ নেই !
আমি সুই/
সুতা তাকে ফিরিয়ে দিয়ে বললাম-
থ্যাংকস আপু !
ও রাগী দৃষ্টিতে আমার
দিকে তাকিয়ে- ওই
হাঁদারাম ! আমি কোন সূত্রে তোমার
আপু লাগি ?
আমিও তোমার মতই নিউ এডমিশন !
আমি লজ্জিত মুখে বললাম- ওহ স্যরি !
কিন্তু
আপনি কি করে বুঝলেন আমিও নিউ
এডমিশান ?
ও মুচকি হাসি দিয়ে বলল- তোমার ঐ
আবুল আবুল
চেহারা দেখে !
এরপর সে চলে গেল । কিছুক্ষণ
আবেশিত
হয়ে থাকলাম আমি । ওর চোখ.....
পৃথিবীতে অতি সৌভাগ্যবান কিছু
রমনী আছে যাদের নাকি চোখও
হাসে । এ
মেয়েটা তাদেরই একজন.....
"প্রহর শেষে রাঙা আলোয়-
সেদিন চৈত্র মাস,
তোমার চোখের দেখেছিলাম-
আমার সর্বনাশ !"
কেউ বিশ্বাস করবে না । কিন্তু এটাই
সত্যি । ওর
চোখ দেখেই
আমি প্রেমে পড়ে গেছি ।
আস্তে সাস্তে কোন পড়া নয়,
সিরিয়াসলিই ফল
করেছি !
অনেক খুঁজে খুঁজে ক্লাস বের
করে কোণার
দিকে একটা সিট বের
করে বসে পড়লাম । পাশের
সিটের দিকে চোখ পড়তেই টাশকিত
হয়ে গেলাম ! মনে মনে খুশিও হলাম ।
মেয়েটা তাহলে আমাদের
ডিপার্টমেন্টেই !
কিন্তু ওর কথা শুনেই
উচ্ছাসটা দমে গেল !
:- আরে এদেখি আবুল মিঞা ?
আমাদের
ডিপার্টমেন্টেই !
:- জ্বি ।
:- কি ব্যাপার ? মুখটা এমন পেঁচার মত
হয়ে গেল
কেন ? আবুল বলাতে রাগ করেছ ?
:- না না ! তা করব ক্যান ?
:- আমার তো মনে হয় করেছ ।
না করলেই ভাল ।
দেখ, আবুল/হাঁদারাম/গাধা/
কুত্তা এগুলো হল
আমার কমন কথা ! একই সাথে যেহেতু
পড়ব
এগুলো প্রায়ই শুনতে হবে । তাই
এগুলো শুনে কখনো রাগ
করতে পারবে না । ওকে ?
:- ওকে !
:- এই তো গুড বয় ! তা গুড বয়, তোমার
নাম কি ?
:- নীল ! আর আপনার ?
:- মাইশা ! তবে বদমাইশি খুব
বেশি করি তো !
তাই কলেজের বান্ধবীরা মাইশার
আগে বদ যোগ
করে বদমাইশা বলে ডাকে !
হি হি হি !
:- বাহ ! সুন্দর তো ! তাহলে আমিও
আপনাকে এটা বলেই ডাকবো !
:- মাথা ফাটাই ফেলবো যদি ভুলেও
কখনো শুনি এনামে ডেকেছ ! আর
তুমি আমাকে আপনি আপনি করছ কেন ?
আমাকে কি তোমার দশ বছরের
সিনিয়র মনে হয় ?
:- না না ! তা হবে কেন ? স্যরি ! আর
বলব না !
:- ফ্রেন্ডস ?
:- ফ্রেন্ডস !
সেই থেকে......
বন্ধু হয়ে ছিলাম । তিন বছর হয়ে গেল ।
এখনো বন্ধু হয়েই আছি । অনেক
চেষ্টা করেও
তাকে মনের গোপন
কথাগুলো বলতে পারি নি ।
সবসময় একটা ভয় কাজ করে-
যদি না করে দেয়,
যদি বন্ধুত্বটাই নষ্ট করে দেয়-
এটা আমি সহ্য
করতে পারব না ।
অবশ্য
বলতে যে চেষ্টা করি নি সেটাও
না ! ওর
সাথে এমনিতে সব কথা নির্দ্বিধায়
বলতে পারি । কোন সমস্যা হয় না ।
কিন্তু যখনই
এ কথা গুলো বলব ভাবি তখনই
গলা শুকিয়ে কাঠ
হয়ে আসে ! হাঁটু কাঁপতে থাকে !!
অদ্ভুত ।
সিঁড়িতে বসে আছি ।
মাইশা আসছে । দূর থেকেই
ওর হাসি মুখটা বুঝা যাচ্ছে । আজ
অনেক
খুশি মনে হয় । আমাকে দেখেই
এগিয়ে এল ।
:- জানিস হাঁদারাম, একটা গুড নিউজ
আছে !
:- হাঁদারাম বলাটা আর ছাড়লি না !
কি গুড
নিউজ !
:- আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে !
ও হাত টা বাড়িয়ে দিল । ওর
হাতে জ্বলজ্বল
করছে নতুন একটা রিং । আমার
অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল
সেটা দেখে ।
নিজেকে যথা সাধ্য শান্ত রাখার
চেষ্টা করে বললাম-
:- বলিস কি ? কবে ?
:- গত কাল । কাল
বিকেলে দেখতে এসেছিল
ছেলে । ছেলেতো আমাকে দেখেই
ফিদা ! ফোন
করে ওর বাবা মা কে ডেকে আনে ।
রাতেই
এনজেগডমেন্ট হয়ে যায় ! সামনের
শুক্রবারেই
বিয়ে !
:- ও ।
:- কিরে ? তোর চেহারা এমন পেঁচার
মত
হয়ে গেলে কেন ? জানিস, আমার
হাজব্যান্ট
টা না যা স্মার্ট ! উজ্জ্বল ফর্সা !
লম্বায় সিক্স
ফিট টু ।
জিম করা ফিগার । MBA from OXFORD ! UK
তেই সেটেল্ড । আমার কিন্তু
হেব্বি পছন্দ
হইছে ! মনে মনে যেমনটা চাইছিলাম !
বিয়ের
করার জন্যই দেশে এসেছে । বিয়ের
পর
আমাকে নিয়েই উডাল দেবে !
:- দেখ, এসব ছেলেদের কারেক্টার
কিন্তু ভাল হয়
না ।
:- কি বলতে চাস তুই ?
ও রেগে যাচ্ছে বুঝতে পারছি ।
কিন্তু রাগার মত
আমি তো কিছু বলি নি । তারপরও
সাবধানে বললামঃ
:- ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিগুলার কালচার
তো জানিসই । ওদের
কাছে রিলেশানসিপটা....
:- দেখ নীল, সবাইকে একই রকম ভাবিস
না । ও
অনেক ভাল । আমার অনেক পছন্দ হইছে ।
আর তুই
এসবের কি বুঝবি ?
গাঁইয়্যা কোথাকার !
ভেবেছিলাম আমার বিয়ের সব
এরেন্জমেন্টের
দায়িত্ব তোকেই দিব । তাই সবার
আগে খবরটা তোকেই জানালাম।
কিন্তু
হারামি কনগ্রেস্ট জানানোর
বদলে মেজাজটাই
খারাপ করে দিলি ।
তোকে এরেন্জমেন্টের
দায়িত্ব দেয়া তো দূরে থাক, এখন আর
বিয়েতেই
দাওয়াত দিব না !
বলেই ও আর দাঁড়ালো না । চলে গেল
। অকারণেই
রেগে গেল । কি বলেছি আমি ?
আমার ভিতর
যে কি অবস্থা চলছে সেটা আমিই
জানি । এটা ও
কি করে বুঝবে ? আর ফরেন জামাই
পেয়ে সব
ভুলে গেল ? আমাদের এত দিনের
সম্পর্ক সব মিথ্য
হয়ে গেল? আমি এখন গাঁইয়্যা ভূত
হয়ে গেলাম ?
হায়রে মেয়েমানুষ....... কত সহজে ওর
বিয়ের
কথা বলে গেল ! ও
কি জানে যে নিজের
অজান্তেই ও একজনকে মৃত্যুদন্ড
দিয়ে গেল ?
কাল শুক্রবার ওর বিয়ে । আজ বিয়ের
আগে শেষ
বারের মত ভার্সিটিতে এসেছে ।
সবার
সাথে এত
হেসে হেসে কথা বলছে দেখে
আমার
পিত্তি জ্বলতে লাগল । ঐদিনের পর
থেকে আর
আমার সাথে কথা বলে নি ।
আমি কয়েকবার কলার
চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু
আমাকে পাত্তাই দেয়
নি । এই ছিল শেষ পর্যন্ত আমার
ভাগ্যে....
আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে কয়েকজনকে
বিয়ের
দাওয়াত দিচ্ছি ও । কেউ একজন বলল-
নীলকে দাওয়াত দিবি না ? ওর দৃঢ
উত্তর- না !
আর দাঁড়ালাম না ওখানে । বাসায়
চলে আসলাম ।
আজ ওর বিয়ে । চিত্কার
করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে । হে খোদা,
কেন
এমনটা হল আমার সাথে ? কি অপরাধ
ছিল
আমার ? ভালোই তো বেসেছিলাম,
কোন পাপতো আর
করিনি। তবে কেন এত বড়
শাস্তি দিলে আমাকে ??
ওর বিয়ে হয়েছে আজ এক সপ্তাহ । এই
এক
সপ্তাহে আমার
চেহারা হয়েছে দেখার মত!
পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম সবার কাছ
থেকে ।
ভার্সিটিতে আসি নি । কিন্তু
কয়েকজন বন্ধু
গিয়ে ধরে এনেছে ! অনেকে অবাক
চোখে তাকিয়ে আছে আমার
দিকে, যেন
চিড়িয়াখানায় আনা নতুন প্রাণী !
অনেকে কৌতুহলে এগিয়ে এসেছে
জিজ্ঞেসও
করছে কি হয়েছে আমার ? কি বলব
আমি এদেরকে ? কি করে বুঝাব
যে কি হয়েছে ?
কোন কথার উত্তর না দিয়ে চুপচাপ
আমার প্রিয়
কোণার
সিটটাতে গিয়ে বসে পড়লাম ।
আমার
না বলা কষ্টগুলো আমার একারই থাক ।
কেউ
সেটা জানার দরকার নেই ।
বিয়ের ১৫ দিন পর
মাইশা ক্যাম্পাসে এসেছে ।
আজই প্রথম ওকে শাড়ি পরা অবস্থায়
দেখলাম ।
চোখ ফেরাতে কষ্ট হচ্ছিল । অনেক
ফ্রেশ
লাগছে আজ ওকে ।
আমাকে দেখে হাসিমুখে এগিয়ে
এল
। বলল-
দোস্ত, হানিমুন করে এলাম ! জোস
কেটেছে রে সময়টা !! তা তুই আমার
বিয়েতে আসিস নাই কেন ? খুব
কান্না পাচ্ছিল
আমার । কিন্তু
ওকে সেটা বুঝতে দিলাম না ।
বললাম- তুই দাওয়াত দিস নাই তো,
তাই...
ও হেসে বলল- ধুর, তোরা বন্ধু না !
তোদের আবার
দাওয়াত দেয়া লাগে নাকি ?
এমনিতে এসে একবেলা খেয়ে
যেতি !!
হি হি হি । আচ্ছা যা, আমার
বাচ্চা হলে তার
আকীকাতে তোকে দাওয়াত দেব ।
তখন
এসে এটা সহ খেয়ে উসুল করে নিস !
অপমানের পালা এখানেই শেষ নয় ।
ব্যাগ
থেকে একটা প্যাকেট বের করে বলল-
আসস নাই
অবশ্য ভালোই করছস ! আমার
জামাইরে দেখেলে তুই
ট্যারা হয়ে যেতি ! এই
দেখ, ভিসা আর পাসপোর্ট
এসে গেছে । UK-র
একটা ইউনিভার্সিটিতে ক্রেডিট
ট্রান্সপারের
জন্যও আবেদন করেছি । দুই একদিনের
মাঝে সেটাও হয়ে যাবে । নেক্সট
মানথেই
আমরা উড়াল দিচ্ছিরে ।
দোয়া রাখিস.... এখন
যাই । কিছু কাজ আছে ।
ও চলে গেল । আচ্ছা,
ওকি আমাকে জ্বালানোর
জন্যই এসব করছে ? গত তিন
বছরে ওকি একবারও
বুঝতে পারে নাই
ওকে কতটা ভালবাসি আমি ?
মুখে কখনো বলি নি আমি। কিন্তু সব
কি মুখে বলে দিতে হয় ? না । আর
ভাবতে পারছি না । এভাবে তিল
তিল
করে যন্ত্রনা পেয়ে মরার কোন
মানে হয় না ।
আজই একটা দফারফা করতে হবে ।
সুইসাইড
করলে কেমন হয় ?
জানি মা বাবা অনেক কষ্ট
পাবে । কিন্তু
তারা সামলে উঠতে পারবে । ছোট
ভাইটা আমার অনেক রেসপন্সিবল । ও
তাদের
দেখে রাখতে পারবে ।
তাহলে এটাই ফাইনাল
ডিসিশান । সুসাইড.........
ডিসিশানটা নেয়ার পর অনেক
হাল্কা লাগছে ।
খুব ধীরে সুস্থে সুইসাইড নোট
টা রেডি করলাম ।
টেবিলের উপর পাপার ওয়েটের
নিচে সেটা রেখে রুমে তালা
লাগিয়ে বেরিয়ে এলাম
। পরে কেউ
যদি তালা ভেঙ্গে রুমে ঢুকে তবে
সেটা বাসায়
পৌঁছে দিতে পারবে । ফ্রেন্ডদের
কাছ
থেকে বিদায় নিয়ে এলাম । ওদের
কিছু
বুঝতে দেই নি ।
বলেছি বাড়িতে যাচ্ছি ! ওরাও
কোন আরগুমেন্ট করে নি । কোন
টেনশন করছি না ।
এ মূহুর্তে কোন টেনশান মাথায়
আসলে সুইসাইড
করাটা কষ্টকর হয়ে যাবে । আচ্ছা,
কিভাবে সুইসাইড করা যায় ? লাফ
দেয়া যায় !
বসুন্ধরা শফিং কমপ্লেক্সের ছাদ
থেকে লাফ
দিলে কেমন হয় ? অনেক ভালো হয় !
সেদিকেই
হাঁটা দিলাম । মৃত্যুর পূর্বমূহুর্তে এমন
হেলে দুলে হাঁটতে বেশ মজাই
লাগছে !!
৮ তলার ছাদে গত
আধা ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি ।
জীবনের শেষ
মুহুর্তে এসে দাঁড়ানোটা আসলেই এক
ভয়ংকর
ব্যাপার । লাফ দেবো দেবো করেও
দেয়া হচ্ছে না । আমি আসলেই
একটা ভীতুর ডিম ।
বেঁচে থাকার শক্তি নেই এখন মরারও
সাহস
পাচ্ছি না ! নাহ,
যা থাকে কপালে....
আগে একবার লাফ দিই !
:- কি ? লাফাতে ভয় লাগছে ?
তড়িত্গতিতে পিছনে তাকিয়ে
দেখি মাইশা !!
মুচকি মুচকি হাসছে !
:- মানে ? লাফবো কেন ?
:- আমি তো ভাবছিলাম তুমি সুইসাইড
করছ ?
:- সুইসাইড ? আমি ? মাথা খারাপ ?
:- ও ! একটু আগে যে তোমার সুইসাইড
নোট
টা পড়ে এলাম !
:- হোয়াট ? তু-তু-তুমি আমার রুমে কেন
ঢুকছ ?
কেমনে ঢুকছ ?
:- হি হি হি ! আসলেই তেমন কিছু
একটা লিখেছিলে নাকি ?
আমি তো আন্দাজে মারছি !!
:- ওহ শীট !
:- আচ্ছা নীল, তুমি এত গাধা কেন
বলত ?
:- আমি মোটেও গাধা না !
:- গাধা না হলে কি ? আবুল মিঞা ?
আজ
যদি তোমার বন্ধুরা আমাকে ঠিক
সময়ে ফোন
না করত ? আমি যদি ঠিক
সময়ে এখানে এসে না পৌঁছাতে
পারতাম,
তবে কি হত ভেবে দেখছ ?
:- কি আর হত ?
:- আবার কি হতও বলে ! হাঁদারাম !
আমাকে ছেড়ে এভাবে চলে যেতে
?
তাহলে আমি কি নিয়ে থাকতাম ?
(বলে কি এ মেয়ে ?)
:- মানে ?
:- মানে ? মানে গত তিন
বছরে তুমি কি একটুও
বুঝতে পার নাই
যে তোমাকে কতটা ভালবাসি আমি
?
(এসব কি বলছে মাইশা ? আর এখন বলেই
বা কি লাভ ?)
:- ভাল তো আমিও তোমাকে বাসি ।
কিন্তু এখন আর
এসব বলে কি লাভ ? তুমি তো এখন
অন্যের ঘরণী ।
:- হি হি হি ! বুদ্ধ !! আমার বিয়ে হয় নাই
।
(আমার ভিতর তখন কম্পন শুরু হয়ে গেছে ।
কিন্তু
স্থির থাকার সর্বোচ্চ
চেষ্টা করে হ্যাবলা সাজার
চেষ্টা করলাম)
:- মানে ? বিয়ে হয় নাই মানে ?
:- বিয়ে হয় নাই মানে বিয়ে হয় নাই !
এতে আর
কিসের মানে ?
:- তাহলে ঐ এংগেজমেন্ট রিং, ঐ
দিনের
ফাংশান, হানিমুন.....
:- হি হি হি ! ঐ রিংটা ছিল আমার
বার্থডে গিফট, আমার বড় ফুফু
জার্মানি থেকে পাঠিয়েছে,
ফাংশানটা ছিল
আমার বার্থ ডের ফাংশান । ইডিয়ট,
তুমি ভুলে গেছিলে সেটা ! আর
বিয়ে না হলে কিসের হানিমুন রে ?
আমরা গ্রামের বাড়িতে গেছিলাম
। ওখানেই
ছিলাম পনের দিন !
:- তাহলে তুমি ক্রেডিট ট্রান্সপার
করে বিদেশ
চলে যাচ্ছ কেন ??
:- হুম । ইংল্যান্ড যাচ্ছি এটা ঠিক
কিন্তু
পড়তে নয় রে গাধা ! তুমি তো জানই,
আমার বড় আপু
হাজব্যান্ড সহ ওখানে থাকে । আপুর
ছেলে হয়েছে ।
তাকে দেখতে যাচ্ছি । একমাস
থাকব । এরপর ব্যাক করবো । ঐ পেপার
টা ছিল
লিভ এপ্লিকেশান । ক্রেডিট
ট্রান্সপারের
পেপার নয় । বুঝেছেন
মিঃ হাঁদারাম ?
(কি করব বুঝতে পারছি না)
:- এত কিছু কেন করলে তুমি ? কেন এত
কাঁদালে ?
:- শুধু এটুকু শোনার আশায়
যে তুমি আমাকে ভালবাস ।
:- এত নাটক না করে একবার
বলতে পারতে না যে আমাকেও
তুমি ভালবাস ?
:- বুদ্ধ । এ পর্যন্ত কোন
মেয়েকে দেখেছ
আগে কি গিয়ে কোন
ছেলেকে তার ভালবাসার
কথা বলতে ?
:- না ।
:- তাহলে ?
:- তাহলে কি ?
:- কিছু না গাধা !
:- তুমি আসলেই বদমাইশা !
:- এই মাথা ফাটামু । কইয়্যা দিলাম
কিন্তু ।
:- পারলে পাঠাও !
(মাইশা আমার
দিকে তাকিয়ে আছে । ঠোঁটের
কোণায় তার ট্রেড মার্ক হাসি ।
আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় । নিচের
দিকে তাকিয়ে আছি ।
মাইশা যদি সামনে না থাকত
তবে আমি ধেঁই ধেঁই
করে নাচা শুরু করতাম । কোন সন্দেহ
নাই । যাই
হোক, ও অনেক কাঁদাইছে আমারে ।
এবার আমি একটু
পার্ট লমু !)
:- কিন্তু তোমার তো পছন্দ উজ্জ্বল
ফর্সা,
OXFORD থেকে পাস করা ছেলে, UK
তে সেটেল্ড ! আমার তো এসব
কোয়ালিফিকেশন
নাই ! আর UK তে দূর থাক, আমার
খেয়াল
হচ্ছে গ্র্যাজুয়েশনের পর
গ্রামে গিয়ে থাকব !
:- হুম ! এগুলো অবশ্য একটা ফ্যাক্ট বটে !
আসলে একটা বিষয় কি জানো ?
ছেলেরা উজ্জ্বল
ফর্সা হলে তাদের চেহারায়
একটা মেয়েলী ভাব
চলে আসে ! তাদের জন্য
তামাটে রংটাই
পারফেক্ট । এটাই পুরুষালি রং । আর
OXFORD
গ্র্যাজুয়েশনের কথা বলছ ? জান না,
ঢাবিকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে !
:- ও । এব্যাপার ?
:- হুম ! তোমাদের গ্রামের
নামটা যেন কি ?
:- উত্তর কালিগন্জ্ঞ !
:- দেখো তো উত্তর কালিগন্ঞ্জের
ইংলিশ
স্পেলিং এর কোড ওয়ার্ড UK হয়
কিনা ??
:- ওহ ! আমিও তাহলে UK-র বাসিন্দা ?
(ওর যুক্তি শুনে আমি তো পুরাই থ !)
:- কি ? এভাবে দাঁড়িয়েই থাকবে ?
আর কিছু
করবে না ?
:- আআ.... কি করব ?
:- তুমি মুভি দেখ না ? মুভিতে নায়ক
নায়িকা প্রেমের প্রোপাজালের
পর কি করে ?
:- তারা তো নাচানাচি করে, গান
গায় । কিন্তু
আমি তো নাচ গান কোনটাই
জানি না !
:- ইডিয়েট ! দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা !
মাইশা মারার
ভঙ্গি নিয়ে তেড়ে আমার
দিকে এল ! আমি দৌড় লাগালাম ।
সে আমার
পিছনে দৌড়াচ্ছে । দৌড়াক ! গত
তিন বছর ওর
পিছনে অনেক দৌড়িয়েছি ।
বাকি জীবনটা ও
আমার পিছনে দৌড়াক !!!
Romantic Story
I love her.
Only the best
If you feel would be wrong to say, a lot
Good stale. Haven
There are no words to say to him,
But
You'll just love
I can not say never.
Maisa his name. same
We have to read.
After university Admission
First
That same day I went to the campus
Like a donkey
Let causing shoots! A brick
Ustha taste with sandals
Let rent!
What ugly situation.
No one is around
I no longer aparicitajanadera
Such
Then he smiles !!
I wonder whether the time is fleeing
A girl came forward. Bag
A needle
Balala take out the yarn, sewing
Take that!
Once when I go to coaching
Ustha tearing eat shoes.
On that day, too
Was nervous. That
Always in the bag from the needle / thread reserve!
He surprised a lot of shoots
Was
I was speechless! His
Eye
Yeah, it was looked at.
I
And said strange sight to see
What is stitched sandals
You can not do? Or stitch
Will?
I was kacumacu balalama
no need .
I can ! Girls
Sewing bag sandals
Makeup box from the far sumica
All this
If the pathologically
I heard the words before. But
This is an opportunity to see first!
Sometimes life from shoemaker
Sandals
Parini sew.
When it stopped, tore
I would! But that day in front of him
How did sew
It
I still am amazed at the thought! Many
H us
Look at
Activities eyes watching us!
Shame
I can not make head. But
His
There is no crime bhraksepa!
I needle /
Yarn with him balalama
Thanks sister!
Angry eyes and my
The side takiye
Idiot! I have no formula for you
Dividends sister?
New Admission I like you!
Balalama Oh sorry I am ashamed in the face!
But
You understand what I'm New
Admission?
And the smile that you balala
Abul Abul
Face!
Then he was gone. Bit
Induces
I have stayed there. Her eyes .....
Some of the most fortunate in the world
There are woman's eyes
Laugh. This
She's one of them .....
"Flushed after hours aloya
The day of Chaitra,
Your eyes dekhechilama
My defeat! "
No one will believe. But that's
Really. His
Eyes to see
I fell in love.
Saste not read slowly,
Siriyasalii fruit
We have!
Finding out a lot of classes
The corner
To get a seat
And sat down. Next door
Tasakita eye toward the seat to fall
I went there! I think I'm glad.
She then
Departments!
But the truth of his words
Ucchasata were sagging!
- Hey edekhi Abul Mia?
Our
Departments!
- Yes.
:- What's up ? Face like an owl
Was
Why? Abul showed Oh ?
- No! Why do it?
- I think I did.
If not the best.
Look, Abul / idiot / fool /
They are dog
Common to me! Since the
will read
They often have to listen. Therefore,
They never heard angry
Will not be able to do. OK?
- OK!
- This is Good Boy! All Good Boy, you
What is the name?
- Blue! And you?
- Maisa! The dick too
I am more!
So college girlfriends maisara
Before adding bad
Badamaisa the call!
Hee hee hee!
- Wow! It's nice! Neither
As you call it!
- If you'll head back here phatai
Ename sometimes called heard! and
Why are you doing to me?
Do I have your ten-year-old
Senior think?
- No! Why's that? Sorry! and
Do not tell!
- Friends?
- Friends!
The ......
I became friends. Three years passed.
I still remain friends. Many
Tried
The hearts
I can not say.
Always a fear B-
If it does not,
Lets you destroy bandhutbatai
I bear it
Can not do.
But
I did not try to say too
Do not! His
Feel free to talk to the person
I can tell you. Is not a problem.
But when
I think at the moment
Dry wood
Comes! Knees tremble !!
Weird.
I'm sitting on the steps.
Maisa coming. From a distance
Her face shows a smile. Today
Many
Seems happy. When he saw me
Came forward.
- You know idiot, a Good News
There!
- Ninny not to say the charali!
What is Good
News!
- I just got married!
And was increased at hand. His
To shine
Is a new ring. My
Shook inward
See it.
Namely the ability to calm oneself
Try balalama
- Say what? When?
- Past tense. Time
In the afternoon came to see
Son. When he saw me cheleto
Fida! Phone
His father and mother brings.
Night
Enajegadamenta is! Front
Friday
Marriage!
:- Re .
- Hello? If you look like an owl
Like
When and why? You know, my
Hajabyanta
Am not smart! Bright fair!
Six long
To Fit.
Figure gym. MBA from OXFORD! UK
Though settled. But my
Like hebbi
Happened! I wanted to like it!
Marriage
Is to come home. Marriage
After
I would udala with!
- Look, these boys character
But it is better
No.
- What do you want to say?
And realize that is going to get angry.
But like irritate
I did not say anything. However,
Carefully said:
- Western kantrigulara Culture
So janisai. Their
Rilesanasipata to ....
- Look blue, the same ampersand
No. Re
very good . I got a lot of choice.
And you
What is all this a fact?
Gamiyya Oh!
I thought about my marriage
Erenjamentera
I'll tokei responsibility. So everyone
Tokei told the news before.
But
Items bastard kanagresta
Talk to him instead
Dili bad.
Erenjamentera thee
Given the responsibility alone, no longer
Marriage
I will not call!
And not because they stood. Departed
. Akaranei
Got angry. What am I?
Inside of me
That's what I'm going
I know. It and
What do you understand? The Foreign husband
All the
Forgot? So the day
Relationships of all false
Was? I am now a ghost gamiyya
I got?
Oh how easily her jade .......
Marriage
Could speaks! Re
You know what that's
And one sudden death
Went through?
She married tomorrow, Friday. Today marriage
Before the end
Time has come to university.
Public
With so much
Laughed when talking
My
Pitti were filled. After that day
From
I did not say