সমগ্র অধ্যায় ০৮
০০১.
সাবান সোডা মাজন দিয়েও
ময়লা নাহি যায়
তিন অক্ষরে তারে ছাড়া
রন্ধনে সংশয় হয়।
উত্তরঃ কয়লা।
০০২.
মার্জনা করি আমি
যত মলিনতা
একশটি ভাই মিলে
বোঝায় একতা। নারীর হাত থাকি আমি
এত সম্মান
তবুও শ্রদ্ধাহীন,
কী আমার নাম?
উত্তরঃ ঝাঁটা।
০০৩.
কোথাও কোন জল দেখিনা
মাঠের মাঝে জল
চার অক্ষরের নাম তার
কী এমন সে ফল?
উত্তরঃ তরমুজ।
০০৪.
দিতে যদি দিতে হয় শ্বশুরকুলে দিই
আর যদি দিতে হয় পরপুরুষে দিই
বাপের ঘরে দেব কারে, লজ্জা করে ছিঃ
তুমি আমার আমি তোমার
তোমায় দেব কি?
উত্তরঃ ঘোমটা।
০০৫.
বনের মাঝে আলো করা
সুন্দর সে টিয়া
সোনার মুকুট মাথায় দিয়ে
এলো বাহিরিয়া।
উত্তরঃ আনারস।
০০৬.
এখান থেকে দিলাম বৃষ্টি
ঐ গাছটি বড়ই মিষ্টি
উত্তরঃ আখ গাছ।
০০৭.
আ-কার ই-কার হীন
বলো কোন গ্রাম
মোয়া হতে বল সোনা
সেই গ্রামের নাম।
উত্তরঃ জয়নগর।
০০৮.
ওপর থেকে পড়ল ছুরি
ছুরি বলছে ঘুরে পড়ি।
উত্তরঃ বাঁশপাতা।
০০৯.
গণপতি নয় তবে
সেও গুণধর
একদন্ড বলা যায়
লম্বা দেহ ধর।
উত্তরঃ ঢেঁকি।
০১০.
হাত নেই পা নেই
সব মানুষকে ধরে
প্রভাবে কাতর হয়
মাথা নুয়ে পড়ে।
উত্তরঃ মাথা ধরাু।
০১১.
বাঁদিক পাবে পেটটি কেটে
কাটলে মাথা -মূল্য
তিন অক্ষরের প্রিয় খাবার
নেই কিছু তার তুল্য।
উত্তরঃ বাদাম।
০১২.
তিন অক্ষরে নাম, কাঁচায় পাকায় খায়
প্রথম অক্ষর বাদ দিলে প্রাণটা চলে যায়,
শেষ অক্ষর বাদ দিলে মিষ্টি সে ফল
ঝটপট এখন আমায় নামটা খুলে বল
উত্তরঃ আমড়া।
০১৩.
এমন একটি সুন্দর ফল
উপরে তার ফিটফাট
ভিতরে তার সদরঘাট।
উত্তরঃ মাকাল ফল।
০১৪.
তিন অক্ষরে প্রাণী জলের
পেট কাটলে নারীর গলে।
উত্তরঃ হাঙর।
০১৫.
বলছো দুবার দাম
ছুটছে নাকি ঘাম।
উত্তরঃ দরদর।
০১৬.
ছোট ছোট বেনো বনে
কত হরিণ চড়ে
দশ শিকারীর দল খোঁজে তায়
দুই শিকারী মারে।
উত্তরঃ উকুন।
০১৭.
মা মেয়েতে একই সাথে
নদীতে নাও বাইতে থাকে।
উত্তরঃ মাঝি (মা+ঝি)।
০১৮.
এক ঠোঙা, ফুল ওঠে
মাথা বেঁকে থাকে
রোদে পোড়ে জলে ভিজে
চেন নাকি তারে।
উত্তরঃ ছাতা।
০১৯.
পাঁচ মেয়েকে তুলে দিল
বত্রিশ জনের ঘাড়ে
দূরে ছিল কর্তা-দিদা
টেনে নিল ঘরে।
উত্তরঃ খাবার খাওয়া।
০২০.
ডগায় খসখসে
গোড়ায় মধু
বলতে না পারে যে
সে এক ভোঁদু।
উত্তরঃ আখ।
|